শ্রী নিবাস অঙ্গন মায়াপুর ঘুরতে যাওয়ার আনন্দ ঘন (মুহূর্ত পর্ব -২)" মায়াপুর শ্রীচৈতন্য মঠ"
বন্ধুরা
আপনারা সবাই কেমন আছেন? আশা করি, আপনারা সবাই ভালো আছেন।সবাইকে শুভেচ্ছা জানিয়ে শুরু করছি। বেশ কিছুদিন
পর আবার চলে এলাম। কিছুদিন খুবই ব্যাস্ততার মাঝে সময় কাটছে।তাই সে ভাবে আপনাদের সাথে তেমন কিছুই শেয়ার করতে
পারছি না। তবে আজ মায়াপুর ঘুরতে যাওয়ার কিছু ফটোগ্রাফি আপনাদের সাথে শেয়ার করবো।আমি আগের পোস্টে বলেছিলাম মায়াপুর ঘুরতে যাওয়ার কথা। আমরা মায়াপুর দুইদিন ছিলাম। বাবুর স্কুল খোলার সময় হয়ে গিয়েছিলো তাই আর বেশি দিন থাকতে পারিনি। আর তখন প্রচুর পরিমাণে গরম পড়েছিলো। আসলে টিনটিন বাবু ও তার বাবা একটুও গরম সহ্য করতে পারে না। আপনাদের দাদা তো গরম পড়লে সে আর এসি রুম থেকে বের হয় না। ঠিক তেমনই হয়েছে টিনটিন বাবু। কথায় তো বলে"বাপ কা বেটা"। যাই হোক তারপরও গিয়েছিলাম।আসলে অনেক দিন ধরে মন চাই ছিলো কোথাও থেকে ঘুরে আসি। তাই সবাই মিলে বেরিয়ে পড়েছিলাম। মায়াপুরের দ্বিতীয় দিন চেয়েছিলাম খুব ভোরে ঘুরতে বের হবো। কিন্তু রাত থেকেই প্রচুর বৃষ্টি শুরু হয়ে গেল তাই ভোরে যেতে পারলাম না। তাই আমরা সকাল নয় টার সময় বেরিয়ে পড়লাম। কারণ ওই দিনই সন্ধ্যায় আমাদের বাড়ি ফেরার কথা ছিলো। তাই এর ভিতরে যতটা ঘুরা যায়। প্রথমে গেলাম মায়াপুর চৈতন্য মঠে। যদিও বাবু যেতে চাই ছিলো না। কারণ ওই যে বলেছি গরম সহ্য করতে পারে না। বৃষ্টি থেমে যাওয়ার পর থেকেই রোধ উঠে গেলো আর গরম শুরু হয়ে গিয়েছিলো। তাই ওকে ঠান্ডা করার জন্য কোল্ড ড্রিঙ্কস কিনে দিলাম। বাবু কোল্ড ড্রিঙ্কস খুব। পছন্দ করে। তাই ঠান্ডা করার জন্য কোল্ড ড্রিঙ্কস দেই। মঠে প্রবেশ করার আগে জুতা খুলে ঢুকতে হয়। তাই আপনাদের দুই দাদা জুতা খুলে ঢুকতে চাইলে না। তাই ওরা বাইরে ছিলো আমরা। ভিতরে প্রবেশ গেলাম।
চৈতন্য মঠে প্রবেশ করার করার প্রধান গেট। গেটের দুই পাশে শ্রী বিষ্ণুর মূর্তি। গেট দিয়ে ভেতরে প্রবেশ করতেই মন্দিরের পরিবেশ। আমাকে মুগ্ধ করেছিলো। কয়েক জন দৌড়ে এসেছিলো চন্দন পড়ানোর জন্য। চন্দন কপালে পড়লে তাদের ২০ টাকা দিতে হবে। তাই আমি পড়লাম না। মন্দিরে ও ঠাকুর কে ব্যাবসা করছে। এখন আর কোথাও ভক্তি বলতে কিছু নেই। ঠাকুর দেবতাদের নিয়ে ব্যাবসা। এসব দেখে খুব খারাপ লাগলো।
মঠের ভিতরে বেশ কয়েক রকমের ফুলের গাছ। আবার কয়েকটি কাঁঠাল গাছ ছিলো।
মন্দিরের ভেতরে শ্রী চৈতন্যদেবের ছেলেবেলা ও যুবক বয়সের সকল প্রকার লীলা তুলে ধরা হয়েছে।
তারিখ:১৮ ই জুন ২০২৩ সময়: সকাল ৯.৪০ মিনিট
স্থান: নবদ্বীপ মায়াপুর
Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.
শ্রী নিবাস অঙ্গন মায়াপুর ঘুরতে যাওয়ার আনন্দ ঘন সময় দেখি বেশ সুন্দর করে গুছিয়ে আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন। এসব জায়গায় ঘুরতে গেলেই মনটা যেন কেমন ভালো হয়ে যায়। প্রতিটি ফটোগ্রাফিও কিন্তু অসাধারন সুন্দর ছিল। এত সুন্দর সুন্দর ফটোগ্রাফি দেখে তো ভালোই লাগছে। ভালোই তো টিনটিন বাবু ওর বাবার মতই হয়েছে।
শ্রী নিবাস অঙ্গন মায়াপুর ঘুরতে যাওয়ার আনন্দমুখর কিছু মুহূর্ত আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন তা পড়ে অনেক ভালো লাগলো। টিনটিন বাবু গরম সহ্য করতে পারেনা এবং
কোল্ড ড্রিংস বাবুর খুব প্রিয় তা জেনে অনেক ভালো লাগলো। এত সুন্দর জায়গায় ঘুরলে মনটা অটোমেটিক ভালো হয়ে যায়। প্রতিটি ফটোগ্রাফি অনেক ভালো লেগেছে আমার। ধন্যবাদ বৌদি সুন্দর একটি পোস্ট আমাদের মাঝে উপস্থাপন করার জন্য।