ওদের বাচতে দিন
বেচে থাকার জন্য প্রতি ক্ষেত্রেই আমরা প্রকৃতির উপর নির্ভরশীল।এখন প্রকৃতির সংজ্ঞা কি? আমাদের চারপাশে যা কিছু আছে তাই নিয়েই আমাদের প্রকৃতি। সংজ্ঞাটি আমি পেয়েছি চতুর্থ শ্রেণির বিজ্ঞান বই থেকে। এখন খেয়াল করুন এখানে আমরা মানুষরা যে প্রকৃতির অংশ তা কিন্তু এড়িয়ে যাওয়া হয়েছে। অবেচতন ভাবেই আমরা প্রকৃতি থেকে দূরে সরে যাচ্ছি।
আপনাদের প্রথমেই বলেছি আমরা প্রকৃতির উপর নির্ভরশীল। শুধু নির্ভরশীল নয়, বলা যেতে পারে আমরা প্রকৃতির দয়াতেই বেচে আছি। আপনি হয়ত বলতে পারেন তা কিভাবে? আগেকার দিনে হয়ত মানুষ প্রকৃতির দয়ার উপর নির্ভরশীল ছিল কিন্তু বর্তমানে তো আমরাই প্রকৃতি কে নিয়ন্ত্রন করছি।
খুবই দু:খের সাথে জানাচ্ছি,এটা যদি আপনার ধারনা হয় তবে আপনি বোকার স্বর্গে বাস করছেন,আমরা প্রকৃতির ছোট খাট কিছু জিনিস হয়ত সাময়িক প্রতিরোধ করতে পারি।কিন্তু আপনি চিন্তা করে দেখুন সামান্য কয়েক মুহুর্তের ভূমিকম্প আমাদের কতটা নাজেহাল করতে পারে।আর আমরা সেই ভূমিকম্পের পূর্বাভাস পর্যন্ত দিতে পারি না। আবার ঘুর্ণিঝড় এর পূর্বাভাস দিতে পারলেও তা প্রতিরোধ এর কোন উপায়ই আমাদের হাতে থাকে না,ঘরের কোনে বসে ঝড় থামার অপেক্ষা করা ছাড়া।
একটা সময় ছিল যখন মানুষ প্রকৃতিকে পূজা করত। প্রকৃতির রোষ কে ভয় পেত। প্রকৃতিকে সম্মান করে চলত।
কিন্তু বর্তমানে বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির অগ্রগতির ফলে আমাদের মাঝে অদ্ভূত একটি ইগো তৈরি হয়েছে। আমরা মনে মনে ভেবেই নিয়েছি আমরা প্রকৃতির অধীন না,প্রকৃতি আমাদের অধীন।আমরা প্রকৃতি কে নিয়ন্ত্রনের চেষ্টা করছি।আমরা ধরেই নিয়েছি প্রকৃতি শুধু আমাদের। আমরা যা ইচ্ছা করা শুরু করেছি।
গতকাল ফেসবুকে নিউজফিড ক্রল করছিলাম তখনই এই নিউজটি চোখে পড়ল।আপনার মনে হতেই পারে এটা আবার বড় বিষয় কি হল? হ্যা অবশ্যই অনেক বড় বিষয়।আপনি প্রকৃতির সাথে অন্যায় করলে প্রকৃতি সাথে সাথেই আপনাকে চড় মারবে না। এর প্রভাব দেখা দেবে আস্তে আস্তে। যারা ইকোসিস্টেম বা বাস্তুতন্ত্র সম্পর্কে জানেন তারা নিশ্চিত বলতে পারবেন বিষয়টি। এই প্রকৃতির প্রত্যেক প্রাণীই একে অপরের উপর নির্ভরশীল।
যেমন ভ্রমর বা মৌমাছি ফুলে ফুলে ঘুরে মধু সংগ্রহ করে এতে যেমন মৌমাছির উপকার হয়,ঠিক তেমনি আমাদের ও মস্ত উপকার হয়।মৌমাছি ফুলের মধুসংগ্রহ করার পাশাপাশি ফুলের পরাগায়ন সম্পন্ন করে। আর এই পরাগায়ন না হলে কোন ফল বা ফসলই ফলবে না৷ আর ফসল না ফললে আমরা সবাই মিলে না খেয়ে মরব। চিন্তা করুন সামান্য এক মৌমাছি না থাকলে দুনিয়া থেকে সমস্ত প্রাণী বিলুপ্ত হয়ে যাবে।
এই যে পাখিদের আটকানো হচ্ছে যাতে তারা ফসল খেতে না পারে,এটা কিন্তু সাময়িক ক্ষতি করছে না।এর দীর্ঘমেয়াদী ক্ষতি আছে। চীন একসময় এই একই কাজটি করেছিল। তারা লক্ষ লক্ষ চড়ুই পাখি হত্যা করেছিল। ফলাফল হিসেবে চীনে দেখা দিয়েছিল ভয়ানক দূর্ভিক্ষ। আমরাও যদি এভাবে চালাতে থাকি তাহলে সেই দিন বেশি দূরে নয় যেদিন আমাদের দেশ ও দূর্ভিক্ষে পতিত হবে। আমাদের মনে রাখতে হবে আমরা বিজ্ঞানে যতই উন্নতি করিনা কেন,আমরা প্রকৃতির কাছে তুচ্ছ। তাই আমাদের প্রকৃতির নিয়মকে শ্রদ্ধা করতেই হবে। মনে রাখতে হবে প্রকৃতির বিরুদ্ধাচরণ মানে নিজের পায়ে নিজে কুড়াল মারার মত।আর প্রকৃতি যতটা আমাদের ততটাই ওদের।
আমি বৃত্ত মোহন্ত (শ্যামসুন্দর)। বর্তমানে ছাত্র। নতুন কিছু শিখতে, নতুন মানুষের সাথে মিশতে আমার খুব ভাল লাগে। তেমনি বই পড়া আর ঘুরে বেড়ানো আমার পছন্দের কাজগুলোর মধ্যে অন্যতম। মুক্তমনে সব কিছু গ্রহণ করার চেষ্টা করি আর মনে প্রাণে বিশ্বাস করি,"বিশ্বজোড়া পাঠশালা মোর, সবার আমি ছাত্র"।
Thank you, friend!
