আত্মীয়ের বাড়িতে নিমন্ত্রণ খাওয়ার মুহূর্ত।
হ্যালো বন্ধুরা,
আসসালামু আলাইকুম, কেমন আছেন সবাই? আশা করি সবাই ভালো আছেন। আমিও আল্লাহর রহমতে ভালো আছি। প্রতিদিনের মত আজকেও আপনাদের সামনে এসে হাজির হলাম নতুন একটি পোস্ট নিয়ে। প্রতিদিন আপনাদের সাথে বিভিন্ন বিষয়গুলো শেয়ার করতে ভীষণ ভালো লাগে। সেই পরিপ্রেক্ষিতে আজকেও একটা বিষয় শেয়ার করতে আসলাম। কিছুদিন আগে আমাদের বাড়ির সবার নিমন্ত্রণ ছিল একটা আত্মীয়ের বাড়িতে। বিশেষ করে আমার বাবার বাড়ির, আমাদের বাড়ির এবং আমার বোনের বাড়ির সবার নিমন্ত্রণ ছিল। এজন্য আমি আগে থেকেই আমার বাবার বাড়িতে চলে গিয়েছিলাম। কারণ ,সেখান থেকে একসাথে আমরা সবাই মিলে নিমন্ত্রণ বাড়িতে যাব।
তাছাড়া আমাদের বাড়ি থেকে নিমন্ত্রণ বাড়ি খুবই কাছে। রিকশায় করে যাওয়া যায়, আবার হেঁটেও যাওয়া যায়। এইজন্য সকালবেলা উঠেই আমি নিজের কিছু কাজকর্ম সেরে নিলাম। কারণ কোথাও গেলে এরপরে আর কাজ করা হবে না। কিছু কাজ সেরে রাখলে পরবর্তীতে আর অসুবিধা হয় না। পরবর্তীতে সবাই রেডি হচ্ছিল নিমন্ত্রণ বাড়িতে যাওয়ার জন্য। আমি আগে নাশিয়াকে রেডি করে নিয়েছি। যদিও কোথাও যাওয়ার কথা শুনলেই ও নিজেই নতুন জামা কাপড় পড়ার জন্য আগ্রহ দেখায়। আর জামা কাপড় পড়ার পরে যাওয়ার জন্য তাড়া দেয়। ওকে রেডি করার পরে আমি নিজেও রেডি হতে গেলাম।
পরবর্তীতে সবাই রেডি হয়ে গেল নিমন্ত্রণ বাড়িতে যাওয়ার জন্য। যদিও সবাই রিকশা করেই গিয়েছে কিন্তু আমি আর আমার হাসবেন্ড, মেয়েসহ বাইকে করে গিয়েছিলাম। আসলে আমাদের নতুন আত্মীয়ের বাড়ি ছিল। আমি এই বাড়িতে এর আগে কখনো আসিনি। সে হিসেবে আমার জন্য নতুন। কিন্তু সবাই একত্রে যাওয়ার ক্ষেত্রে ভীষণ ভালো লেগেছে। আমরা সবাই যখন গেলাম পরবর্তীতে ওনাদের বাড়ির সবাই এসে আমাদের সাথে দেখা করে। পরবর্তীতে আমরা যখন সামনের রুমে বসলাম আমাদেরকে নাস্তা দিল। একটা বিষয় ভালো লেগেছে ওনারা প্রায় অনেকগুলো হাতে তৈরি নাস্তা দিয়েছিল। আমি আবার হাতে তৈরি নাস্তা গুলো ভীষণ পছন্দ করি। আমরা সবাই একত্রে নাস্তাগুলো খেলাম। তার সাথে আবার গল্প করলাম। সময়টা বেশি ভালোই কেটেছে।
যেহেতু নতুন গিয়েছি এজন্য আমি ওনাদের ঘরে একটু হেঁটে দেখছিলাম। কিছুক্ষণ পরেই দুপুরের খাবারের জন্য ডাকলো। পুরুষদের জন্য আলাদা খাবারের ব্যবস্থা করেছিল আর মহিলাদের জন্য আলাদা খাবারের ব্যবস্থা করেছিল। তবে যেটা বেশি ভালো লাগলো ওনারা প্রায় বিভিন্ন আইটেমের খাবার পরিবেশন করলেন। খাবারের মধ্যে ছিল, পোলাও, মাংস , দেশি মুরগির মাংস, কক মুরগির মাংস, চিংড়ি মাছ, রুই মাছ, শিং মাছ, কাচকি মাছ,ডিম, টমেটোর সস, সবজি ভর্তা, খেসারির ডাল ইত্যাদি আরো অনেক কিছু ছিল। আমি আসলে খাবারগুলোর ছবি উঠাতেই ভুলে গিয়েছি। এইজন্য আপনাদের সাথে খাবারের ছবি শেয়ার করতে পারলাম না। তবে আমি এতগুলো খাবার একসাথে খেতে পারি না।
