রেসিপি :- নিজের মতো করে বাড়িতে পিজ্জা তৈরি।
হ্যালো বন্ধুরা,
আসসালামু আলাইকুম, কেমন আছেন সবাই? আশা করি সবাই ভালো আছেন। আমিও আল্লাহর রহমতে ভালো আছি। প্রতিদিনের মত আজকেও আপনাদের সামনে এসে হাজির হলাম। আজকে আমি আপনাদের সামনে অনেক সুন্দর একটা রেসিপি নিয়ে এসেছি। আজ আমি আপনাদের সাথে শেয়ার করব নিজের মতো করে বাড়িতে পিজ্জা তৈরি রেসিপি। রেসিপিটা খেতে অনেক মজার।
আসলে আমি এর আগে কখনো নিজের পিজ্জা তৈরি করিনি। তবে অনেকদিন ধরেই ভাবছিলাম পিজ্জার সঠিক রেসিপি ফলো না করে আমি আমার নিজের মতো করেই একটা পিজ্জা তৈরি করবো। তাই জন্য হঠাৎ করেই এই রেসিপিটা ট্রাই করতে বসে পড়লাম। আসলে যে কোন রেসিপিতে ডিম দিলে খেতে বেশি ভালো লাগে। তাই জন্য আমি এই রেসিপিটাতেও ডিম দিয়েছি। এছাড়াও আরো কিছু উপকরণ দিয়ে এই রেসিপিটা তৈরি করেছি। তবে প্রথম তৈরি করলে ও রেসিপি টা কিন্তু ভালই লেগেছে। আমরা পরিবারের সবাই মিলে বেশ মজা করেই খেয়েছিলাম। বিশেষ করে বিকেলের রাস্তায় বেশ জমজমাট হয়েছিল এই রেসিপিটা। আশা করি রেসিপিটা আপনাদের ভালো লাগবে।
তো চলুন,
এই রেসিপিটি তৈরি করতে আমার কি কি উপকরণ লাগলো এবং আমি পুরো রেসিপি কিভাবে তৈরি করলাম তার বর্ণনা নিচে প্রতিটা ধাপে উপস্থাপন করলাম। আশা করি আমার আজকের রেসিপি আপনাদের ভালো লাগবে।
প্রয়োজনীয় উপকরণ :
উপকরণ | পরিমাণ |
---|---|
ডিম | ১ টা |
আটা | ১ কাপ |
স্লাইস চিজ | ২ টা |
পেঁয়াজ কুচি | ১ কাপ |
রোসন বাটা | ১ টেবিল চামচ |
শুকনা মরিচ কুচি | ২ টেবিল চামচ |
ধনিয়া পাতা কুচি | ২ টেবিল চামচ |
টমেটো সস | পরিমাণ মতো |
হলুদের গুঁড়া | ২ টেবিল চামচ |
মরিচের গুঁড়া | ২ টেবিল চামচ |
ইস্ট | ১ টেবিল চামচ |
লবন | পরিমাণমতো |
তেল | পরিমাণমতো |
রান্নার বিবরণ :
ধাপ - ১ :
প্রথমে আমি একটি বাটিতে কিছুটা পরিমাণে ইস্ট নিয়ে নিলাম। এরপরে আমি এর মধ্যে কিছুটা পরিমাণে পানি দিয়ে দিলাম। এরপর আমি এর মধ্যে পরিমাণ মতো লবণ এবং কিছুটা তেল দিয়ে দিলাম।
ধাপ - ২ :
এরপর এর মধ্যে কিছুটা পরিমাণে আটা দিয়ে হাত দিয়ে ভালোভাবে মেখে একটা ডো তৈরি করে নিলাম। এই ডোটাকে কিছুক্ষণ ঢাকনা দিয়ে ঢেকে রাখবো।
ধাপ - ৩ :
এরপরে আমি চুলায় একটি ফ্রাইপ্যান বসিয়ে দিলাম। এরমধ্যে কিছুটা পরিমাণে তেল দিয়ে দিলাম। এরপরে আমি এর মধ্যে দিয়ে দিলাম পেঁয়াজকুচি এবং রসুন বাটা।
ধাপ - ৪ :
এরপরে আমি সবগুলো মশলাগুড়া এবং লবণ দিয়ে ভালোভাবে নেড়েচেড়ে দিলাম।
ধাপ - ৫ :
