হ্যালো আমার বাংলা ব্লগবাসী।আশা করি সবাই ভাল আছেন।আমিও ভাল আছি।আজ আপনাদের সাথে শেয়ার করব একটি বুক রিভিউ।

গল্পের নাম	পাহাড় চূড়ায় আতঙ্ক
বই	কাকাবাবু সমগ্র-১
লেখক	সুনীল গঙ্গোপাধ্যায়
জনরা	কিশোর অ্যাডভেঞ্চার,রহস্য

সারসংক্ষেপ:

গল্পের প্রথমেই গল্পের প্রধান দুজন চরিত্র কাকা বাবু ও সন্তু সম্পর্কে বলে নেই। কাকবাবু যার আসল নাম রাজা রায় চৌধুরি। ভারতীয় প্রত্নতত্ত্ব বিভাগে বড় পদে কর্মরত ছিলেন।প্রত্নতত্ব সাইট থেকে ফেরার সময় গাড়ি দূর্ঘটনায় তার একটি পা পুরোটা বাদ দিয়ে দিতে হয়। বর্তমানে উনি বাড়িতেই বসে নানা প্রাচীণ ম্যাপ দেখেন এবং মাঝে মাঝে বিভিন্ন অ্যাডভেঞ্চারে যান।আর তার সঙ্গী হিসেবে থাকে আমাদের গল্পের দ্বিতীয় চরিত্র।

সন্তু। সন্তুর আসল নাম সুনন্দ রায় চৌধুরি। সদ্য এন্ট্রন্স পাস করে কলেজে ভর্তি হয়েছে। কাকাবাবুর অ্যাসিস্ট্যান্ট ও বলা যায় সন্তুকে।কাকা বাবুর সব অ্যাডভেঞ্চারে সন্তু সাথে যায়। এখন আমরা চলে যাই আসল গল্পের দিকে।

বর্তমানে সন্তু বসে আছে হিমালয়ের একটি পর্বতশৃঙ্গে।না হিমালয় না,তবে এই চূড়া থেকে হিমালয় থেকে বেশ কাছেই।স্পষ্ট দেখা যায়। সন্তু তার সাথে করে আনা ক্যামেরায় বেশ অনেকগুলো ছবি তুলেছে।এগুলো সে তার বন্ধুদের দেখাবে।সে যখন কাকাবাবুর সাথে এবার অ্যাডভেঞ্চারে হিমালয়ে আসবে বলেছিল,তখন তারা হাসাহাসি করছিল। এই নির্জন চূড়ায় বসে সন্তুর বাড়ির জন্য মন কেমন করছিল।তখন সে অ্যাডভেঞ্চারে আসার আগের দিন গুলো মনে করছিল।

ঘটনা বেশিদিন আগের নয়।সদ্য স্কুলে গ্রীষ্মের ছুটি। সন্তুর পড়াশোনার চাপ নেই,বাড়িতে বসে সময় যেন কাটতেই চাইছে না। মনে মনে আশা করছে কাকাবাবু নিশ্চিত কোন অ্যাডভেঞ্চারে বের হবে। কিন্তু কাকাবাবু চলে গেলেন জার্মানী। সেখানে থেকে ফিরেই তিনি সন্তুকে বললেন তাদের এবারের অ্যাডভেঞ্চার এভারেস্টে।এর মাঝেই একদিন তেনজিং নোরগে এসে ঘুরে যায় সন্তুদের বাড়ি থেকে। আর তারপরেই কাকাবাবু ও সন্তু হাজির হয় হিমালয়ের এই চূড়ায়। এখানে আসার পর অনেকেই কাকাবাবু ও সন্তুকে দেখে অবাক হয়। এক পা বিহীন একজন মানুষ চড়বে হিমালয়ে।অনেকে আবার নিষেধ ও করেছিল।

কিন্তু এখানে আসার পর থেকে কাকাবাবুর এভারেস্টে চড়ার কোন আগ্রহই দেখা গেল না।তিনি কি যেন খুজে বেড়াচ্ছেন।কি খুজছেন সেটাও বলেন না সন্তুকে। এভাবে থাকতে থাকতে একদিন বিরক্ত হয়ে সে কাকাবাবুকে জিজ্ঞেস করেই বসে তারা কি করছে এখানে?

তখন কাকাবাবু বললেন উনি যখন জার্মানীতে গিয়েছিলেন সেখানে থেকে উনি একটি বস্তু এনেছেন। সেটি হল একটি দাত। তবে এটি কোন সাধারণ দাত নয়। অনেক বড় একটি দাত। কাকাবাবু জানালেন এটি নাকি ইয়েতির দাত। জামার্নীর এক বিজ্ঞানীর কাছে থেকে কাকাবাবু দাতটি পান। সেই বিজ্ঞানী জানান,তিনি হিমালয়ের এই এলাকা থেকেই পেয়েছেন দাতগুলো। আর তিনি পরীক্ষা করে দেখেছেন দাতগুলো আসল।আর তিনি ধারণা করেন দাতগুলো ইয়েতির। আর কাকাবাবুরা সেই ইয়েতিরই খোজ করছেন।

কিছুদিন পর থেকে সন্তুদের ক্যাম্পের বাইরে বড় বড় পায়ের ছাপ দেখা গেলো।সেই সাথে মুরগীর হাড়,পালক ও রক্ত। তবে কি ইয়েতিরা আসলেই আছে,তারা কি চাইছে না সন্তুরা এই এলাকায় থাকুক? কিন্তু কাকাবাবু মোটেই ভয় পেলেন না।

কিন্তু একদিন কাকাবাবু নিখোজ হয়ে গেলেন। অনেক খুজেও তাকে পাওয়া গেল না। তবে কি কাকবাবুকে ইয়েতিরা হত্যা করেছে নাকি উনি তুষারের নিচে চাপা পড়েছেন? এখন সন্তু কি করবে এই নির্জন পাহাড়চূড়ায়?

জানতে হলে পড়ে ফেলুন দূর্দান্ত গল্পটি।

ব্যক্তিগত মতামত:

আসলে মতামত কি দেব সেটাই ভাবছি। কারন গল্পের ভেতরের টুইস্ট গুলো পড়ে মাথা একরকম হ্যাং হয়ে গেছে। গল্পের মোড় কখন কোন দিকে ঘুরবে তা আন্দাজ করার কোন উপায় ছিল না। তবে গল্পটি পড়তে বসলে হাতে সময় নিয়ে বসবেন,কারন একবার শুরু হলে শেষ না হওয়া পর্যন্ত উঠতে পারবেন না। ব্যাক্তিগত ভাবে গল্পটি ১০ এ ৯ দেব। তাই সময় পেলে পড়ে ফেলুন গল্পটি।

হ্যাপি রিডিং

VOTE @bangla.witness as witness OR SET @rme as your proxy


_{আমি বৃত্ত মোহন্ত (শ্যামসুন্দর)। বর্তমানে ছাত্র। নতুন কিছু শিখতে, নতুন মানুষের সাথে মিশতে আমার খুব ভাল লাগে। তেমনি বই পড়া আর ঘুরে বেড়ানো আমার পছন্দের কাজগুলোর মধ্যে অন্যতম। মুক্তমনে সব কিছু গ্রহণ করার চেষ্টা করি আর মনে প্রাণে বিশ্বাস করি,"বিশ্বজোড়া পাঠশালা মোর, সবার আমি ছাত্র"।}