কাছের মানুষকে গিফট করার অনুভূতি।

in আমার বাংলা ব্লগlast year

হ্যালো বন্ধুরা,

আসসালামু আলাইকুম, কেমন আছেন সবাই? আশা করি সবাই ভালো আছেন। আমিও আল্লাহর রহমতে ভালো আছি। প্রতিদিনের মত আজকেও আপনাদের সামনে এসে হাজির হলাম নতুন একটি পোস্ট নিয়ে। আসলে বর্তমানে আমার বাংলা ব্লগের সাথে কাজ করতে করতে মনে হয় হাজার বছরের পরিচিত। এমনকি এখন তো আমরা নিজেদের সবকিছুই এখানে শেয়ার করি। মানে আমার বাংলা ব্লগের সকল বন্ধুদের সাথে শেয়ার করি। এটা যেন একটা অভ্যাসে পরিণত হয়েছে। এখন কিছু দেখলেই, কিংবা নিজেদের কোন ঘটনা আপনাদের সাথে শেয়ার করার কথা মাথায় চলে আসে। হয়তোবা এটা আপনাদের সবার ক্ষেত্রেও হয়। কিছু একটা হলেই তখন ভাবি আপনাদের সাথে শেয়ার করব। তেমনি আজকেও একটা বিষয় আপনাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য হাজির হলাম।

1675320643909.jpg

আপনারা সবাই জানেন কিছুদিন আগে আমার ভাইয়া বাইরে থেকে এসেছে। আসলে এর আগের বার যখন ভাইয়া এসেছিল তখন কিন্তু করোনার সময় ছিল। আর করোনার সময়তো সবার একেবারে অবস্থা খারাপ হয়ে গিয়েছিল। এমনকি সবারতো বাহিরে বেরোনোটাও বন্ধ হয়ে গিয়েছে। এমনকি আমাদের এলাকাতে বিয়ে পর্যন্ত বন্ধ ছিল অনেকদিন পর্যন্ত। মানে বিয়েতে কোন ধরনের অনুষ্ঠান করা যাবে না। এটা একেবারে নিয়মের মধ্যে পড়ে গিয়েছিল। সেবার যখন ভাই এসেছিল তখন তো আমরা ঠিক করেছি ভাইয়ার বিয়ে ঠিক করব। এমনকি যতই করোনার জন্য সবকিছু অফ থাকুক না কেন আমরা আস্তে আস্তে ভাই এর জন্য মেয়ে দেখছিলাম। পরে আমাদের মেয়ে পছন্দ হলো এমনকি বিয়ে ঠিক করে নিলাম।

মেয়েদের বাড়ি ও কিন্তু বেশি দূরে নয় আমাদের বাড়ি থেকে অল্প কিছুটা দূরে। মানে রিকশায় করে গেলে ৩০ টাকা ভাড়া হবে। তখন আমরা আবার আমাদের এলাকার মেম্বারকে জানিয়ে বিয়ের দিন ঠিক করি। তখন উনি বলেছিল কোন ধরনের অনুষ্ঠান করা যাবে না এমনিতে শুধু বিয়েটা করে নিতে। আমাদের অনেক ইচ্ছা ছিল ভাইয়ের বিয়েতে অনেক আনন্দ করবো। যেহেতু আমাদের একমাত্র ভাই। কিন্তু সেটাই করা হলো না। যেহেতু সেরকম কোন অনুষ্ঠান করা হলো না। এইজন্য বিয়েতে কোন ধরনের গিফট দেওয়া হয়নি। কিন্তু আমার একমাত্র ভাই, তাকে যদি কোন গিফট না দিই তাহলে কিরকম দেখায়। এজন্য তখনই চিন্তা করে রেখেছিলাম কিছু না কিছু একটা দিব। তখন করোনায় করোনায় দিন চলে গেল।

