বাঙালি রেসিপি "" বড় কাঁকড়ার ঝাল"
বন্ধুরা
আশা করি, আপনারা সবাই ভালো আছেন। সবাইকে শুভেচ্ছা জানিয়ে শুরু করছি।আজ অনেকদিন পর আবার আমার তৈরি করা রেসিপি নিয়ে চলে আসছি। অনেকদিন সেভাবে তেমন কোনো রেসিপি আপনাদের সাথে শেয়ার করতে পারছি না। গতকাল সকালে কিছু বড় কাঁকড়া কিনেছিলাম। আজ সকালে সেগুলো রান্না করেছিলাম। আর কাঁকড়া গুলো খেতে ও মজার বেশ হয়েছিলো। আপনারা যারা কাঁকড়া খেয়েছেন তারাই বুঝতে পারবেন এটি কতটা মজার খাবার। আর যারা কখনো এটা খেয়ে দেখেননি তারা একবার হলেও খাবেন। আমাদের বাড়ির সবাই এটা খেতে খুবই পছন্দ করে। আমি মাঝে মধ্যে কাঁকড়া দিয়ে বিভিন্ন ধরনের রেসিপি তৈরি করে থাকি। আর আপনারাতো জানেন আমি নতুন নতুন রেসিপি তৈরি করতে খুবই পছন্দ করি। তবে এখন দেবরের বিয়ে ঠিক হওয়ায় খুব একটা সময় করতে পারিনা। আর বুঝতেই পারছেন একমাত্র দেবরের বিয়ে। তাই এখন সেভাবে আর রেসিপি তৈরি করা হচ্ছে না। আর আপনাদের সাথে ও কোনকিছু শেয়ার করতে পারছি না।আর আপনারা আমার একটা পরিবার। তাই তো শত ব্যস্ততার মাঝেও রেসিপি শেয়ার করতে চলে আসছি। তাহলে চলুন আর বেশি কথা না বলে আমরা মূল পর্বে ফিরে যাই।
উপকরণ:
১.কাঁকড়া - ৫০০ গ্রাম
২. লম্বা করে কাটা আলু -১ টি
৩. ওলিভ ওয়েল - ৩ চামচ
৪. গোটা জিরা - ১ চামচ
৫. লবণ - স্বাদ অনুযায়ী
৬. হলুদ - ২ চামচ
৭. জিরার গুঁড়া - দেড় চামচ
৮. লাল মরিচের গুঁড়া - ২ চামচ
৯. গরম মশলা - ১ চামচ
প্রস্তুত প্রণালী:
১.প্রথমে আমি কাঁকড়া কেটে নিয়ে ভালো করে ধুয়ে পরিষ্কার করে নিয়েছি।আলু ও কেটে ধুয়ে নিয়েছি।
২. এবার চুলার উপর কড়াই বসিয়ে দিতে হবে।কড়াই গরম হয়ে গেলে তেল দিয়ে দিতে হবে। তেল গরম হয়ে গেলে গোটা জিরা দিয়ে একটু ভেজে নিয়ে কাঁকড়া গুলো দিয়ে দিতে হবে।
৩. কাঁকড়া দেওয়ার পর সামান্য লবণ ও হলুদ দিয়ে ভালো করে ভেজে নিতে হবে।
৪. কাঁকড়া গুলো ভাজা হলে আলু দিয়ে আবারো কিছুক্ষন ভেজে নিতে হবে।এরপর পরিমান মতো জল দিয়ে দিতে হবে।
৫. জল ফুটতে শুরু করলে পরিমান মতো লবণ, হলুদ, জিরা গুঁড়া ও শুকনো মরিচ গুঁড়া দিয়ে দিতে হবে। চুলার আঁচ বাড়িয়ে দিতে হবে। এভাবে কিছুক্ষন রান্না করে নিতে হবে।
৬. কিছু সময় পর দেখবেন জল কমে গিয়ে তরকারির উপর থেকে তেল উঠে এলে গরম মসলা দিয়ে দুই মিনিট জ্বাল দেওয়ার পর একটা পাত্রে নামিয়ে নিতে হবে।
তৈরি হয়ে গেল বড় কাঁকড়ার ঝাল। গরম ভাতের সঙ্গে পরিবেশন করতে হবে। এই রেসিপি তৈরি করতে খুব বেশি সময় লাগে না।আজ আমি পেঁয়াজ রসুন ছাড়াই তৈরি করেছি।পেঁয়াজ রসুন ছাড়া এতটা টেস্টি হবে ভাবতেই পারিনি। চাইলে আপনারাও তৈরি করতে পারেন। আশা করি, আজকের রেসিপিটি আপনাদের ভালো লাগবে।
বাহ! বেশ বড় সাইজের কাঁকড়া ছিলো বৌদি, আর রান্নার শেষের অংশটা দেখে তো জীবে জল চলে আসলো। কিন্তু দুঃখের কথা হলো এখনো কাঁকড়ার স্বাদ নেয়ার সুযোগ পাইনি, আর বাড়িতে বলতে গেলে তো বউ তেড়ে আসে, হি হি হি।
Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.
