"গ্রামের মেলার ভিতরে কাটানো কিছু মুহূর্ত"
বন্ধুরা
আপনারা সবাই কেমন আছেন? আশা করি, আপনারা সবাই ভালো আছেন। কিছুদিন আপনাদের সাথে কিছুই শেয়ার করতে পারিনি। আসলে অনেক দিন পর গ্রামে আসছি তো সারাদিন গ্রামের মানুষের সাথে ঘুরতে ঘুরতে আসলে সময় হচ্ছে না।আসলে শহরের মানুষের থেকে গ্রামের মানুষ অনেক সহজ সরল। এখানকার মানুষ খুব সহজে সবাইকে আপন করে নিতে পারে। যা আমাদের শহরের মানুষের মধ্যে দেখতে পাওয়া যায় না। গ্রামে না আসলে জীবনকে উপভোগ করা যায় না। আর গ্রামের মেঠো পথে প্রিয় মানুষটির সাথে হাঁটাই যেনো এক অন্য রকম আনন্দের।যা গ্রামে না আসলে বোঝাই যায় না। শীতের সময় গ্রামে অনেক জায়গায় নাম সংকীর্তন হয় আবার অনেক জায়গায় মেলা হতে ও দেখা যায়। গ্রামে এসে শুনি নাম সংকীর্তন ও মেলা বসছে। গ্রামের মেলা দেখার সুযোগ যখন পেয়েছি তখন কি আর সেটা হাত ছাড়া করা যায়। তাই আমরা বিকালে বেরিয়ে পড়লাম। আমরা একটা টোটো ভাড়া করে নিয়ে বেরিয়ে পড়লাম। আমরা আধা ঘণ্টার ভেতরে পৌঁছায় গেলাম।
গ্রামের ভিতর নাম সংকীর্তন হচ্ছে। আমরা ভেতরে গিয়ে কিছুক্ষন ছিলাম এরপর মেলার ভিতরে গেলাম।
মেলার ভিতরে ঢুকতেই আগে চোখে পড়লো পাপড়ের দোকান। আমি মেলার ভিতরে পাঁপড় খেতে খুব পছন্দ করি।তাই সবাই মিলে পাঁপড় কিনে খেলাম। এরপর বাড়ির সবার জন্য পাঁপড় কিনলাম। তারপর দেখি দেখি চটপটি আর ফুসকা।চটপটি খাবো না এটা কি হয়। আমি একা তিন প্লেট চটপটি খেলাম। যদিও আপনাদের দাদা নিষেধ করেছিলো কিন্তু কে কার কথা শোনে। তবে চটপটির স্বাদ খুব একটা ভালো ছিলো না। কিন্তু কখনো তো বাইরে চটপটি খাওয়া হয়নি তাই যত খুশি একবারে খেয়ে নিলাম।
Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.
আমাদের বাসার পাশেও একটা মন্দির আছে,ওখানে প্রায় প্রতিবছরই এমন কীর্তন হয়ে থাকে।ঘরে বসেও শোনা যায়😁।
সুন্দর মুহুর্ত কাটিয়েছেন বৌদি।খুব ভালো লাগলো দেখে।শুভ কামনা রইলো।
শহরের মানুষের মধ্যে অনেক বেশি জটিলতা দেখা যায় কিন্তু গ্রামের মানুষরা সহজে মানুষকে আপন করে নিতে পারে।শীতকালে খুব ভালো ভাবে গ্রামকে উপভোগ করা যায়।গ্রামের মধ্যে সব সময় শীতের মৌসুমে মেলা ও পিঠাপুলির উৎসব লেগে থাকে।আপনারা গ্রামে গিয়ে ভাল উপভোগ করতেছেন বেশ ভালো লেগেছে।
গ্রামের মেলায় এরকম ঘুরতে অনেক ভালো লাগে বৌদি।আর পাপড় খেতে তো বেশি ভালো লাগে মেলার।আপনারা সবাই পাপড় খেলেন এবং বাড়ির জন্য নিলেন।মেলার চটপটি খেতে তেমন ভালো লাগেনা বৌদি।কিন্তু তাও আমরা মেয়েরা সুযোগ হাতছাড়া করিনা😊আপনিও তাই করেছেন দাদার কথা শুনেন নি।আর গ্রামের মেঠো পথে প্রিয় মানুষের সাথে হাঁটার মজাই আলাদা এটা কিন্তু একদম বৌদি।সত্যি শহরের মানুষের তুলনায় গ্রামের মানুষ গুলো বেশি সহজ সরল।আর সবাইকে আপন করে নিতে পারেন তারা।ধন্যবাদ সুন্দর মুহূর্ত শেয়ার করার জন্য বৌদি।
ঠিক বলেছেন বৌদি, গ্রামের মানুষ গুলো অনেক সহজ সরল হয় এবং তারা সহজে সবাইকে আপন করে নিতে পারে। তবে এরকম গ্রামের মেলাগুলো কখনো উপভোগ করা হয়নি। যাই হোক ভালো লাগলো আপনার ফটোগ্রাফি গুলো দেখে। মুহূর্তগুলো আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য আপনাকে ধন্যবাদ বৌদি।
এটা সত্য বৌদি, শহরের মানুষজন ইট পাথরের মাঝে থাকতে থাকতে তাদের হৃদয়টাও শক্ত হয়ে গিয়েছি কিন্তু গ্রামের মানুষজন প্রকৃতির সান্নিধ্যে থাকার কারনে তারা তুলনামূলকভাবে সহজ সরল এবং ভালো মনের হয়ে থাকে। আর গ্রামীন মেলা মানেই ভিন্ন কিছুর স্বাদ নেয়ার সুযোগ। পাপড় ভাজা, দারুণ স্বাদ।
আপনার কথার সাথে আমিও একমত বৌদি শহরের মানুষের চেয়ে গ্রামের মানুষরা একটু সহজ সরল। এরকম গ্রামের মেলা আমিও আগে কখনো দেখিনি। আজ আপনার পোস্টের মাধ্যমে দেখতে পেলাম। সত্যি অন্য রকম লাগলো গ্রামের মেলা দেখে। ধন্যবাদ আপনাকে বৌদি আপনার জন্য শুভকামনা রইল।
আসলে মেলার চটপটি গুলো একটু কম মজা হয়,তবে একসাথে সবাই মিলে খেলে ভালোই লাগে।যাক বৌদি,বেশ মন ভরে খেতে পেরেছেন এবার দাদার কথা না শুনে।🤪🤪