"পুরনো অ্যালবাম থেকে দার্জিলিং এর জাদুঘরের কিছু ফটোগ্রাফি"
বন্ধুরা
আশা করি, আপনারা সবাই ভালো আছেন। আপনারা জানেন গত বছর আমরা পরিবারের সবাই মিলে দার্জিলিং ঘুরতে গিয়েছিলাম।সেখানের বেশ কিছু দর্শনীয় স্থানে আমরা গিয়েছিলাম। সেখানের কিছু কিছু জায়গার ফটোগ্রাফি এর আগে আপনাদের সাথে শেয়ার করেছি।আজ আপনাদের সাথে শেয়ার করবো জাদুঘর নিয়ে। ফোনের গ্যালারি ঘাটতে ঘাটতে হটাৎ দেখি কিছু জাদুঘরের ছবি।তাই ভাবলাম আপনাদের সাথে শেয়ার করি। পাহাড়ের উপরে জাদুঘরটি তৈরি করেছিলো তাই খুব একটা বড় না। আমরা দার্জিলিং এ যাওয়ার প্রথম দিনই ঘুরতে গিয়েছিলাম চিড়িয়াখানায়। টিনটিন বাবু পশুপাখি দেখতে খুব পছন্দ করে তাই চিড়িয়াখানা গিয়েছিলাম। যদিও এর আগে চিড়িয়াখানার ছবি আপনাদের দাদার পোস্টের মাধ্যমে দেখেছেন। আমরা সেখানে গিয়ে অনেক পশু পাখি দেখেছিলাম। কিছু রং বেরঙের পাখি ছিলো।
হটাৎ টিনটিন বাবু কান্না করছিলো। আসলে খাচার ভিতরে বাঘ কে হাঁটতে দেখে ভয়ে কান্না করছিলো।এর আগে বাঘ দেখেছে শুয়ে থাকতে। তাই ওকে সেখান থেকে তাড়াতাড়ি নিয়ে গেলাম জাদুঘরে।জাদুঘরে গিয়ে বেশ আগ্রহ নিয়ে ঘুরে ঘুরে দেখছিলো। তবে জাদুঘরের ভিতরে ছবি তোলা নিষেধ ছিলো কিন্তু আমি লুকিয়ে লুকিয়ে বেশ কিছু ছবি তুলেছিলাম। বেশ কিছু সময় জাদুঘরে কাটিয়ে আমরা বেরিয়ে গিয়েছিলাম।আসলে কোথায় ঘুরতে গেলে সেই সময় গুলো যেনো খুব পার হয়ে যায়।চলুন ফটোগ্রাফি গুলো শুরু করা যাক।
খাঁচার ভেতর কিছু রং বেরঙের পাখি। যদি ও পাখি গুলোর নাম জানা নেই। আমি আসলে কোন পাখি চিনি না।আর খাঁচার ভিতরে রয়েল বেঙ্গল টাইগার ঘুরে বেড়াচ্ছে।
তারিখ: ১৮ ই নম্বেবর ২০২২,
সময়: ১২.২৮ মিনিট
স্থান:দার্জিলিং , চিড়িয়াখানা
জাদুঘরে ঘরে ঢুকতেই সুন্দর ফুলের বাগান আছে ও তার চারপাশে বড় বড় পাইন গাছ । কয়েক রকমের হাঁস পাখি সংরক্ষিত ছিলো।
তারিখ: ১৮ ই নমেম্বর ২০২২
সময়: ১২.৩৪
স্থান: দার্জিলিং , জাদুঘর
এক বড় অজগর আবার সেই জাতীয় পাখি ময়ূর ও বাঘ হরিণ শিকার করেছে দারুন দারুন কিছু ফটোগ্রাফি।
তারিখ: ১৮ ই নভেম্বর ২০২২
স্থান: দার্জিলিং, জাদুঘর
বিভিন্ন ধরনের দেশ বিদেশের অতিথী পাখি সংরক্ষণ করা হয়েছে।
তারিখ: ১৮ নভেম্বর ২০২২
স্থান: দার্জিলিং,জাদুঘর
বড় বড় হাতির পা দাঁত সংরক্ষিত আছে। আবার বিভিন্ন মশা মাছি ফড়িং রয়েছে।
তারিখ:১৮ নভেম্বর ২০২২
স্থান: দার্জিলিং, জাদুঘর
ক্যামেরা পরিচিতি - redmi 8 poro
ক্যামেরা লেন্থ: ৫ মি.মি.
ফোনের গ্যালারি ঘটতেই হঠাৎ সামনে আসলো জাদুঘরের এই সুন্দর ছবিগুলো তাই দেখতে পেলাম বৌদি ছবিগুলো।নইলে তো এগুলো আর দেখতে পেতাম না। এভাবে মাঝে মাঝে একটু গ্যালারি দেখবেন বৌদি।জাদুঘরে চিড়িয়াখানায় টিনটিন বাবু ভয় পেয়েছিল তাই জাদুঘরে চলে গিয়েছিলেন ভালই করেছিলেন বৌদি।ধন্যবাদ বৌদি সুন্দর ফটোগ্রাফি গুলো শেয়ার করার জন্য।
Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.
