নাটকের রিভিউ :- " ফকির গ্রাম " ( পর্ব ৫ )
✋হ্যালো বন্ধুরা,✋
আসসালামু আলাইকুম, কেমন আছেন সবাই? আশা করি সবাই ভালো আছেন। আমিও আল্লাহর রহমতে ভালো আছি। প্রতিদিনের মত আজকেও আপনাদের সামনে এসে হাজির হলাম। আজকে আপনাদের সাথে একটি নাটকের রিভিউ শেয়ার করব। কিছুদিন ধরে আমি " ফকির গ্রাম " এই নাটকটি দেখছিলাম । এই নাটকটি মূলত পর্ব আকারে করা হয়েছে। আজকে আমি আপনাদের সামনে এই নাটকের পাঁচ পর্ব শেয়ার করব। আশা করি নাটকটি আপনাদের ভালো লাগবে।
নাটক সম্পর্কে কিছু তথ্য :-
নাম | ফকির গ্রাম। |
---|---|
পরিচালনা | ঈগল টিম |
প্রযোজনা | কচি আহমেদ |
প্রযোজনা সহকারী | জাহাঙ্গীর আলম, বাবু আহম্মেদ, আলমগীর, ইনামুল, মারুফ, জনি। |
স্ক্রিপ্ট | সুলাইমান |
অভিনয়ে | আনোয়ারুল আলম সজল, ইফতেখার ইফতি, আজমাইল মেহেরব এলহাম, মোসাদ্দেক সাহেব, লিপু মামা, তুহিন চৌধুরি, সবুজ আহমেদ, রাবিনা, জারা নুর, স্পর্শিয়া মিম, সাগরিকা ইসলাম মিনহা, আফরিভা খান মুমু, আকাশ ইসলাম, সুমন পাটোয়ারী, রেজবিনা মৌসুমী, আকলিমা লিজা, অদিতি জামান স্নেহা, জাহাঙ্গীর কবির , মিমো এবং জাকির সিন্টু। |
প্রধান সহকারী পরিচালক | কামরুজ্জামান রানা, আকরাম দেওয়ান, এস এল ডি সাগর, শাফায়েত, হানিফ খান |
সম্পাদনা | অনিক ইসলাম |
সহকারী সম্পাদনা | জুনায়েদ মোঃ বাঁধন |
কাহিনী সারসংক্ষেপ
নাটক রিভিউ ❤️
গত পর্বের শেষে দেখেছিলাম চেয়ারম্যানের মেয়ে মেম্বারের ছেলের নামে মিথ্যা একটা বদনাম পুরো গ্রামে ছড়িয়ে দিয়েছিল। আর এটা করে সে অনেক খুশি হয়েছিল। এখন তার পরবর্তীতে কি হয়েছে এটাই দেখব। এই পর্বে দেখলাম মানিক এবং রতন ফকির ভিক্ষা করতে করতে চম্মনের বাড়িতে এসেছে। আর তাদের ঘরের সামনে দাঁড়িয়ে মানিক এবং রতন কথা বলছিল। আর কিছুক্ষণ পরে সেখানে চম্মন এসে হাজির হয়। তারপরে মানিক যখন তাকে কিছু একটা জিজ্ঞেস করেছিল, তখন সে বলে সে ভালো নেই। কারণ কাদের ফকির তার বাবাকে অভিশাপ দিয়েছে। এই বিষয়টা নিয়ে চম্মন অনেক বেশি ভয় পাচ্ছিল। তারপরে মানিক ফকির এবং রতন ফকির চম্মনকে আরো অনেক কিছু বলতে লাগলো অভিশাপের ব্যাপারে।
আর তাঁরা মেম্বারের ছেলের কথাও বলেছিল। আর এই কারনে চম্মন আরও বেশি ভয় পেয়ে ঘরের মধ্যে ঢুকে গিয়েছিল, তার বাবাকে ডাকতে ডাকতে। তারপরে মানিক এবং রতন দুজনে আবারও কথা বলছিল। এবং রতন ফকির কিছু একটা বলার কারনে, মানিক ফকির তাকে দৌড়াতে শুরু করেছিল। তারপরে দেখা যায় মেম্বারের ঘরের সামনে একটা লোক এসে দাঁড়িয়ে রয়েছে। মেম্বারের ছেলের সম্পর্কে ভালো করে কিছু জানার জন্য। আর তখন সেখানে মেম্বার আসে বাহিরে থেকে তার সাথে আরো দুইজন লোকও ছিল। এরপর লোকগুলো মেম্বারের সাথে তার ছেলেকে নিয়ে কথা বলছিল। আর তখন মেম্বারের স্ত্রী এবং ছেলে ঘর থেকে বেরিয়ে আসে। এরপর মেম্বার তার ছেলেকে জিজ্ঞেস করতে থাকে তার পেটে কি বাচ্চা নাকি।