এরপর আমি এর মধ্যে একটা ডিম ভেঙে দিয়ে দিলাম। ডিমটাকে ভালোভাবে নেড়েচেড়ে দিলাম। এরপরে আমি ভাজা হয়ে গেলে চুলা থেকে নামিয়ে নিলাম।
ধাপ - ৬ :
এরপর আমি একটা স্টিলের প্লেট নিয়ে নিলাম। এরপর এর মধ্যে কিছুটা পরিমাণে তেল দিয়ে দিলাম। এরপর আমি এর মধ্যে আটার ডোটা দিয়ে হাত দিয়ে মেলে নিলাম। এরপর মাঝখানের অংশে কাটা চামচ দিয়ে দাগ দিয়ে দিলাম।
ধাপ - ৭ :
এরপরে আমি টমেটো সস পুরোটার মধ্যে লাগিয়ে নিলাম। এরপরে আমি এর মধ্যে কিছুটা শুকনো মরিচের টুকরো দিয়ে দিলাম।
ধাপ - ৮ :
এরপর আমি এর মধ্যে তৈরি করা ডিমের পুরটা ছড়িয়ে দিলাম।
ধাপ - ৯ :
এরপর আমি এর উপরে স্লাইস করা চিজ ছোট ছোট টুকরো করে ছড়িয়ে দিয়ে দিলাম। এরপর কিছু স্লাইস করা পেঁয়াজ দিয়ে দিলাম। এর উপরে আবারো একটু টমেটো সস দিয়ে দিলাম। এভাবে আমি তৈরি করে নিলাম।
ধাপ - ১০ :
এরপরে আমি একটা ফ্রাইপেন এর উপরে স্টিলের পেটটা বসিয়ে দিলাম। এরপরে আমি ঢাকনা দিয়ে ঢেকে কিছুক্ষণ রান্না করবো। এরপর বেশ কিছুক্ষণ পর ঢাকনা খুলে দেখব হয়ে গেছে। এরপর চুলা থেকে উঠিয়ে নিলাম।
শেষ ধাপ :
এরপর পরিবেশন করলাম। আশা করি আমার আজকের রেসিপি আপনাদের ভালো লাগবে। পরবর্তীতে আবারও দেখা হবে নতুন কিছু নিয়ে। সবাই ভালো থাকবেন।
পোস্ট বিবরণ
শ্রেণী | রেসিপি |
---|---|
ডিভাইস | Redmi note 9 |
ফটোগ্রাফার | @tasonya |
লোকেশন | ফেনী |
আমার পরিচয়
আমার নাম তাসলিমা আক্তার সনিয়া। আমি বাংলাদেশী। বাংলা ভাষা আমাদের মাতৃভাষা বলে আমি অনেক গর্বিত। আমি গ্রেজুয়েশন কমপ্লিট করেছি। আমি ছবি আঁকতে ভালোবাসি। বিশেষ করে যে কোন ধরনের পেইন্টিং করতে পছন্দ করি। যখনই অবসর সময় পায় আমি ছবি আঁকতে বসে পড়ি। এছাড়াও আমি ভ্রমণ করতে পছন্দ করি। কিছুদিন পর পর বিভিন্ন জায়গায় ভ্রমণ করার চেষ্টা করি। এছাড়াও আমি বিভিন্ন ধরনের কারুকাজ করতে পছন্দ করি। রান্না করতেও আমার খুব ভালো লাগে। আমি বিভিন্ন ধরনের রেসিপি তৈরি করতে পছন্দ করি। আমি যখনই সময় পাই আমার পরিবারের সবাইকে বিভিন্ন ধরনের রেসিপি তৈরি করে খাওয়াই। আমি সব সময় নতুন নতুন কিছু করার চেষ্টা করি।
🎀 ধন্যবাদ সবাইকে 🎀 |
---|
ঘরে তৈরি করা খাবার বাইরের মতো ততোটা মুখরোচক না হলেও স্বাস্থ্যসম্মত।আর তাই এই পিজ্জা খুব স্বাদের হয়েছে বলা যায়। আপনারা সবাই মজা করে খেয়েছেন জেনে ভালো লাগলো।বাসায় তৈরি করা খাবার সত্যি ই মজার।
ঘরোয়া ভাবে কিছু তৈরি করলে তা সত্যি অনেক স্বাস্থ্যসম্মত হয়। আর এই পিজ্জা টাও অনেক সুস্বাদু হয়েছে।
Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.
