নাটকের রিভিউ: " ফকির গ্রাম " ( পর্ব ৩)
✋হ্যালো বন্ধুরা,✋
আসসালামু আলাইকুম, কেমন আছেন সবাই? আশা করি সবাই ভালো আছেন। আমিও আল্লাহর রহমতে ভালো আছি। প্রতিদিনের মত আজকেও আপনাদের সামনে এসে হাজির হলাম। আজকে আপনাদের সাথে একটি নাটকের রিভিউ শেয়ার করব। কিছুদিন ধরে আমি " ফকির গ্রাম " এই নাটকটি দেখছিলাম । এই নাটকটি মূলত পর্ব আকারে করা হয়েছে। আজকে আমি আপনাদের সামনে এই নাটকের তৃতীয় পর্ব শেয়ার করব। আশা করি নাটকটি আপনাদের ভালো লাগবে।
নাটক সম্পর্কে কিছু তথ্য :-
নাম | ফকির গ্রাম। |
---|---|
পরিচালনা | ঈগল টিম |
প্রযোজনা | কচি আহমেদ |
প্রযোজনা সহকারী | জাহাঙ্গীর আলম, বাবু আহম্মেদ, আলমগীর, ইনামুল, মারুফ, জনি। |
স্ক্রিপ্ট | সুলাইমান |
অভিনয়ে | আনোয়ারুল আলম সজল, ইফতেখার ইফতি, আজমাইল মেহেরব এলহাম, মোসাদ্দেক সাহেব, লিপু মামা, তুহিন চৌধুরি, সবুজ আহমেদ, রাবিনা, জারা নুর, স্পর্শিয়া মিম, সাগরিকা ইসলাম মিনহা, আফরিভা খান মুমু, আকাশ ইসলাম, সুমন পাটোয়ারী, রেজবিনা মৌসুমী, আকলিমা লিজা, অদিতি জামান স্নেহা, জাহাঙ্গীর কবির , মিমো এবং জাকির সিন্টু। |
প্রধান সহকারী পরিচালক | কামরুজ্জামান রানা, আকরাম দেওয়ান, এস এল ডি সাগর, শাফায়েত, হানিফ খান |
সম্পাদনা | অনিক ইসলাম |
সহকারী সম্পাদনা | জুনায়েদ মোঃ বাঁধন |
কাহিনী সারসংক্ষেপ
গত পর্বে আমরা দেখেছিলাম মেম্বারের একজন লোককে রবি মেরেছিল। এ পর্বের শুরুতেই দেখছি রবি আর তার মা ভিক্ষা করতে যাচ্ছে। কিন্তু মেম্বারের লোককে মারার কারণে তার মা বলছিল আজকে যেন রবি ভিক্ষা করতে না যায়। কিন্তু সে বলতে লাগলো সে কাউকে ভয় করে চলে না। এদিকে আবার অনেক এসে ওদের দুজনকে বলতে লাগলো চেয়ারম্যানের বাড়িতে সকল ফকিরদের কে ডেকেছে। কিন্তু রবি সেখানে যেতে রাজি নয়। তখন মানিক বলতে লাগলো কেউ যদি না যায় তাহলে ফকিরের সরদার তার নাম কেটে দিবে ফকিরদের তালিকা থেকে। তখন রবি উঁচু গলায় পড়তে লাগলো নাম কেটে দিলে তার কিছুই হবে না সে অন্য কাজ করবে।
তখন রবির মা আর মানিক দুজনে মিলে চেয়ারম্যানের বাড়ির উদ্দেশ্যে রওনা দিল। অন্যদিকে চেয়ারম্যানের কাজের মেয়ে ফুলি নিজে নিজেই কান্নাকাটি শুরু করল। ফকিরদের বিচারে যেন রতনকে কিছু না করে। ফুলের কান্নাকাটিতে চাঁদনী নিজেই বিরক্ত হয়ে গেল। বিরক্ত হয়ে বলল ঠিক আছে তাহলে রতনকে কিছু করবে না। পরবর্তীতে চাঁদনী যখন নিজেদের ঘরের সামনে হাঁটাহাঁটি করছিল তখনই প্রিন্স আসে ওদের বাড়িতে। দুইজনের দেখা হওয়া মাত্রই তো ঝগড়ার শুরু। তখন একজন একজনকে বিভিন্ন ধরনের কথা বলে ঝগড়া করতে শুরু করলো। কেউ কাউকে ছাড়বে না।
