লাইফ স্টাইল :- গরমে অতিষ্ঠ হয়ে চার্জার ফ্যান কেনার অভিজ্ঞতা।
হ্যালো বন্ধুরা,
আসসালামু আলাইকুম, কেমন আছেন সবাই? আশা করি সবাই ভালো আছেন। আমিও আল্লাহর রহমতে ভালো আছি। প্রতিদিনের মত আজকেও আপনাদের সামনে এসে হাজির হলাম নতুন একটি পোস্ট নিয়ে। আমাদের দৈনন্দিন জীবনে বিভিন্ন ধরনের অভিজ্ঞতা রয়েছে। যেহেতু আমার বাংলা ব্লগ আমাদের একটি পরিবার, তাই জন্য আমি আমার দৈনন্দিন জীবনে যেকোনো বিষয়ে আপনাদের মাঝে শেয়ার করতে পছন্দ করি। তেমনি আজকেও আপনাদের মাঝে নতুন একটি বিষয়ে শেয়ার করতে আসলাম । আশা করি আপনাদের ভালো লাগবে।
বর্তমানে অনেক বেশি গরম পড়তেছে। এটা নিশ্চয়ই আপনাদের সবারই অনুভূতি হচ্ছে। গত কিছুদিন ধরে বেশ গরমের মধ্যে দিন কাটছে। তার মধ্যে লোডশেডিং তো রয়েছেই। প্রচুর গরম যখন পড়ে তখন আমাদের এদিকে লোডশেডিং এর প্রবণতা বেড়ে যায়। এত গরমের মধ্যে যদি একটু ফ্যানের বাতাস না থাকে তাহলে কেমন লাগে বলুন তো। জীবনটা অতিষ্ঠ হয়ে ওঠার তো কথাই। আসলে আমার বড় বোন ফোন করেছিল, অনেক বেশি গরম পড়তেছে তাই বলল একটা চার্জার ফ্যান কিনবে। তার জন্য আমি সহ আপুর সাথে গেলাম চার্জার ফ্যান কিনতে।
আমরা প্রথমে ওয়ালটন শোরুমে গিয়েছিলাম। সেখানে গিয়ে দেখি শুধু মাজারী সাইজের ফ্যান গুলা রয়েছে। তবে আপু চাইছিল বড় স্ট্যান্ড ফ্যানগুলো নিতে। যাতে সবাই হাওয়া খেতে পারে এমনকি সুবিধা হয়। সেখানে না পেয়ে গেলাম সিঙ্গার শোরুমে। তবে দুর্ভাগ্যবশত সেখানেও বড় স্ট্যান্ড ফ্যান গুলো ছিল না। তখন কি করব বুঝতেছিলাম না। পরবর্তীতে একটা শপিংমলে গিয়েছিলাম। সেখানেও অনেক বড় একটা দোকান ছিল ফ্যানের। সেখানে গিয়ে দেখি প্রায় বিভিন্ন ধরনের ফ্যান রয়েছে।
বিশেষ করে একদম ছোট থেকে বড় পর্যন্ত বিভিন্ন সাইজের ফ্যান রয়েছে। এগুলো দেখে ভীষণ ভালো লেগেছিল। আসলে কোন কিছু কিনতে গেলে যখন খুঁজে পাই না তখন কিন্তু অনেক বেশি খারাপ লাগে। তাই জন্য এখানে যখন বিভিন্ন সাইজের ফ্যান গুলো দেখি তখন ভীষণ ভালো লেগেছে। তখন আমি আপুকে বললাম এখান থেকে পছন্দ করতে। আমরা এখানে দুই ধরনের ফ্যান দেখেছিলাম বড় গুলোর মধ্যে। তার মধ্যে একটা ছিল অনেক বড় সাইজের। বিশেষ করে খাটের নিচে থেকে উপরের ওঠা পর্যন্ত এগুলো ব্যবহার করা যায়।
আরো একটাও ছিল এরকম স্ট্যান্ডের। সেগুলো আবার একটু উপরে এমনকি একটু নিচে নামানো যায়। এটাই আমার কাছে অনেকটা সুবিধা জনক মনে হয়েছে। কারণ প্রয়োজন হলে উপরের দিকে উঠানো যাবে আবার চাইলে একটু ছোট করেও রাখা যাবে। তখন আমি এবং আপু দুইজনে মিলেই ওই ফ্যান তাই পছন্দ করলাম। তবে আপুর চাইছিল একটু কালারফুল ফ্যান নিতে। কিন্তু এখানে অন্য কোন কালারের ছিল না। শুধুমাত্র সাদা কালার টাই রয়েছে। আসলে একেকজনের একেক রকম পছন্দ আর কি।
