ভ্রমণ :- ফেনী গোল্ডেন শিশু পার্ক ঘুরতে যাওয়ার মুহূর্ত। ( পর্ব ১)
হ্যালো বন্ধুরা,
আসসালামু আলাইকুম, কেমন আছেন সবাই? আশা করি সবাই ভালো আছেন। আমিও আল্লাহর রহমতে ভালো আছি। প্রতিদিনের মত আজকেও আপনাদের সামনে এসে হাজির হলাম নতুন একটি পোস্ট নিয়ে। ভ্রমন করতে কম বেশি আমরা সবাই পছন্দ করি। আর ভ্রমণ করতে কার না ভালো লাগে বলুন, আমি তো যেকোনো জায়গায় ঘুরতে খুবই পছন্দ করি। তাই জন্য মাঝেমধ্যেই সময় পেলে ঘোরাঘুরি করার চেষ্টা করি। আসলে সারাদিন ঘরে থাকলে প্রতিনিয়ত কাজের মধ্যেই কাটে। আর মাথার মধ্যে প্রতিনিয়ত বিভিন্ন ধরনের চাপ ঘুরে বেড়ায়। তাই জন্য যদি একটু বাইরে থেকে ঘুরে আসতে পারি ভীষণ ভালোই লাগে। তেমনি আজকে আপনাদের মাঝে ফেনী গোল্ডেন পার্ক ভ্রমণ করার মুহূর্ত শেয়ার করব। আশা করি আপনাদের ও ভীষণ ভালো লাগবে।
কিছুদিন ধরে ফেনীতে যাবো ভাবছিলাম। আসলে আমাদের কিছু কেনাকাটা করার ছিল। তবে তার থেকেও ফেনী গোল্ডেন শিশু পার্ক যাওয়ার ইচ্ছে ছিল। আসলে অনেক দিন ধরেই কোথাও যাওয়া হচ্ছিল না। আর গোল্ডেন পার্কের কথা অনেক শুনেছি। কিন্তু এখনো পর্যন্ত যাওয়া হয়নি । আবার এই পার্কের এড দেখেছিলাম টিভিতে। তাই জন্য ভাবলাম একবার গিয়ে ঘুরে আসি। তার সাথে মেয়েটাও ভীষণ খুশি হবে ঘুরতে গেলে। আমরা সকালবেলা নাস্তা করেই বেরিয়ে পড়লাম ফেনীর উদ্দেশ্যে। আসলে আমাদের বাড়ি থেকে প্রায় অনেকটাই দূরে।
আমরা সিএনজি করে প্রথমেই চলে গেলাম ফেনীতে। এরপরে সিএনজি থেকে নেমেই একটা রিক্সা করে চলে গেলাম সোজা গোল্ডেন পার্কের সামনে। সামনে একটা সাইনবোর্ড লাগানো। সেটা দেখেই আমি ফটোগ্রাফি করেছিলাম। এরপরে পার্কের সামনে গিয়ে দেখি এখানে টিকিট কেটে ঢুকতে হবে। একজনের টিকেট পঞ্চাশ টাকা করে। পরবর্তীতে আমরা দুইজন দুইটা টিকেট নিলাম আর যদিও দুই বছরের পর থেকে টিকিট লাগে কিন্তু আমরা নাশিয়ার জন্য টিকেট কাটিনি। এমনিতেই আমাদেরকে ঢুকতে দিয়েছিল।
প্রথমে ঢুকতেই দেখলাম খুব সুন্দর ভাবে পুরো পার্কটা অনেক সাজানো। বিশেষ করে অনেক সুন্দর একটা স্টেজ দেখতে পেলাম স্টেজটা মূলত পার্কের নামেই করা। এখানে কেউ চাইলে উঠে ফটোগ্রাফি করতে পারে। এইজন্য আমি আর নাশিয়া স্টেজে উঠে ছবি তুললাম। যদিও নাশিয়া ভীষণ খুশি কোথাও দাড়াতে চাইছিল না শুধু ছোট ছোট করছিল। ছবি তুলতে বললেও ছবি তুলতে দেয় না। এর পাশে দেখলাম খুব সুন্দর একটা ফুলের বাগান। এখানে মূলত কয়েকটা জায়গাতেই দেখলাম খুব সুন্দর ফুল গাছ লাগানো। আমার কাছে দেখে ভীষণ ভালো লাগলো।
