বাঙালি রেসিপি " কুমড়ো ফুল ভর্তা"
বন্ধুরা
আপনারা সবাই কেমন আছেন? আশা করি, আপনারা সবাই ভালো আছেন। সবাইকে শুভেচ্ছা জানিয়ে শুরু করছি।বেশ কিছুদিন আমরা বাংলাদেশে ছিলাম। আজ সকালে নিজের দেশে ফিরে আসছি। বাংলাদেশের গ্রাম গুলো সত্যি অনেক সুন্দর।বাংলাদেশ গিয়ে অনেক আনন্দ করেছি আর প্রচুর ঘুরেছি সবকিছু ধীরে ধীরে
আপনাদের সাথে শেয়ার করবো। গ্রামে ঘুরতে এসে নতুন একটি রেসিপি তৈরি করেছি। এখানে এসে প্রায় প্রতিদিন খুব সকালে উঠে হাঁটতে বের হই। সকালের দিকে গ্রামের পরিবেশ দেখতে বেশ দারুন লাগে। ঘাসের ওপর হালকা হালকা শিশিরের বিন্দু। আবার সূর্যের আলো পড়ে চক চক করছে। গতকাল সকালে উঠে দেখি অনেকগুলো কুমড়ো ফুল ফুটছে। কুমড়ো ফুল ভাজা খেতে খুব ভালো লাগে তাই নিজে হাতে অনেক গুলো কুমড়ো ফুল তুলেছি। হটাৎ আমাকে বললো এই ফুল দিয়ে নতুন একটা রেসিপি তৈরি করতে পারো। কিন্তু গ্রামে মাটির চুলায় রান্না করা বেশ কঠিন। গ্রামের দিকে সবাই মাটির চুলায় রান্না করে। তাই প্রথমে একটু ঘাবড়ে গিয়েছিলাম। এরপর অনেক চিন্তা করে ভাবলাম কুমড়ো ফুল দিয়ে বিভিন্ন রকম রেসিপি তৈরি। করেছি কিন্তু কখনো ভর্তা করে খাওয়া হয় নি তাই ভাবলাম এটাই করা যাক। আর এখানে এসে দেখছি প্রায় সব বাড়ীতে তিন বার ভাত খাওয়া হয়। তাই ভাবলাম সকালে এই ভর্তা করা যাক। এই কুমড়ো ফুল ভর্তা গরম ভাতের সঙ্গে দারুন লাগে।এতটাই ভালো লেগেছিলো যে আপনাদের দাদা তো প্রায় প্রতিদিন এই কুমড়ো ফুল ভর্তা দিয়ে ভাত খেতো। তবে গ্রামে মাটির চুলায় রান্না করতে একটু কষ্ট হয়েছিলো।কিন্তু রেসিপিটি স্বাদের ছিলো তাই আর কোন কষ্ট মনে হয় নি। আর তৈরি করা খুবই সহজ। চাইলে আপনারাও একবার খেয়ে দেখতে পারেন। চলুন কথা না বাড়িয়ে আমরা মূল পর্বে ফিরে যাই।
উপকরণ:
১.কুমড়ো ফুল - পরিমান মতো
২. পেঁয়াজ কুচি - ১টি
৩. কাঁচা মরিচ -৩ টি
৪.সরিষার তেল - ২ চামচ
৫.লবণ - হাপ চামচ
প্রস্তুত প্রণালী:
১. প্রথমে কুমড়ো ফুল গুলোর বোঁটা কেটে ফেলে দিতে হবে।
২.এরপর গরম ভাত রান্না করতে হবে। ভাতের যখন জল টেনে যাবে তখন ফুল গুলো ভাতের উপর সাজিয়ে দিতে হবে। এরপর ঢাকনা দিয়ে ঢেকে দিতে হবে। প্রায় ৩০ মিনিট পর ঢাকনা তুলে নিতে হবে। দেখবেন ফুল গুলো পুরোপুরি সেদ্ধ হয়ে গেছে।
৩. এরপর একটা কড়াইতে পেঁয়াজ কুচি ও কাঁচা মরিচ বাদামি রঙের করে ভেজে নিতে হবে।
৪. সেদ্ধ ফুল গুলো ও ভাজা পেঁয়াজ ,কাঁচা মরিচ শীল বাটায় বেটে নিতে হবে। এরপর পরিমান মতো সরিষার তেল ও লবন দিয়ে মেখে নিতে হবে।
৫. সবশেষে গরম ভাতের সঙ্গে পরিবেশন করতে হবে।
তৈরি হয়ে গেল কুমড়ো ফুল ভর্তা। আশা করি আমার রেসিপিটি আপনাদের ভালো লাগবে। এটি অনেক মজাদার একটি রেসিপি। যারা ভর্তা প্রেমী তারা একবার হলেও খেয়ে দেখবেন। তবে আজ এই পর্যন্তই।সবাই ভালো থাকবেন।
ঘাসের ঢগায় একফোটা শিশির বিন্দু। তার উপর যখন সূর্যের আলো পড়ে একেবারে ঝলমল করে উঠে। আসলেই বৌদি খেতে জানলে কত কিছুই না খাওয়া যায়। এই কুমড়ো ফুলের এতো সুন্দর ভর্তা হয় সেটা আমি জানতামই না। কখনো খাইনি। কিন্তু আপনার রেসিপি টা দেখে আমার বেশ লোভ হচ্ছে বৌদি। কী অসাধারণ তৈরি করেছেন রেসিপি টা। এককথায় চমৎকার। ধন্যবাদ আমাদের সঙ্গে রেসিপি গুলো শেয়ার করে নেওয়ার জন্য।।
