লাইফ স্টাইল :- আমার মেয়ে নাশিয়ার জন্মদিনে কাটানো মুহূর্ত।
হ্যালো বন্ধুরা,
আসসালামু আলাইকুম, কেমন আছেন সবাই? আশা করি সবাই ভালো আছেন। আমিও আল্লাহর রহমতে ভালো আছি। প্রতিদিনের মত আজকেও আপনাদের সামনে এসে হাজির হলাম নতুন একটি পোস্ট নিয়ে। তবে আজকে আপনাদের সাথে অনেক আনন্দের একটি মুহূর্ত শেয়ার করবো । গত ৯ সেপ্টেম্বর ছিল আমার মেয়ে নাশিয়ার তৃতীয় জন্মদিন। আপনারা সবাই আমার মেয়ের জন্য দোয়া করবেন। আসলে প্রথম জন্মদিনটা অনেক জাকজমক ভাবেই পালন করেছিলাম। তবে এবারের জন্মদিন পালন করার প্রথম থেকে কোন প্ল্যান ছিল না। কিছুদিন ধরে দেখছি নাশিয়া নিজে নিজেই কোন বেলুন দেখলে কিংবা কেক দেখলে হ্যাপি বার্থডে বলে।
জন্মদিন আসছিল যেন এইসব কথাগুলো বেড়েই চলেছে। আসলে যখন ওর জন্মদিন অনেক বড় অনুষ্ঠান করেছিলাম তখন কিন্তু সে কিছুই বোঝার মত অবস্থা হয়নি। তাই জন্য ভাবলাম বেশি কিছু না করলেও নিজেদের ঘরে ঘরে অন্তত কিছুটা আয়োজন করলে মেয়েটার ভালো লাগবে। যেহেতু ও এখন কিছুটা বুঝতে শিখেছে। তাই জন্য মূলত কিছুটা আয়োজন করার চেষ্টা করলাম। আসলে এসব কিছু হঠাৎ করেই করেছিলাম। জন্মদিন পালন করার কোন প্ল্যান না থাকলেও শুধুমাত্র মেয়ের আনন্দ করার জন্যই এইটুকু করা।
আমরা নিজেরাই ঘরে একটা স্টেজ এর মত সাজিয়ে নিয়েছিলাম। আসলে নাশিয়ার জন্মদিন উপলক্ষে বেশি কাউকে দাওয়াত দেওয়া হয়নি। তবে যাদেরকে একদম না বললেই না, আমাদের ঘরের লোক তাদেরকেই বলেছি। এদের মধ্যে আমার বোনেরা এবং মা বাবা আর আমাদের নিভলু ভাইয়েরা ছিল। আসলে বেশি কিছু না করলেও নাশিয়াকে সাজানোর জন্য কিছু জিনিসপত্র কিনেছিলাম। সত্যি বলতে ওর বার্থডে ড্রেস আমি নিজেই তৈরি করেছি। নাশিয়ার জন্য সাদা এবং কালো রং দিয়ে ড্রেস তৈরি করেছি তবে যেহেতু বাহিরের কাউকে বলা হয়নি,
সে ক্ষেত্রে আমরা ঠিক করলাম আমরা সবাই মিলে নাশিয়ার ড্রেসের সাথে ম্যাচিং করে কালো ড্রেস পড়বো।
আসলে অন্য রং এর থেকে কালো ড্রেস কিন্তু সবারই কম বেশি থাকে। আর যখনই সবাইকে জিজ্ঞেস করলাম দেখলাম সবারই রয়েছে। তাই জন্য আমরা সবাই মিলে পড়ে নিয়েছি। নাশিয়ার চাচ্চু সন্ধ্যা বেলায় কেক নিয়ে এসেছিল। স্টেজ সাজানোর পর আমরা সবাই মিলে রেডি হয়ে কিছু ফটোগ্রাফি করার চেষ্টা করেছিলাম। তবে নাশিয়া এত বেশি দুষ্টামি করছিল ওর কোন ফটোগ্রাফি করতে পারছিলাম না ।
