রেসিপি :- ডিমের পিঠা রেসিপি।
হ্যালো বন্ধুরা,
আসসালামু আলাইকুম, কেমন আছেন সবাই? আশা করি সবাই ভালো আছেন। আমিও আল্লাহর রহমতে ভালো আছি। প্রতিদিনের মত আজকেও আপনাদের সামনে এসে হাজির হলাম। আজকে আমি আপনাদের সামনে অনেক সুন্দর একটা রেসিপি নিয়ে এসেছি। আজ আমি আপনাদের সাথে শেয়ার করব ডিমের পিঠা রেসিপি। রেসিপিটা খেতে অনেক মজার।
ডিমের পিঠা কিন্তু আমাদের এদিকে অনেক ঐতিহ্যবাহী পিঠা। বিশেষ করে যখন কোন অনুষ্ঠান কিংবা মেহমানরা আশা থাকে তখনই আমরা এই পিঠাগুলো তৈরি করে থাকি। আবার এই পিঠাগুলো তৈরি করে সংরক্ষণ করে রাখা যায় । অনেকদিন পর্যন্ত রেখে খাওয়া যায়। আর এটাই হচ্ছে মূলত এই পিঠার সুবিধা। আমরা যদি অনেকগুলো পিঠা একসাথে তৈরি করে রেখে দেই তাহলে নিজেরাও খেতে পারি, আবার মেহমান আসলে তাদেরকেও আপ্যায়ন করতে পারি। মূলত আমাদের বাড়িতে মেহমান আসার কথা তাই জন্য আমি ভাবলাম তাদের জন্য এই পিঠাটা তৈরি করি। কারণ খেতে ভালই লাগবে। তাছাড়া আমাদের পরিবারের সবাইও খেতে খুবই পছন্দ করে। আশা করি রেসিপিটা আপনাদের ভালো লাগবে।
তো চলুন,
এই রেসিপিটি তৈরি করতে আমার কি কি উপকরণ লাগলো এবং আমি পুরো রেসিপি কিভাবে তৈরি করলাম তার বর্ণনা নিচে প্রতিটা ধাপে উপস্থাপন করলাম। আশা করি আমার আজকের রেসিপি আপনাদের ভালো লাগবে।
প্রয়োজনীয় উপকরণ :
উপকরণ | পরিমাণ |
---|---|
ডিম | ২ টা |
আটা | ২ কাপ |
চিনি | হাফ কাপ |
দুধ | ১ টেবিল চামচ |
লবন | পরিমাণমতো |
তেল | পরিমাণমতো |
রান্নার বিবরণ :
ধাপ - ১ :
প্রথমে আমি একটি বাটিতে ডিম ভেঙে নিলাম।
ধাপ - ২ :
এরপর আমি এর মধ্যে পরিমাণ মতো চিনি লবণ এবং দুধ দিয়ে দিলাম। এরপর ভালোভাবে এগুলোকে মিশিয়ে নিলাম।
ধাপ - ৩ :
এরপরে এরমধ্যে অল্প অল্প পরিমাণে আটা দিয়ে মেখে একটা ডো তৈরি করে নিলাম।
ধাপ - ৪ :
এরপরে কিছুটা পরিমাণে আটার ডো নিয়ে একটা রুটির মত করে বেলে নিলাম।
ধাপ - ৫ :
এরপরে আমি রুটি টাকে কেটে একটা ফুলের মত ডিজাইন তৈরি করে নিলাম।
ধাপ - ৬ :
এভাবে আমি সবগুলো দিয়ে অনেকগুলো বিভিন্ন ডিজাইনের তৈরি করে নিলাম।
ধাপ - ৭ :
এরপরে আমি চুলায় একটি কড়াই বসিয়ে দিলাম। এর মধ্যে ডুবো তেল দিয়ে দিলাম।
ধাপ - ৮ :