I'm @steem.history, who is steem witness.
Thank you for witnessvoting for me.
please click it!
(Go to https://steemit.com/~witnesses and type fbslo at the bottom of the page)
The weight is reduced because of the lack of Voting Power. If you vote for me as a witness, you can get my little vote.
Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.
চমৎকার এবং খুব গুরুত্বপূর্ন একটি বিষয় নিয়ে পোস্ট শেয়ার করেছেন। পোস্টটি পড়ে ভীষণ ভালো লাগলো। এটা খুব সত্যি কথা প্রকৃতির সাথে অন্যায় করলে প্রকৃতি তার সবটাই ফেরত দেয়।তবে সাথে সাথে নয় ধীরে ধীরে। কারন আমরা প্রানী মাত্রই একজন অন্যজনের উপর নির্ভরশীল।তাই চক্রাকারে আমরা আমাদের ক্ষতি আমরা ই করছি।যা কিনা এক মাস, এক বছর নয়। বরং আস্তে আস্তে বোঝা যাবে।আমাদের প্রকৃতির প্রতি যত্নশীল হতে হবে। এ ছাড়া বাঁচার উপায় নেই।
ঠিক বলেছেন আপু৷ ধন্যবাদ সুন্দর মন্তব্য টির জন্য।
খুব সুন্দর কথা নিয়ে আজকের পোস্ট তোমার। একদম সব গুলো কথাই মন ছুঁয়ে যাওয়ার মতো।একদমই ঠিক বলেছো প্রকৃতি আমাদের রক্ষা কর্তা।প্রকৃতির ক্ষতি করলে প্রকৃতি চরম শিক্ষা দেয়।একদম ঠিক প্রকৃতিক দুর্যোগ কে আটকানো করার ক্ষমতা নেই আমাদের। ঘরের কোণে বসে ঝড় থামানোর অপেক্ষাটুকুই শুধু আমরা করতে পারি। খুব দুঃখজনক ঘটনা এটি।পাখি নিধন করে ফসল বাঁচানো।প্রকৃতির রক্ষায় পশুপাখি, কীটপতঙ্গ, গাছ পালা কোন না কোন ভাবে প্রকৃতির ভারসম্য রক্ষা করে থাকে।সত্যি খুব দুঃখজনক ও অমানবিক ঘটবা এটি।চীনের মতো পাখি নিধনের কারনে দুর্ভিক্ষ মতো ঘটনার পুনরাবৃত্ত না হোক বাংলাদেশ। ধন্যবাদ সুন্দর সচেতনতা মূলক পোস্ট টি করার জন্য।
আপনার ভালো লেগেছে এতেই আমার স্বার্থকতা।ধন্যবাদ মামি সুন্দর মন্তব্যের জন্য।
আপনার পোস্টটি পড়ে ভীষণ ভালো লাগলো ভাইয়া।আসলেই আমাদের চার পাশে যা আছে সবই তো আমাদের প্রকৃতির আওতায়।তাই শস্য বাঁচাতে গিয়ে পাখি হত্যা এটি কোনোভাবেই কাম্য নয়।এভাবে চলতে থাকলে হয়তো একসময় চীনের মতো আমাদের দেশেও দুর্ভিক্ষ হবে। কেননা প্রকৃতির একটা বিচার থাকে।ভালো লাগলো পোস্টটি।ধন্যবাদ ভাইয়া সুন্দর পোস্টটি শেয়ার করার জন্য।
আপনাকেও ধন্যবাদ সুন্দর মন্তব্য করার জন্য।
খুব দারুণ কিছু কথা বলেছো বৃত্ত! তবে আজকাল আসলেই বেশির ভাগ মানুষ বোকা স্বর্গে বসবাস করে। বোকা মানুষ ভুলে যায় প্রকৃতির সাথে খারাপ করলে প্রকৃতি অবশ্যই অবশ্যই তার রিভেন্স নেয়। করোনার সময়ও আমরা এর উদাহরণ দেখেছি, তারপরও ভুলে যাই আমরা। আমরা ভাবি - আমরাই সেরা!
হ্যা মাসি এই ইগোটাই আমার ধ্বংস ডেকে আনছে। ধন্যবাদ মাসি সুন্দর মন্তব্য করার জন্য।
স্ক্রিনশটটি যে পোর্টাল থেকে নেওয়া হয়েছে সেই খানের একটি লিংক অ্যাড করে দিন।
দিয়েছি ভাইয়া৷ ধন্যবাদ।
আমিও কালকে ফেসবুকে নিউজফিডে এই নিউজ দেখেছিলাম।
একদম সঠিক কথা বলেছেন ভাই।