"বছরের প্রথম দিন টিনটিন বাবুর প্রথমে স্কুলে ঘুরতে যাওয়ার কিছু মুহূর্ত"
বন্ধুরা
আপনারা সবাই কেমন আছেন? আশা করি, আপনারা সবাই ভালো আছেন। নতুন বছরে নতুন শহরে ঘুরতে আসা সত্যি এক অন্যরকম ভালোলাগা। এর আগে ঢাকা শহরের নাম বেশ কয়েক বার শুনেছি, তাই ভাবলাম একদিন সময় সুযোগ পেলে ঘুরতে যাবো।তাই এবার নতুন বছরে নতুন শহরে ঘুরতে চলে এলাম।আমরা এখানে যে আত্মীয়ের বাড়িতে সেই দিদির মেয়ে ক্যামব্রিয়ান স্কুলে পড়ে। এখানে এসে শুনি ১ তারিখে নাকি বই দেবে। সেই মা মনি স্কুলে বই আনতে যাবে তো সে টিনটিন বাবু কে তার স্কুলে ঘুরতে নিয়ে যাবে। বাবু ও যেতে চাইলো। আর সেই দিদি ও বললো চলো টিনটিন বাবুর ও ভালো লাগবে অনেক খেলার জায়গা রয়েছে। ভাবলাম যাই এই সুযোগে একটু বাচ্চাদের স্কুলে ঘুরে আসা হবে। পরে রেডি হয়ে আমরা ৮.৩০ টার দিকে বেরিয়ে পড়লাম। যেখানে স্কুলে যেতে পাঁচ মিনিট সময় লাগে সেখানে আমাদের যেতে লাগলো আধা ঘণ্টার মতো।
টিনটিন বাবু প্রথমে সবার সাথে প্লে ক্লাসে গিয়ে বসলো। সে একটু অবাক হয়ে গিয়েছিলো। প্রথম সে এত বাচ্চাকে একসাথে দেখছে আবার একটু ভয় ও পাচ্ছিলো নতুন জায়গা তো।আমরা ওকে সামনের মাসে স্কুলে দিবো তাই স্কুলে নিয়ে দেখছিলাম যে আসলে সে থাকতে পারবে কি না। বাবু বেশ কিছুক্ষন ওই বাচ্চাদের সাথে ক্লাসে বসে ছিলো। এরপর আমরা বই বিতরণ উৎসবে গেলাম। কিছু সময় ধরে ওই স্কুলের প্রধান শিক্ষক বাচ্চাদের ও অভিভাবক দের উদ্দেশ্যে বক্তব্য রাখলেন।এরপর বই বিতরণ উৎসব শুরু হলো।তারপর সবাইকে মিষ্টিমুখ করানো হলো নতুন বছর উপলক্ষ্যে।
খেলতে গিয়ে টিনটিন বাবু তো খুব খুশি। এত গুলো বল একসাথে দেখে সে তো খুব খুশি। বেশ কিছুক্ষণ ধরে খেলাধুলা করলো। এত খেলনা পেয়ে সে তো আর বাড়ীতে ফিরবে না। ভীষণ কান্না কাটি শুরু করে দিলো বাড়ীতে আসবে না ওখানে খেলবে।এক পর্যায়ে জোর করে ওকে বাড়ীতে নিয়ে এলাম। টিনটিন বাবু রেগে যাচ্ছিলো তাই একটা রেস্টুরেন্টে গিয়ে চিকেন ফ্রাই খেতে নিয়ে গেলাম।চিকেন ফ্রাই খেয়ে তারপর বাড়ি ফিরলো। আবার কিছু খেলনা ও কিনলো।এরপর বাড়ি ফিরে খেলতে শুরু করে দিলো।
আজ এই পর্যন্ত আগামীদিন আবার নতুন কোন পোস্ট নিয়ে আবার আসবো।ইচ্ছা আছে ঢাকা শহরটা ঘুরে দেখবো জানিনা কতদূর পারবো। কারণ যে পরিমাণ জ্যাম রাস্তায়।আমি যত ঘুরছি ততই ভাবছি এখানের লোক জন কি ভাবে চলা ফেরা করে। আমি তো এই কয়েকদিনে ক্লান্ত হয়ে যাচ্ছি।
Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.
