নাটকের রিভিউ :- " ফকির গ্রাম " ( পর্ব ২১ )
✋হ্যালো বন্ধুরা,✋
আসসালামু আলাইকুম, কেমন আছেন সবাই? আশা করি সবাই ভালো আছেন। আমিও আল্লাহর রহমতে ভালো আছি। প্রতিদিনের মত আজকেও আপনাদের সামনে এসে হাজির হলাম। আজকে আপনাদের সাথে একটি নাটকের রিভিউ শেয়ার করব। কিছুদিন ধরে আমি " ফকির গ্রাম " এই নাটকটি দেখছিলাম । এই নাটকটি মূলত পর্ব আকারে করা হয়েছে। আজকে আমি আপনাদের সামনে এই নাটকের ২১ পর্ব শেয়ার করব। আশা করি নাটকটি আপনাদের ভালো লাগবে।
নাটক সম্পর্কে কিছু তথ্য :-
নাম | ফকির গ্রাম। |
---|---|
পরিচালনা | ঈগল টিম |
প্রযোজনা | কচি আহমেদ |
প্রযোজনা সহকারী | জাহাঙ্গীর আলম, বাবু আহম্মেদ, আলমগীর, ইনামুল, মারুফ, জনি। |
স্ক্রিপ্ট | সুলাইমান |
অভিনয়ে | আনোয়ারুল আলম সজল, ইফতেখার ইফতি, আজমাইল মেহেরব এলহাম, মোসাদ্দেক সাহেব, লিপু মামা, তুহিন চৌধুরি, সবুজ আহমেদ, রাবিনা, জারা নুর, স্পর্শিয়া মিম, সাগরিকা ইসলাম মিনহা, আফরিভা খান মুমু, আকাশ ইসলাম, সুমন পাটোয়ারী, রেজবিনা মৌসুমী, আকলিমা লিজা, অদিতি জামান স্নেহা, জাহাঙ্গীর কবির , মিমো এবং জাকির সিন্টু। |
প্রধান সহকারী পরিচালক | কামরুজ্জামান রানা, আকরাম দেওয়ান, এস এল ডি সাগর, শাফায়েত, হানিফ খান |
সম্পাদনা | অনিক ইসলাম |
সহকারী সম্পাদনা | জুনায়েদ মোঃ বাঁধন |
কাহিনী সারসংক্ষেপ
এই পর্বের শুরুতেই আমরা দেখতে পাই মানিক এবং রতন পুকুরপাড়ে বসে রয়েছে। আর তারা যখন কথা বলছিল, তখন কথায় কথায় বিয়ের বিষয়টা উঠে। তারপর মালিক বলে যত কিছুই হোক না কেন, চম্মনের পিছু ছাড়বে না। রতন তখন বলে সায়েম ফকির সেদিন মারা যায় নাই। সে নিজের শশুরকে শিক্ষা দেওয়ার জন্যই এরকমটা করেছিল। মানিক তো এটা শুনে বলে, তাহলে প্যাচটা এবার আমি লাগাবো সায়েমের সাথে তার শ্বশুরের। তারপর দেখা যায় সায়েম ফকির তার শ্বশুরবাড়িতে, আর ঘরের সামনে বসে রয়েছে। তখন তার শালী তাকে শুধুমাত্র মুড়ি খেতে দেয়। এটা দেখে সে অনেক রাগ করে। আর তার শ্বশুরকে বলে যেন তার জন্য মাংস নিয়ে আসে বাজার থেকে। তারপর তার শ্বশুর বিভিন্ন কথা বলে চলে যায় বাজারে মাংস কেনার জন্য। এরপর সে তার শালির কাছ থেকে মুড়ি নিয়ে খেতে থাকে। তারপর তার বউকেও খাওয়াতে থাকে।
এরপর দেখা যায় প্রিন্স ঘরের সামনে বসে বসে গান শুনছিল। এরপর একপাশ দিয়ে সুন্দরী খালা এসে তাকে দেখে, আর দুইটা চকলেট রেখে যায় চেয়ারের উপর। সে চোখ বন্ধ করে রাখার কারণে দেখেনি। এরপর সুন্দরী খালা যখন চলে যাচ্ছিল তখন ঝুমা উনাকে দেখে ফেলে। আর বলে এখানে কি করছে। আর তিনি কে। এরকম ভাবে কিছুক্ষণ কথা হয়, কিন্তু সুন্দরী খেলা নিজের মুখ ঢেকে রেখেছিল। সুন্দরী খালা যখন চলে যায় তখন সেখানে প্রিন্স আসে। আর জিজ্ঞেস করতে থাকে কি হয়েছে। এরপর ঝুমা কথাটা বলার পর প্রিন্স বলে চকলেট কোথা থেকে এসেছে। এরপর ঝুমা বলে হয়তো মহিলাটা দিয়ে গিয়েছে। এখানে খারাপ উদ্দেশ্য থাকতে পারে, আর তাকে চকলেট খাওয়ার জন্য বারন করে দিয়ে চলে যায় সে।
