অভাব নাকি অভিজাত্য সন্তান কে কি শেখাবেন?
গত কয়েকদিন ধরে ফেসবুক ওয়ালে একটা পোস্ট ঘোরাঘুরি করছে,পোস্টটি এমন
আপনার সন্তান কে অভিজাত্য শেখাবেন নাকি অভাব শেখাবেন?
এই পোস্টের মন্তব্যে সবাই নিজেদের মতামত দিয়েছেন। কেউ অভিজাত্যের পক্ষ নিয়েছেন কেউ বা পক্ষ নিয়েছেন অভাবের। আমিও মানুষ, স্বাধীন দেশ আমারো কিছু মতামত আছে,আমিও দিতে চাই।কিন্তু ফেসবুক জায়গাটির অবস্থা বর্তমানে উলুবনের মত।কেউ কারো মন্তব্য কে যুক্তি দিয়ে খন্ডন না করে, অযাথা গালাগালি হাসাহাসি করে নিজেকে সঠিক প্রমান করতে চায়। তাই উলুবনে মুক্তা না ছড়িয়ে আমি চলে আসলাম আমার বাংলা কমিউনিটিতে।
আমাদের কমিউনিটির প্রত্যেক সদস্যই মুক্তমনা,কোন মতামতামতের সাথে ভিন্নমত পোষণ করলেও তা যুক্তি দিয়ে খন্ডন করে। আমি আমার মতামত দিচ্ছি আপনি আপনার মতামত দেবেন আশা করি।
প্রথমেই বলে নেই আমি অবিবাহিত একজন মানুষ,প্যারেন্টিং নিয়ে কথা বলছি বিষয়টি আপনাদের কাছে আজব লাগতে পারে। কিন্তু আমি প্যারেন্ট না হলেও তো বাচ্চা থেকে বড় হয়েছি। আমার পিতামাতার প্যারেন্টিং তো দেখে আসছি,আর তা আমার উপর কি প্রভাব ফেলছে তা তো অনুভব করতে পারি। এছাড়া সাইকোলজির উপর আমার গভীর আগ্রহ থাকায় সেই সাথে একজন শিক্ষক হওয়ায় এই বিষয়ে অল্প হলেও আমার অভিজ্ঞতা আছে।
অভাব অভিজাত্য দুইটির কোনটি আদর্শ তা নিয়ে আলোচনা করার আগে আমাদের দুইটি বিষয় নিয়ে আলোচনা করতে হবে।দুইটি বিষয়ের ভাল মন্দ খতিয়ে দেখতে হবে তারপর আসবে আদর্শ পদ্ধতি নির্বাচন এর বিষয়। আজ আলোচনা করি অভাব নিয়ে।
অভাব নিয়ে আলোচনা করছি কারন,অভাব জিনিসটা খুব কাছে থেকে দেখেছি।বলতে লজ্জা নেই ছোট থেকেই অভাবের মাঝেই বড় হয়েছি।অনেকেই বলে অভাবে স্বভাব নষ্ট,আবার অনেকেই বলে অভাবের থেকে বড় পরশ পাথর নেই। এখন এই দুইটি প্রবাদ পরস্পর বিরোধী তাই মানুষ ভাবে কোনটা সত্য।আপনি যদি আমার মতামত জানতে চান তবে আমি বলব দুইটিই সত্য।
অভাব মানুষকে দুইটি জিনিস দেয় একটি লোভ অন্যটি ধৈর্য।
এখন দায়িত্ব আপনার আপনি কোনটা গ্রহণ করবেন। আপনি যদি লোভ কে গ্রহণ করেন তবে আপনার চরিত্রের হবে চরম অধপতন। আপনার লোভ চরিতার্থ করতে আপনি হীন পথ বেছে নেবেন। কারন আপনার প্রথম প্রায়োরিটি তখন লোভ চরিতার্থ করা। এজন্যই প্রথম প্রবাদ অর্থাৎ অভাবে স্বভাব নষ্ট।এবার আসি দ্বিতীয় প্রবাদে।অর্থাৎ অভাবের থেকে বড় পরশ পাথর নেই।
অভাব আপনাকে দ্বিতীয় যে জিনিসটি দেয় সেটা হল ধৈর্য। প্রথম প্রদত্ত জিনিসটির সম্পূর্ণ বিপরীত। লোভ যখন আপনাকে নানা রকম ভাবে কাবু করার চেষ্টা করবে তখন এই ধৈর্যই আপনাকে রক্ষা করে যাবে। লোভ যখন আপনাকে পাকে নামানোর চেষ্টা করবে তখন যদি আপনি ধৈর্য ধরতে পারেন,তবে আপনি হয়ে উঠবেন খাট সোনা।পেটে ভাত না থাকার পরেও যদি আপনাকে কোটি টাকা পাহাড়া দেওয়ার দায়িত্ব দেওয়া হয় তারপরেও সে টাকার প্রতি আপনি বিন্দুমাত্র লোভ অনুভব করবেন না।এজন্যই দ্বিতীয় প্রবাদ সত্য। অর্থাৎ অভাবের থেকে বড় পরশ পাথর আর নেই।কারন ধৈর্য ধরতে পারলেই অভাব আপনাকে করে তুলবে খাটি সোনা।
এরপর কাল আমরা আলোচনা করব অভিজাত্য নিয়ে
আমি বৃত্ত মোহন্ত (শ্যামসুন্দর)। বর্তমানে ছাত্র। নতুন কিছু শিখতে, নতুন মানুষের সাথে মিশতে আমার খুব ভাল লাগে। তেমনি বই পড়া আর ঘুরে বেড়ানো আমার পছন্দের কাজগুলোর মধ্যে অন্যতম। মুক্তমনে সব কিছু গ্রহণ করার চেষ্টা করি আর মনে প্রাণে বিশ্বাস করি,"বিশ্বজোড়া পাঠশালা মোর, সবার আমি ছাত্র"।
Thank you, friend!
I'm @steem.history, who is steem witness.
Thank you for witnessvoting for me.
please click it!
(Go to https://steemit.com/~witnesses and type fbslo at the bottom of the page)
The weight is reduced because of the lack of Voting Power. If you vote for me as a witness, you can get my little vote.
Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.
আপনি খুব সুন্দর একটি বিষয় নিয়ে আজ পোস্ট শেয়ার করলেন। আপনি নিজের মতামত ব্যক্ত করলেন অভাব নাকি আভিজাত্য নিয়ে।আজ অভাব নিয়ে লিখলেন।পরের পর্বে আভিজাত্য নিয়ে লিখবেন।আমার মতে সন্তানকে অভাব শেখাতে হবে।কষ্ট কি এই বুঝটা যে সন্তান বুঝে বড় হয়,সেই ই আসলে খাঁটি মানুষ হয়ে বড় হয়।আমার মত এটাই।ধন্যবাদ ভাইয়া অনুভূতি গুলো শেয়ার করার জন্য।
একদম খাটি কথা বলেছেন আপু। ধন্যবাদ।
আপনার পোস্ট পড়ে অনেক ভালো লাগলো। সত্যি অভাব নিয়ে বেশ সুন্দর লিখেছেন। আসলে ভাইয়া আমাদের সবারই উচিত বাচ্চাদের অভাব শিখানো।আসলে অভাবের মধ্যে বেড়ে উঠা বাচ্চা গুলো ভালো মানুষ হয়ে উঠে। ধন্যবাদ ভাইয়া সুন্দর লিখেছেন।
ধন্যবাদ আপু সহমত পোষন করার জন্য।