এইজন্য যখন ভাইয়া এবারে আসার কথা হচ্ছিল। তখন আবার বলছিল তারা অন্য রুমে শিফট করবে। ভাইয়া আসলে, আবারো নতুন করে রং করে এরপর নতুন রুমে যাবে। এইজন্য আমরা ঠিক করলাম রুমের জন্য একটা ফার্নিচার গিফট করলে কেমন হয়। এইজন্য ভাইয়া আসার আগে থেকে আমি তিন দরজা সিস্টেমের একটা স্টিলের আলমারি তৈরি করার জন্য দি ‌ কিয়ে দিলাম। ভাবলাম যদি ঘরের জন্য কিছু দিই তাহলেই সেটা ভালো হবে। যদিও ভাইয়াদের আগের রুমে আমাদের ঘরের আগের আলমারি ছিল। যেহেতু নতুন রুমে শিফট করবে এই জন্য নতুন ফার্নিচার হলেই ভালো লাগবে। তাছাড়া আমি আমার জন্য আগে একটা এরকম আলমারি নিয়েছিলাম। আর এটা আমার ভাবীর ও পছন্দের ছিল।

এজন্য ভাবলাম ভাবিও এই গিফট পেলে খুশি হবে। আগে থেকেই অর্ডার করে রেখেছি। কারণ এগুলো তৈরি করতেও কিছুটা সময় লাগে। কারণ আমার চিন্তা ছিল ভাইয়া বাড়িতে আসলেই তখন এটা আনবো। কিছুদিন আগে ভাইয়া বাড়িতে আসার পর আমি আর ভাইয়া মিলে ওদের রুমে খুব সুন্দর একটা পেইন্টিং করেছি। সেটাও আপনাদের সাথে শেয়ার করেছি। রুম যখন রেডি হয়ে গেল। তার সাথে আমাদের আলমারিটাও রেডি হয়ে গেল। এরপর আমাদের গিফটের আলমারিটা নিয়ে আসলাম। যেহেতু অর্ডার করে তৈরি করেছি। এইজন্য আলমারির দামটাও একটু বেশি নিয়েছে। আলমারি এটার দাম নিয়েছে ৩৭০০০ টাকা।এটা দেখে ভাইয়া, ভাবি এবং আমার মা, বাবা সবাই ভীষণ খুশি হলো। আসলে গিফট পেতে সবারই ভালো লাগে। সেটা যাই হোক না কেন।

এমনকি রুমে নতুন ফার্নিচার নিলে এটা কিন্তু দেখতেও ভীষণ সুন্দর লাগে। মানে রুমের সৌন্দর্য বৃদ্ধি পায়। ভাইয়াকে একটা গিফট দিতে পেরে আমার ভীষণ ভালো লেগেছিল। আসলে আমি মনে করি এটা অন্য রকমের একটা অনুভূতি । বিশেষ করে সবার ভালো লেগেছে এটা দেখেই আমার সবথেকে বেশি ভালো লেগেছিল। আসলে ভাইয়া, ভাবিও খুশি হয়েছিল। যেহেতু আমাদের একমাত্র ভাবি তাই জন্য খুশি হওয়াটা আরো প্রয়োজন ছিল। যেহেতু ভাইয়া করোনার সময় বিয়ে করাতে কোন ধরনের অনুষ্ঠান করা হয়নি। এজন্য এখন ভাবিদের বাড়ির এমনকি তাদের আত্মীয় স্বজনদেরকে আমাদের বাড়িতে দাওয়াত দেওয়া হয়েছে। মানে ছোটখাটো একটা অনুষ্ঠান। আশা করছি ওই দিনটাও আপনাদের মাঝে শেয়ার করবো। পরবর্তীতে আবারও দেখা হবে নতুন কিছু নিয়ে। এপর্যন্ত সবাই ভালো থাকবেন।

আমার পরিচয়

1635518106012.jpg

আমার নাম তাসলিমা আক্তার সনিয়া। আমি বাংলাদেশী। বাংলা ভাষা আমাদের মাতৃভাষা বলে আমি অনেক গর্বিত। আমি ম্যানেজমেন্ট বিভাগের অনার্স ফাইনাল ইয়ারের একজন ছাত্রী। আমি ছবি আঁকতে ভালোবাসি। বিশেষ করে যে কোন ধরনের পেইন্টিং করতে পছন্দ করি। যখনই অবসর সময় পায় আমি ছবি আঁকতে বসে পড়ি। এছাড়াও আমি ভ্রমণ করতে পছন্দ করি। কিছুদিন পর পর বিভিন্ন জায়গায় ভ্রমণ করার চেষ্টা করি। এছাড়াও আমি বিভিন্ন ধরনের কারুকাজ করতে পছন্দ করি। রান্না করতেও আমার খুব ভালো লাগে। আমি বিভিন্ন ধরনের রেসিপি তৈরি করতে পছন্দ করি। আমি যখনই সময় পাই আমার পরিবারের সবাইকে বিভিন্ন ধরনের রেসিপি তৈরি করে খাওয়াই। আমি সব সময় নতুন নতুন কিছু করার চেষ্টা করি।

