জাহাজের গুপ্তধন-৩

in আমার বাংলা ব্লগ10 months ago

সোর্স

গতপর্বে:

এরপর রাতে যখন সবাই মাছ ধরা শেষ করে ছাউনি তে ঢুকল তখন দেখল ছেলেটি চোখ মেলেছে,তাদের দেখে উঠে বসার চেষ্টা করল কিন্তু পারল না।তখন কালাম মিয়া বুঝলেন,ছেলেটা দীর্ঘ সময় সমুদ্রের সাথে লড়াই করে করে ক্লান্ত হয়ে পড়েছে,গায়ে কোন শক্তি অবশিষ্ট নেই।তাই তিনি ছেলেটাকে শুয়ে থাকতে বললেন।আরেকজন মাঝিকে বললেন নরম করে ফেন সহ ভাত রান্না করতে। ভাত রান্না হয়ে গেলে উনি ছেলেটিকে খাইয়ে দিতে বললেন।খাওয়ানো শেষ হলে তিনি ছেলেটিকে আবার ঘুমিয়ে পড়তে বলে মাঝিদের নিয়ে বাইরে চলে আসলেন।

বর্তমান পর্বে:

তিনি মাঝিদের নিয়ে পরামর্শে বসলেন কি করা যায় এই ছেলেকে নিয়ে? এভাবে অপরিচিত কাউকে ট্রলারে রাখতে মোটেই তার মন চাচ্ছিল না।যত তারাতারি সম্ভব একে আইনরক্ষাকারী বাহিনীর হাতে তুলে দেওয়া দরকার।তারাই এর ব্যবস্থা করবে।কিন্তু এজন্য আবার ডকে ফিরে যেতে হবে,এই অভাবের সময় তাদের এই লস করা কোনভাবেই সম্ভব নয়। তাও যদি অল্প কিছু মাছ পাওয়া যেত তাও ফিরে গেলে অন্তত তেলের খরচ টা উঠত। কিন্তু এখন কি করা যায়?

তখন একজন পরামর্শ দিল,আছে থাক।এই শরীর নিয়ে তো আর পালাতে পারছে না।কোন কোস্টগার্ডের পেট্রোল শীপ পেলে ছেলেটাকে তাদের হাতে তুলে দিব।তারপর তারাই ব্যবস্থা নিবে।এভাবেই সব সমস্যার সমাধান। পরামর্শটা কালাম মিয়ার পছন্দ হল।এতে সব দিকই রক্ষা পায়। এটাকেই করণীয় ধরে নিয়ে কালাম মিয়া সবাইকে ঘুমাতে বললেন আর একজন কে পাহাড়ায় থাকতে বললেন। এরপর সে রাতের সমুদ্রের দিকে কিছুক্ষণ তাকিয়ে থেকে কি যেন ভাবলেন। তারপর নিজের ঘরের দিকে চলে গেল।

পরের দিন ভোরে ঘুম থেকে উঠে, সবাইকে ডেকে তুললেন।এরপর সবাইকে মাছ ধরতে তাড়া দিয়ে নিজে গেলেন সেই ছেলেটাকে ডেকে তুলতে। তিনি গিয়ে দেখলেন ছেলেটা একদম শিশুর মত ঘুমিয়ে রয়েছে। গায়ে হাত দিয়ে দেখলেন জ্বর আর নেই।এরপর তিনি ছেলেটাকে ডেকে তুললেন। তারপর জানতে চাইল শরীর কেমন। তখন ছেলেটি জানালো,সে এখন অনেকটা সুস্থ বোধ করছে।তাকে এই বিপদ থেকে রক্ষা করার জন্য সে কালাম মাঝির কাছে অনেক কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করল।এরপর ছেলেটিকে হাতমুখ ধুতে বলে কালাম মাঝি গেল মাছ ধরার তদারকি করতে। এই কয়দিন মোটেই কোন মাছ পাওয়া যায়নি।

কিন্তু আজ অবাক হয়ে গেলেন। জালে বিশাল বিশাল মাছ ধরা পড়ছে,জেলেরাও খুশি।একজন তো বললই,"কাকা,পোলাটারে বাচাইছি জন্য সৃষ্টিকর্তা খুশি হইছে,দেখো তিনদিন মাছ নাই আর এহন কত বড় বড় মাছ"।কালাম মিয়ার মনেও কথাটা এসেছিল।তিনি জেলেদের বললেন দুটো ভাল দেখে মাছ বেছে রাখ।দুপুরে ভোজ হবে আজ। আর রহমত দুপুরে তুই রান্না করবি,তোর হাতের মাছের ঝোল জমে ভাল। এই বলে সে ঘরে গেল। এদিকে রহমত লেগে গেল রান্নার কাজে। কালাম মিয়ার প্রশংসা পেয়ে তার মনটা বেজায় ভাল। রান্নায় যেন কোন ত্রুটি না হয় সে,সেই চেষ্টা করতে লাগল।

দুপুরে সবাই মিলে একসাথে খেতে বসল সবাই। সকালে ভাল মাছ পাওয়ায় সবার মন ফুরফুরে।ফলে সবাই নিজেদের মধ্যে হালকা রসিকতা করছে খেতে খেতে। সেই ছেলেটাও সবার সাথেই খেতে বসেছিল।কালাম মোল্লা ছেলেটাকে জিজ্ঞেস করলেন,"তারপর তোমার বাকি গল্পটা বলো।পুরো গল্পটি তো শোনা হল না।"এটা শুনে বাকি সবাই রসিকতা বাদ দিয়ে গল্পের দিকে মনযোগ দিল।তখন ছেলেটি বলতে শুরু করল;.........

আজকের পর্ব এপর্যন্তই।বাকি অংশ আগামী পর্বে।সম্পূর্ণ পোস্ট পড়ার জন্য ধন্যবাদ।ভুল ত্রুটি মার্জনীয়।

VOTE @bangla.witness as witness witness_proxy_vote.png OR
SET @rme as your proxy
witness_vote.png

banner-NEW.png
break2.jpg
আমি বৃত্ত মোহন্ত (শ্যামসুন্দর)। বর্তমানে ছাত্র। নতুন কিছু শিখতে, নতুন মানুষের সাথে মিশতে আমার খুব ভাল লাগে। তেমনি বই পড়া আর ঘুরে বেড়ানো আমার পছন্দের কাজগুলোর মধ্যে অন্যতম। মুক্তমনে সব কিছু গ্রহণ করার চেষ্টা করি আর মনে প্রাণে বিশ্বাস করি,"বিশ্বজোড়া পাঠশালা মোর, সবার আমি ছাত্র"।
break2.jpg

Posted using SteemPro Mobile

Sort:  

Thank you, friend!
I'm @steem.history, who is steem witness.
Thank you for witnessvoting for me.
image.png
please click it!
image.png
(Go to https://steemit.com/~witnesses and type fbslo at the bottom of the page)

The weight is reduced because of the lack of Voting Power. If you vote for me as a witness, you can get my little vote.

Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.

 10 months ago 

কালাম মিয়ার প্রতি সত্যি সৃষ্টি কর্তা সদয় হয়েছিল ছেলে টিকে বাঁচানোর জন্য। তাই তো তিন দিন কোন মাছ না পেলেও ছেলেটিকে বাঁচানোর পর দিন অনেক মাছ পেয়েছেন।গল্পটি বেশ ভালোই লাগলো।ধন্যবাদ সুন্দর গল্প শেয়ার করার জন্য।

Coin Marketplace

STEEM 0.17
TRX 0.13
JST 0.028
BTC 59926.69
ETH 2622.88
USDT 1.00
SBD 2.38