তখন তার ছেলে বলে তার বাবাও এইরকম কথা বলতেছে। এরপর লোকগুলো তাদের সাথে আরো তর্ক করছিল। এবং কি প্রমাণ পাওয়ার চেষ্টা করছিল। এসব কিছু শোনার পরে মেম্বারের ছেলে জিদ করে বলছিল সে আর এই গ্রামেই থাকবে না। এরপর মেম্বার এবং মেম্বারের স্ত্রী লোক গুলোকে বাড়ি থেকে তাড়িয়ে দিয়েছিল। এরপর মেম্বার চেয়ারম্যানের কাছে যাচ্ছিল। এরপর কাদের ফকিরকে দেখা যায় তার মেয়ের সাথে ভিক্ষা করছিল। তখন তাদের সাথে সায়েম এবং তার বউ এর সাথে দেখা হয়। এরপর তারা কিছুক্ষণ পর্যন্ত কথা বলছিল। তখন সায়েমের বউ বলে তাকেও একটা অভিশাপ দেওয়ার জন্য। তারপরে বলেছিল তার বাবার উপরে দেওয়া অভিশাপ যেন তুলে নেয়। তখন কাদের ফকিরের মেয়ে বলে তার বাবাকে অনেক অপমান করেছিল এবং মারতেও আসছিল ওই লোকটা।
এভাবে বেশ কিছুক্ষণ পর্যন্ত তারা কথা বলছিল, তারপরে চলে যায়। তারপরে দেখা যায় চেয়ারম্যানের মেয়ে তাদের কাজের মেয়ের সাথে অভিশাপের ব্যাপারে কথা বলছিল। আর তখন সেখানে মেম্বার এসে হাজির হয়। তখন মেম্বার চেয়ারম্যানের মেয়েকে জিজ্ঞেস করতে থাকে তার বাবা কোথায়। তখন তার মেয়ে বলে তার বাবা বাসায় নেয়। এরপর চেয়ারম্যান এর মেয়ে মেম্বারকে জিজ্ঞেস করছিল কেন কি হয়েছে?তখন চেয়ারম্যান মেম্বারের মেয়েকে বলে, তার ছেলের নামে বদনাম ছড়িয়েছে ফকিররা।এরপর তারা কথা বলছিল, আর তখন চেয়ারম্যানের মেয়ে মেম্বারের কাছ থেকে তার ছেলের নাম্বার নেয়। এরপর মেম্বার সেখান থেকে চলে আসে। তারপরে চেয়ারম্যান এর কাজের মেয়ে এবং তার মেয়ে কথা বলছিল কিছুক্ষণ। তারপরে তারা ঘরে চলে যায়। এরপর রতনকে দেখা যায় কাদের ফকিরের বাড়িতে এসেছে।
তারপরে কাদের ফকিরের মেয়েকে দেখে সে তার মেয়ের সাথে কথা বলছিল। এবং তার বাবার কথা জিজ্ঞেস করছিল। এরপর বলে চান্দুকে যেন একটা অভিশাপ দেয়। এরপর মর্জিনা থাকে বলছিল চান্দু ভালো হয়ে গেছে। আর তখনই সেখানে চান্দু চলে আসে। এরপর রতন ফকির চান্দুর সাথে কথা বলতে থাকে। এরপর কিছুক্ষণ কথা বলার পরে রতন সেখান থেকে চলে যায়। আর তখন মর্জিনা রাগ করেছিল এবং চান্দু বলছিল সে এরকম কিছু করেনি। কিছুক্ষণ ধরে থাকার কথা বলছিল আর তখন চান্দু বলছিল তাকে যদি অভিশাপ দেয় তাহলে তার পেটে বাচ্চা হয়ে যাবে। এরপর মর্জিনা তাকে বলে তার জন্য একটা বাচ্চাও নিতে পারবে না। এরপর মর্জিনা ঘরে চলে যায় এবং চান্দু সেখান থেকে চলে আসে।