🎀 ধন্যবাদ সবাইকে 🎀

আসুন সবাই মন খুলে বাংলায় ব্লগিং করি

IMG-20220501-WA0005.jpg

Sort:  

Thank you, friend!
I'm @steem.history, who is steem witness.
Thank you for witnessvoting for me.
image.png
please click it!
image.png
(Go to https://steemit.com/~witnesses and type fbslo at the bottom of the page)

The weight is reduced because of the lack of Voting Power. If you vote for me as a witness, you can get my little vote.

Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.

 last year 

পৃথিবীতে সবচেয়ে মধুর আর সুন্দর সম্পর্ক হলো ভাই বোনের সম্পর্ক। এ বাধঁন যেন কিছুতেই খোলা যায় না। ভাইয়ের জন্য ৩৭০০০ টাকা দিয়ে খুব সুন্দর একটি আলমারি আপনি উপহার দিয়েছেন। মনে হচ্ছে ভাই আর ভাবী বেশ খুশিই হয়েছে। আর করোনা তো আমাদের জন্য যে কি ছিল তা কেবর আমরাই জানি। রক্তের বন্ধন গুলোও তখন পর হয়ে গিয়েছিল।

 last year 

জি ভাইয়া এবং ভাবি দুইজনেই খুশি হয়েছিল। অনেক ধন্যবাদ আপনাকে।

করোনার সময়টাতে আমাদের এখানেও বিয়ে সংক্রান্ত ব্যাপারে একই সমস্যা হয়েছিল। বিয়ে বাড়িতে মাত্র 10 থেকে 15 জনের বেশি allow করছিল না। যাই হোক আপনার ভাইকে দেওয়া গিফট টা সত্যিই খুব সুন্দর হয়েছে।আলমারিটা মনে হচ্ছে বেশ বড় এবং দেখতেও খুব সুন্দর।

 last year 

জি আলমারি টা অনেক বড়। অনেক ধন্যবাদ আপনাকে।

 last year 

অনেক ভাল লাগলো আপু আপনার ব্লগটি পড়ে। সত্যি কথা বলতে উপহার পেতে সবারই ভাল লাগে। যার জন্য উপহার সে খুশি হয়ে গেলে তখন ভাল লাগা দিগুন হয়ে যায়। আপনার ভাই - ভাবির সুন্দর সুখি জীবন কামনা করছি ধন্যবাদ আপু।

 last year 

ঠিক বলেছেন উপহার পেতে আমাদের সবারই ভালো লাগে। অনেক ধন্যবাদ আপনাকে।

 last year 

আসলে আপু প্রত্যেকটা মানুষই চায় যে তার পাশে মানুষ গুলো ভালো থাকুক। যদি কোন কারনে তার অসুখী থাকে তাহলে নিজের মনেও শান্তি পাওয়া যায় না। সে আপন মানুষ যদি নিজের ভাই হয় তাহলে তো কথায় থাকে না। সব সম্পর্কের ভিতরে মধুর সম্পর্ক হল ভাই ও বোনের সম্পর্ক। আপনি আপনার ভাইকে অনেক বড় একটা গিফট করেছেন। আপনার দেওয়া গিফটি অনেক সুন্দর ছিল। নিচে আপনার ভাইয়া অনেক খুশি হবে।

 last year 

অনেক খুশি হয়েছিল ভাইয়া। অনেক ধন্যবাদ আপনাকে।

 last year 

খুবই ভালো কাজ করেছেন আপু যেহেতু গিফট করবেন তাই আমার মনে হয় ঘর সাজানোর জিনিস গিফট করাই উচিত। যাতে করে তারা সেগুলো ব্যবহার করতে পারে। আপনার ভাই এবং ভাবির জন্য অনেক অনেক শুভকামনা।

 last year 

আমিও এটাই মনে করেছি ঘর সাজানোর জিনিস গিফট করলেই ভালো। অনেক ধন্যবাদ আপনাকে।

Coin Marketplace

STEEM 0.20
TRX 0.13
JST 0.029
BTC 66217.53
ETH 3316.11
USDT 1.00
SBD 2.70