রেসিপি :- গরম গরম সবজি পাকোড়া রেসিপি।
হ্যালো বন্ধুরা,
আসসালামু আলাইকুম, কেমন আছেন সবাই? আশা করি সবাই ভালো আছেন। আমিও আল্লাহর রহমতে ভালো আছি। প্রতিদিনের মত আজকেও আপনাদের সামনে এসে হাজির হলাম। আজকে আমি আপনাদের সামনে অনেক সুন্দর একটা রেসিপি নিয়ে এসেছি। আজ আমি আপনাদের সাথে শেয়ার করব সবজি পাকোড়া রেসিপি। রেসিপিটা খেতে অনেক মজার।
এই আবহাওয়াতে পাকোড়া খেতে খুবই মজা লাগে। বিশেষ করে বিকেলের রাস্তায় এই ধরনের পাকোড়া হলে জমে যায়। কয়েকদিন আগে একটু ঠান্ডা ঠান্ডা ভাব লাগছিল। তখনই বিকেল বেলায় ভাবলাম পাকোড়া তৈরি করি। এখানে আমি ঘরে থাকা কিছু উপকরণ আলু, সিম, টমেটো এগুলো দিয়ে তৈরি করতে বসে পড়লাম। আসলে হঠাৎ করে কিছু করলে ঘরে যা আছে তাই দিয়েই করা লাগে। তবে আমি এই পাকোড়া গুলো একদম ছোট ছোট করে তৈরি করেছি। সেই জন্য খেতে খুবই মুচমুচে হয়েছিল। তাছাড়া পাকড়ার সাথে গরম গরম চা সব মিলিয়ে বেশ ভালো লেগেছে। আশা করি আপনাদের ভালো লাগবে।
তো চলুন,
এই রেসিপিটি তৈরি করতে আমার কি কি উপকরণ লাগলো এবং আমি পুরো রেসিপি কিভাবে তৈরি করলাম তার বর্ণনা নিচে প্রতিটা ধাপে উপস্থাপন করলাম। আশা করি আমার আজকের রেসিপি আপনাদের ভালো লাগবে।
প্রয়োজনীয় উপকরণ :
উপকরণ | পরিমাণ |
---|---|
আলু | ২ টা |
সিম | ৬ টা |
টমেটো | ১ টা |
আটা | ১/২ কাপ |
পেঁয়াজ কুচি | ১ কাপ |
রোসন বাটা | ১ টেবিল চামচ |
কাঁচামরিচ কুচি | ২ টেবিল চামচ |
লবন | পরিমাণমতো |
তেল | পরিমাণমতো |
রান্নার বিবরণ :
ধাপ - ১ :
প্রথমে আমি আলু, সিম এবং টমেটো এগুলো কুচি কুচি করে কেটে নিলাম।
ধাপ - ২ :
এরপরে এরমধ্যে পেঁয়াজ কুচি এবং কাঁচা মরিচ কুচি , লবণ দিয়ে দিলাম। এরপরে হাত দিয়ে ভালোভাবে মেখে নিলাম।
ধাপ - ৩ :
এপার এর মধ্যে অল্প পরিমাণে আটা দিয়ে মাখা শুরু করি।
ধাপ - ৪ :
এখানে আমি কিছুটা পরিমাণে আটা দিয়ে মেখে একটা পাকোড়ার ডো তৈরি করে নিলাম।
ধাপ - ৫ :
এরপর আমি চুলায় একটি কড়াই বসিয়ে দিলাম। এরপরের মধ্যে পরিমাণ মতো তেল দিয়ে দিলাম। এরপরে এরমধ্যে হাত দিয়ে ছোট ছোট করে পাকড়াগুলো তেলের মধ্যে ছেড়ে দিলাম।
ধাপ - ৬ :
এভাবে কিছুক্ষণ রেখে বলতে পারলে মুচমুচে করে ভেজে নিব। ভাজা হয়ে গেলে একটা ছাকনির মাধ্যমে তুলে নেব।
শেষ ধাপ :
এরপর পরিবেশন করলাম। আশা করি আমার আজকের রেসিপি আপনাদের ভালো লাগবে। পরবর্তীতে আবারও দেখা হবে নতুন কিছু নিয়ে। সবাই ভালো থাকবেন।
পোস্ট বিবরণ
শ্রেণী | রেসিপি |
---|---|
ডিভাইস | Redmi note 9 |
ফটোগ্রাফার | @tasonya |
লোকেশন | ফেনী |
আমার পরিচয়
আমার নাম তাসলিমা আক্তার সনিয়া। আমি বাংলাদেশী। বাংলা ভাষা আমাদের মাতৃভাষা বলে আমি অনেক গর্বিত। আমি গ্রেজুয়েশন কমপ্লিট করেছি। আমি ছবি আঁকতে ভালোবাসি। বিশেষ করে যে কোন ধরনের পেইন্টিং করতে পছন্দ করি। যখনই অবসর সময় পায় আমি ছবি আঁকতে বসে পড়ি। এছাড়াও আমি ভ্রমণ করতে পছন্দ করি। কিছুদিন পর পর বিভিন্ন জায়গায় ভ্রমণ করার চেষ্টা করি। এছাড়াও আমি বিভিন্ন ধরনের কারুকাজ করতে পছন্দ করি। রান্না করতেও আমার খুব ভালো লাগে। আমি বিভিন্ন ধরনের রেসিপি তৈরি করতে পছন্দ করি। আমি যখনই সময় পাই আমার পরিবারের সবাইকে বিভিন্ন ধরনের রেসিপি তৈরি করে খাওয়াই। আমি সব সময় নতুন নতুন কিছু করার চেষ্টা করি।
🎀 ধন্যবাদ সবাইকে 🎀 |
---|