এরপর দেখা যায় রবি রাস্তার পাশে দাঁড়িয়ে রয়েছে চান্দুকে মারার জন্য। তখনই সেখানে মর্জিনা আসে তার সাথে কথা বলে। আর মর্জিনা বুদ্ধি করে তখন বলে আমি আপনার সাথে প্রেম করবো, তারপরে বিয়ে করবো। আর কখনো যেন মারামারি না করে। রবি তো অনেক খুশি হয়ে যায়। আর বলে সে তাহলে কখনোই মারামারি করবে না। কিন্তু তখনই সেখানে চান্দু আসে, আর রবি দেখে তো অনেক বেশি রেগে যায়। আর তাকে লাঠি নিয়ে তখনই দৌড়াতে থাকে। এরপর দেখা যায় মানিক ফকির তার শ্বশুরবাড়িতে ভিক্ষা চাওয়ার জন্য এসেছে। তার মূল উদ্দেশ্য ছিল চম্মনকে দেখার। এরপর চম্মন ঘর থেকে বেরিয়ে আসে। তখন সে মানিকের সাথে কথা বলতে থাকে। আর তখনই সেখানে ঘর থেকে বেরিয়ে ছায়েম আসে। আর মানিককে বিভিন্ন রকম কথা বলে। এটার মধ্য দিয়ে তাদের মধ্যে ঝগড়া হয়। তারপর মানিক ফকির সেখান থেকে চলে যায়।
এরপর মানিক ফকির যখন রাস্তা দিয়ে যাচ্ছিল, তখনই চম্মানের বাবা যাচ্ছিল। মানিক তার কাছে ভিক্ষা চাওয়াতে সে তো অনেক বেশি রেগে যায়। এরপর তিনি তাকে বলে আপনাকে একটা গরম খবর দিবো। এরপর সায়েমের ব্যাপারটা বলে। সায়েম এবং কাদের ফকির মিলে কিভাবে তার শ্বশুরকে মুরগি বানিয়েছিল। এটা শুনে সায়েমের শ্বশুর রেগে গিয়ে চলে যায় সায়েমকে মারবে বলে। তারপর দেখা যায় নতুন ফকির গুলোকে, তারা রাস্তা দিয়ে যাচ্ছিল। আর নিজেদের মধ্যে কথা বলছিল। তখন সেখানে সুতা আসে, তার সাথে কিছুক্ষণ কথা বলে। এরপর আবারও দেখা যায় সায়েম কে। সে খাবারের জন্য অপেক্ষা করছিল। কারণ তার শ্বশুর এখনো বাজার থেকে খাবার নিয়ে আসেনি। এরপর যখন তার শ্বশুর আসে তখন তাকে জিজ্ঞেস করতে থাকে বিষয়টা সত্যি কিনা। এরপর সায়েম বলে আসলে ওরকম টাই। আপনি আমাকে মারার কারণেই তো আমি এরকমটা করেছি। এরপর তার শশুর তাকে বাড়ি থেকে বের করে দেয়, আর সায়েম এবং তার বউ চলে যায়।
এরপর দেখা যায় সুন্দরী খেলা এবং কাদের ফকির বসে বসে প্রেম করছিল গাছ তলায়। আর তখনই সেখানে চান্দু চলে আসে দৌড়াতে দৌড়াতে। আর তাকে বাঁচানোর জন্য বলে। এরপর সেখানে রবি আসে লাঠি নিয়ে। সুন্দরী খালা তাকে বারণ করা সত্ত্বেও সে চান্দুর পিছনে আবার ধাওয়া করে। আর তাদের পেছনে পেছনে সুন্দরী খালা ও চলে যায়। এরপর দেখা যায় ঝুমা এবং ফুলি যখন রাস্তা দিয়ে যাচ্ছিল, তখন একে অপরের সাথে ঝগড়া লেগে যায়। আর ডাক্তার আপা এসে তাদের ঝগড়া থামায়। আর তাদের দুজনকেই দুজনের বাড়িতে পাঠিয়ে দেয়। এরপর কাদের ফকিরের বাড়িরতে সায়েম ফকির অনেক রেগে আসে। আর এসেই কাদের ফকিরের সাথে ঝগড়া করতে থাকে। সে তো মনে করেছিল কাদের ফকির হয়তো তার শ্বশুরকে কথাটা বলেছে। সে যখন কথাটা বলছিল তখন সেখানে আরো কয়েকজন ফকির চলে আসে। আর সবকিছুই শুনে ফেলে। তারপর সবাই তাদের ফকিরকে বিভিন্নভাবে দোষারোপ করতে থাকে এবং ভন্ড বলতে থাকে। তারপর সবাই সেখান থেকে চলে যায়।