দার্জিলিং এর জাদুঘরে এত সুন্দর চিত্র আমি পূর্বে কখনো দেখিনি। হয়তো আপনি আপনার সংরক্ষণে অ্যালবাম রেখে দিয়েছিলেন। আপনি সেখানে বেড়াতে গিয়েছিলেন এবং অনেক সুন্দর সুন্দর ফটোগ্রাফি করেছিলেন। ওখানে বেড়াতে গিয়েছিলেন আশা করি খুবই আনন্দঘন মুহূর্ত ছিল সেই সময়। আর ওই মহামূল্যবান সময়টা আমাদের মাঝে ভাগাভাগি করে নেওয়ার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ।
দার্জিলিং এর চিড়িয়াখানা ভ্রমণ করে নিশ্চয়ই খুব সুন্দর সময় অতিবাহিত করেছিলেন সেই সময়।।
পুরনো স্মৃতিগুলো আমাদের মাঝে তুলে ধরেছেন খুবই ভালো লাগলো দেখে।। চিড়িয়াখানা ভ্রমণ করতে আমারও খুব ভালো লাগে সেখানে গেলে মন একদম ফ্রেশ হয়ে যায় বিভিন্ন ধরনের প্রাকৃতিক পরিবেশ এবং জীবজন্তু দেখে।।
ধন্যবাদ দিদি পোস্টটি আমাদের মাঝে শেয়ার করে নেওয়ার জন্য।।
দার্জিলিংয়ের জাদুঘরে গিয়ে বিভিন্ন ধরনের জীবজন্তুর খুব সুন্দর সুন্দর ফটোগ্রাফি করেছেন বৌদি। আসলে এসব জায়গা ভ্রমণ করতে আমারও খুব ভালো লাগে। কারণ জীবিত পশুপাখি এবং জীবজন্তু দেখা যায়। যাইহোক এতো সুন্দর সুন্দর ফটোগ্রাফি আমাদেরকে উপহার দেওয়ার জন্য অনেক ধন্যবাদ বৌদি।
দিদি আপনি লুকিয়ে লুকিয়ে দেখছি অনেক ফটোগ্রাফি করে ফেলেছেন 🤭। বাঘকে এতো কাছে থেকে দেখেছেন, টিনটিন বাবু দেখেই কান্না করে দিল! তবে কোনো ভালো মোমেন্টের মধ্যে আমাদের সময়গুলো কোনদিক দিয়ে চলে যায় টেরই পাওয়া যায় না দিদি। আপনার মাধ্যমে জাদুঘরের বেশ কিছু ফটোগ্রাফি দেখতে পেলাম 🌼
পাখিগুলোর দৃশ্য সত্যি দারুণ মুগ্ধকর ছিলো, তবে মাঝে মাঝে ফোন এভাবে চেক করবেন আর আমাদের সাথে সুন্দর সুন্দর দৃশ্যগুলো ভাগ করে নিবেন। ময়ূর আর ফড়িং এর দৃশ্যগুলো দারুণ লেগেছে। ধন্যবাদ
দুঃখের বিষয় ভাইয়া আমার ফোন থেকে সমস্ত ছবি মুছে গিয়েছে। তাই তো ফোন চেক করতে গিয়ে পুরনো কিছু ছবি পেলাম। ধন্যবাদ ভাইয়া
দার্জিলিং এর চিড়িয়াখানা ভ্রমণ করেছেন এবং সেখানে অনেকটা সময় অতিবাহিত করেছেন নিশ্চয় অনেক সুন্দর সময় কেটেছে। আসলে সুন্দর জায়গায় গেলে মন এমনিতেই ভালো হয়ে যায়। আর প্রকৃতির সৌন্দর্য গুলো যেন চারিদিকে সরে ছিটিয়ে রয়েছে। সেগুলোকে শুধু উপভোগ করতে হবে। আপনি আপনার পুরনো স্মৃতিগুলো আমাদের মাঝে তুলে ধরেছেন। পাখিগুলোর দৃশ্য আমাকে মুগ্ধ করেছে।
বাঘের গম্ভীর ভাবে হাটা দেখলে তো আমাদেরই কান্না পেয়ে যায়, সেখানে টিনটিন বাবু তো ছোট্ট মানুষ, ভয় পেয়ে তার কান্না পেয়ে যাওয়াটা স্বাভাবিক বৌদি। চিড়িয়াখানায় গিয়ে পশু পাখি দেখতে আমার খুবই ভালো লাগে। আমাদের কলকাতার আলিপুর চিড়িয়াখানায় গিয়েও আমি কয়েকবার ঘুরে এসেছি। যদিও এখনো কোনো সুযোগ হয়নি দার্জিলিং এর জাদুঘরের গিয়ে ঘুরে দেখার। অধিকাংশ জায়গার জাদুঘরের ভিতরে গিয়ে ছবি তুলতে নিষেধ করে তবে বৌদি তুমি লুকিয়ে ছবি তুলে বেশ ভালোই করেছ। আমরা সেখানে না গিয়েও ঘরে বসে জাদুঘর দেখার সুযোগ পেয়ে গেলাম তোমার শেয়ার করা ফটোগ্রাফির মাধ্যমে। জাদুঘরে সাজিয়ে রাখা পশু পাখির বিভিন্ন দৃশ্যগুলোও বেশ সুন্দর লাগছে দেখতে।
Grettings from Venezuela, South America. I enyoy reading your post. Beatiful picts. Congratulations.