আমার জন্য দু একটা আইটেম হলেই হয়ে যায়। তবে উনাদের রান্না গুলো বেশ ভালো হয়েছিল। আমার কাছে খেতেও ভীষণ ভালো লেগেছে। তারপর সবাই মিলে একসাথে খাওয়া দাওয়া শেষ করি। খাওয়া দাওয়া শেষ করে আমরা কিছুক্ষণ বসলাম। সবাই মিলে বসে কিছুক্ষণ গল্প করলাম। আমার কাছে মুহূর্তটা ভীষণ ভালো লেগেছে। এমনিতে কিন্তু সবার সাথে দেখা হয় না কোথাও নিমন্ত্রণে আসলেই প্রায় বিভিন্ন লোকের সাথে দেখা হয়। তখন সবার সাথে কথা বলতেও ভীষণ ভালো লাগে। ওনাদের বাড়ির সামনে একটা খুব সুন্দর জায়গা রয়েছে। আমরা সেখানে গিয়ে কিছুক্ষণ হাঁটলাম। আমার কাছে মুহূর্তটা বেশ ভালই লেগেছে।
সেখানে গিয়ে কিছু ফটোগ্রাফিও করি। ফটোগ্রাফির সাথে মুহূর্তটা বেশ অনুভব করলাম। পরবর্তীতে আবারো ঘরে এসে কিছুক্ষণ গল্প করলাম। এসব করতে করতেই বিকেল হয়ে গেল। যেহেতু বিকেল হয়ে গেল তখন বাড়িতে ফেরার পালা। এরপরে আমরা সবাই আবারো সবার থেকে বিদায় নিয়ে বাড়ির উদ্দেশ্যে রওনা দিলাম। তারপর বাড়িতে চলে আসলাম। তবে সেদিনটা ভীষণ ভালো লেগেছিল। এমনিতে আমার কাছে কোথাও নিমন্ত্রণ বাড়িতে গেলে ভালো লাগে। কারণ মুহূর্তটা ভালো কাটে। তার সাথে সাথে সবার সাথে দেখা হয়। আজকের এপর্যন্ত। পরবর্তীতে আবার আসবো নতুন কিছু নিয়ে। সবাই ভালো থাকবেন।
আমার পরিচয়
আমার নাম তাসলিমা আক্তার সনিয়া। আমি বাংলাদেশী। বাংলা ভাষা আমাদের মাতৃভাষা বলে আমি অনেক গর্বিত। আমি ম্যানেজমেন্ট বিভাগের অনার্স ফাইনাল ইয়ারের একজন ছাত্রী। আমি ছবি আঁকতে ভালোবাসি। বিশেষ করে যে কোন ধরনের পেইন্টিং করতে পছন্দ করি। যখনই অবসর সময় পায় আমি ছবি আঁকতে বসে পড়ি। এছাড়াও আমি ভ্রমণ করতে পছন্দ করি। কিছুদিন পর পর বিভিন্ন জায়গায় ভ্রমণ করার চেষ্টা করি। এছাড়াও আমি বিভিন্ন ধরনের কারুকাজ করতে পছন্দ করি। রান্না করতেও আমার খুব ভালো লাগে। আমি বিভিন্ন ধরনের রেসিপি তৈরি করতে পছন্দ করি। আমি যখনই সময় পাই আমার পরিবারের সবাইকে বিভিন্ন ধরনের রেসিপি তৈরি করে খাওয়াই। আমি সব সময় নতুন নতুন কিছু করার চেষ্টা করি।
🎀 ধন্যবাদ সবাইকে 🎀 |
---|
শুধু খাওন আর খাওন আত্মীয় বাড়িতে ঘুরতে যাওয়া যে কত মজা 🤭🤭
মনে হচ্ছে পরিবারের সবাই মিলে একসাথে অনেক সুন্দর সময় অতিবাহিত করেছেন আত্মীয় বাড়ি গিয়ে আসলে পরিবারের সবাই একসাথে হলে আনন্দটা একটু অন্যরকমই হয়।। তাছাড়া মজার মজার খাবার খেয়েছেন আপনার শেয়ার করা খাবার দেখে কিন্তু খুব লো।।
ঠিকই বলেছেন শুধু খাওন আর খাওন। অনেক ধন্যবাদ আপনাকে।
Thank you, friend!
I'm @steem.history, who is steem witness.
Thank you for witnessvoting for me.
please click it!
(Go to https://steemit.com/~witnesses and type fbslo at the bottom of the page)
The weight is reduced because of the lack of Voting Power. If you vote for me as a witness, you can get my little vote.
Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.