পরবর্তীতে চাঁদনী নিজেকে ঘরে চলে গেল। বিচারের জন্য সকল ফকিরেরা আসলো। বিচারে বসার পর চেয়ারম্যান বলতে লাগলো তার মেয়ের কাছ থেকে কে টাকা নিয়েছে। আর মেম্বার ও বলল তার ছেলেরা কাছ থেকে কে টাকা নিয়েছে আর তার লোককে কে মেরেছে। কিন্তু কেউই তা বলছে না। পরবর্তীতে ওরা যখন কে টাকা নিয়েছে বলল তখন তারা অস্বীকার করে। পরবর্তীতে মেম্বার বলে তার শালা যখন গ্রামে এসেছিল তখন এদের জন্য গ্রামে ঢুকতে পারেনি। এরা টাকা পয়সা জামা কাপড় সবকিছুই খুলে নিল। এসব কিছু শুনে সকল ফকিরেরা হাসতে শুরু করল। আর এই জন্য মেম্বার বলতে লাগলো ফকিরদের কে এই গ্রামে আর ভিক্ষা করতে দেবে না।
তখন ফকিরদের সরদার বলল তারা এরকম আর কখনো করবে না। কিন্তু তারপরেও মেম্বার রেগে গিয়ে বলল ফকিরদের কে কিছুতেই ছাড়বেবে না। তখনই কাদের ফকির বলল আমাদেরকে ভিক্ষা করতে না দিলে অভিশাপ দিব। আর এ কথার প্রতি উত্তরে মেম্বারের ছেলে বলল কি অভিশাপ দিবে দাও। তখনই কাদের ফকির ফু দিয়ে অভিশাপ দিল। সব ফকিরেরা চেয়ারম্যান বাড়ি থেকে যার যার জায়গায় চলে গেল। তখন মানিক রতনের সাথে কথা বলছিল। রতন বলছিল ফুলির কারণে সে বেঁচে গেছে। তখনই রতন বলছিল চেয়ারম্যান বাড়ির কাজের মেয়ে ফুলি ওকে ভালবাসে।
আর তখনই সেখানে ফুলি আসে রতনের সাথে কথা বলার জন্য। ফুলি আর রতনের কথায় ফুলি বলে রতনকে ভিক্ষা না করতে কারণ ভিক্ষুকের কাছে ফুলিকে তার বাবা বিয়ে দিবে না। তখন রতন বলতে লাগলো তাহলে ফুলের বাবার সাথে কথা বলে তাকে ও ফকির বানিয়ে দেবে। এটা শুনে তো ফুলি রেগে গেল। ওরা দুইজন কথা বলা শেষ করল। অন্যদিকে চেয়ারম্যান বাড়িতে মেম্বার আর তার ছেলে থাকে। তখন চেয়ারম্যান তার মেয়েকে ডেকে বলল প্রিন্সকে নাস্তা দেওয়ার জন্য। চাঁদনী তোর সুযোগ পেয়ে গেল প্রিন্স কে হেনস্তা করার জন্য। অন্যদিকে ফকির সায়মুদ্দিন আর তার বউ ভিক্ষা করতে করতে সায়েম উদ্দিনের শ্বশুরবাড়িতে চলে গেল।
ওরা খেয়াল করে নিজে আসলে সেটা ওদের বাড়ি। পরবর্তীতে ওর শশুর আর শালী চম্মান বেরিয়ে আসলো। তখন তো চেনার পরে তার শশুর তাকে অনেক কথা শোনাতে শুরু করলো। আসলে শশুর জামাই তারা একজনের জনকে একদমই সহ্য করতে পারে না। তখন তারা দুজনে এক ঝগড়া শুরু করে দিল। তখন তার বোন তাকে বাড়িতে আসতে বললেও সে বাড়িতে নাই সে তারা দুইজন চলে গেল। অন্যদিকে চাঁদনী প্রিন্সের জন্য বেশি করে লবণ দিয়ে শরবত বানাচ্ছে। শরবত বানিয়ে এরপরে সেটা দিয়ে প্রিন্সকে দিল। সে তো শরবত মুখে দিয়েই ফেলে দিল। কিন্তু সেটা চেয়ারম্যান আর মেম্বারের সামনে কিছুই বলতে পারল না।
উল্টো চাঁদনী তাকে পুরো শরবত খাইয়ে দিল। তখন সে কোন রকমে সেখান থেকে পালালো। অন্যদিকে মানিক আর রতন আবারও গেল সায়েম উদ্দিন এর শ্বশুর বাড়িতে ভিক্ষে করতে। তখন কিন্তু তারা জানতো না এটা আসলে সায়েম উদ্দিন শশুর বাড়ি। অন্যদিকে মানিক বলতে লাগলো ওর চম্মন বাহার কে পছন্দ হয়েছে। তখন চমন বেরিয়ে আসলো আর ওদের দুজনকে দেখে বলতে লাগলো ওরা আবারও কেন এসেছে। সে বলল তার বোন ফকির বিয়ে করেছে এজন্য তার বাবা ফকিরদের কে একদমই দেখতে পারে না। এরপরে ওরা ছয় মদিনার কথা শুনে আরো খুশি হলো। আর দুজন চম্মনকে বিয়ান বলতে লাগলো।
