মাটির পাত্রে ফুলের পেইন্টিং।
হ্যালো বন্ধুরা,
আসসালামু আলাইকুম, কেমন আছেন সবাই? আশা করি সবাই ভালো আছেন। আমিও আল্লাহর রহমতে ভালো আছি। প্রতিদিনের মত আজকেও আপনাদের সামনে এসে হাজির হলাম নতুন একটি পেইন্টিং নিয়ে। আজকে আমি অনেক সুন্দর একটি মাটির পাত্রে ফুলের পেইন্টিং করলাম।
আমি সবসময় ভিন্ন ধরনের পেইন্টিং করতে পছন্দ করি। মাটির পাত্র এমনি দেখতে ভীষণ সুন্দর দেখায়। কিন্তু সেটাকে যদি পেইন্টিং করে রঙিন করা হয় তাহলে দেখতে আরো বেশি সুন্দর দেখায়। দেখলাম আমাদের ঘরে ছোট্ট একটা মাটির পাত্র ছিল। যেটা দেখতে খুবই সুন্দর। মনে হয় এটা অনেকদিন আগে দই খাওয়ার মাধ্যমে পেয়েছি। এজন্য এটা দেখেই ভাবলাম এটাকে রং করলে মনে হয় আরো বেশি ভালো লাগবে। এইজন্য মাটির পাত্রটার মধ্যে পেইন্টিং করতে বসলাম। ফুলের ডিজাইনটা করার পর এটা সত্যিই ভীষণ আকর্ষণীয় হয়ে উঠেছে।
যে ভাবনা সেইভাবে কাজ শুরু করলাম। আজকের এই পেইন্টিংয়ে আমি পোস্টার কালার ব্যবহার করেছি। পোস্টার কালার ছাড়াও পেইন্টিং করতে আমার কি কি উপকরণ লাগলো এবং কিভাবে আমি এই পেইন্টিংটা করলাম তার ধাপে ধাপে বর্ণনা করে আপনাদের সাথে এই সম্প্রদায়ে ভাগ করে নিলাম। আশা করি আমার আজকের পেইন্টিং আপনাদের ভালো লাগবে।
আঁকার উপকরণ
• মাটির পাত্র
• পোস্টার কালার
• রং করার তুলি
• রংয়ের প্লেট
• পানি
• ফোম
আঁকার বিবরণ :
ধাপ - ১ :
প্রথমে আমি একটি মাটির পাত্র নিলাম। এরপর নীল রঙের সাথে সাদা রং মিশিয়ে এরপর রং করা শুরু করি।
ধাপ - ২ :
এরপরে আমি মাটির পাত্রটার বাহিরের পুরো অংশে এক কালার দিয়ে রং করে নিলাম।
ধাপ - ৩ :
এরপর সাধারন দিয়ে ছোট ছোট করে ফুল আঁকা শুরু করি। এখানে আমি দুইটা ফুল এঁকেছি।
ধাপ - ৪ :
এভাবে আমি পুরো পাত্রটির বাহিরের অংশে ছোট ছোট করে সাদা রঙের ফুল এঁকে দিলাম।
ধাপ - ৫ :
এরপর সবুজ রং দিয়ে সাদা ফুলের মধ্যে ছোট ছোট করে পাতা আঁকা শুরু করি।
ধাপ - ৬ :
এরপর সবগুলো ফুলের বাহিরের অংশে ছোট ছোট করে কতগুলো পাতা এঁকে নিলাম।
ধাপ - ৭ :
এরপরে পাত্রটির উপরের অংশে একটা ছোট্ট ফোম দিয়ে, সাদা রং লাগিয়ে ফোম দিয়ে রং করলাম।
ধাপ - ৮ :
এরপরে লাল রং দিয়ে উপরের অংশে ফোঁটা ফোঁটা দিয়ে ডিজাইন করে নিলাম।
শেষ ধাপ :
এভাবে আমি পুরো পেইন্টিং করা শেষ করি। আশা করি আমার আজকের পেইন্টিং আপনাদের ভালো লাগবে। পরবর্তীতে আবারও দেখা হবে নতুন কিছু নিয়ে। সবাই ভালো থাকবেন।