আসলে ফুল গাছগুলো খুব সুন্দর ভাবে সাজিয়ে লাগানো হয়েছিল। এই জন্য আমি ফটোগ্রাফিও করে নিলাম। আবার কতগুলো দেওয়ালের মধ্যে খুব সুন্দর ভাবে অনেক কিছু আঁকা ছিল। সেগুলো দেখতেও খুবই ভালো লেগেছিল। পার্ক টাকে আরও বেশি আকর্ষণীয় করে তুলেছে। এখানে আবার অনেকগুলো রাইড ছিল। তার মধ্যে দেখতে পেলাম খুব সুন্দর একটি ট্রেন। কেউ যদি ট্রেনে উঠতে চায় তাহলেও কিন্তু টিকেট কেটে উঠতে হবে। আসলে এখানে প্রত্যেকটা রাইডে উঠতে গেলে টিকিট কেটে উঠতে হয়।
যদিও শুরুর দিকটা আমরা কোন কিছুতেই ছড়িনি। প্রথম দিকে হেঁটে হেঁটে সবকিছুই দেখছিলাম। এরপর খুব সুন্দর একটা দোলনা দেখতে পেলাম। দোলনাটা দেখেই নাশিয়াতো খুবই খুশি। ও বলছিল ওকে দোলনায় উঠিয়ে দিতে। পরবর্তীতে কিছুক্ষণ দোলনায় ছড়েছে। আমি আবার ফটোগ্রাফি করে নিলাম। আসলে বেশ ভালোই লেগেছিল এসব কিছু দেখতে। এখানে মূলত অনেক কিছু রয়েছে। যেগুলোর আমি অনেক ফটোগ্রাফি করেছি। এইসব কিছু আসলে একসাথে শেয়ার করলে পোস্ট অনেক বড় হয়ে যাবে। তাই জন্য ভাবলাম পরবর্তী পর্বে আপনাদের মাঝে শেয়ার করব। আজকে এ পর্যন্তই। পরবর্তীতে আবারো আসবে নতুন কিছু নিয়ে।
আমার পরিচয়
আমার নাম তাসলিমা আক্তার সনিয়া। আমি বাংলাদেশী। বাংলা ভাষা আমাদের মাতৃভাষা বলে আমি অনেক গর্বিত। আমি গ্রেজুয়েশন কমপ্লিট করেছি। আমি ছবি আঁকতে ভালোবাসি। বিশেষ করে যে কোন ধরনের পেইন্টিং করতে পছন্দ করি। যখনই অবসর সময় পায় আমি ছবি আঁকতে বসে পড়ি। এছাড়াও আমি ভ্রমণ করতে পছন্দ করি। কিছুদিন পর পর বিভিন্ন জায়গায় ভ্রমণ করার চেষ্টা করি। এছাড়াও আমি বিভিন্ন ধরনের কারুকাজ করতে পছন্দ করি। রান্না করতেও আমার খুব ভালো লাগে। আমি বিভিন্ন ধরনের রেসিপি তৈরি করতে পছন্দ করি। আমি যখনই সময় পাই আমার পরিবারের সবাইকে বিভিন্ন ধরনের রেসিপি তৈরি করে খাওয়াই। আমি সব সময় নতুন নতুন কিছু করার চেষ্টা করি।
🎀 ধন্যবাদ সবাইকে 🎀 |
---|
Thank you, friend!
I'm @steem.history, who is steem witness.