কেউ সাদা রং পছন্দ করে আবার কেউ একটু রঙিন পছন্দ করে। তবে যেহেতু অন্য কালার ছিল না তবে তার সাথে আবার ফ্যানটা খুবই প্রয়োজন। তাই জন্য ভাবলাম নিয়ে ফেলি। পরে দোকানদারকে দাম জিজ্ঞেস করলাম কত টাকা হবে। দোকানদার বলল এর দাম ৬৫০০ টাকা। পরবর্তীতে আমাদের জন্য কিছুটা ছাড় দিয়ে ৬২০০ টাকা নিলো। এরপরে আমরা টাকা দিয়ে ফ্যান নিয়ে বাড়ির উদ্দেশ্যে রওনা দিলাম। আসলে ফ্যানটা কিনতে পেরে ভীষণ ভালো লেগেছে। গরমের মধ্যে ভীষণ কাজে দেবে। আশা করি আমার পোস্ট আপনাদের ভাল লেগেছে। পরবর্তীতে আবারও আসবো নতুন কিছু নিয়ে। এ পর্যন্ত সবাই ভাল থাকবেন।
আমার পরিচয়
আমার নাম তাসলিমা আক্তার সনিয়া। আমি বাংলাদেশী। বাংলা ভাষা আমাদের মাতৃভাষা বলে আমি অনেক গর্বিত। আমি গ্রেজুয়েশন কমপ্লিট করেছি। আমি ছবি আঁকতে ভালোবাসি। বিশেষ করে যে কোন ধরনের পেইন্টিং করতে পছন্দ করি। যখনই অবসর সময় পায় আমি ছবি আঁকতে বসে পড়ি। এছাড়াও আমি ভ্রমণ করতে পছন্দ করি। কিছুদিন পর পর বিভিন্ন জায়গায় ভ্রমণ করার চেষ্টা করি। এছাড়াও আমি বিভিন্ন ধরনের কারুকাজ করতে পছন্দ করি। রান্না করতেও আমার খুব ভালো লাগে। আমি বিভিন্ন ধরনের রেসিপি তৈরি করতে পছন্দ করি। আমি যখনই সময় পাই আমার পরিবারের সবাইকে বিভিন্ন ধরনের রেসিপি তৈরি করে খাওয়াই। আমি সব সময় নতুন নতুন কিছু করার চেষ্টা করি।
🎀 ধন্যবাদ সবাইকে 🎀 |
---|
বর্তমান সময়ে প্রচণ্ড গরম পরছে। গরমের পাশাপাশি কারেন্ট থাকতে কম। আর এর ফলে জন জীবন আরো বিপর্যয় পরছে। তবে আপনি একটা কাজের মত কাজ করেছেন। এই গরমে চার্জার ফ্যান সত্যিই অনেক গুরুত্বপূর্ণ। গত বছরে আমিও একটা কিনেছিলাম। তবে আপনি ওয়ালটন শোরুম থেকে কিনেছেন। এ পণ্যগুলো বেশ ভালো। দামটা খুব বেশি নেয়নি ৬২০০ টাকা। গত বছরে আমি পাঁচ হাজার ৮শ টাকা দিয়ে কিনেছিলাম। বেশ ভালো একটা ফ্যান পেয়েছেন যা গরমের জন্য কিছুটা স্বস্তি পাবেন।
আসলে এখন ফ্যানের দাম অনেক বেশি বেড়ে গিয়েছে।
https://twitter.com/TASonya5/status/1784050973595648190?t=_yM5tWLxlGKd-_Nj74FrGQ&s=19
আসলে আপু এই গরমে সত্যি আমরা অতিষ্ঠ হয়ে পড়ছি। আসলে আপু কি আর বলবো এই গরম আর সহ্য হয় না। গরমের একদিকে যেমন আমাদের প্রাণ বাঁচানো দায় অন্যদিকে অসহায় পশুপাখিরা কষ্টের জীবন যাপন পার করছে। আর এই গরমে একটু ফ্যানের নিচে বসে থাকবো তাও হচ্ছে না লোডশেডিং এর কারণে। তবে আপনি দেখছি ফ্যান ক্রয় করেছেন সত্যি আপু ঠিকই করেছেন কারণ বিদ্যুৎ না থাকলেও এটার বাতাসে শান্তিযোগ করা যাবে। আর আপনার ক্রয় করা টেবিলশ ফ্যানটির মূল্য নিয়েছে ৬২০০ টাকা । ধন্যবাদ আপু পোস্টটি আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।
এই গরমে কিন্তু সবার জীবন অতিষ্ঠ হয়ে গিয়েছে। ফ্যান না কিনে পারলাম না, তাই শেষ পর্যন্ত কিনে নিলাম।
এই প্রচন্ড গরমের মধ্যে জনজীবন একদম অতিষ্ঠ হয়ে পড়েছে। তবে আজকে আমাদের এই দিকের আবহাওয়া একটু ঠান্ডা রয়েছে। আপনি গরমে অতিষ্ঠ হয়ে একটি চার্জার ফ্যান কিনেছেন, দেখে ভালো লাগলো। আসলে বর্তমান সময়ে চার্জার ফ্যান ছাড়া রাতের বেলা ঘুমানোর সময় অনেক সমস্যা হয়ে থাকে। আপনি সমস্যা সমাধানের জন্য চার্জার ফ্যান কিনেছেন।