কোনভাবেই সে ছবি তুলতে দিবে না । এমনিতে নিজে নিজেই শুধু আনন্দ করছিল। অনেক চেষ্টার পর কয়েকটা ফটোগ্রাফি করেছে ওর আব্বু। তবে ভালোভাবে কোন ছবি তুলতে পারেনি। আমরা সবাই মিলে ছবি তোলার পর, এরপর সবাই কেক কাটার পালা। এরপর কেক কেটে নিয়েছে। এরপর আমি সবাইকে কেক পরিবেশন করলাম। কেক খাওয়া দাওয়া শেষ করার পর, সবার জন্য খাবার পরিবেশন করেছিলাম। আসলে বিরিয়ানির ব্যবস্থা করেছিলাম সবার জন্য। এরপরে সবাই মিলে খাওয়া দাওয়া শেষ করলো।
আসলে নিভলু ভাইয়েরা তাদের বাড়িতে চলে এসেছিল, এরপরে তারা অনুষ্ঠান শেষ হলে চলে গিয়েছিল। এরপর আমরাও খাওয়া-দাওয়া শেষ করে নিলাম। এভাবেই মূলত পুরো সময়টা কাটিয়ে নিলাম। তবে আমাদের উদ্দেশ্যটা সফল হল এটা দেখেই ভালো লেগেছে। আমার মেয়ে অনেক বেশি খুশি হয়েছিল। জন্মদিনের অনুষ্ঠান আসলে ছোটদের কে বেশি মানায়। ছোটরা আনন্দ করবে এটাই স্বাভাবিক। তবে আপনারা সবাই মেয়ের জন্য দোয়া করবেন। আজকে বিদায় নিচ্ছি। পরবর্তীতে আবার আসবো নতুন কোন বিষয় নিয়ে। এ পর্যন্ত ভালো থাকবেন।
আমার পরিচয়
আমার নাম তাসলিমা আক্তার সনিয়া। আমি বাংলাদেশী। বাংলা ভাষা আমাদের মাতৃভাষা বলে আমি অনেক গর্বিত। আমি ম্যানেজমেন্ট বিভাগের অনার্স ফাইনাল ইয়ারের একজন ছাত্রী। আমি ছবি আঁকতে ভালোবাসি। বিশেষ করে যে কোন ধরনের পেইন্টিং করতে পছন্দ করি। যখনই অবসর সময় পায় আমি ছবি আঁকতে বসে পড়ি। এছাড়াও আমি ভ্রমণ করতে পছন্দ করি। কিছুদিন পর পর বিভিন্ন জায়গায় ভ্রমণ করার চেষ্টা করি। এছাড়াও আমি বিভিন্ন ধরনের কারুকাজ করতে পছন্দ করি। রান্না করতেও আমার খুব ভালো লাগে। আমি বিভিন্ন ধরনের রেসিপি তৈরি করতে পছন্দ করি। আমি যখনই সময় পাই আমার পরিবারের সবাইকে বিভিন্ন ধরনের রেসিপি তৈরি করে খাওয়াই। আমি সব সময় নতুন নতুন কিছু করার চেষ্টা করি।
🎀 ধন্যবাদ সবাইকে 🎀 |
---|
আপনার মেয়ের জন্য জন্মদিনের অনেক অনেক শুভকামনা রইল আপু। আপনার মেয়েকে দেখতে অনেক কিউট লাগছে । আপনার মেয়ের জন্মদিন অনেক সুন্দর ভাবে পালন করেছেন। অনেক ভালো লাগলো আজকের এই সুন্দর পোস্ট দেখে। আপনার জন্য শুভকামনা রইল আপু
পোস্টটা দেখে আপনার ভালো লেগেছে জেনে ভালো লাগলো।
Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.
