আর্ট :- সমুদ্রের পাড়ের সূর্যাস্তের দৃশ্য পেইন্টিং।
হ্যালো বন্ধুরা,
আসসালামু আলাইকুম, কেমন আছেন সবাই? আশা করি সবাই ভালো আছেন। আমিও আল্লাহর রহমতে ভালো আছি। প্রতিদিনের মত আজকেও আপনাদের সামনে এসে হাজির হলাম নতুন একটি পেইন্টিং নিয়ে। আজকে আমি অনেক সুন্দর একটি সমুদ্রের পাড়ের সূর্যাস্তের দৃশ্য পেইন্টিং করলাম।
আসলে গত কিছুদিন আমাদের সবারই বেশ খারাপ কেটেছে বলতে হবে। তবে সব থেকে বেশি মিস করেছি আমার বাংলা ব্লগের সবাইকে। কারণ সারাক্ষণ এখানের কাজগুলোই করে থাকি। কিন্তু কিছু যখন করতে পারছিলাম না, তখন খুবই খারাপ লাগতেছিল। যাইহোক, পুরোপুরি ঠিক না হলেও এখন অন্তত কিছুটা হলেও ভালো লাগতেছে। অনেকদিন পর আপনাদের মাঝে একটা পেইন্টিং শেয়ার করতে যাচ্ছি। সূর্যাস্তের পেইন্টিং বরাবরই আমার ভীষণ ভালো লাগে। এজন্য ভাবলাম আপনাদের মাঝে একটা সমুদ্রের পাড়ের সূর্যাস্তের দৃশ্য উপস্থাপন করি । তবে সমুদ্রের পাড়ে নারিকেল গাছের সাথে এরকম দোলনায় চড়ার দৃশ্য সত্যিই অনেক বেশি ভালো লাগে। এরকম একটা দৃশ্য আপনাদের মাঝে উপস্থাপন করার চেষ্টা করলাম। আশা করি আপনাদের ভালো লাগবে।
যে ভাবনা সেইভাবে কাজ শুরু করলাম। আজকের এই পেইন্টিংয়ে আমি পোস্টার কালার ব্যবহার করেছি। পোস্টার কালার ছাড়াও পেইন্টিং করতে আমার কি কি উপকরণ লাগলো এবং কিভাবে আমি এই পেইন্টিংটা করলাম তার ধাপে ধাপে বর্ণনা করে আপনাদের সাথে এই সম্প্রদায়ে ভাগ করে নিলাম। আশা করি আমার আজকের পেইন্টিং আপনাদের ভালো লাগবে।
আঁকার উপকরণ
• আঁকার বই
• পোস্টার কালার
• রং করার তুলি
• রংয়ের প্লেট
• পানি
আঁকার বিবরণ :
ধাপ - ১ :
প্রথমে আমি একটি ক্যানভাস বোর্ড নিলাম। এরপর আমি উপরের অংশে নীল এবং হলুদ কালার দিয়ে রং করে নিলাম।
ধাপ - ২ :
এরপর আমি হলুদ কালারের নিচে কমলা কালার দিয়ে রং করে নিলাম।
ধাপ - ৩ :
এরপরে আমি নিচের অংশে নীল এবং হলুদ কালার দিয়ে সমুদ্রের পানির মতো রং করে নিলাম।
ধাপ - ৪ :
উপরের অংশে নীল রং দিয়ে আকাশের মেঘের মতো করে রং করে দিলাম।
ধাপ - ৫ :
এরপরে আমি দুই দিক থেকে দুইটা বড় বড় নারিকেল গাছ এঁকে নিলাম।
ধাপ - ৬ :
এরপর আমি দুইটা কাছ থেকে দুই দিকে একটা বড় দোলনা এঁকে নিলাম। দোলনায় দুইজন বসে আছে এরকম একটা দৃশ্য এঁকে নিলাম।
ধাপ - ৭ :
এরপর আমি সন্ধ্যেবেলার দৃশ্য হিসেবে কতগুলো লাইট এর মত এঁকে নিলাম।
শেষ ধাপ :
এভাবে আমি পুরো পেইন্টিং করা শেষ করি। আশা করি আমার আজকের পেইন্টিং আপনাদের ভালো লাগবে। পরবর্তীতে আবারও দেখা হবে নতুন কিছু নিয়ে। সবাই ভালো থাকবেন।