এই সকাল সকাল কি দেখাইলেন আপু।পিজ্জা তো আমার অনেক পছন্দের একটি খাবার।সকালে ঘুম থেকে উঠেই আপনার তৈরি করা মজাদার পিজ্জা দেখে জিভে জল চলে এলো।দেখে তো মনে হচ্ছে খেতে খুবই সুস্বাদু হয়েছে।আপনার বাসা যদি আমার বাড়ির আশেপাশে হতো তাহলে গিয়ে খেয়ে আসতাম।যাই হোক আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ জানাচ্ছি আপু মজাদার একটি রেসিপি আমাদের মাঝে এত সুন্দরভাবে শেয়ার করার জন্য।
পিজ্জা আপনার অনেক পছন্দের একটা খাবার এটা শুনে খুব ভালো লাগলো। হ্যাঁ ভাইয়া এটা অনেক সুস্বাদু হয়েছিল।
আপনার কাছ থেকে এই পিজ্জা দেখে এখনই খেয়ে ফেলতে ইচ্ছে করছে৷ সকাল বেলা আপনি যেভাবে এই পিজ্জার রেসিপি তৈরি করে আমাদের মাঝে শেয়ার করে দিয়েছেন এটিকে এখনই ইচ্ছে করছে এখান থেকে নিয়ে নেই৷ খুবই সুস্বাদু হয়েছে বলে মনে হয়৷
বেশি খেতে ইচ্ছে করলে তৈরি করে খেয়ে ফেলুন। তৈরি করাটা কিন্তু ততটা কষ্টের না।
অনেক সুন্দর রেসিপি তৈরি করে আমাদের মাঝে উপস্থাপন করেছেন। আসলে ঘরোয়া পদ্ধতিতে নিজের মতো করে তৈরি করা যায়। খুবই ভালো লাগলো এত সুন্দর রেসিপি তৈরি করে আমাদের মাঝে উপস্থাপন করেছেন দেখে। বেশ দারুন হয়েছে আপনার এই রেসিপি তৈরি করা।
চেষ্টা করলাম ঘরোয়া পদ্ধতিতে নিজের মতো করে এই পিজ্জা তৈরি করার জন্য।
আপু আজ আপনি অনেক সুন্দর একটি পিজ্জা রেসিপি তৈরি করে আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন।নিজের হাতে তৈরি করে যেকোনো জিনিস খাওয়ার মজাই আলাদা। আপনার তৈরি করা মজাদার রেসিপিটি দেখে অনেক লোভ লেগে গেলো।রেসিপিটি দেখে বোঝাই যাচ্ছে যে খেতে অনেক সুস্বাদু হয়েছিল।আপনি রেসিপির প্রতিটি ধাপ খুব সুন্দর ভাবে উপস্থাপন করেছেন আমাদের মাঝে।আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ সুন্দর একটি রেসিপি আমাদের মাঝে উপস্থাপন করার জন্য।
আমি নিজেই কখনো ভাবিনি আমার তৈরি করা প্রথম পিজ্জা এতটা সুস্বাদু হবে।
বাহ্ তাহলে তো বেশ দারুণ ব্যাপার।
বাহ্ আপনি তো দেখছি আপু আমাদের সবার পছন্দের লোভনীয় রেসিপিটি বানিয়ে পোস্ট ও করে দিলেন।আমি অনেকদিন ধরে ভাবছিলাম পিজা বানাবো কিন্তু সময় করতে পারছি না। আসলে কোন কিছু বানাতে হলে সময় নিয়ে করতে হয়। আজ কিন্তু আপনার পিজা বানানোর রেসিপিটি দেখে লোভ লেগে যাচ্ছে। দেখে বোঝা যাচ্ছে পিজাটি অনেক স্বাদ হয়েছিল। আর খেতে নিশ্চয়ই আরো অনেক ভালো হয়েছে।
আপনাকে আর কি বলব আপু? আমি তো এখন আবার দেখে আমার নিজেরও লোভ লেগে গিয়েছে।
পিৎজ্জা খেতে কিন্তু খুবই ভালো লাগে। আর বাসায় তৈরি করা হলে সেটা তো স্বাস্থ্যসম্মত ভাবে তৈরি করা হয়। তাছাড়া আপনি যেহেতু কোন রেসিপি ফলো না করে নিজের মত তৈরি করেছেন সেই হিসেবে মনে হচ্ছে এটা একটু ভিন্ন রকম স্বাদের হবে। এত মজার একটা রেসিপি শেয়ার করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ আপু। আমি যদিও কিছু উপকরণ রেডি করেছিলাম তৈরি করব বলে তবে এখনো তৈরি করা হয়ে ওঠেনি। তবে একদিন চেষ্টা করব আর আপনাদের সবার সাথে শেয়ার করব।
আশা করছি খুব তাড়াতাড়ি আপনি তৈরি করে নিবেন। দেখার জন্য কিন্তু অপেক্ষায় থাকলাম।
https://x.com/TASonya5/status/1817017612343345406?t=fRA4roYLf7ZPldVD_u5ffw&s=19
সব সময় যে মেইন রেসিপি ফলো করতে হবে এমন কথা নেই। নিজের মতো করে যদি তৈরি করা যায় তাতে আরো অনেক বেশি ভালো হয়। রেসিপির কালার দেখে তো মনে হচ্ছে খেতে খুবই সুস্বাদু হয়েছিল। আপনি বেশ কিছু উপকরণ দিলেন। যে কোন রেসিপিতে ডিম দিলে খেতে ভালো হবে সেটা ঠিক বলছেন আপনি। পিজ্জার দেখে বেশ ভালো লাগলো।
আমি অল্প উপকরণের মাধ্যমেই এটা তৈরি করার জন্য চেষ্টা করেছি। খেতে এতটা সুস্বাদু হবে এটা ভাবিনি।