দিদি নতুন একটি রেসিপি শিখলাম।আমিও আপনার মতো কুমড়ো ফুল ভাজা খেয়েছি।আজ ভর্তা করতে দেখে ভীষণ ভালো লাগলো।আপনি চমৎকার ভাবে রেসিপিটি তুলে ধরেছেন। যে কেউ খুব সহজেই রেসিপিটি করে নিতে পারবে।আপনারা বাংলাদেশ থেকে চলে ও গেলেন।আশাকরি খুব সুন্দর সময় কাটিয়েছেন দিদি।সবাইকে নিয়ে খুব ভালো থাকবেন।ধন্যবাদ আপনাকে মজার এই রেসিপিটি শেয়ার করার জন্য।
বৌদি আমাদের দেশের গ্ৰাম আপনার কাছে ভালো লেগেছে জেনে খুশি হলাম। আপনি এবার গ্ৰামে গিয়ে তো দেখছি খুবই ইউনিক রেসিপি তৈরি করেছেন। হ্যাঁ বৌদি গ্ৰামে এখনো সবাই মাটির চুলায় রান্না করে। তারজন্যই সেই রেসিপি এত সুস্বাদু হয়। যাই হোক কুমড়ো ফুলে বড়া খেয়েছি কিন্তু কখনো এভাবে ভর্তা খাওয়া হয়নি। আপনার রেসিপি দেখে অবশ্যই একদিন বানিয়ে দেখবো। আপনার উপস্থাপনা খুব সুন্দর হয়েছে। গ্ৰামের মানুষ সকাল সকাল উঠে যায় বলে গ্ৰামে গেলে অনেক বেলা পর্যন্ত ঘুমানো যায় না। তবে সকালে উঠে হাঁটা স্বাস্থ্যের জন্য উপকারী। ধন্যবাদ বৌদি মজাদার ও ইউনিক রেসিপি শেয়ার করার জন্য।
এর আগে কখনোই কুমড়ো ফুলের ভর্তা দেখিনি। শুনেছি কুমড়ো ফুল দিয়ে বিভিন্ন রকম রেসিপি তৈরি করা যায় কিন্তু আমার কখনো কম্বো ফুল দিয়ে কিছু তৈরি করে খাওয়া হয়নি। আপনার রেসিপি দেখে বোঝা যাচ্ছে কুমড়ো ফুলের ভর্তাটি খুবই সুস্বাদু হয়েছে। আপনার কাছ থেকে আজকে নতুন একটি রেসিপি শিখে নিলাম। খুব সুন্দর ভাবে প্রতিটি ধাপ উপস্থাপন করেছেন যা দেখে কেউ খুব সহজে রেসিপিটি তৈরি করতে পারব ধন্যবাদ বৌদি এত সুন্দর একটি রেসিপি আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।
ভর্তা প্রেমি বলতে গরম ভাতের সাথে যে কোন ভর্তাই কিন্তু খুব সুস্বাদু হয় তবে মিষ্টি কুমড়া ভর্তা বা মিষ্টি কুমড়ার ফুল ভর্তা আমার কাছে তো আলাদাই একটি টেস্ট মনে হয়। দেখে বোঝা যাচ্ছে অনেক সুস্বাদু হবে। লোভনীয় ইউনিক রেসিপি আমাদের মাঝে তুলে ধরার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ বৌদি।
বৌদি গ্রামের পরিবেশ আপনার ভালো লেগেছে এবং সকাল সকাল উঠে অনেকগুলো ফুল নিজের হাতে তুলে দারুণ একটি রেসিপি তৈরি করেছেন। রেসিপিটি আমার কাছে অনেক ইউনিক মনে হয়েছে। কুমড়ো ফুলের পাকোড়া খাওয়া হয়েছে কিন্তু ভর্তা খাওয়া হয়নি। দারুন একটি রেসিপি আপনার মাধ্যমে শিখে নিলাম। ধন্যবাদ বৌদি আপনাকে সুন্দরও ইউনিক একটি রেসিপি আমাদের মাঝে উপস্থাপন করার জন্য।
কুমড়ো ফুল ভর্তা এর আগে আমি একবার খেয়েছিলাম আসলেই খেতে অনেক মজা হয়।
কুমড়া ফুল ভর্তার প্রসেসিং ফটোগ্রাফির সাথে সুন্দরভাবে উপস্থাপনা করেছেন।
দেখে বোঝা যাচ্ছে খেতে খুব মজা হবে।
এমন ভর্তা জাতীয় খাবার গরম ভাতে খেতে খুবই মজা হয়।
Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.
গতবছর শীতের মধ্যে মিষ্টি কুমড়ো ফুলের ভর্তা খেয়েছিলাম। যাহোক বৌদি আপনি খুবই চমৎকারভাবে কুমড়ো ফুলের ভর্তা তৈরি করেছেন। গরম ভাতের সাথে কুমড়া ফুলের ভর্তা খেতে আমার কাছে সব থেকে বেশি ভালো লাগে।
কুমড়ো ফুল ভর্তা দেখে অনেক মজাদার মনে হচ্ছে। এই রেসিপি আমার কাছে একদম নতুন লেগেছে। তাই ধাপগুলো দেখে শিখে নিলাম পরবর্তীতে তৈরি করব।