নাটকের রিভিউ :- " ফকির গ্রাম " ( পর্ব ২৫ )

✋হ্যালো বন্ধুরা,✋

আসসালামু আলাইকুম, কেমন আছেন সবাই? আশা করি সবাই ভালো আছেন। আমিও আল্লাহর রহমতে ভালো আছি। প্রতিদিনের মত আজকেও আপনাদের সামনে এসে হাজির হলাম। আজকে আপনাদের সাথে একটি নাটকের রিভিউ শেয়ার করব। কিছুদিন ধরে আমি " ফকির গ্রাম " এই নাটকটি দেখছিলাম । এই নাটকটি মূলত পর্ব আকারে করা হয়েছে। আজকে আমি আপনাদের সামনে এই নাটকের ২৫ পর্ব শেয়ার করব। আশা করি নাটকটি আপনাদের ভালো লাগবে।

^{ইউটিউব থেকে নেওয়া স্ক্রীনশট}

নাটক সম্পর্কে কিছু তথ্য :-

নাম	ফকির গ্রাম।
পরিচালনা	ঈগল টিম
প্রযোজনা	কচি আহমেদ
প্রযোজনা সহকারী	জাহাঙ্গীর আলম, বাবু আহম্মেদ, আলমগীর, ইনামুল, মারুফ, জনি।
স্ক্রিপ্ট	সুলাইমান
অভিনয়ে	আনোয়ারুল আলম সজল, ইফতেখার ইফতি, আজমাইল মেহেরব এলহাম, মোসাদ্দেক সাহেব, লিপু মামা, তুহিন চৌধুরি, সবুজ আহমেদ, রাবিনা, জারা নুর, স্পর্শিয়া মিম, সাগরিকা ইসলাম মিনহা, আফরিভা খান মুমু, আকাশ ইসলাম, সুমন পাটোয়ারী, রেজবিনা মৌসুমী, আকলিমা লিজা, অদিতি জামান স্নেহা, জাহাঙ্গীর কবির , মিমো এবং জাকির সিন্টু।
প্রধান সহকারী পরিচালক	কামরুজ্জামান রানা, আকরাম দেওয়ান, এস এল ডি সাগর, শাফায়েত, হানিফ খান
সম্পাদনা	অনিক ইসলাম
সহকারী সম্পাদনা	জুনায়েদ মোঃ বাঁধন

কাহিনী সারসংক্ষেপ

এই পর্বের শুরুতেই আমরা দেখি মানিক রাস্তা দিয়ে হেঁটে যাচ্ছিল, তখনই মানিকের কাছে চান্দু চলে আসে। আর বলে রবির হাত থেকে যেন তাকে বাঁচায়। সেখানে রবি এবং মর্জিনা আসে। আর রবি চান্দুকে মারতে চায় মানিক বারন করে। এরপর রবি চান্দুকে আবারো দৌড়ানি শুরু করে। এরপর দেখা যায় সায়েম এবং তার বউ একটা ভাবির বাড়িতে আসে ভিক্ষা চাওয়ার জন্য। আর তখনই তার বাথরুমে চাপ দেয়। এরপর সে ভাবীটা বাহিরে আসে, আর সায়েম ঘরে চলে যায় উনাদের বাথরুমে। এরপর ভাবি এবং সায়েমের বউ কিছুক্ষণ কথা বলে। এরপর দেখা যায় প্রত্যেকটা ফকির মিছিল করতে করতে চেয়ারম্যানের বাড়ির উদ্দেশ্যে যাচ্ছিল। আর তখনই তাদের উপর মেম্বারের লোক এবং প্রিন্স হামলা করে। এরপর দেখা যায় ওই ভাবিটার বাড়িতে চান্দু ফকির আসে। আর ভাবিটার ঘরে গিয়ে লুকিয়ে পড়ে।

তারপর রবি ঘরের ভিতর লাঠি নিয়ে ঢুকে যায়, আর চান্দুকে মারে। এরপর চান্দু বাইরে বের হয়ে যায়। তারপর রবি দেখা যায় ওই ভাবিটার ঘর থেকে ভাত এনে বাহিরে এসে খেতে শুরু করে। এরপর দেখা যায় প্রিন্সের মা এবং ঝুমা বিভিন্ন কথা বলছিল ফকিরদের কে নিয়ে। এরপর তখন সেখানে মেম্বার আসে। এরপর প্রিন্সের বাবা তার খাওয়া-দাওয়া বন্ধ করে দেয়, আর ঘরে ঢোকা বন্ধ করে দেয়। তারপর তিনি ঘরে চলে যান। এরপর ঝুমা এবং প্রিন্সের মা মন খারাপ করে বাহিরে দাঁড়িয়ে থাকে। এরপর দেখা যায় সুন্দরী খালা রবিকে খুঁজতে যাচ্ছিল। আর তখনই মর্জিনার সাথে তার দেখা হয়। রবি এবং চান্দুকে নিয়ে তারা বিভিন্ন কথা বলে। এরপর মর্জিনা সুন্দরী খালাকে থ্রেট দিয়ে সেখান থেকে চলে যায়। এরপর সুন্দরী খালার কাছে কাদের ফকির আসে। এরপর সুন্দরী খালা কাদের ফকিরকে বলে দেয় রবিকে সে নিজেই ছাড়িয়ে নিয়েছে।

