বর্ষার জন্মদিনে কিছু খুশির মুহুর্ত
বর্ষা কে তো চেনেনই। আরে যে প্রতি হ্যাং আউটে আমাদের সুন্দর সুন্দর গান শুনিয়ে মাতিয়ে রাখে। আমাদের কমিউনিটির সম্মানীত সদস্য বৃষ্টিচাকি কাকিমার বড়ো মেয়ে। আমার ছাত্রী। আমার টিউশন জীবন বেশ কিছুদিন হল। অনেক ছাত্রছাত্রী পড়িয়েছি,কিন্তু খুব এমন জায়গা ছিল যেটা পরিবারের মত হয়েছে।
টিউশন টা শুরু করেছি এইত সেদিন। প্রথমে টিচার সুলভ গাম্ভীর্য নিয়ে গেলাম,কিন্তু তারপর আস্তে আস্তে কখন যে বিন্দুর মত আরো দুটো বোন হয়ে গেল তা ভাবতেই পারিনি। এখন টিচার তো আছিই সেই সাথে ওদের বড় দাদার ভূমিকা টাও চলে এসেছে। বিন্দুর যেমন আমার বোন ওরাও তেমনি।পড়ার সময় বাদে কত যে খুনসুটি চলে৷ বিশেষ করে আমি আর অর্থি মিলে মাঝে মাঝেই ঐশী কে রাগাই। মাঝে মাঝে কাকিমাও যোগ দেয় আমাদের সাথে।
যাই হোক ঐশীর জন্মদিনের প্ল্যান আমি আর অর্থি বেশ কিছুদিন আগে থেকেই করছিলাম। তবে এটা হচ্ছিল ঐশীর অগোচরে। কাকিমাও আমাদের সাপোর্ট দিয়েছিলেন। তবে আমরা ঐশীকে রাগাচ্ছিলাম যে, ওর জন্মদিন পালন করা হবে না।জন্মদিনে কিছুই হবে না৷ এভাবে আস্তে আস্তে চলে আসল জন্মদিন এর দিন। সকাল পর্যন্ত শুধুমাত্র উইশ পর্যন্তই সীমাবদ্ধ। এরপর কেক নিয়ে গিয়ে আমি আর অর্থি মিলে সারপ্রাইজ দেই ওকে। কেক ছিল দুইটা,একটা বড় আরেকটা একদম ছোট।
ঐশী নাকি অর্থিকে বলছিল একটা ছোট কেক দিয়ে জন্মদিন করবে তাই এটা অর্থির পক্ষ থেকে ঐশীর জন্য গিফট। যাই হোক কাকিমার প্ল্যান ছিল খুব ঘরোয়াভবে ছোটখাটো করে জন্মদিন পালন করার। কিন্তু আজ পর্যন্ত কাকিমার কোন কিছুই ছোটভাবে পালন হয়না। অর্থাৎ প্রথমে ছোটই থাকে,তারপর আস্তে আস্তে লোকজন এসে বাড়ি ভরে যায়। ফলে যে লোকের বাজেট হয় তার দ্বিগুন লোক নিয়ে অনুষ্ঠান সম্পন্ন হয়।
গতকাল ও তার ব্যতিক্রম হয়নি।ফলে ঘরোয়া অনুষ্ঠান আর ঘরোয়া না থেকে অনেক বড় হয়ে যায় অনেক।হীরা ভাবি, অর্থি আর কাকিমা মিলে রান্না দেখছিল।আমি আর রিতু আমিন আন্টি পরিবেশন এর দিক সামলাচ্ছিলাম। সবাই চলে আসার পর সবাইকে নিয়ে কেক কাটা হল,এরপর সবার কাছে কেক ও খাবার পরিবেশন করা হল। তারপর কিছুক্ষণ আড্ডা। আমি অবশ্য বেশিক্ষণ থাকতে পারি নি। আমার হঠাৎ প্রচন্ড মাথাব্যাথা শুরু হয়ে গিয়েছিল। তাই সবার থেকে বিদায় নিয়ে বাসায় চলে আসি।
তাও যেটুকু সময় ছিলাম অনক মজা হয়েছে। আর কাকিমার রান্নার প্রশংসা যতই করি,সেটা কম ই হয়ে যায়। আমার মায়ের পরেই বেস্ট লাগে কাকিমার রান্না।
সামনে আমার ছাত্রী ও ছোট বোন ঐশী ssc পরীক্ষায় অংশ নেবে। আপনারা সবাই প্রার্থনা করবেন যাতে ও ভাল ফলাফল করে বাবা-মা ও স্যাররের মুখ উজ্জ্বল করতে পারে।
Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.
Thank you, friend!
I'm @steem.history, who is steem witness.
Thank you for witnessvoting for me.
please click it!
(Go to https://steemit.com/~witnesses and type fbslo at the bottom of the page)
The weight is reduced because of the lack of Voting Power. If you vote for me as a witness, you can get my little vote.
আসলেই, দিদিভাই এর রান্নার স্বাদ সেই মানে সেই! 😋😋
আর বেশ সারপ্রাইজ দেওয়া হয়েছে তাহলে ছাত্রীকে! আর ছাত্রীও তো তেমন, নিশ্চয়ই অনেকক্ষণ গাল ফুলিয়ে ছিলো এই সারপ্রাইজ এর আগে। 😂😂
প্রথমেই শুভ কামনা রইল বার্থডে গার্ল এর জন্য। আসলে আপনারা বেশ মজাই করেন বুঝা যাচেছ। প্রিয় মানুষ গুলো একটু একটু করে ভালোবাসার বন্ধনে জড়িয়ে গেছেন সবাই। বেশ ভালো করেই জন্মদিনের অনুষ্ঠানটি পালন করেছেন। তবে শুনেছি যে @bristychaki আপুর হাতের রান্না নাকি বেশ স্বাদের। কিন্তু দুঃখ হলো আর খাওয়া হলো না।
বর্ষার জন্য অনেক অনেক দোয়া এবং ভালোবাসা রইলো। বর্ষার জন্মদিনে অনেক সুন্দর সময় কাটিয়েছেন ভাইয়া। আসলে কিছু কিছু মানুষ সত্যিই অনেক আপন হয়ে যায়। যাই হোক তার যেহেতু সামনে পরীক্ষা আশা করছি পরীক্ষা অনেক ভালো হবে। হাজার হলেও আপনার ছাত্রী বলে কথা।
আপনার প্রার্থনা ভগবান যেন সত্যি করে। ধন্যবাদ আপু।
শুভ জন্মদিন ঐশী।ঐশীর জন্মদিনে সবাই দেখছি অনেক মজা করেছে।সবার পোস্ট ঐশীর জন্মদিন কে ঘিরে দেখে খুব ভালো লাগছে।ঐশীও দাদা ভাবে স্যার নয়।এভাবেই ছোট বোনকে স্নেহ দিয়ে যাও এইকামনা করছি।ধন্যবাদ সুন্দর পোস্টি শেয়ার করার জন্য।
ধন্যবাদ মামি সুন্দর মন্তব্য করার জন্য।