আর মানিক আই লাভ ইউ বলল। তখনই চমন ওর বাবাকে ডাকল আর ওর বাবা লাঠি নিয়ে দুইজনকে তাড়া করল আর মারলো। লাঠির বাড়ি মানিকের গায়ে লেগেছে। হাঁপিয়ে গেল। কিন্তু তারপরেও চরম মনের কথা বলতে পারল না। অন্যদিকে রতন দুষ্টামি করতে লাগল সেও চম্মন কে পছন্দ করেছে। তখন মানিক রতনকে দৌড়াতে লাগলো। অন্যদিকে প্রিন্স লবণাক্ত শরবত খেয়ে রাস্তার পাশে এসে বমি করতে লাগলো। আর চাঁদনী তার পেছনে এসে বিভিন্ন ধরনের কথা শোনাতে লাগলো। এদিকে আবার সায়েমুদ্দিন এবং গোল নাহার দুজন ভিক্ষা করতে করতে ওদের সামনে এসে পড়ল। প্রিন্সের কি হয়েছে জিজ্ঞেস করাতে চাঁদনী বলল সে গর্ভবতী। এটা শুনে ওরা দুজন তো একদমই অবাক হয়ে গেল। তখন চাঁদনী বলতে লাগলো ফকিরের অভিশাপ লেগেছে। আর এটা শুনে গোলমালকে সায়েম উদ্দিন বলতে লাগলো ওর বাবাকেও তাহলে কাদের ফকিরের অভিশাপ দিতে বলব। তখন প্রিন্স রেগে গিয়ে ওদেরকে সেখান থেকে তাড়িয়ে দিল। তখন চাঁদনী আমার প্রিন্সকে শাসালো সে চাইলে সব কিছুই করতে পারে।
ব্যক্তিগত মতামত
এরপর আমি দেখছি এবং চেয়ারম্যানের ডাকা বিচারের মেম্বারের কথা কেউ শুনলো না। উল্টো ফকিরেরা মেম্বারের ছেলেকে অভিশাপ দিল। যদিও এই বিষয়টাতে প্রিন্সের কিছু যায় আসে না। অন্যদিকে চেয়ারম্যানের মেয়ে আর মেম্বারের ছেলের ঝগড়া বেড়েই গেল। অন্যদিকে আবার ফকির সায়াম উদ্দিন আর তার শ্বশুরের ঝগড়া দেখলাম আরো বেশি। কারন সে কখনোই তার মেয়েকে ফকিরের কাছে বিয়ে দিতে চাইনি। অন্যদিকে ফকির মানিক আর রতন ও তার ছোট মেয়েকে বিরক্ত করছে। এদিকে আবার চাঁদনী প্রিন্সকে লবণাক্ত শরবত খাইয়ে দিল। এইজন্য প্রিন্স দৌড়ে রাস্তায় গিয়ে বমি করছে। এদিকে আবার চাঁদনী এই বিষয়টাকে ফকিরদের কাছে ফকিরদের অভিশাপে প্রিন্সেস গর্ভবতী এই বিষয়টা ছড়িয়ে দিল। দেখা যাক পরবর্তীতে কি হয়। এই পর্বটা দেখেও আমার ভীষণ ভালো লেগেছে। নাটকটা সত্যি অনেক হাসির।
ব্যক্তিগত রেটিং
১০/১০
নাটকের লিংক
আমার পরিচয়
আমার নাম তাসলিমা আক্তার সনিয়া। আমি বাংলাদেশী। বাংলা ভাষা আমাদের মাতৃভাষা বলে আমি অনেক গর্বিত। আমি ম্যানেজমেন্ট বিভাগের অনার্স ফাইনাল ইয়ারের একজন ছাত্রী। আমি ছবি আঁকতে ভালোবাসি। বিশেষ করে যে কোন ধরনের পেইন্টিং করতে পছন্দ করি। যখনই অবসর সময় পায় আমি ছবি আঁকতে বসে পড়ি। এছাড়াও আমি ভ্রমণ করতে পছন্দ করি। কিছুদিন পর পর বিভিন্ন জায়গায় ভ্রমণ করার চেষ্টা করি। এছাড়াও আমি বিভিন্ন ধরনের কারুকাজ করতে পছন্দ করি। রান্না করতেও আমার খুব ভালো লাগে। আমি বিভিন্ন ধরনের রেসিপি তৈরি করতে পছন্দ করি। আমি যখনই সময় পাই আমার পরিবারের সবাইকে বিভিন্ন ধরনের রেসিপি তৈরি করে খাওয়াই। আমি সব সময় নতুন নতুন কিছু করার চেষ্টা করি।
Thank you, friend!