পোস্ট বিবরণ
শ্রেণী | পেইন্টিং |
---|---|
ডিভাইস | Redmi note 9 |
ফটোগ্রাফার | @tasonya |
লোকেশন | ফেনী |
আমার পরিচয়
আমার নাম তাসলিমা আক্তার সনিয়া। আমি বাংলাদেশী। বাংলা ভাষা আমাদের মাতৃভাষা বলে আমি অনেক গর্বিত। আমি গ্রেজুয়েশন কমপ্লিট করেছি। আমি ছবি আঁকতে ভালোবাসি। বিশেষ করে যে কোন ধরনের পেইন্টিং করতে পছন্দ করি। যখনই অবসর সময় পায় আমি ছবি আঁকতে বসে পড়ি। এছাড়াও আমি ভ্রমণ করতে পছন্দ করি। কিছুদিন পর পর বিভিন্ন জায়গায় ভ্রমণ করার চেষ্টা করি। এছাড়াও আমি বিভিন্ন ধরনের কারুকাজ করতে পছন্দ করি। রান্না করতেও আমার খুব ভালো লাগে। আমি বিভিন্ন ধরনের রেসিপি তৈরি করতে পছন্দ করি। আমি যখনই সময় পাই আমার পরিবারের সবাইকে বিভিন্ন ধরনের রেসিপি তৈরি করে খাওয়াই। আমি সব সময় নতুন নতুন কিছু করার চেষ্টা করি।
🎀 ধন্যবাদ সবাইকে 🎀 |
---|
আপু আপনার পেইন্টিং এর তুলনা হয় না। আপনার পেইন্টিং মানে অসাধারণ কিছু। আপনি আজ ও অনেক সুন্দর একটা পেইন্টিং করেছেন।আপু নারকেল গাছ ও দোলনা গুলো দেখে সত্যি মুগ্ধ হয়ে গেলাম। ধন্যবাদ আপু সুন্দর একটা পেইন্টিং আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।
আমার পেইন্টিং দেখে আপনি মুগ্ধ হয়েছেন এটা তো ভাবতেই অনেক ভালো লাগতেছে।
https://x.com/TASonya5/status/1816678709379936340?t=FGx_DMRfqmRRRXDk32jbJw&s=19
সত্যি আপু আমাদের কারোরই সময় ভালো কাটেনি। আমরা সবাই সবাইকে অনেক মিস করেছি। আপু আপনার পেইন্টিং খুবই সুন্দর হয়েছে। সূর্য অস্ত যাওয়ার মুহূর্তটা খুব সুন্দর করে ফুটিয়ে তুলেছেন।
হ্যাঁ আপু অনেক বেশি মিস করেছি আপনাদের সবাইকে। সূর্যাস্ত যাওয়ার মুহূর্তটা সুন্দর করে ফুটিয়ে তোলার চেষ্টা করলাম।
ঠিক বলেছেন আপু ওই সময়টা আসলেই খুব খারাপ লাগছিল এই ব্লগে কাজগুলো করতে না পারার কারণে। যদিও এখনো নেটের অনেক সমস্যা তারপরও চেষ্টা করা যাচ্ছে। যাই হোক আপনার আজকের আর্টটি কিন্তু খুব সুন্দর হয়েছে। দোলনায়কি আপনি আর ভাইয়া দোল খাচ্ছেন নাকি? অনেক বেশি কালারফুল হয়েছে আর্টটি।
এরকম একটা মুহূর্তে যদি দোল খেতে পারতাম তাহলে তো ভালোই হতো। আমার আর্টটি কালারফুল হয়েছে শুনে ভালো লাগলো।
আপু আজ আপনি খুব সুন্দর একটি আর্ট পোস্ট আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন।আপনার করা পেইন্টিংটি খুবই সুন্দর হয়েছে। বিশেষ করে সূর্য অস্ত যাওয়ার মুহূর্তটা খুব সুন্দর ভাবে ফুটিয়ে তুলেছেন। কালার কম্বিনেশন টাও বেশ চমৎকার হয়েছে। আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ সুন্দর একটি পোস্ট শেয়ার করার জন্য।
