মজাদার পিজ্জার রেসিপি
আসসালামুআলাইকুম সবাইকে।
আমার বাংলা ব্লগের বন্ধুরা কেমন আছেন? আশা করি সবাই ভালো আছেন। আমিও ভালো আছি আলহামদুলিল্লাহ।
আজকে আবার হাজির হয়ে গেলাম নতুন একটি পোস্ট নিয়ে। আজকে আপনাদের সঙ্গে পিজ্জার রেসিপি শেয়ার করবো। আমি বাসায় কখনো পিজ্জা বানায়নি। এবারই প্রথম বানিয়েছিলাম। বাচ্চারা খুব পছন্দ করে পিজ্জা। কিন্তু কেন যেন আমার খুব একটা ভালো লাগে না। এজন্য কখনো আগ্রহ হয়নি বানানোর। কিন্তু সেদিন বাচ্চারা খুব বায়না করছিল। তাই সব জিনিসপত্র কিনে এনে ভাবলাম যে বাসায় বানিয়ে দেই। পিজ্জা বানানো আমার কাছে খুবই ঝামেলার মনে হয়েছে। অনেক সময় লেগেছিল বানাতে। কিন্তু বানানোর পর খেতে খুবই মজা হয়েছিল। দোকানের পিজ্জা গুলোর ভিতরে এত চিকেন এবং সসেস থাকে না। আমি বেশি করে চিকেন এবং সসেস দিয়েছিলাম। বাচ্চারা যাতে খেয়ে মজা পায়। দেখতে কেমন হয়েছে জানি না খেতে কিন্তু খুবই মজাদার হয়েছিল। আশা করি আপনাদের কাছেও ভালো লাগবে।
মুরগির মাংস
সসেস
ক্যাপসিকাম
পিঁয়াজ
ইস্ট
অরিগানো পাউডার
টমেটো সস
চিলি সস
গোল মরিচের গুঁড়া
চিনি
আদা বাটা
রসুন বাটা
লবণ
তেল
মোজারেলা চিজ
প্রথমে হালকা কুসুম গরম পানি নিয়ে তার ভিতরে চিনি এবং ইস্ট দিয়েছি।
![]() | ![]() |
---|
তারপর ভালোমতো নেড়ে মিশিয়ে দিয়ে কিছু সময় অপেক্ষা করেছি। কিছু সময় পর ইস্টগুলো একটিভ হয়ে গিয়েছে।
![]() | ![]() |
---|
এ পর্যায়ে ময়দা এবং লবণ দিয়েছি।
![]() | ![]() |
---|
সবকিছু ভালো মতো মিশিয়ে রেখে দিয়েছি এক ঘন্টার জন্য।
মুরগির বুকের মাংস ছোট ছোট করে কেটে আদা বাটা, রসুন বাটা এবং লবণ দিয়ে মাখিয়ে রেখেছি আধা ঘন্টার জন্য।
![]() | ![]() |
---|
আধা ঘন্টার পর মাংসগুলোকে ভালোমতো ভেজে নিয়েছি। এই ফাঁকে ক্যাপসিকাম, পিঁয়াজ, সসেস ছোট ছোট টুকরো করে কেটে নিয়েছি।
![]() | ![]() |
---|
এক ঘন্টা পর ময়দা গুলো ডাবল হয়ে গিয়েছে। এখন হাত দিয়ে ভালো মতো মেখে একটা প্লেটের উপরে ছড়িয়ে কাটা চামচ দিয়ে কেটে নিয়েছি।
![]() | ![]() |
---|
তারপর ময়দার উপরে ভালোমতো সস দিয়ে মোজারেলা চিজ দিয়েছি। তার উপরে ক্যাপসিকাম, চিকেন এবং সসেস ভালো মতো দিয়ে দিয়েছি।
![]() | ![]() |
---|
তার উপরে আবারও বেশ খানিকটা সস এবং মজারেলা চিজ অরিগানো পাউডার দিয়েছি।
![]() | ![]() |
---|
এখন ওভেনে বেক করে নিয়েছি ৩০ মিনিট সময় ধরে।
৩০ মিনিট পর ওভেন থেকে বের করে নিয়েছি।
এভাবে আমার পিজ্জা তৈরি হয়ে গেলো। আশা করি আপনাদের ভালো লেগেছে। সময় নিয়ে আমার পোস্টটি দেখার জন্য সকলকে ধন্যবাদ। সবাই ভালো থাকবেন, সুস্থ থাকবেন। পরবর্তীতে দেখা হবে আবার নতুন কিছু নিয়ে।
ধন্যবাদ
@tania
Photographer | @tania |
---|---|
Phone | oppo reno5 |
আমি তানিয়া তমা। আমি বাংলাদেশে থাকি। ঢাকায় বসবাস করি। আমি অর্থনীতিতে অনার্স মাস্টার্স কমপ্লিট করেছি। আমি বিবাহিত। আমার দুটি ছেলে আছে। আমার শখ রান্না করা, শপিং করা,আর্ট করা, ঘুরে বেড়ানো। আমি বাংলায় কথা বলতে এবং ব্লগিং করতে ভালোবাসি। আমি আমার বাংলাদেশকে ভালবাসি। |
---|
VOTE @bangla.witness as witness OR SET @rme as your proxy

Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.