![image.png](https://steemitimages.com/640x0/https://cdn.steemitimages.com/DQmd7of2TpLGqvckkrReWahnkxMWH6eMg5upXesfsujDCnW/image.png)
![image.png](https://steemitimages.com/640x0/https://cdn.steemitimages.com/DQmWDnFh7Kcgj2gdPc5RgG9Cezc4Bapq8sQQJvrkxR8rx5z/image.png)
I'm @steem.history, who is steem witness.
Thank you for witnessvoting for me.
please click it!
(Go to https://steemit.com/~witnesses and type fbslo at the bottom of the page)
The weight is reduced because of the lack of Voting Power. If you vote for me as a witness, you can get my little vote.
https://x.com/TASonya5/status/1734769879709086185?s=20
ফকিরগ্রাম নাটকের তৃতীয় পর্বের রিভিউটি পড়ে আমার খুবই ভালো লেগেছে। আসলে এ ধরনের নাটক গুলো দেখার মধ্যে অনেক মজা রয়েছে। নাটকের রিভিউতে ফকিরের কার্যক্রম গুলো জানতে পেরে বেশ ভালো লাগলো। একই সাথে প্রিন্সকে লবণের শরবত খাওয়ায়ে দেয়ার বিষয়টি বেশ হাস্যকর লাগলো। অনেক সুন্দর একটি নাটকের রিভিউ আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ।
এই নাটকের তৃতীয় পর্ব পড়ে আপনার কাছে ভালো লেগেছে জেনে খুশি হলাম। প্রিন্সকে লবনের শরবত খাওয়ানোর বিষয়টা আসলেই অনেক বেশি হাস্যকর ছিল।
Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.
চমৎকার একটি নাটক আজকে আপনি আমাদের মাঝে রিভিউ করেছেন। অবশ্য নাটকটা আমার আজ পর্যন্ত দেখা নেই তবুও বেশ ভালো লাগলো সুন্দর রিভিউ দেখিও। হয়তো চেষ্টা করব যে কোন মুহূর্তে নাটক টা দেখে ভালোলাগা উপভোগ করার। অনেক অনেক খুশি হলাম আশা করি পরবর্তীতে এভাবে আরো সুন্দর নাটক রিভিউ করে দেখাবেন।
অবশ্যই চেষ্টা করবেন, এই নাটকটা অনেক সুন্দর, আশা করছি আপনার কাছেও ভালো লাগবে।
সময়ের অভাবেই এখন নাটক দেখা হয় না। আপনার রিভিউ এর নাটকটির রেটিং পয়েন্ট দেখে মনে হচ্ছে নাটকটি আসলেই সুন্দর হবে। দশ এ দশ দেওয়া মানে নাটকটির অসাধারণ।
আমার নিজেরও সময়ের অভাবে নাটক দেখা হয় না। তবে যখন সময় পাই তখন দেখার চেষ্টা করি।
ফকির গ্রাম নাটকটি আমার দেখা হয়নি, তবে বেশ মজার এবং হাস্যরস পূর্ণ মনে হয়েছে। এখানে আবার ফকিররা অভিশাপ দেয় আর সেটা ফলেও যায়। 😄
যাইহোক বেশ দারুন অভিনয় করেছে প্রত্যেকেই। দেখি সময় করে নাটকের পর্বগুলো দেখতে হবে।
হ্যাঁ এটা আসলেই অনেক মজার এবং হাস্যরস পূর্ণ। সময় পেলে দেখে নেবেন, ভালো লাগবে।
এই নাটকটি দেখা হয়নি তবে আপনার রিভিউ দেখে অনেকটাই ধারণা পেলাম। আপনি খুব সুন্দর ভাবে সাজিয়ে গুছিয়ে আপনাদের কি পোস্টটির মাধ্যমে নাটকটির সারমর্ম তুলে ধরেছেন। অনেক অনেক শুভকামনা রইল আপনার জন্য
এই নাটকের সম্পূর্ণ রিভিউটা সুন্দর করে তুলে ধরার চেষ্টা করেছি।