আত্মীয়ের বাড়িতে নিমন্ত্রণ খেতে গিয়ে চমৎকার কিছু মুহূর্ত তুলে ধরেছেন আজকে আপনার এই আলোচনা ও ফটোগ্রাফির মাধ্যমে।সত্যি বলতে খাওয়ার-দাওয়ার এর ফটোগ্রাফি করতে অনেক সময় আমি নিজেও ভুলে যাই। যাইহোক নাশিয়াকে অনেক দারুন লাগছে। দোয়া রইল নাশিয়ার জন্য।
জ্বী ভাইয়া অনেক সময় ফটোগ্রাফি করার কথা ভুলে যাই। অনেক ধন্যবাদ আপনাকে।
আত্মীয়ের বাড়িতে ঘোরাঘুরি করতে সত্যি অনেক বেশি ভালো লাগে আর এই ঘোরাঘুরির মুহূর্তে যদি বাবা মা বোন এরা সবাই পাশে থাকে তাহলে ব্যাপারটা আরো বেশি রোমাঞ্চকর হয়ে ওঠে। আত্মীয় বাড়িতে যাওয়ার জন্য আগে থেকেই বাবার বাড়ি গিয়েছিলেন এবং সেখান থেকে সকলে মিলে একত্রে গিয়েছিলেন এটা জেনে খুবই ভালো লাগলো বোঝাই যাচ্ছে সুন্দর মুহূর্ত অতিবাহিত করেছেন। যেহেতু নতুন আত্মীয়ের বাড়িতে গিয়েছেন এবং আপনারাও সেখানে নতুন প্রথম বার গিয়েছেন অবশ্যই মজাদার মজাদার খাবার খাবেন এটাই স্বাভাবিক হাহাহা। যাইহোক আপনাদের সুন্দর মুহূর্তটা আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ।
সত্যি সবার সাথে একসাথে কোথাও যেতে ভীষণ ভালো লাগে। অনেক ধন্যবাদ আপনাকে।
নতুন আত্মীয়র বাড়িতে গিয়ে বেশ ভালো সময় কাটিয়েছেন আপু আপনারা।আপনার বাড়ি থেকে নিমন্ত্রণ বাড়ি কাছে হওয়ার রিক্সায় করে গিয়েছিল,সবাই আপনি আর ভাইয়া,নাশিয়া বাইকে গিয়েছিলেন।আপনাদের কিন্তু দারুন লাগছে একসাথে আপু।নাস্তার ফটোগ্রাফি গুলো শেয়ার করেছেন,অন্য অনেক আইটেম গুলোর ফটোগ্রাফি করতে পারেন নি।ধন্যবাদ সুন্দর ব্লগটি শেয়ার করার জন্য।
জ্বী আপু অন্য খাবারের ফটোগ্রাফি করতে ভুলে গিয়েছিলাম। অনেক ধন্যবাদ আপনাকে।
আপনার আত্মিয় তো খাবার দাবারে এলাহী কান্ড করেছেন।এত গুলো আইটেম একসাথে খাওয়া বেশ কঠিন।তারা আপনাদের মন থেকে আপায়্যন করেছে তাই প্রায় নাস্তা গুলো হাতে তৈরি ছিল।ধন্যবাদ আপনাদের বেড়াতে যাওয়ার মুহুর্ত গুলো শেয়ার করার জন্য।
আসলেই ঠিক বলেছেন তারা আমাদেরকে মন থেকেই আপ্যায়ন করেছে। অনেক ধন্যবাদ আপনাকে।
https://twitter.com/TASonya5/status/1629683008101056512?t=64FrQCLa67cv28eM5BR5XA&s=19
অসাধারণ একটি মুহূর্ত কাটিয়েছেন আপু আত্নীয়ের বাড়িতে গেছেন সবাই মিলে বেশ মজার হয়েছে মুহূর্তটি। আপনি ঠিক বলছেন কোথায় গেলে আসলে আর কাজ করা হয় না আগে থেকে যদি কিছু কাজ করা হয় তাহলে কিছুটা স্বস্তি পাওয়া যায়। নতুন আত্মীয় বাড়িতে গেলেন বেশ খাওয়া-দাওয়া করলেন অসাধারণ একটি মুহূর্ত ছিল। তবে শাড়ি পরাতেই আপনাকে অনেক সুন্দর দেখাচ্ছে আপু নজর লেগে যাবে।
আপনার মন্তব্য পড়ে ভীষণ ভালো লাগলো। অনেক ধন্যবাদ আপনাকে।
আপু কোথাও বেড়াতে গেলে হাতে তৈরি নাস্তা খেলে সত্যিই তা ভালো লাগে। তখন মনে হয় অতিথি আপ্যায়নে তারা কোন খামতি রাখেনি। কেননা হাতে তৈরি খাবার তৈরি করতে বেশ ভালই পরিশ্রম ও সময়ের প্রয়োজন হয়। আর এই পরিশ্রম করে শুধু তারা বাড়িতে আসা অতিথিদের জন্য। আর সে ক্ষেত্রে আপনার আত্মীয় আপনাদের জন্য যেহেতু হাতে তৈরি নাস্তা তৈরি করেছিল তাহলে বোঝা যাচ্ছে আপনাদের কতটা আপ্যায়ন করেছে। আর এই আত্মীয় বাড়িতে নিমন্ত্রণ খাওয়ার মুহূর্তটুকু আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য অনেক অনেক ধন্যবাদ।
ঠিক বলেছেন হাতে ধরি নাস্তা গুলো বেশি ভালো লাগে। অনেক ধন্যবাদ আপনাকে।