গল্প :- অভিশপ্ত প্রেম কাহিনী । ( পর্ব ১ )
ক্যানভা দিয়ে তৈরি
হ্যালো বন্ধুরা,
আসসালামু আলাইকুম, কেমন আছেন সবাই? আশা করি সবাই ভালো আছেন। আমিও আল্লাহর রহমতে ভালো আছি। প্রতিদিনের মত আজকেও আপনাদের সামনে এসে হাজির হলাম নতুন একটি পোস্ট নিয়ে। আমার বাংলা ব্লগে আসার পর থেকে দেখছি সবাই খুব সুন্দর সুন্দর গল্প লিখে। আর সেই গল্পগুলো পড়তেও ভীষণ ভালো লাগে। ইতিমধ্যে আমিও প্রায় কয়েকটা গল্প লেখার চেষ্টা করেছি। আজকে আবারো আপনাদের সাথে একটি গল্প শেয়ার করার জন্য আসলাম। আশা করি গল্পটি আপনাদের ভালো লাগবে।
একটা পরিবারে একজন মেয়ে ছিল যার নাম নিলা। কিন্তু নিলার একটা সমস্যা ছিল। পায়ে একটা সমস্যা ছিল , মানে হচ্ছে ও কিছুটা প্রতিবন্ধী ছিল। কিন্তু তারপরেও নিলা খুঁড়িয়ে খুঁড়িয়ে হাঁটতে পারতো। যদিও নিলার পরিবার অনেক বেশি সম্ভাব্য পরিবার ছিল। কিন্তু নীলার পায়ের সমস্যার কারণে ওর বিয়ে হচ্ছিল না। এদিকে ওর চারপাশের বান্ধবীদের এক এক করে সবার বিয়ে হয়ে যাচ্ছে। এটা নিয়ে নীলার মনে খুবই কষ্ট রয়েছে। একদিন ওর একটা বান্ধবী আসে ওকে দাওয়াত দেওয়ার জন্য। তখন সেটা দেখে নীলা মনে আরো বেশি কষ্ট পেল। তখনই নীলা ওর বান্ধবীকে জানায় তা বলে তাড়িয়ে দেয়।
বলে তোদের সবার বিয়ে হচ্ছে বলে আমাকে করুণা করছিস তাই না। কিন্তু ওর বান্ধবী ওকে বোঝাতে চাইল যে আসলে এরকম কিছু না। কিন্তু নীলার মনে ওই একই ভাবনা থাকার কারণে এরকমটা করল। তারপর নীলার বান্ধবী ওকে দাওয়াত দেওয়ার পর চলে গেল। পরবর্তীতে নিলা ঘরে কান্নাকাটি করা শুরু করে দিল। এদিকে নীলার মা ছিল না শুধুমাত্র ওর বাবা ছিল। ওদের পরিবার অনেকটা রাজ পরিবারের মত। তখন নীলার কান্নাকাটি দেখে নীলার বাবা ঘোষণা দিল যেভাবেই হোক নীলার জন্য একটা পাত্র খুঁজতে। পরবর্তীতে যখন চারদিকে খবর দিল যে নীলাকে বিয়ে করতে চায় এসে যোগাযোগ করার জন্য।
পরবর্তীতে একটা দিন ঠিক করে যাতে সবাই ওই দিনে এসে যোগাযোগ করে। সবাই তখন বসে অপেক্ষা করতে লাগছিল। কিন্তু কেউই দেখা করতে আসছিল না। আসলে নিলার এলাকার সবাই নীলার সম্পর্কে জানতো। এজন্য কেউ দেখা করতে আসলো না। এসব দেখে নীলা আবারো কান্নাকাটি করা শুরু করে দিল। তখন হঠাৎ করে একজন এসে নীলার কাঁধে হাত রাখল। নীলা তখন তাকিয়ে দেখে একটা ছেলে। পরবর্তীতে নীলা বলল আপনি কে? নীলার প্রতি উত্তরের ছেলেটি বলল আমি আকাশ। আকাশ বলাতে নীলার অনেকটাই পরিচিত মনে হল। মানে হচ্ছে আকাশ নীলার ছোটবেলার বন্ধু। ও এতদিন বাহিরে থাকতো।
আসলে ছোটবেলায় স্কুলে নিলা আর আকাশ দুজনে একসাথে পড়ালেখা করতো। পরবর্তীতে আকাশ বাহিরে পড়ালেখা করার জন্য চলে যায়। তখন আকাশকে দেখে নিলে যেন অনেকটা স্বস্তি পেল। আকাশ নীলার হাত ধরে ওকে উঠায়। আর সাথে সাথে সবার সামনে নীলাকে প্রপোজ করে। এটা দেখে নীলা তো ভীষণ খুশি। আর তার সাথে সাথে নীলার বাবাও অনেক বেশি খুশি হল। তখন ওদের দুজনের বিয়ে ঠিক হল। দশ দিন পর নীলা আর আকাশের বিয়ে। ওরা দুইজন এই কয়েকদিন খুব সুন্দর ভাবে সময় কাটাচ্ছিল। অন্যদিকে নিলাকে যে বান্ধবী দাওয়াত দিয়ে দিয়েছিল।
তার বিয়ে তখন নীলা ওর বিয়েতে গেল। আর নীলার বান্ধবীকে বলতে লাগলো আমারও বিয়ে ঠিক হয়েছে। তোরা আর কেউ আমাকে করুণা করতে পারবি না। এইসব কথা বলে অনেক কথা শুনিয়ে আসলো। এদিকে প্রায় নীলার বিয়ের দিন এগিয়ে আসছিল। একমাত্র মেয়ের বিয়ে বলে নীলার বাবা প্রায় অনেক বেশি জমজমাট আয়োজন করিয়েছে। মানে ওদের পাড়ার সবাইকে দাওয়াত দিয়েছে। দেখতে দেখতে নীলার বিয়ের দিন চলে আসলো। নীলাকে খুব সুন্দর ভাবে সাজানো হলো। পরবর্তীতে নীলাকে বিয়ের পিঁড়িতে করে বিয়ের জায়গায় নিয়ে আসা হল।