তারপর সে রবিকে খোঁজার জন্য আবারো চলে যায়। তার পিছনে পিছনে কাদের ফকিরও চলে যায়। এরপর দেখা যায় ফুলি এবং জোনাকি বেলকনিতে দাঁড়িয়ে দাঁড়িয়ে কথা বলছিল। তখন সেখানে চেয়ারম্যান আছে। আর প্রিন্সের সাথে কথা না বলার জন্য বারণ করে দেয় দুজনকে। এরপর চেয়ারম্যান ঘরে চলে যায়। আর জোনাকি ও চলে যায় ঘুমানোর জন্য। তারপরে দেখা যায় প্রিন্স বাড়িতে আসে। আর ঝুমা বলে আপনার বাড়িতে আসার এবং খাওয়া দাওয়া সবকিছু আপনার বাবা বন্ধ করে দিয়েছে। এরপর ফকিরদের কথা সব কিছু প্রিন্সকে বলে। প্রিন্স তো অনেক রেগে যায়। তারপর ঝুমা বলে মাথা ঠান্ডা করার জন্য। এরপর ঝুমা ঘরে চলে যায় প্রিন্সকে নিয়ে, আর তাকে খাবার দিতে যায়। এরপর দেখা যায় রাতের বেলায় মানিক সায়েমের বাড়িতে এসেছে, আর সায়েমের কাছে এসে চম্মন এর সাথে তার বিয়ে দেওয়ার কথা বলে।

এটা শুনে সে রেগে যায়। আর মানিককে তাড়িয়ে দেয়। এরপরে দেখা যায় চান্দু গাছের সাথে বসে বসে কান্না করছিল। তখনই সেখানে সুতা এবং রতন আসে। আর চান্দু তাদেরকে সবকিছু খুলে বলে। এরপর সুতা বলে এখানে তারা মেম্বারের লোকের কথা বলে মামলা করবে। তারপর তাকে ডাক্তারের কাছে নিয়ে যায়। এরপর দেখা যায় সায়েম এবং তার বউ ভিক্ষা করতে করতে আসছিল, আর চম্মনের বিষয়ে কথা বলছিল। তখনই দেখে গ্রামে একজন নতুন ছেলে আসতেছে। এরপর তারা তার কাছে ভিক্ষা চায়। ওই লোকটা তো অনেক রেগে গিয়েছিল। এরপর সায়েম এবং তার বউ তার ঠিকানা জিজ্ঞেস করে। একবার লোকটা তাদেরকে ভিক্ষা দেয়। আর তারা আরো একশো টাকা চায় এবং চম্মনের বিষয়ে কিছু তথ্য দেয় কারণ সে সুন্দর একটা মেয়েকে বিয়ে করতে চায়। এরপর লোকটা চলে যায়। সায়েম এবং তার বউ ও তারপরে চলে যায় এরপর দেখা যায় প্রিন্সের বন্ধু এসেছে তাদের বাড়িতে।

তারপর ঝুমার সাথে তার কিছুক্ষণ কথা হয়। তারপর সেখানে প্রিন্সের মা আসে, আর সবকিছু খুলে বলে। এরপর প্রিন্সের মা ঘরে চলে যায়, তারপর প্রিন্সের বন্ধু ও চলে যায়। রতন এবং সুতা যখন চান্দুকে নিয়ে যাচ্ছিল ডাক্তারের কাছে, তখন মর্জিনা সেখানে আসে। চান্দু মর্জিনাকে বলে রবি তাকে মেরেছে। তারপর সুতা বলে মেম্বারের লোক তাকে মেরেছে। এরপর সেখানে কাদের আসে, কাদের তো বলছিল ভালোই হয়েছে তাকে মেরেছে। এরপর কাদের ফকির জোর করে মর্জিনাকে নিয়ে যায়, তার সাথে ভিক্ষা করার জন্য। এরপর রতন এবং সুতা আবারো যায় রতন কে ডাক্তার কাছে নিয়ে যাওয়ার জন্য। এরপর দেখা যায় চান্দুর কাছে সায়েম এবং তার বউ এসেছে। আর সায়েম তার বউকে মারতে গিয়ে চান্দুর গায়ে হাত উঠে যায়। আর চান্দু তখনই নিচে পড়ে যায়। তারপর সেখানে মানিক আসে। এরপর দেখতে থাকে সে বেঁচেআছে কিনা। তখনই এই পর্বটা শেষ হয়ে যায়। পরবর্তী পর্বে কি হয় এটা দেখতে হবে এখন। খুব তাড়াতাড়ি পরবর্তী পর্ব শেয়ার করার চেষ্টা করবো।

ব্যক্তিগত মতামত

এই পর্বে আমরা দেখি রবি এখনো পর্যন্ত শুধু চান্দুর পেছনেই লেগে রয়েছে, আর লাঠি দিয়ে তাকে দৌড়াচ্ছে। অন্যদিকে মেম্বার তো প্রিন্সের খাওয়া দাওয়া ঘরে ঢুকা সবকিছুই বন্ধ করে দিয়েছে। কিন্তু ঝুমা এটা হতে দেয়নি। রাতের বেলায় প্রিন্স কে ঘরে ঢুকিয়েছে আবার খাবারও দিয়েছে। আর এরপর তো দেখছি গ্রামে একজন নতুন ছেলে এসেছে। কিন্তু সে কে এটা এখনও পর্যন্ত জানা হয়নি। পরবর্তী পর্বে হয়তো সেই ছেলেটার সম্পর্কে জানতে পারবো আমরা। আর এই পর্বের শেষে একটা ঘটনা ঘটেছে সেটা হচ্ছে সায়েম তার বউকে মারতে গিয়ে ভুল করে চান্দুকে মারে। সঙ্গে সঙ্গে চান্দু মাটিতে পড়ে যায়। চান্দুর কি হয়েছে এটা জানতে হলে পরবর্তী পর্বে রিভিউ পড়তে হবে সবাইকে এবং নাটক দেখতে হবে।

ব্যক্তিগত রেটিং

৯/১০

নাটকের লিংক