গ্রে-৫
গত পর্বে:
যাই হোক,"এলাকার লোকদের প্রতি অভিমান থেকে আস্তে আস্তে ঘৃণা জমতে শুরু করল।মনে হচ্ছিল আমার চারপাশের বাতাস যেন ঘন হয়ে এসেছে,নিশ্বাস বন্ধ হয়ে আসত। আমি ঢাকায় চলে আসলাম।কিন্তু খোজ থামাইনি। কার নির্দেশে আমার বাবার প্রাণ গেল তা খুজে বের করার পণ করেছিলাম।ভার্সিটির রাজনীতী তে যোগ দিলাম।তবে আমার বাবার মত আদর্শবান নেতা হলাম না।হলাম সুবিধাবাদী নেতা।এতে দুইটা সুবিধা হল,প্রথমত পরিবারের জন্য টাকার চিন্তা থাকল না,দ্বিতীয়ত কানেকশন তৈরি হচ্ছিল।
বর্তমান পর্বে:
ছোট থেকেই একটা গুণ ছিল আমার,মানুষের সাথে একটু মিশলেই বুঝতে পারতাম সে কিভাবে আমার কন্ট্রোলে আসবে। এই গুণের জন্যে একদম তৃণমূল থেকে টপে আসতে বেশি সময় লাগল না। এলাকার যে ছেলেপেলেরা ভার্সিটিতে ভর্তি হত তাদের মধ্যে বেছে বেছে পোলাপান দলে ভিড়াতে লাগলাম,হলে সিট দিয়ে,গ্যাঞ্জাম লাগলে উদ্ধার করে, শেল্টার দিয়ে পোলাপান এর প্রিয় বড় ভাই হয়ে উঠলাম।এর মাঝে এক ছোট ভাই ছিল আমার খুব কাছের। কয়েকদিন দেখেই বুঝেছিলাম এই পোলা ক্যাডার ম্যাটেরিয়াল।খালি একটু উৎসাহ দেওয়া দরকার।
আর এই কাজে আমার জুড়ি নেই৷ ফলে খুব শীঘ্রই সে ভার্সিটি তো বটেই এলাকার ত্রাস হয়ে উঠল।ওকে খোজ নিতে বললাম, তবে ওকে পুরো ঘটনা খুলে বলি নি। ঐ ছেলেই কয়দিন আগে খোজ দিল এই নেতাই আমার বাবার খুনের পেছনের গডফাদার। তখন থেকেই ছক কষা শুরু করলাম।যদিও নেতার ক্ষমতা কিছু বেড়েছে।এলাকায় আরো কিছু কারখানা হয়েছে,এছাড়াও অনেক স্পেশাল প্রজেক্ট। নেতার পকেট গরম।আর পকেট গরম থাকলে বাংলাদেশে কি চামচার অভাব।যেখানেই যায় সারাক্ষণ প্রচুর লোকজন সাথে থাকে। তাই বাইরে হিট নিতে পারি নাই।
ক্যাডার দিয়ে হিট নেওয়া যেত কিন্তু দুই দলের মারামারি হাতের বাইরে চলে গেলে সমস্যা দেখা দেবে। মিডিয়া বেশি জল ঘোলা করবে।তখন আমার গড ফাদার রা আবার আমার মাথা থেকে হাত তুলে নিবে। তাই ভাবছিলাম কাজ টা নিজেই শেষ করব। কিন্তু সালার কপাল ভাল,আপনি আমাকে ধরে ফেলেন।নইলে আজ ওরে জমের দুয়ারে পাঠাতাম।এই বলে আমার বন্দী কথা শেষ করল।ওর কথা শুনে আমার হাসিই পেল।যেভাবে বন্দুক ধরে বসে ছিল।তাতে নেতা তো মরতই না,উলটে নিজে ধরা পড়ে যেত। তারপর বাকি জীবন জেলখানায় পচত।
কিন্তু এখন একে নিয়ে কি করব? ছেড়ে দেব নাকি খুলি ফুটো করব এটাই হল কথা। এ যদি ফাস করে আমার কথা তাইলে আমার বিপদ,আবার মেরে দিলেও অনেক সময় নষ্ট।অনেক ভাবার পর ঠিক করলাম একটু হুমকি দিয়ে ছেড়ে দেব। ছেলেটিকে বললাম,"দেখো তোমার ইস্যু নিয়ে আমার কোন মাথা ব্যাথা নেই,তবে যাও তোমার পরিশ্রম আর পাপ আমি কমিয়ে দিলাম।তোমার বাবার খুনীকে খুন করার দায়িত্ব আমার।গিয়ে পরিবার দেখো। এই রাস্তা তোমার নয়,আমি না পৌছালে এতক্ষণ আমার বদলে পুলিশ তোমাকে রিমান্ডে নিত। এই বলে আমি তার হাত-পায়ের বাধন খুলে দিলাম।কিন্তু ছেলেটা অনড়,বসেই থাকল। আমি তাড়া দিলাম কিন্তু তারপরেও যাবার কোন নাম নেই।
আমি বৃত্ত মোহন্ত (শ্যামসুন্দর)। বর্তমানে ছাত্র। নতুন কিছু শিখতে, নতুন মানুষের সাথে মিশতে আমার খুব ভাল লাগে। তেমনি বই পড়া আর ঘুরে বেড়ানো আমার পছন্দের কাজগুলোর মধ্যে অন্যতম। মুক্তমনে সব কিছু গ্রহণ করার চেষ্টা করি আর মনে প্রাণে বিশ্বাস করি,"বিশ্বজোড়া পাঠশালা মোর, সবার আমি ছাত্র"।
Thank you, friend!
I'm @steem.history, who is steem witness.
Thank you for witnessvoting for me.
please click it!
(Go to https://steemit.com/~witnesses and type fbslo at the bottom of the page)
The weight is reduced because of the lack of Voting Power. If you vote for me as a witness, you can get my little vote.
Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.