এরপর আবার ও মানিক এবং রতন কে দেখা যায় ভিক্ষা করছিল। আর মানিক তখন বিষয়টা খুলে বলে, সে কিভাবে প্যাচ লাগিয়েছিল। এরপর রতন বলে তাই তো ছায়েমকে শ্বশুরবাড়ি থেকে বের করে দিয়েছে। এভাবে তারা কিছুক্ষণ কথা বলে। তারপর রতন প্রিন্স এর সাথে ঝগড়া করবে বলে চলে যায়। আর মানিক চম্মনের বাড়িতে যাবে বলে চলে যায়। এরপর চেয়ারম্যান এবং মেম্বার রাস্তা দিয়ে যাওয়ার সময় তাদের দেখা হয়। আর তারা বেশ কিছুক্ষণ কথা বলতে থাকে। কথা বলার পর দুজনেই দুজনের রাস্তায় চলে যায়। এরপর দেখা যায় প্রিন্সের বন্ধুকে চন্দু এবং রবি ধরেছে। তখনই পর্ব টা শেষ হয়ে যায়। পরবর্তী পর্ব আপনাদের মাঝে খুব তাড়াতাড়ি শেয়ার করার চেষ্টা করবো।
ব্যক্তিগত মতামত
আমার কাছে এই পর্ব টাও খুব ভালো লেগেছিল। বিশেষ করে এই পর্বটাতে আরো একটা কাহিনী হয়েছে। যেটা খুব ভালো লেগেছে। আর সেই কাহিনীটা হচ্ছে মানিক ফকির চম্মনের বাবার কাছে প্যাচ লাগিয়েছিল, সাইম ফকিরকে নিয়ে। আর এর মাধ্যমেই সায়েম ফকিরের শশুর বিষয়টা জেনে যায়, এমনকি অনেক বেশি রেগে গিয়েছিল। তারপর বাড়িতে গিয়ে সায়েমকে তার বাড়ি থেকে বের করে দেয়। অন্যদিকে ঝুমা এবং ফুলির ঝগড়া তো দিন দিন বেড়েই চলেছে। তারা একে অপরকে যেখানেই দেখছে সেখানেই মারামারি করতেছে। এরপর আবার কাদের ফকিরকে সবাই ভন্ড বলতে থাকে। কারণ সায়েম ফকির কাদের ফকিরকে কথাগুলো বলার সময় সবাই শুনে ফেলেছিল। এটা নিয়ে কাদের ফকির একটু টেনশনে রয়েছে। এ পর্বের শেষে তো দেখলাম মেম্বারের একজন লোককে চান্দু এবং রবি ধরেছে। দেখা যাক তার সাথে তারা কি করে।
ব্যক্তিগত রেটিং
৯/১০
নাটকের লিংক
আমার পরিচয়
আমার নাম তাসলিমা আক্তার সনিয়া। আমি বাংলাদেশী। বাংলা ভাষা আমাদের মাতৃভাষা বলে আমি অনেক গর্বিত। আমি গ্রেজুয়েশন কমপ্লিট করেছি। আমি ছবি আঁকতে ভালোবাসি। বিশেষ করে যে কোন ধরনের পেইন্টিং করতে পছন্দ করি। যখনই অবসর সময় পায় আমি ছবি আঁকতে বসে পড়ি। এছাড়াও আমি ভ্রমণ করতে পছন্দ করি। কিছুদিন পর পর বিভিন্ন জায়গায় ভ্রমণ করার চেষ্টা করি। এছাড়াও আমি বিভিন্ন ধরনের কারুকাজ করতে পছন্দ করি। রান্না করতেও আমার খুব ভালো লাগে। আমি বিভিন্ন ধরনের রেসিপি তৈরি করতে পছন্দ করি। আমি যখনই সময় পাই আমার পরিবারের সবাইকে বিভিন্ন ধরনের রেসিপি তৈরি করে খাওয়াই। আমি সব সময় নতুন নতুন কিছু করার চেষ্টা করি।
https://twitter.com/TASonya5/status/1782984550349754639?t=lxOSKT0f-ccKd9Bjuf43tg&s=19
Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.