Thank you for witnessvoting for me.
please click it!
(Go to https://steemit.com/~witnesses and type fbslo at the bottom of the page)
The weight is reduced because of the lack of Voting Power. If you vote for me as a witness, you can get my little vote.
https://twitter.com/TASonya5/status/1742384994717511854?t=qmkr-GMEA1MnUB5goIlZjg&s=19
Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.
আসলে মনে স্বস্তির জন্য মাঝেমাঝে এদিক ওদিক ঘুরা ঘুরি অনেক ভালো। যাই হোক ফেনী গোল্ডেন শিশু পার্কে আমিও আগে একবার গিয়েছিলাম। সেখানে পরিবেশটি খুব সুন্দর এবং এরিয়াটা অনেক বড়। আবার বাচ্চাদের জন্য খেলার সুব্যবস্থা আছে। সর্বোপরি বিনোদনের জন্য খুব ভালো একটি পার্ক। ধন্যবাদ আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।
আপনিও আগে একবার এই পার্কে গিয়েছিলেন জেনে ভালো লাগলো। হ্যাঁ ভাইয়া বাচ্চাদের জন্য খেলার সুব্যবস্থা আছে অনেক বেশি। আর আমাদেরও খুব ভালো লেগেছিল যাওয়ার পর।
মানসিক প্রশান্তির জন্য আমাদের সবার উচিত মাঝেমধ্যে বিভিন্ন জায়গায় ঘুরতে যাওয়া। যাইহোক আপনারা তিনজন মিলে খুব সুন্দর একটি পার্কে ঘুরতে গিয়েছেন আপু। গোল্ডেন শিশু পার্কে তো বিভিন্ন ধরনের রাইড রয়েছে বাচ্চাদের জন্য। তাই বাচ্চারা আরও বেশি খুশি হয় এসব পার্কে গেলে। সবমিলিয়ে দারুণ সময় কাটিয়েছেন আপনারা। ফটোগ্রাফি গুলো দেখে ভীষণ ভালো লাগলো আপু। যাইহোক এতো চমৎকার একটি পোস্ট আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ আপু। পরবর্তী পর্বের অপেক্ষায় রইলাম।
ঠিক বলেছেন ভাইয়া বাচ্চারা ও অনেক বেশি খুশি হয় গেলে। সত্যি খুব ভালো সময় কাটিয়েছি সবাই।
মাঝে মাঝে আপু বাচ্চাদেরকে কোথাও ঘুরতে নিয়ে গেলে ভালোই লাগে। বাচ্চারাও ভীষণ খুশি হয়। নাশিয়াও দেখছি পার্কে গিয়ে দারুণ সময় কাটিয়েছে। পার্কের ভিতরের এনভায়রনমেন্টও ভালো 🌼
হ্যাঁ নাশিয়া খুব ভালো সময় কাটিয়েছিল। আর অনেক খুশি হয়েছিল সবকিছু দেখে।
আসলেই আপু , প্রতিনিয়ত ঘরে থাকলে কাজের মধ্যে দিয়ে দিন কেটে যায় । তাই মাঝে মধ্যে যদি একটু বাইরে থেকে ঘুরে আসা যায় তাহলে সত্যিই মনটা খুব ভালো লাগে। প্রথম দিকে আপনারা সবকিছু ঘুরে দেখলেও শেষে এসে নাশিয়ার দোলনা দেখে তাতে চড়তে ইচ্ছে হল দেখছি। নাশিয়ার মতো আমারও কিন্তু দোলনা চড়তে খুব ভালো লাগে আপু। অনেক মিষ্টি লাগছে আপনাদের দুজনকে দেখতে।
সে তো দোলনা দেখার সাথে সাথেই বলছিল দোলনায় চড়বে। তাই আমি তাকে বসিয়ে দিয়েছিলাম। আপনারও দোলনায় চড়তে ভালো লাগে জেনে খুশি হলাম।