পোস্ট বিবরণ
| শ্রেণী | পেইন্টিং |
|---|---|
| ডিভাইস | Redmi note 9 |
| ফটোগ্রাফার | @tasonya |
| লোকেশন | ফেনী |
আমার পরিচয়
আমার নাম তাসলিমা আক্তার সনিয়া। আমি বাংলাদেশী। বাংলা ভাষা আমাদের মাতৃভাষা বলে আমি অনেক গর্বিত। আমি ম্যানেজমেন্ট বিভাগের অনার্স ফাইনাল ইয়ারের একজন ছাত্রী। আমি ছবি আঁকতে ভালোবাসি। বিশেষ করে যে কোন ধরনের পেইন্টিং করতে পছন্দ করি। যখনই অবসর সময় পায় আমি ছবি আঁকতে বসে পড়ি। এছাড়াও আমি ভ্রমণ করতে পছন্দ করি। কিছুদিন পর পর বিভিন্ন জায়গায় ভ্রমণ করার চেষ্টা করি। এছাড়াও আমি বিভিন্ন ধরনের কারুকাজ করতে পছন্দ করি। রান্না করতেও আমার খুব ভালো লাগে। আমি বিভিন্ন ধরনের রেসিপি তৈরি করতে পছন্দ করি। আমি যখনই সময় পাই আমার পরিবারের সবাইকে বিভিন্ন ধরনের রেসিপি তৈরি করে খাওয়াই। আমি সব সময় নতুন নতুন কিছু করার চেষ্টা করি।
🎀 ধন্যবাদ সবাইকে 🎀 |
|---|
শুভ জন্মদিন আপু। জন্মদিনের অনেক শুভেচ্ছা ও শুভ কামনা রইল। আমাদের এদিকে এমন রঙ করা ও নকশা করা পাত্রকে শখের হাড়ি বলে।অনেক সুন্দর লাগতেছে পাত্রটি। আপনার কালার সেন্স ও অনেক ভাল। ধন্যবাদ আপু সুন্দর একটি ডাই প্রজেক্ট শেয়ার করার জন্য।
শুভেচ্ছা জানানোর জন্য অনেক ধন্যবাদ ভাইয়া।
Thank you, friend!
I'm @steem.history, who is steem witness.
Thank you for witnessvoting for me.
please click it!
(Go to https://steemit.com/~witnesses and type fbslo at the bottom of the page)
The weight is reduced because of the lack of Voting Power. If you vote for me as a witness, you can get my little vote.
আসলেই মাটির পাএ দেখতেই এমনি সুন্দর তারপর আবার এমন পেইন্টিং করলে দেখতে বেশ ভালো লাগে।এমন পেইন্টিং করে ঘরে সাজিয়ে রাখলে দেখতে বেশ চমৎকার লাগে।আপু আপনি যে কালার গুলো দিয়েছেন দেখতেই বেশ ভালো লাগছে।ফুলগুলো সাদা হওয়াতে দেখতে বেশ ভালো লাগছে।ভালো ছিলো।ধন্যবাদ আপনাকে
ঠিক বলেছেন আপু এরকম পেইন্টিং করে ঘরে সাজিয়ে রাখলে বেশি ভালো লাগে। অনেক ধন্যবাদ আপনাকে।
মাটির পাত্রটি প্রথমে দেখে বড় মনে হচ্ছিল। কিন্তু আপনার হাতে ধরার পর দেখে মনে হচ্ছে অনেক ছোট। এত ছোট মাটির পাত্রে দই কোথায় পেলেন। পাত্রটি কিন্তু দেখতে খুবই কিউট। তাছাড়া আপনার আইডিয়াটি পছন্দ হয়েছে আমার। এরকম মাটির পাত্রে পেইন্টিং করে গাছ লাগালে খুব সুন্দর লাগবে দেখতে । দইয়ের পাত্র বাসায় আনলে খাবার পর সেগুলো ফেলে দেওয়া হয় ।এর পরে আনলে এভাবে পেইন্টিং করে গাছ লাগিয়ে রাখব দেখতে খুব ভালো লাগবে। খুব চমৎকার হয়েছে আপনার পেইন্টিংটি। ধন্যবাদ।