@tipu curate
;) Holisss...
--
This is a manual curation from the @tipU Curation Project.
Upvoted 👌 (Mana: 4/8) Get profit votes with @tipU :)
বাসায় ঘরোয়া উপায়ে পিজ্জা তৈরি করা যায়। আজকের পোষ্টের মাধ্যমে সেই বিষয়টা একদম সুন্দরভাবে তুলে ধরেছেন। পরিবেশন করা পিজ্জার ছবি দেখে বোঝা যাচ্ছে খেতে অনেক সুস্বাদু হবে। মজাদার এই রেসিপিটি আমাদের মাঝে তুলে ধরার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ আপু।
জি ভাইয়া খেতে অনেক বেশি সুস্বাদু হয়েছিল। ধন্যবাদ আপনার মন্তব্যের জন্য।
বাচ্চাদের বায়নার কারণে বাড়িতে পিজ্জা বানিয়েছেন জেনে ভালো লাগলো। আসলে যে কোন সুস্বাদু রেসিপি করতে বেশ খানিকটা ঝামেলা পোহাতে হয় কিন্তুু খেতে খুবই সাস্থ্যকর ও সুস্বাদু হয়ে থাকে।আপনার পিজ্জা রেসিপিটি ভীষণ লোভনীয় হয়েছে। বাচ্চারা মজা করে খেয়েছে দেখেই বুঝতে পারছি।অসাধারণ চমৎকার সুন্দর বানিয়েছেন আপু পিজ্জা টি।ধাপে ধাপে পিজ্জা তৈরি পদ্ধতি চমৎকার সুন্দর করে আমাদের সাথে ভাগ করে নিয়েছেন জন্য ধন্যবাদ আপনাকে।
বাচ্চারা যে কত কিছু বায়না করে তার কোন শেষ নেই। যাই হোক ধন্যবাদ আপনার মন্তব্যের জন্য।
বাচ্চাদের কথা কি বলবো আমার নিজের কাছেও পিৎজ্জা খেতে খুবই ভালো লাগে। আমি প্রায় তিনটা পিৎজ্জা বাসায় তৈরি করেছিলাম। অসম্ভব মজার ছিল। তবে বাসায় তৈরি করলে একটা সুবিধা হল চিকেনের পরিমাণ খুব বেশি করে দেয়া যায়। বাচ্চাদের আবদারে আপনি বাসায় চিকেন পিজা তৈরি করছেন দেখে খুব ভালো লাগলো। আমার তো ইচ্ছে করছে এখান থেকে নিয়ে খেয়ে ফেলি।
আমার কেন যেন পিজ্জা খেতে তেমন একটা ভালো লাগে না। বাচ্চাদের জন্য খেতে হয়। যাই হোক ধন্যবাদ মন্তব্যের জন্য।
বাচ্চাদের জন্যই বড়দের প্রিয় খাবারগুলো খাওয়া হয় না।
বাহ অনেক সুন্দর ভাবে পিজ্জা তৈরি করেছেন আপু। দেখে ইচ্ছা করছে খেতে। পিজ্জা তৈরির প্রতিটি ধাপ চমৎকারভাবে উপস্থাপন করেছেন। পিজ্জা খেতে আমার ভীষণ ভালো লাগে। ঘরোয়া ভাবে দারুন করে রেসিপিটা আমাদের মাঝে উপস্থাপন করেছেন। ধন্যবাদ আপু।
আপনি এই রেসিপি ফলো করে বাসায় তৈরি করে খেয়ে দেখতে পারেন আপু ভালো লাগবে আশা করি।
একবার আমাদের বাসাতেও পিজ্জা বানিয়েছিল। চিজ কিছুটা কম হলেও ভালোই লেগেছিল। আপনার রেসিপি টা সুন্দর হয়েছে। রেস্টুরেন্টের মতই হয়েছে। ধন্যবাদ।
পিজ্জাতে যত বেশি চিজ দেয়া যায় তত বেশি সুস্বাদু হয় খেতে। যাই হোক ধন্যবাদ মন্তব্যের জন্য।
গতকালই এক বন্ধুর বাড়িতে যায় নেমন্তন্ন করেছিল এবং ও হোমমেড পিজা বানিয়ে খাইছিল। ঠিক আপনার মত পদ্ধতিতেই বানানো। একসময় আমি বানাতাম কিন্তু এখন কেন জানি না আমার আর ইচ্ছে করে না পিজা বানাতে। তবে বাড়িতে বাচ্চারা খায় তো তাই মাঝে মধ্যে মনে হয় যে বানায় কিন্তু বানাবো বানাবো করে আর হয়ে ওঠেনি। আপনার প্রিজার রেসিপিটি খুব ভালো লাগলো দেখে অত্যন্ত লোভনীয় মনে হল। আসলে পিজাটি আপনি একেবারে সঠিক পদ্ধতিতে বানিয়েছেন।
মাঝেমধ্যে অনেক জিনিস বানাতে ইচ্ছা করে আবার মাঝে মধ্যে বানাতে একদমই ভালো লাগে না। যাই হোক ধন্যবাদ মন্তব্যের জন্য।