তারপরে দেখা যায় সব ফকিররা ফকিরদের সরদারের কাছে এসেছে। এরপর তখন তারা সবাই কথা বলছিল। আর কাদের ফকির বলে উঠলো সে আর ভিক্ষা করবে না। তখন তার মেয়ে বলেছিল ভিক্ষা না করলে সংসার চলবে কি করে। তারপরে কাদের ফকির বলল অন্যরা থাকে টাকা এনে দেবে। যদি না দেয় তাহলে তাদেরকে অভিশাপ দিয়ে দিবে। তারপরে সবাই ভয় পেয়ে যায় এবং সেখান থেকে উঠে চলে আসে। এরপর দেখা যায় মেম্বারের বাড়িতে আরো একজন লোক আসে এবং ওই লোকটার সাথে মেম্বারের বউ এবং ছেলের তর্ক হয়।এরপর লোকটা মেম্বারকে আর কখনো ভোট দেবে না বলে চলে যায়। এরপর মেম্বারের ছেলেকে চেয়ারম্যানের মেয়ে কল দেয়। এবং তাদের মধ্যে কিছু কথা কাটাকাটি হয়, মেম্বারের ছেলের গর্ভবতীর ব্যাপারে। এরপর চম্মনএর বাবাকে দেখা যায়।
তিনি চম্মনকে ডেকে বললেন যেন কাদের ফকিরের কাছে ওনাকে নিয়ে যায়। এরপর চম্মন বলে সেখানে গেলে তার বোনের বাড়িতেও যেতে হবে। প্রথমে তার বাবা রাজি না হলেও পরবর্তীতে রাজি হয়। এরপর তারা সেই উদ্দেশ্যে বের হয়। এরপর দেখা যায় মেম্বারের ছেলের কাছে তার বন্ধু আসে।তারপরে তার বন্ধুও তাকে জিজ্ঞেস করতে থাকে এই বিষয়ে। এরপর মেম্বারের ছেলে তার বন্ধুকে সব কিছু খুলে বলে। তারপরে সে বুঝতে পেরেছিল। এরপর সে সেখান থেকে চলে যায়। এরপর চম্মন এর বাবাকে দেখা যায় তার মেয়ের বাড়িতে এসেছে। এবং মেয়ে আর মেয়ের জামাইয়ের সাথে কথা বলতেছে। এরপর তার মেয়ের জামাই বলে যেন কাদের ফকিরের কাছে ক্ষমা চায়। তখন তার শ্বশুর বলে সে পারবেনা। এরপর তার জামাই তাকে বিভিন্ন কথা বলতে থাকে। আর তার স্ত্রীকে বলে এতকিছুর পরেও ওনার তেজ কমেনি। আর এখানেই পর্বটা শেষ হয়ে যায়। পরবর্তী পর্বে কি হয় এটাই দেখতে হবে।
ব্যক্তিগত মতামত
নাটকের এই পর্বটা আমার কাছে ভীষণ আকর্ষণীয় লেগেছিল। আসলে গত পর্বে আমরা দেখেছিলাম মেম্বারের ছেলের ভুয়া গর্ভবতী হওয়ার কথাটা পুরো গ্রামে ছড়িয়ে পড়েছে। আর এই ব্যাপারটা নিয়ে এ পর্বেও অনেক বেশি তোলপাড় করা হয়েছে। সবাই ভেবেছিল বিষয়টা হয়তোবা সত্যি। আবার অনেকে মেম্বারের বাড়িতে গিয়ে এই বিষয়টা যাচাই করার জন্য দেখতে গিয়েছে। সবাই ভেবেছিল হয়তো বা কাদের ফকির নিশ্চয়ই অভিশাপ দিলে সেটা ফলে যায়। কাজের ফকির আবার এই বিষয়টার সুযোগ নিয়ে নিজেও কামেল সাজার চেষ্টা করল। আসলে এই নাটকের মধ্যে গ্রাম্য পরিবেশটা একটু বেশি। তাই জন্য অনেক বেশি হাসি এবং রহস্য ময় । আশা করি আপনাদেরও নাটকটা দেখে ভালো লাগবে।
ব্যক্তিগত রেটিং
৯/১০
নাটকের লিংক
আমার পরিচয়