আমি চেষ্টা করি প্রতিনিয়ত সুন্দর সুন্দর পেইন্টিং আপনাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।
আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ আপু।
ঠিক বলেছেন আপু বাংলা ব্লগে কাজ করতে না পেরে খুব খারাপ লেগেছে এখন পুরাপুরি ভাবে সব কিছু ঠিক না হলেও ভালো লাগছে একটু হলেও বাংলা ব্লগে কাজ করতে পারছি ও সবার সাথে কুশল বিনিময় করতে পারছি।আপনি আজকে চমৎকার সুন্দর কর সমুদ্রের পাড়ের সূর্যাস্তের দৃশ্য পেইন্টিং করেছেন। ভীষণ চমৎকার সুন্দর হয়েছে আপনার পেইন্টিং। ধাপে ধাপে পেইন্টিং পদ্ধতি চমৎকার সুন্দর করে আমাদের সাথে ভাগ করে নেয়ার জন্য ধন্যবাদ আপনাকে।
সব সময়ের মতো সুন্দর একটা পেইন্টিং নিয়ে হাজির হয়েছি, যেন আপনাদের কাছে অনেক বেশি ভালো লাগে। পেইন্টিংটা সম্পূর্ণ করার পর আমার কাছেও অনেক ভালো লেগেছিল।
Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.
সমুদ্রের পাড়ের সূর্যাস্তের দৃশ্য পেইন্টিংটি আপু সুন্দর আঁকলেন।আপনার পেইন্টিংটি আমার কাছে ভীষণ ভালো লাগলো। আপনি খুব সুন্দর ভাবে পেইন্টিংটি ফুটিয়ে তুলেছেন এজন্য অনেক ধন্যবাদ আপনাকে।সত্যি ই আপু আমাদের দিনগুলো খুবই বাজে ভাবে কেটেছে।
সুন্দর ভাবে চেষ্টা করেছি পেইন্টিংটা ফুটিয়ে তোলার জন্য। সবার দিনগুলোই অনেক খারাপ কেটেছে বুঝতে পারতেছি।
ঠিক বলছেন আপু কমিউনিটিতে সময় দিতে না পেরে অনেক বেশি খারাপ সময় গেছে। যেহেতু আমাদের ফ্রি সময় গুলো সব সময় আমরা কমিউনিটিতে দেওয়ার চেষ্টা করেছি কাজের ফাঁকে। যখন নেট বন্ধ হয়ে গেল সব কাজ বন্ধ হয়ে গেল তখন যেন নিঃশ্বাস বন্ধ হয়ে যাচ্ছিলো এমন অবস্থা। এখন তো নেট পেয়েছি বেশ ভালোই সময় যাচ্ছে। তবে সবচেয়ে বেশি ভালো লাগলো আপনার এত সুন্দর একটি পেইন্টিং দেখতে পেয়ে।
আসলে আপনি নিঃশ্বাস বন্ধ হয়ে যাওয়ার মত অবস্থা হয়েছে। এখন আসলেই খুব ভালো সময় যাচ্ছে।
সূর্যাস্ত এবং সমুদ্র আমার নিজের কাছেও ভালো লাগে। আপনি এরকম একটি দৃশ্য পেইন্টিং করেছেন। আপনার পেইন্টিং মানেই অসাধারণ কিছু। কালার কম্বিনেশনটা দারুন লাগছে দেখতে। দোলনায় দুজন বসে খুব সুন্দর ভাবে এনজয় করছে এই দৃশ্যটা। এত সুন্দর একটি পেইন্টিং শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ।
আমার পেইন্টিং মানে অসাধারণ কিছু, এটা তো শুনেই অনেক আনন্দিত এবং উৎসাহিত হলাম।