কারেন্ট তো দুই মিনিট পরপর চলে যায় দুই তিন ঘণ্টার জন্য। এরকম করে দিন রাত ২৪ ঘন্টা, তাই চার্জার ফ্যানের প্রয়োজন অনেক বেশি।
এই গরমে সময় চার্জার ফ্যান খুবই কাজে দিবে। আসলে আমিও দুই দিন আগে চার্জার ফ্যান কিনেছি। তবে আমার কাছ থেকে এত টাকা দাম নেয়নি। আসলে গরমের কারণে প্রতিদিন যেন এই ফ্যানের দাম বেড়ে যাচ্ছে। আপনি খুবই ভালো কাজ করেছেন। আসলে বাচ্চাদের জন্য এই চার্জার ফ্যানগুলো অনেক গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। বর্তমানে লোডশেডিং এর পরিমাণও বৃদ্ধি পেয়েছে। যার কারণে চার্জার ফ্যানের গুরুত্বপূর্ণ অনেক।
এটা ঠিক বলেছেন বাচ্চাদের জন্য চার্জার ফ্যান সবথেকে বেশি গুরুত্বপূর্ণ।
যে গরম পড়েছে তাতে করে চার্জার ফ্যান কিনে কিন্তু বেশ ভালোই করেছেন। আসলে গরমে স্বস্তির জন্য টাকা যায় যাক। তাতে কি একটু শান্তির জন্য একটি চার্জার ফ্যান হলে খারাপ হয় না। তাই বলতে হয় আপনার বড় বোন ভালোই করেছেন। আর দু বোনে মিলে বেশ সুন্দর একটি চার্জার ফ্যান কম দামে কিনে নিলেন। ধন্যবাদ আপু পোস্টটি আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।
চার্জার ফ্যানগুলো কিন্তু ভালো ছিল কিনে ভালোই হয়েছে।
বর্তমানে খুব গরম পড়েছে। এই গরমের কারণে বাইরে বের হওয়া যাচ্ছে না, ঠিক ঘরের ভিতর ও লোডশেডিং এর কারনে খুবই অবস্থা খারাপ। আর আপনি খুবই ভালো কাজ করেছেন। একটা চার্জার ফ্যান কিনেছেন, আসলে আমিও ভাবতেছিলাম একটা চার্জার ফ্যান কিনব। তবে গরমের কারণে চার্জ ফ্যানের দাম যেন অনেক বেশি হয়ে গেছে, যাই হোক আপনার চার্জ ফ্যান কেনার অনুভূতি জানতে পেরে ভালো লাগলো।
যে মাত্রায় গরম পড়তেছে, গরমে তো অতিষ্ঠ হয়ে কম বেশি সবাই ফ্যান কিনবে। এদিকে আবার ব্যবসায়ীদের অনেক লাভ হচ্ছে। তাইতো দাম এত বেশি।
ঠিক বলেছেন আপু,অনেকে যেমন কালারিং জিনিস পছন্দ করে ঠিক তেমনি অনেকে আবার সাদা রঙের জিনিসগুলো পছন্দ করে। আমি কিন্তু সাদা রঙের জিনিসই বেশি পছন্দ করি। সেই জন্য ফ্যানটি আমার কাছে বেশ ভালো লেগেছে। দুটো শোরুম দেখার পর শেষে গিয়ে এখান থেকে বিভিন্ন সাইজের ফ্যান গুলো দেখতে পেয়ে ভালো লাগারই কথা। গরমের দিনে বেশ উপকারী একটি জিনিস কিনেছেন। শুভকামনা রইল আপনার জন্য।
ফ্যানটা আমার নিজের কাছেও অনেক বেশি ভালো লেগেছিল।
Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.
এই গরমের সময়ের ফ্যান ছাড়া যেন একদম চলে না। বর্তমান সময়ে প্রচণ্ড গরম পড়ছে আর এই গরমের দিনের টিকে থাকতে না পেরে মানুষ অনেকেই চার্জার ফ্যান কিনছে। আপনারাও দেখছি একটা ফ্যান কিনেছেন তবে অনেকটা ঘুরাঘুরি করার পরে নিজের পছন্দ মত ফ্যান কিনতে পেরেছেন এটা জেনে খুবই ভালো লাগলো। যেহেতু এখন অনেকটাই গরম পরছে যার কারণে ফ্যানের দাম কিছুটা বেশি। যাইহোক গরমে অতিষ্ঠ হয়ে অবশেষে চার্জার ফ্যান কিনেই নিবেন। ধন্যবাদ আপনার অভিজ্ঞতা আমাদের মাঝে তুলে ধরার জন্য।
এই গরমে আসলেই ফ্যান ছাড়া থাকতে পারা যাচ্ছে না। তাইতো শেষ পর্যন্ত কিনে নিলাম চার্জার ফ্যান।