এরপর তেল গরম হলে এর মধ্যে পিঠাগুলোকে আমি দিয়ে দিলাম।
ধাপ - ৯ :
এরপরে পিঠাগুলোকে উল্টেপাল্টে মুচমুচে করে ভেজে নিব। ভাজা হয়ে গেলে চুলা থেকে নামিয়ে নিলাম।
শেষ ধাপ :
এরপর পরিবেশন করলাম। আশা করি আমার আজকের রেসিপি আপনাদের ভালো লাগবে। পরবর্তীতে আবারও দেখা হবে নতুন কিছু নিয়ে। সবাই ভালো থাকবেন।
পোস্ট বিবরণ
শ্রেণী | রেসিপি |
---|---|
ডিভাইস | Redmi note 9 |
ফটোগ্রাফার | @tasonya |
লোকেশন | ফেনী |
আমার পরিচয়
আমার নাম তাসলিমা আক্তার সনিয়া। আমি বাংলাদেশী। বাংলা ভাষা আমাদের মাতৃভাষা বলে আমি অনেক গর্বিত। আমি গ্রেজুয়েশন কমপ্লিট করেছি। আমি ছবি আঁকতে ভালোবাসি। বিশেষ করে যে কোন ধরনের পেইন্টিং করতে পছন্দ করি। যখনই অবসর সময় পায় আমি ছবি আঁকতে বসে পড়ি। এছাড়াও আমি ভ্রমণ করতে পছন্দ করি। কিছুদিন পর পর বিভিন্ন জায়গায় ভ্রমণ করার চেষ্টা করি। এছাড়াও আমি বিভিন্ন ধরনের কারুকাজ করতে পছন্দ করি। রান্না করতেও আমার খুব ভালো লাগে। আমি বিভিন্ন ধরনের রেসিপি তৈরি করতে পছন্দ করি। আমি যখনই সময় পাই আমার পরিবারের সবাইকে বিভিন্ন ধরনের রেসিপি তৈরি করে খাওয়াই। আমি সব সময় নতুন নতুন কিছু করার চেষ্টা করি।
🎀 ধন্যবাদ সবাইকে 🎀 |
---|
আমরা ডিম পিঠা খুব একটা খাই না,তার কারন আমাদের এলাকায় এর প্রচলন খুব একটা নেই তাই খাওয়া হয় না।আপু ডিম পিঠা যে আপনাদের এলাকার ঐতিহ্যবাহী পিঠা জেনে খুবই ভালো লাগলো।পিঠা গুলো দেখতে খুবই সুন্দর ও লোভনীয় হয়েছে।আশাকরি খেতেও খুব চমৎকার হয়েছে!আপনার রেসিপি টি দেখে শিখে নিলাম খুব শীঘ্রই বাসায় তৈরি করে খাবো।সুন্দর একটি পিঠার রেসিপি শেয়ার করার জন্য আপনাকে ধন্যবাদ আপু।
আসলে আমাদের এদিকে অনেক বেশি খাওয়া হয় এই পিঠা। অনেক ধন্যবাদ আপনাকে।
ডিমের এই পিঠা গুলো খেতে বেশ ভালোই লাগে। আগে অনেক খেয়েছি এখন তেমন একটা খাওয়া হয়না। ঠিকই বলেছেন এগুলো সংরক্ষণ করে রাখা যায় জন্য সুবিধা। কেউ আসলে সহজে নাস্তা হিসেবে দেওয়া যায়। আপনার পিঠাগুলো বিভিন্ন সেপের তৈরি করার কারণে দেখতে ভালো লাগছে। খেতেও মনে হয় মজাদার হয়েছিল।
ঠিক বলেছেন আপু এই পিঠাগুলো খেতে খুবই মজাদার। অনেক ধন্যবাদ আপনাকে।
Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.