আমি নিজে রান্না করে তেমন একটা কাঁকড়া খাই না,তবে চট্টগ্রামে পতেঙ্গা বিচে গেলে খাওয়া হয়। তবে সেগুলো ছোট সাইজের। খেতে বেশ ভালই লাগে। আপনার কাঁকড়ার রেসিপিটি দেখে মনে হচ্ছে খেতে বেশ মজাই হবে। ধন্যবাদ বৌদি কাঁকড়ার রেসিপিটি শেয়ার করার জন্য।
কাঁকড়ার ঝাল রেসিপিটি খুব ভালো লাগলো বৌদি। আসলে ছোট ছোট কাঁকড়া একটা সময় ভাজি করে খেয়েছিলাম।তবে এত বড় কাঁকড়া খাওয়া হয়নি।দেখে বোঝা যাচ্ছে খেতে খুব ভালো হয়েছে।আর একটু ঝাল করে রান্না করলে একাটু বেশিই ভালো লাগে।অনেক অনেক ধন্যবাদ আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।ভালো থাকবেন সব সময় এই কামনা করি।
বেশ চমৎকার একটি রেসিপি নিয়ে আজকে আপনি আমাদের মাঝে উপস্থিত হয়েছেন বৌদি। ইউনিক এই রেসিপি দেখে আমি নতুন একটা রান্না সম্পর্কে ধারণা অর্জন করতে পারলাম। চমৎকার ছিল আপনার এই রেসিপি ধরন।
বৌদি, আপনি বেশ কয়েকটি উপকরণের সমন্বয়ে বড় কাঁকড়ার ঝাল রেসিপি তৈরি করেছেন। আপনার এই রেসিপি তৈরি প্রক্রিয়াটি আমার কাছে খুবই ভালো লেগেছে। মনে হচ্ছে রেসিপিটি খেতে খুবই সুস্বাদু এবং রুচি সম্মত ছিল।
বৌদি কাকরা না খাওয়ার কিছু পাবলিক রয়েছে তার মধ্যে আমি বড় রকমের একজন পাবলিক। আমি কখনো কাকড়া মাছের রেসিপি খাই নাই। তবে আপনি যেভাবে রান্না করেছেন আপনার রান্না দেখে জিভে জল চলে আসলো। নিশ্চয়ই এই রেসিপিটি খেতে অনেক সুস্বাদু হয়েছিল বৌদি। এত সুন্দর একটি রেসিপি আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ।
আমার খুব একটা কাকড়া খাওয়া হয়নি, জীবনে প্রথম পাশের বার কাঁকড়া খেয়েছিলাম একটা বুফে থেকে আপনার আজকের রেসিপি টা দেখে বেশ লোভনীয় মনে হচ্ছে, খুব সুন্দরভাবে কাঁকড়ার একটা চমৎকার রেসিপি আজকে উপস্থাপন করলেন।
অএয়াজ রসুন ছাড়াই গুড়া মসলা দিয়ে এত সহজে মজাদার বড় কাকড়ার রেসিপি শিখিয়ে দেয়ার জন্য অনেক অনেক ধন্যবাদ বৌদিদি। এত বড় কাকড়া!! একটা কাকড়াতেই কড়াই ভরে গিয়েছে। দেখেই ভালো লাগছে।
দিদি আপনি আজকে আমাদের মাঝে বেশ দারুন একটি পোস্ট তৈরি করে শেয়ার করেছেন কাঁকড়ার তৈরি রেসিপি এর আগে আমি খেয়েছি কিন্তু এখন আর খাওয়া হয় না। রসুন ছাড়া সত্যিই রেসিপি তৈরি বেশ দারুন ছিল। আসলে কাঁকড়া আমার কাছে সেই সময় বেশ ভালো লেগেছিল। ধন্যবাদ দিদি এত সুন্দর ভাবে পোস্ট তৈরি করে প্রতিটি স্টেপ আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।