আপু আপনার রিভিউ পড়ে নাটকটি আর দেখতে হয় না। যত পর্ব যাচ্ছে তত যেন নাটকটি ভালোই লাগছে। আপনি কিন্তু বেশ সুন্দর করে নাটকটির রিভিউ আমাদের মাঝে শেয়ার করে যাচ্ছেন। আর আপনি তো আগরে দিনে টিভি নাটকের মত করে আগামী সপ্তাহের অপেক্ষায় রেখে দেন। হি হিহি
যেহেতু এই নাটকটা পর্বের তাই আগামী সপ্তাহের জন্য তো রেখে দিতে হবেই।
বাহ আপু আপনি আজকে আমাদের মাঝে বেশ দারুন একটি নাটক রিভিউ শেয়ার করেছেন। আসলে এই নাটকটি আমি কখনোই দেখিনি আজকেই প্রথম আপনার পোষ্টের মাধ্যমে দেখতে পেলাম। যেহেতু ফকির কাহিনী নিয়ে এই নাটকটি তৈরি করা হয়েছে তাই হয়তো বেশ হাসির এই নাটকটি। সময় পেলে অবশ্যই দেখার চেষ্টা করবো এই নাটকটি। ধন্যবাদ আপু এত সুন্দর একটি নাটক রিভিউ পোস্ট শেয়ার করার জন্য।
আসলে এই নাটকটা অনেক বেশি হাস্যকর এমন কি অনেক বেশি সুন্দর।
ফকির গ্রাম নাটকটার পর্বগুলোর রিভিউ পড়তে আমার কাছে খুব ভালো লাগতেছে। সায়েম এবং কাদের ফকিরের প্ল্যান শেষ পর্যন্ত সবাই জেনে গিয়েছে। এটার জন্য আবার কাদের ফকিরকে এখন নানা রকম কথাও শুনতে হয়েছে। সায়েম ফকিরের এখানে আবার একটা ভুল বোঝাবুঝি হয়েছে। সায়েম তো মনে করেছিল কাদের ফকির তার শ্বশুরকে কথাটা বলেছে। কিন্তু কথাটি তো মানিক ফকির বলেছিল। মানিক এই প্যাচটা লাগিয়ে দিয়ে দেখছি অনেক আনন্দে রয়েছে। মেম্বারের লোককে চান্দু এবং রবি কি করবে এটাই তো বুঝতেছি না। এটা জানার জন্য অপেক্ষায় থাকলাম। আশা করছি খুব তাড়াতাড়ি পরবর্তী পর্বের রিভিউ শেয়ার করবেন।
তুমি ঠিক বলেছ মানিক প্যাচ লাগিয়ে দিয়ে অনেক আনন্দে রয়েছে। খুব তাড়াতাড়ি চেষ্টা করব পরবর্তী পর্বের রিভিউ শেয়ার করার জন্য।
দেখতে দেখতে এই নাটকের ২১ তম পর্ব শেয়ার করে দিবেন। বাংলাদেশের নাটকের খুব সুন্দর কাহিনী থাকে। আর কাহিনী থাকে বলে এরা এতগুলো পর্ব তৈরি করতে পারে। এই নাটকের কাহিনী গুলো পড়ে ভীষণ ভালো লেগেছে। আশা করছি পরবর্তী পরবর্তী আরো বেশি ভালো হবে। এত সুন্দর একটি নাটক আমাদের মাঝে আছে রিভিউ করার জন্য আপনাকে ধন্যবাদ।
আপনাদের মাঝে প্রতি সপ্তাহে নাটকটার রিভিউ শেয়ার করার চেষ্টা করি। সম্পূর্ণ রিভিউ পোস্ট পড়ে মন্তব্য করার জন্য ধন্যবাদ।
ঈগল টিমের নাটক গুলো এখন অনেক বেশি জনপ্রিয়তা পেয়েছে। ফকির গ্রাম নাটকটি আমার বাসার সবাই দেখতে পছন্দ করেন। আমিও মাঝে মধ্যে দেখি। এধরনের নাটক গুলো দেখলে ভীষণ হাঁসি পায়। আপনার নাটক রিভিউ দেখে ভালো লাগলো আপু। অনেক সুন্দর করে নাটকটির গল্প তুলে ধরেছেন। রবির পাগলামি গুলো একটু বেশি ভালো লাগে। অনেক ধন্যবাদ আপনাকে আপু।
ঠিক কথা বলেছেন ঈগল টিমের নাটক এখন অনেক বেশি জনপ্রিয়তা পেয়েছে। রবির পাগলামি আমার নিজের কাছেও ভালো লেগেছিল।