কিন্তু তখনই ঘটলো অঘটন। নীলার বাবা যেহেতু তাদের এলাকার একজন বড় মানুষ ছিলেন , তার অনেক শত্রু ছিল। তখন হঠাৎ করে কয়েকজন এসে নীলার বিয়েতে হামলা করা শুরু করলো। সবাই তো একেবারে অবাক হয়ে গেল। হামলাটা এত বেশি হয়েছিল যে ওই হামলাটায় নীলা আর তার পরিবারের সবাইকে মেরে ফেলা হয়। ( চলবে )
আমার পরিচয়
আমার নাম তাসলিমা আক্তার সনিয়া। আমি বাংলাদেশী। বাংলা ভাষা আমাদের মাতৃভাষা বলে আমি অনেক গর্বিত। আমি ম্যানেজমেন্ট বিভাগের অনার্স ফাইনাল ইয়ারের একজন ছাত্রী। আমি ছবি আঁকতে ভালোবাসি। বিশেষ করে যে কোন ধরনের পেইন্টিং করতে পছন্দ করি। যখনই অবসর সময় পায় আমি ছবি আঁকতে বসে পড়ি। এছাড়াও আমি ভ্রমণ করতে পছন্দ করি। কিছুদিন পর পর বিভিন্ন জায়গায় ভ্রমণ করার চেষ্টা করি। এছাড়াও আমি বিভিন্ন ধরনের কারুকাজ করতে পছন্দ করি। রান্না করতেও আমার খুব ভালো লাগে। আমি বিভিন্ন ধরনের রেসিপি তৈরি করতে পছন্দ করি। আমি যখনই সময় পাই আমার পরিবারের সবাইকে বিভিন্ন ধরনের রেসিপি তৈরি করে খাওয়াই। আমি সব সময় নতুন নতুন কিছু করার চেষ্টা করি।
🎀 ধন্যবাদ সবাইকে 🎀 |
---|
https://twitter.com/TASonya5/status/1651451535367495680?t=l1-_exyW7m3c5DN8K2rxfg&s=19
গল্পটা পড়ে খুব ভাল লাগা তৈরি হচ্ছিল মনের মধ্যে এর মধ্যে ই এমন দুর্ঘটনা কেন আপু?? কি হবে এখন?? পরের পর্ব পড়ার জন্য আশাকরি।সবেমাত্র নীলা আকাশকে নিয়ে সুখের স্বপ্ন দেখা শুরু করছিল।আর তখনই তার জীবনে এ কি হয়ে গেল??
পরের পর্ব খুবই শীঘ্রই আসবে। অপেক্ষায় থাকেন আপু ধন্যবাদ।
Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.
কঠিন পর্যায়ে চলে গেল দেখছি গল্পের কাহিনী আপু! নীলাী বিয়ে হলো ঠিকই কিন্তু পরিবারের সবাইকে হারালো। এটা জেনে বেশ খারাপ লাগছে। সবথেকে ভালো লেগেছিল যে, তার শৈশবের বন্ধু আকাশ তাকে প্রপোজ করে! নীলা শারীরিক প্রতিবন্ধী হওয়া সত্ত্বেও। তবে আপু গল্পটা আরও গভীরে নিতে পারতেন কিন্তু। ভালো লিখেছেন।
সুন্দর মন্তব্যের জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ। মন্তব্য পড়ে ভালো লাগলো ।
আপনি আজ হ্যাংআউটের আগেই একটি টিকিট ক্রিয়েট করুন এমারজেন্সি।
আপু, আপনার লেখা "অভিশপ্ত প্রেম কাহিনী" গল্পের শেষ মুহূর্তে এসে মনটা বেশ খারাপ হয়ে গেল। নীলা সহ তার পরিবারের সবাই যেহেতু নিহত হয়ে গেল, এখন দেখার বিষয় আপনার গল্পে পরবর্তী অংশটা কেমন জমজমাট হয়। যাহোক, পরবর্তী পর্বের অপেক্ষায় রইলাম।
খুব শীঘ্রই পরের পর্ব শেয়ার করব। এভাবেই সব সময় পাশে থাকবেন আশা করছি ধন্যবাদ।
শুরুতে যেটা বলব নীলা নামটা খুব মিষ্টি দিয়েছেন আপু। আর নীলা চরিত্রটা বেশ ভালো একটা ইম্প্রেশন তৈরি করে ফেলেছে আমার মনে। আসলে এই ব্যাপারটা অনেকটাই সত্যি যে যারা একটু ফিজিক্যালি আনব্যালেন্সড হয়ে থাকে অনেক ক্ষেত্রেই ভেবে থাকে তাদেরকে হয়তো অনেকেই করুণা করছে কিন্তু প্রকৃতপক্ষে এমনটা নাও হতে পারে। গল্পটা এমন সময় শেষ হলো যে বার বার মনে হচ্ছিল এরপরে কি হলো! পরের পর্বের জন্য অপেক্ষায় রইলাম আপু।
আপনাদের মন্তব্য পেলে উৎসাহ বাড়ে। এরকম আরো গল্প শেয়ার করতে উৎসাহিত করে। খুব শীঘ্র পরের পর্ব শেয়ার করার চেষ্টা করব ধন্যবাদ।