ডিমের মজাদার একটি রেসিপি শেয়ার করেছেন আসলে তেলেভাজা যেকোন রেসিপি খেতে অনেক সুস্বাদু হয় আর আপনার এই পিঠা রেসিপিটি খেতে অনেক সুস্বাদু হবে এতে কোন সন্দেহ নেই। ভিন্ন ধরনের পিঠা রেসিপি প্রস্তুত প্রণালী তুলে ধরার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ আপু।
আসলেই তেলভাজা পিঠা খেতে খুবই ভালো লাগে, আবার শরীরের জন্য ক্ষতিও করে হা হা 🥰
এটা শুনে ভালো লাগলো যে এই পিঠাটা অনেকদিন সংরক্ষণ করে রাখা যায় । কারণ এ ধরনের পিঠা বানালে একসাথে অনেকগুলো বানানো হয় কিন্তু শেষ হয় না তখন সংরক্ষণ করে রাখলে বিভিন্ন সময় মেহমান আসলে ব্যবহার করা যায় অথবা নিজেরাও খাওয়া যায় । নতুন একটি ভিন্ন ধরনের পিঠা রেসিপি আপনার থেকে শিখে নিলাম আপু । মনে হচ্ছে পিঠাটি ভালই লাগবে খেতে ।
জি আপু চাইলে তৈরি করতে পারেন , পিঠাটা খেতে ভালোই লাগে।
যাক মেহমান আসার উসিলায় আমার প্রিয় একটি নাস্তার রেসিপি দেখতে পেলাম। ডিমের পিঠা আমাদের বাসায় তৈরি করা হয় এবং নাস্তা হিসেবে মাঝে মাঝেই খাওয়া হয়। আপনি বেশ গুছিয়ে পোস্টটি উপস্থাপন করেছেন পোস্টটি। আর পরিবেশন বেশ সুন্দর ছিল।
ঠিক বলেছেন মেহমানদের জন্য আমরাও খেতে পারলাম। অনেক ধন্যবাদ আপনাকে।
https://x.com/TASonya5/status/1727911757807812895?s=20
ডিমের পিঠা খেতে আমার কাছে বেশ ভালো লাগে। আমাদের বাসায় মাঝেমধ্যে এ পিঠা তৈরি করা হয় এবং বিভিন্ন রকম ডিজাইন দিয়ে তৈরি করে। আপনার তৈরি করা পিঠাগুলো দেখে খেতে ইচ্ছে। তৈরি করার ধাপগুলো খুব সুন্দর ও সহজ ভাবে আমাদের মাঝে দেখিয়েছেন। চাইলে যে কেউ খুব সুন্দর ভাবে তৈরি করে নিতে পারবে।
জি আপু অনেকগুলো ডিজাইনের তৈরি করা হয় বলে দেখতে ভালো লাগে। অনেক ধন্যবাদ আপনাকে।
শীত মানে ঘরে ঘরে পিঠাপুলির উৎসব। এ ধরনের পিঠা অনেক টেস্ট লাগে খেতে। দিন পিঠাগুলো অনেক দিন সংরক্ষণ করা যায় যা হালকা ক্ষুধা নিবারণের জন্য অনেক ভালো। রেসিপির প্রস্তুত প্রণালী সুন্দরভাবে দেখিয়েছেন যা বুঝতে অনেক সুবিধা হয়েছে।
ঠিক বলেছেন হালকা নাস্তার জন্য বেশি ভালো। অনেক ধন্যবাদ আপনাকে।
ডিমের এই পিঠাগুলো খেতে আমার ভীষণ ভালো লাগে। আর এই পিঠা সংরক্ষণ করে রাখা যায় বলে আরো বেশি ভালো লাগে। আপনি মেহমানদের জন্য করলেন।আশাকরি সবাই খুব মজা করে খেয়েছেন।ধন্যবাদ আপু মজার এই পিঠার রেসিপিটি শেয়ার করার জন্য।
জ্বী আপু অনেক মজা করে খেয়েছিলাম। অনেক ধন্যবাদ আপনাকে।