আমার নাম তাসলিমা আক্তার সনিয়া। আমি বাংলাদেশী। বাংলা ভাষা আমাদের মাতৃভাষা বলে আমি অনেক গর্বিত। আমি গ্রেজুয়েশন কমপ্লিট করেছি। আমি ছবি আঁকতে ভালোবাসি। বিশেষ করে যে কোন ধরনের পেইন্টিং করতে পছন্দ করি। যখনই অবসর সময় পায় আমি ছবি আঁকতে বসে পড়ি। এছাড়াও আমি ভ্রমণ করতে পছন্দ করি। কিছুদিন পর পর বিভিন্ন জায়গায় ভ্রমণ করার চেষ্টা করি। এছাড়াও আমি বিভিন্ন ধরনের কারুকাজ করতে পছন্দ করি। রান্না করতেও আমার খুব ভালো লাগে। আমি বিভিন্ন ধরনের রেসিপি তৈরি করতে পছন্দ করি। আমি যখনই সময় পাই আমার পরিবারের সবাইকে বিভিন্ন ধরনের রেসিপি তৈরি করে খাওয়াই। আমি সব সময় নতুন নতুন কিছু করার চেষ্টা করি।
Thank you, friend!
![image.png](https://steemitimages.com/640x0/https://cdn.steemitimages.com/DQmd7of2TpLGqvckkrReWahnkxMWH6eMg5upXesfsujDCnW/image.png)
![image.png](https://steemitimages.com/640x0/https://cdn.steemitimages.com/DQmWDnFh7Kcgj2gdPc5RgG9Cezc4Bapq8sQQJvrkxR8rx5z/image.png)
I'm @steem.history, who is steem witness.
Thank you for witnessvoting for me.
please click it!
(Go to https://steemit.com/~witnesses and type fbslo at the bottom of the page)
The weight is reduced because of the lack of Voting Power. If you vote for me as a witness, you can get my little vote.
Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.
https://twitter.com/TASonya5/status/1739510655974281655?t=Ludp2WTkUhwoUshIWnyU2A&s=19
আপু প্রতি সপ্তাহেই আপনি নাটকটির রিভিউ করছেন আমাদের মাঝে। আজও বেশ সুন্দর করে নাটকটির ৫ম পর্ব আমাদের মাঝে তুলে ধরেছেন। আপনার রিভিউটি পড়ে কিন্তু বেশ মজা পেলাম। দারুন সুন্দর কিন্তু নাটকটি। ধন্যবাদ আপু এত সু্ন্দর একটি নাটকের রিভিউ শেয়ার করার জন্য।
চেষ্টা করতেছি এই নাটকের পর্বগুলো সুন্দর করে শেয়ার করার। এই পর্বটাও শেয়ার করার চেষ্টা করলাম।
মন্তব্য করতে এসে পুরো নাটকটাই দেখে ফেললাম। যদিও এর আগে পর্বগুলো দেখিনি তাই খুব একটা বুঝিনি। তবে খুব মজার লেগেছে। ধন্যবাদ আপু সুন্দর একটি নাটকের রিভিউ শেয়ার করার জন্য।
মন্তব্য করতে এসে পুরো নাটক টা দেখে ফেলেছেন শুনেই ভালো লাগলো। এবার থেকে সবগুলো পর্ব দেখার চেষ্টা করবেন আশা করছি সেগুলো ও ভালো লাগবে।
আপনি ফকির গ্রাম নাটকের পঞ্চম পর্বের রিভিউ পোস্ট শেয়ার করেছেন আপু।রিভিউ পড়ে নাটকটি দেখার আগ্রহ অনেকটা বেড়ে গেল।সময় করে দেখে নিব নাটকটি।নাটকের গল্পটি ভালো লেগেছে।ধন্যবাদ সুন্দর রিভিউ পোস্টটি শেয়ার করার জন্য।
যেহেতু আগ্রহ বেড়ে গিয়েছে তাই নাটকটা দেখার চেষ্টা করবেন। পছন্দ হবে আশা করছি।