ঠান্ডা ঠান্ডা আবহাওয়ায় এ ধরনের মুচমুচে পাকোড়া সাথে চা জাস্ট জমে যাবে। এই সবজি পাকোড়া খেতে বেশ মজা লাগে। সব্জির সাথে টমেটো ব্যবহার করায় পাকোড়ার স্বাদ আরও বেড়ে গিয়েছে। আর ছোট ছোট বানানোর জন্য পাকোড়া বেশ মুচমুচে হয়েছে।বেশ লোভনীয় লাগছে পাকোড়াগুলো। ধন্যবাদ রেসিপিটি শেয়ার করার জন্য।
হ্যাঁ ছোট ছোট করে বানানোর কারণে মুচমুচে হয়েছিল। আর এই জন্য খেতে বেশি ভালো লেগেছিল।
https://twitter.com/TASonya5/status/1763043765252428090?t=tQY5ZG78XALQ0OSkO4gvaQ&s=19
সকল সকাল মজাদার রেসিপি দেখে যেন খেতে ইচ্ছা করছে। আসলে বিকেলের নাস্তাতে এরকম ভাজি করি খেতে আমারও খুবই ভালো লাগে। আপনি বিভিন্ন রকমের সবজি দিয়ে এই সুস্বাদু পাকোড়া রেসিপি শেয়ার করেছেন দেখতে পেয়ে খুবই ভালো লাগলো।
আমার নিজের কাছেও বিকেলের নাস্তায় ভাজাপোড়া খেতে ভালো লাগে।
আপু ।আপনি খুব সুন্দর সবজি পাকোড়া তৈরি করেছেন। আপনার সবজি পাকোড়াতে সিম ও টমেটোর ব্যবহারটা আমার খুব ভালো লেগেছে। এ সুস্বাদু সবজি পাকোড়া সবার মাঝে শেয়ার করার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ।
আসলে এই পাকোড়া অনেক সুস্বাদু হয়েছিল।
প্রথমত বলবো পাকোড়া আমার ভীষন পচ্ছন্দের একটা খাবার ৷ কিছুদিন আগে শীতের সময়ে বাজার যেখানে সেখানে পাকোড়া ৷ তবে যাই বলেন গরম গরম খেতে দারুন স্বাদ তা বলতেই হয় ৷
যা হোক আপনি আলু টমেটো সিম দিয়ে ইউনিক রেসেপি শেয়ার করলেন ৷ অসংখ্য ধন্যবাদ আপু ভালো থাকবেন ৷
চেষ্টা করেছি ইউনিক পাকোড়া তৈরি করে সবার মাঝে শেয়ার করার জন্য।
আসলে এরকম তেলেভাজা সবজি পাকোড়া খেতে বেশ ভালো লাগে আমার। আপনার এই সবজি পাকোড়া তৈরিতে ডিমের ব্যবহারটা দেখে আমার সবথেকে বেশি ভালো লেগেছে। তবে যাদের গ্যাস্ট্রিকের সমস্যা রয়েছে তাদেরকে এ ধরনের তেলেভাজা সবজি পাকোড়া খাবার এড়িয়ে চলা উচিত। চমৎকার একটি রেসিপি আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ।
পাকোড়া তৈরিতে ডিমের ব্যবহার দেখে আপনার কাছে বেশি ভালো লেগেছে শুনে খুশি হলাম।
বুদ্ধি থাকলে ঘর জামাই থাকতে হয় না। আপনার কথাটি কিন্তু একদম ঠিক। তাই তো মাথায় বুদ্ধি দিয়েই বিকেলের নাস্তা তৈরি করে নিলেন। আপনার করা আজকের রেসিপিটি কিন্তু রমজানে কাজে লাগবে। দারুন ছিল আপনার রেসিপিটি। আবার রেসিপির প্রতিটি ধাপ আমাদের মাঝে বেশ সুন্দর করে ধাপে ধাপে শেয়ার করেছেন। ধন্যবাদ আপনাকে এমন সুন্দর মন্তব্য করার জন্য।
অবশ্যই কাজে লাগাবেন এটা রমজানের সময়। সত্যি এই পাকোড়াটা অনেক মজা করে খেয়েছিলাম।
তেলেভাজা যে কোন সবজির পাকোড়া খেতে অনেক দারুণ লাগে। এই ধরনের পাকোড়ার
রেসিপি গুলো রমজানে কাজে লাগবে। আপনার সবজির পাকোড়া টা আমার কাছে অনেক ভালো লেগেছে। অনেক ধন্যবাদ আপু ইউনিক একটি রেসিপি আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।
আমার তৈরি করা সবজির পাকোড়া আপনার কাছে ভালো লেগেছে শুনেই ভালো লাগলো। ধন্যবাদ আপনাকে।
Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.
ঠান্ডা ঠান্ডা আবহাওয়ায় এ ধরনের মুচমুচে পাকোড়া সাথে চা জাস্ট জমে যাবে। এই সবজি পাকোড়া খেতে বেশ মজা লাগে। সব্জির সাথে টমেটো ব্যবহার করায় পাকোড়ার স্বাদ আরও বেড়ে গিয়েছে। আর ছোট ছোট বানানোর জন্য পাকোড়া বেশ মুচমুচে হয়েছে।বেশ লোভনীয় লাগছে পাকগুলো। ধন্যবাদ রেসিপিটি শেয়ার করার জন্য।
আসলে ঠান্ডা আবহাওয়ার সময় মুচমুচে পাকোড়া এবং চা একেবারে জমে যায়। মনে করিয়ে দিয়ে লোভ লাগিয়ে দিলেন।