"দুর্গা পূজার কেনাকাটা শুরু" (পর্ব - ১)
বন্ধুরা
আপনারা সবাই কেমন আছেন? আশা করি, আপনারা সবাই ভালো আছেন। সবাইকে শুভেচ্ছা জানিয়ে শুরু করছি।সামনে শারদীয়া দুর্গোৎসব তাই কেনাকাটার ধুম পড়েছে।সারাবছর যতই কেনাকাটা করি না কেন পূজার সময় কেনাকাটা না করলে চলে। তার উপর আবার এবার পূজায় বাংলাদেশ যাচ্ছি। সেখানের সকল আত্মীয় স্বজনের জন্য কিছু না নিলে চলে। বেশ কিছুদিন আগ থেকেই কেনা কাটা শুরু হয়ে গিয়েছে।একদিকে বিয়ে আবার অন্য দিকে পূজা তাই ব্যাস্ততার মাঝে সময় কাটছে। পূজার আর মাত্র আট দিন বাকি আছে।গতদিন আপনাদের দাদার ও টিনটিন বাবুর জন্য কেনাকাটা করতে গেলাম। আপনাদের দাদা নিজের জন্য কখনো কিছু কেনে না। প্রতিবছর আমি জোর করে কিনে দেই। ওর শুধু একটাই কথা আমার আছে কিছু কিনতে হবে না। প্রথমে গেলাম জুতার দোকানে বাবুর জন্য জুতা কিনতে। বাবু বাড়ি বলছে সে লাল জুতা কিনবে। আপনাদের দাদা আবার বাটা থেকে জুতা কেনে। কিন্তু আমার আবার বাটার জুতার ডিজাইন খুব একটা পছন্দ হয় না। তারপর ও বাটায় গেলাম।বাবু দোকানে প্রবেশ করে আগে চলে গেলো লাল জুতা কিনতে।
আমরা পছন্দ করলাম সুন্দর লাল কেটস।আর লাল ও ব্লু রং মিশ্রিত সুন্দর দেখতে এক জোড়া জুতা। কিন্তু সেগুলো তার পছন্দ হলো না। তার লাল এক জোড়া নরমাল জুতা পছন্দ হলো। তা ও আবার সে এক জোড়ার বেশি নিবে না। অন্য কোনো বেলায় সে সবকিছু যা কিনবে তা দুটো করে কিনে।শুধু এইবার দেখলাম সে কম দামী এক জোড়া জুতা কিনলো।যা আমাকে পুরোটাই অবাক করে দিয়েছে।
বাবুর জুতা কিনতে কিনতে ভাবলাম আমার জন্য জুতা দেখছিলাম কিন্তু আমার পছন্দ হচ্ছিলো না। ঠিক তখনই টিনটিন বাবু ও তার বাবা এসে পছন্দ করে দিলো। আমি কিছু না বলেই নিয়ে নিলাম। এরপর গেলাম সবার জন্য জামা কিনতে। তবে আমাদের জুতার দোকান থেকে বেরোতে অনেকটা সময় লেগেছিলো তাই অল্প কিছু কিনে নিয়ে বাড়ীতে চলে এলাম।আবার আপনাদের দাদার কাজের সময় হয়ে এলো তাই আর বেশি দেরি না করে চলে এলাম।
শপিংমলের ভিতরে ঘুরে ঘুরে টিনটিন বাবু তার জন্য ও তার বাবার জন্য মামার জন্য জামা প্যান্ট পাঞ্জাবী পছন্দ করছে।
Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.