স্কুলে নিয়ে গিয়ে ভাল করেছেন দিদি।এতে ওর স্কুল ভীতি কাটবে।স্কুলে যাওয়ার উৎসাহ পাবে।সবার সাথে অনেক ভাল সময় কাটিয়েছে টিনটিন বাবু।ওর হাসিমুখ দেখেই ভাল লাগছে।ধন্যবাদ দিদি সুন্দর মুহুর্ত গুলো শেয়ার করার জন্য।
টিনটিন বাবুর তাহলে স্কুল বেশ পছন্দ হয়েছে। খেলনা দেখেছে তাই তার ভালো লেগেছে। আসলে বাচ্চারা এরকম খেলনা পেলে বেশ খুশি হয়। বৌদি আপনার পরিবারের সকলে মিলে বাংলাদেশে এসেছেন জেনে সত্যি অনেক ভালো লেগেছে। যাই হোক টিনটিন বাবুকে যেহেতু স্কুলে দিবেন আশা করছি সে ভালোভাবেই তার স্কুলে থাকতে পারবে। আমাদের সকলের প্রিয় টিনটিন বাবুর জন্য অনেক অনেক ভালোবাসা রইলো।♥️♥️♥️♥️
প্রথমেই বাংলাদেশে সুস্বাগতম জানাই বৌদি। আমাদের শহরে আসলেই প্রচুর জ্যাম এবং এখানে বসবাস বেশ কষ্টসাধ্য। তবুও পুরোটা ঘুরে যাবেন আশাকরি।
স্কুলে টিনটিন বাবুর আনন্দ দেখে সত্যিই ভালো লাগলো। বাচ্চাদের সাথে আনন্দ করে সে আর আসতেই চাইছিল না। আশাকরি টিনটিন বাবু স্কুলে ভর্তি হলে বাচ্চাদের সাথে ভালোই মানিয়ে নিতে পারবে। পুরো পরিবারের জন্য দোয়া রইল 🥀
বাচ্চাদের এমন ই,খেলনা পেলে একেবারেই বাকি সব ভুলে যায়।তবে বাচ্চারা প্লে ফুল হলেই ভালো।বৌদি আপনার সাথে দেখা করার ইচ্ছেটা মনে হচ্ছে স্বপ্ন ই থেকে যাবে!
পৃথিবীটা গোল আপু তাই একদিন না একদিন দেখা হবে। একদিন আপনাদের ওখানে ঘুরতে যাবো। তবে এবার সম্ভব হচ্ছে না। আর পরের বার এসে যাবো।
দিদি টিনটিন বাবুর মুখে হাসি দেখে খুব ভাল লাগলো। 😍 বাচ্চারা খেলাধুলা করে খেলবে এজন্য ঢাকার বেশকিছু প্রাইভেট স্কুলগুলোতে বাচ্চাদের জন্য এমন খেলনার ব্যবস্থা করে স্কুলগুলোতে। টিনটিন বাবু তো বাসায় যেতেই চাইছে না। জ্যামের কথা আর বলিয়েন না দিদি। ঢাকা শহর আর কিছুতে পুরষ্কার না পেলেও জ্যামে ফার্স্ট পুরষ্কারটিই পাবে। আমরা এ শহরেই বাস করি। আমরা একটি কাজ নিয়ে বের হলে অন্য কোন কাজ আর করতে পারিনা। এভাবেই চলে আমাদের জীবন।অনেক ধন্যবাদ দিদি।অনেক শুভকামনা রইল আপনার জন্য।
ঢাকার শহরে ঘুরাঘুরি করার প্রধান মাথাব্যথা হলো যানজট। এই যানজটের কারণে মন চায় না কোথাও ঘুরতে যেতে। আপনারা নতুন ঢাকা শহরে এসে ঘুরতে গিয়ে ভালোই ভোগান্তির শিকার হয়েছেন। দিদি আমরা প্রতিনিয়ত শিকার হচ্ছি কিছুই করার নেই। যাইহোক, টিনটিন বাবু স্কুলের বই বিতরণের মুহূর্তে দারুন সময় উপভোগ করেছে। ছোট বাচ্চারা খেলাধুলার জিনিস পেলে বাড়ি যাওয়ার কথা ভুলে যায় এটাই স্বাভাবিক। আশা করি অনেক কিছুই দেখার আছে আপনাদের সুন্দর মুহূর্ত উপভোগ করার গল্প পড়ে অনেক ভালো লাগলো।
জ্যামের শহর ঢাকা! ৫ মিনিটের রাস্তা গাড়ি দিয়ে গেলে ৩০ মিনিট লেগে যায়! তবে শহরে হাটাঁর চর্চা থাকলে দিদি সহজেই যাওয়া যায়। আমি ঢাকা গেলে গোগল ম্যাপ অন করে হেটেঁ যাওয়ার চেষ্টা করি! যে পরিমাণ জ্যাম থাকে এতোক্ষণ বসে থাকার চেয়ে হেটেঁ যাওয়ায় ভালো! ক্যামব্রিয়ান স্কুল খুব ভালো একটা স্কুল! ভিতরের পরিবেশ দেখেই বুঝা যাচ্ছে বিনোদনের যথেষ্ট ব্যবস্থা রয়েছে! টিনটিন বাবু খুশিও হয়েছে অনেক! কয়েকদিন এভাবে স্কুলে গেলে মোটামোটি অভ্যস্ত হয়ে যাবে! আর কিছুদিন ঘুরলে দিদি এই জ্যামের সাথে মানিয়ে নিতে পারবেন 😐