ঠিক বলেছেন মাটির পাত্রটি দেখতে বড় মনে হচ্ছিল। আইডিয়াটা আপনি ফলো করতে পারেন তাহলে ভালো হবে।
যারা পেইন্টিং করতে পারে তারা সবকিছুতে রঙের ছোঁয়া লাগাতে পছন্দ করে। আপনি আজ মাটির পাতিলে রঙের ছোঁয়া দিয়ে খুব সুন্দর রূপ দিলেন।দারুন হয়েছে আপু।আমি বড় পাতিল ভেবেছিলাম প্রথমে।যাই হোক খুব সুন্দর হয়েছে।শেয়ার করার জন্য অনেক ধন্যবাদ আপু।
প্রথম ছবিটা দেখতে বড় পাতিলের মত দেখাচ্ছিল। অনেক ধন্যবাদ আপনাকে।
আপু আপনার মাটির পাত্রের পেইন্টিং টি দেখতে অনেক ভালো লাগছে।দেখে মুগ্ধ হয় গেলাম জাস্ট।আপনি খুবই দক্ষতার সাথে পেইন্টিং টি করে দেখিয়েছেন।ধাপগুলো অনুসরণ করে সহজেই যে কেউ পেইন্টিং টি করে ফেলতে পারবেন।আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ আপু সুন্দর নজরকাড়া পেইন্টিং টি শেয়ার করার জন্য।
অনুসরণ করে পেইন্টিং করতে পারলে ভালই লাগবে।
আপনার আজকের পেইন্টিং অনেক ইউনিক। পেইন্টিংটি করার পরে মাটির পাত্রটি দেখতে অনেক সুন্দর লাগছে। মাটির পাত্রে যে এভাবে পেইন্টিং করা যায় এটা আপনার পেইন্টিং এর মাধ্যমেই বোঝা যাচ্ছে। অনেক ধন্যবাদ এত সুন্দর একটি পেইন্টিং আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।
চেষ্টা করেছি ইউনিক কিছু করার। অনেক ধন্যবাদ আপনাকে।
কয়েকদিন আগে দই খাওয়ার মাধ্যমে আপনি এই পাত্রটি পেয়েছিলেন। আর সেটাতে খুবই চমৎকার একটি পেইন্টিং অঙ্কন করেছেন দেখে সত্যিই মুগ্ধ হয়ে গেলাম। আর আপনার অংকন ব্যাপারে কি বলব আপনি বরাবরই অনেক সুন্দর অঙ্কন করেন এটা আমরা সকলেই জানি। পাত্রটির উপর ফুলের এই অঙ্কন করার কারণে এটি আরো বেশি আকর্ষণীয় দেখাচ্ছে।
ঠিক বলেছেন রং করার পর পাত্রটি আরো সুন্দর দেখাচ্ছে। অনেক ধন্যবাদ আপনাকে।
Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.
আসলেই আপু আপনার চিন্তাধারা সত্যিই চমৎকার ৷ সাদামাটা একটি মাঠির পাত্র ফুলের পেইন্টিং করে কতই সুন্দর করে দিলেন ৷ অনেক সুন্দর হয়েছে ফুলের পেন্টিং মাটির পাত্রে ৷ মুগ্ধ হয়ে গেলাম দেখে ৷ ধন্যবাদ আপনাকে শেয়ার করার জন্য ৷
চেষ্টা করেছি পেইন্টিং করে সুন্দর করে তোলার। অনেক ধন্যবাদ আপনাকে।