ঠিকই বলেছেন বৌদি, সারা বছর যতই কিনি না কেন পূজা কিংবা ঈদ আসলে তখন যেন অন্যরকম মজা পাওয়া যায় । এই সময়টাতে শপিং করতে ভালো লাগে খুব । আর বাটাতে গেলে আমারও তেমন একটা পছন্দ হয় না ওদের কালেকশন অনেক তবে ডিজাইন টা খুব একটা ভালো হয় না ।
পূজোর কেনাকাটার ধুম পড়ে গেছে প্রতি টি বাড়িতে বাড়িতে। আপনার তো ভালোই হয়েছে এক সাথে পূজোও বিয়ের আনন্দ ও কেনাকাটা।টিনটিন বাবুসোনার পছন্দ কিন্তুু বেশ।বাচ্চা দের লাল জুতোতে বেশ ভালো লাগে। দাদার মতো আমিও বাটা ছারা জুতো কিনি না। যদিও বা আমারও বাটার ডিজাইন পছন্দ নয় কিন্তুু কিনতেই হয় কারণ আমার পা অনেক বড়ো সেজন্য বাটার ডিজাইন ছারা জুতা ছারা পায়ে হয় না সেখানেও অনেক বড়ো সাইজটা নিতে হয়।টিনটিন বাবু সোনা তো বেশ ভালোই বাচ্চা রা তো পারলে দোকান সুদ্ধ নিতে চায় কিন্তুু টিনটিন বাবু একজোড়া জুতোতেই সন্তুষ্ট হয়েছে বেশ অবাক লাগছে ।সুন্দর পোস্ট শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ আপনাকে।
বাহ টিনটিন বাবু এবার লাল জুতা নিয়েছে। টিনটিন বাবু যায় লাল জুতা পায় হা হা। দাদা না প্রায় সব ছেলেরাই প্রাপ্তবয়স্ক হয়ে গেলে বা নিজের সংসার হয়ে গেলে নিজের জন্য কিছু নিতে চাই না। আপনার জুতাটা পছন্দ করেছে টিনটিন বাবু এবং দাদা কথাটা শুনে বেশ ভালো লাগল। এরইমধ্যে দিয়ে শুরু হয়ে গেল আপনাদের পুজোর শপিং।।
সারা বছর যতই কেনাকাটা করি না কেন পূজা কিংবা ঈদে আমাদের মেয়েদের শপিং করতেই হবে। আর আমার মনে হয় সব ছেলেরাই দাদার মতো, নিজে থেকে কিছুই কিনতে চায় না। আপনার মত আমারও বাটার কালেকশনের ডিজাইনগুলো একদমই ভালো লাগেনা। যাইহোক, খুবই ভালো লাগলো বৌদি আপনার পুজোর কেনাকাটার প্রথম পর্বটি পড়ে।
তাহলে তো পূজার উদ্দেশ্যে বেশ কেনাকাটা করতেছেন দিদি আপনি। আসলে আমার ঘরে একজন আছে ছোট মেয়ে ওর সব সময় লাল লাগবে। লাল যে কোন জিনিস কিনার জন্য অনেক বেশি বিরক্ত করে। জামা কিনলেও লাল, জুতা কিনলেও লাল। সবকিছু লাল লাল কিনতে হবে তার। যাক টিনটিন তো লাল জুতা পছন্দ মত পেল। তাহলেই সিম্পল হলেও এক জোড়া নিয়ে নিল। আপনার জুতা ও পছন্দ করলেন সেই সাথে আরো অন্যান্য জিনিস কিনলেন। অনেক ভালো লাগলো মুহূর্তটি আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য।
সপ্তাহ পর পূজো তাই কেনাকাটার ধূম পরে গেছে।দেখে খুব ভালো লাগলো দিদি।সারা বছর কেনাকাটা করলে ও পুজোর সময় না কিনলে কি চলে।টিনটিন বাবু লাল জুতা কিনবে। আমার ছেলের ও লাল কেডস আছে।কোথাও গেলে খুঁজে খুঁজে ওই লাল জুতোটাই পরবে। কি একটা অবস্থা। আর এটা ঠিক বলেছেন,বাটার ডিজাইন ভালো লাগে না।যাই হোক টিনটিন বাবু লাল জুতা কিনলো জেনে ভীষণ ভালো লাগলো।অনুভূতি গুলো শেয়ার করার জন্য অনেক ধন্যবাদ আপনাকে।
আসলেই বৌদি বড় কোনো উৎসবকে কেন্দ্র করে শপিং না করলে চলেই না। আপনার মতো আমারও বাটার জুতার ডিজাইন পছন্দ হয় না। তবে এ্যাপেক্স এর জুতা মোটামুটি ভালোই লাগে। যাইহোক আপনাদের তিনজনের জুতা কেনা হয়ে গিয়েছে, এটা জেনে খুব ভালো লাগলো বৌদি। আসলে বাচ্চারা এমনই, তাইতো টিনটিন বাবু কমদামী এক জোড়া জুতা পছন্দ করেছে। যাইহোক বাংলাদেশ ভ্রমণ শুভ হোক সেই কামনা করছি।