জন্মদিনে নাশিয়া অনেক খুশি ছিল। খুব ভালো লেগেছিল পুরো অনুষ্ঠানটি। ধন্যবাদ মামনির জন্মদিনে আমাদেরকে ইনভাইট করার জন্য।নাশিয়ার জন্য অনেক অনেক দোয়া ও শুভকামনা রইল।
আপনাদেরকেও ধন্যবাদ জানাই নাশিয়ার জন্মদিনে আসার জন্য।
আপনার মেয়ের জন্মদিনের সুন্দর কিছু মুহূর্ত আমাদের মাঝে শেয়ার করছেন যা দেখে খুবই ভালো লাগলো। আপনার মেয়ের ৩ বছর পূর্ন হয়েছে। দোয়া করি সে যেন সুস্থ থাকে ভালো থাকে আর মানুষের মত মানুষ হতে পারে।
দোয়া করবেন সব সময় এভাবে।
ইনশাআল্লাহ আপু
বোঝাই যাচ্ছে আপনার মেয়ের জন্মদিনে আপনারা সকলেই অনেক সুন্দর একটি মুহূর্ত অতিবাহিত করেছেন। এটা জেনে খুবই ভালো লাগলো যে আপনার মেয়ের জন্মদিন উপলক্ষে আপনি নিজেই ড্রেস তৈরি করেছেন এবং সেই ড্রেসের সঙ্গে ম্যাচিং করে আপনিও কালো একটি ড্রেস পড়েছেন দেখে খুবই ভালো লাগলো আপু। আসলে ছোট ছোট উপহার পেতে সকলেই অনেক বেশি পছন্দ করে। আপনার মেয়ে জন্মদিনের উপহার পেয়ে অবশ্যই অনেক বেশি খুশি। সকলের কাটানো এই সুন্দর মুহূর্তটা আমাদের সকলের মাঝে চমৎকারভাবে উপস্থাপন করার জন্য আপনাকে ধন্যবাদ।
আসলে আমরা সবাই কালো ড্রেস পড়েছি। আর প্ল্যান করে পড়া হয়েছে সবাই একসাথে কালো ড্রেস। হ্যাঁ আমার মেয়ে তো উপহার পেয়ে অনেক বেশি খুশি হয়েছিল।
প্রথমেই নাশিয়াকে জন্মদিনের অনেক শুভেচ্ছা জানাই।বাবুর আগামী দিনগুলো সুন্দর হোক এই কামনা করি।আপনারা পরিবারের সবাই মিলে বেশ উপভোগ করেছেন সময়টি।আপনাদের সবাইকে সুন্দর লাগছে ।ধন্যবাদ আপু সুন্দর পোস্টটি শেয়ার করার জন্য।
খুব ভালোভাবে উপভোগ করেছি সময়টি সত্যি কথা।
আপনার মেয়ের জন্মদিনের দিনটি অনেক সুন্দর ও আনন্দে কাটিয়েছেন।আমার বাংলা ব্লক পরিবারের অনেকেই দেখছি জন্মদিনের পার্টিতে উপস্থিত রয়েছেন। আপনাদের সকলের জন্য শুভকামনা রইল আগামী দিনগুলো আপনাদের হাসিখুশিতে কাটুক।
হ্যাঁ ভাইয়া অনেক সুন্দর ভাবে এবং আনন্দে কাটিয়েছিলাম দিনটা।
নাশিয়ার জন্মদিনে কাটানো মুহূর্তগুলো সুন্দরভাবে উপস্থাপন করেছেন দেখে অনেক ভালো লাগলো আপু। যেহেতু কালো ড্রেস সবাই মিলে নির্বাচন করেছেন তাই দেখতে আরো বেশি সুন্দর লাগছে। আসলে বাচ্চাদের খুশি দেখতে অনেক ভালো লাগে। তাই তো খুব কম সময়ে দারুন আয়োজন করেছেন আপু। আপু আপনার মেয়ের জন্য অনেক অনেক শুভকামনা রইল।
আসলে চেষ্টা করেছি সাধ্যমত কিছু একটা করার। তবে মেয়েটা অনেক খুশি হয়েছিল এবং পরিবারের সবাইও খুশি হয়েছিল।
নাশিয়া বাবুর জন্য অনেক অনেক দোয়া এবং ভালোবাসা। জন্মদিনটি উদযাপন করায় নাশিয়া বাবু দেখছি অনেক খুশি হয়েছিল। আসলে ছোট বাচ্চারা এসব অনুষ্ঠানে অনেক খুশি হয়। আপনার পরিবারের সকল সদস্যের জন্য শুভকামনা রইল আপু।
ঠিক বলেছেন ছোট বাচ্চারা এরকম অনুষ্ঠানে অনেক খুশি হয়।
বুঝতে পেরেছি আপু আসলে বাচ্চারা এমন হয়। ছবি একদম তুলতে দেয় না সবগুলো কিন্তু ভিন্ন ধরনের হয়ে যায় ছবিগুলো। গতকাল ভাইয়ার পোষ্টের মাধ্যমে জানতে পেরেছি নাশিয়া মা মনির জন্মদিন ছিল। তবে আজকে আপনি খুব সুন্দর ফটোগ্রাফি গুলোর মাধ্যমে আমাদের সাথে শেয়ার করলেন। নাশিয়া মা মনির জন্য শুভকামনা রইল। অনেক বড় মানুষ হবেন এবং অনেক বড় হয়ে মা-বাবার স্বপ্নগুলো পূরণ করবে দোয়া রইলো।
আপনারা সব সময় আমার মেয়েটার জন্য দোয়া করবেন যেন সব সময় ভালো থাকে।