বন্ধুদের সাথে ট্যুর -২য় পর্ব
আমি আর নাফিজ ছিলাম গোবিন্দগঞ্জ,শিমুল আর নাহিদ ঢাকায়। ঠিক হল তিন তারিখ সবাই জামালপুরে মিলিত হব। এরপর রাত টা তানভীর এর মেসে থেকে ঘোরাঘুরি করব। সেই অনুযায়ী তিন তারিখ আমি আর নাফিজ রওনা দিলাম,জামাল পুরের উদ্দেশ্যে।
বগুড়া থেকে জামালপুর খুব বেশি দুরের রাস্তা নয়। তবে এখানে একটা সমস্যা হচ্ছে মাঝের প্রমত্তা যমুনা নদী। দুইটা শহর কে ভাগ করেছে এই যমুনা নদী। নৌকায় নদী পার হয়ে জামাল পুর যেতে সময় লাগে দেড় ঘন্টা,কিন্তু যদি বঙ্গবন্ধু বহুমুখী সেতু দিয়ে ঘুর পথে যেতে সময় লাগে প্রায় ৬ঘন্টা। নৌকার সময়সূচী একটু ঝামেলা থাকায় আমি আর নাফিজ বাসেই যাওয়ার সিদ্ধান্ত নিলাম।
দুপুর একটায় রওনা দিলাম জামালপুরের উদ্দেশ্যে।রাস্তায় জ্যাম খুব বেশি ছিল না। তাই সহজেই পৌছে গেলাম। কিন্তু যাওয়ার পর একটা মজাএ ঘটনা ঘটল। আমাদের থাকার ব্যবস্থা হয়েছিল তানভীর এর হোস্টেল এ। তানভীর জামালপুর মেডিকেল কলেজে অধ্যায়নরত। আমরা কখনো ওর হোস্টেল এ যাই নি। কথা ছিল তানভীর আসবে আমাদের রিসিভ করতে। কিন্তু ওর হসপিটালে ডিউটি থাকায় ও আসতে পারছিল না। ও আমাদের একটি হোটেল এর নাম বলে এবং সেখানে ফ্রেশ হয়ে অপেক্ষা করতে বলে। এখন সে হোটেলটাও আমরা চিনি না।
তাই আমি রাস্তার পাশে একজন কে জিজ্ঞেস করতে চাইলে, নাফিজ আমাকে বলে,"তুই গাধা।এভাবে অচেনা জায়গায় কাউকে জিজ্ঞেস করলে তো তোর সব কিছু ছিনতাই করে নিবে।তুই আমার সাথে আয়। আমার অনুমান ক্ষমতা প্রচুর।দেখ অনুমান করে তোকে ঠিক জায়গায় নিয়ে যাব।" একে তো পেটে ক্ষুধা,তারউপর এত বড় কথা শুনে মনটাই দমে গেল।মুখ কাচুমাচু করে ওর পিছে রওনা দিলাম। কিন্তু ১৫মিনিট হাটার পরেও হোটেল এর দেখা নেই৷ এদিকে নাফিজ রিকশাও নেবে না,কারো থেকে শুনতেও দেবে না। ব্যাপার টা ওর ইগো তে লাগবে।
২০মিনিট হাটার পর এমন একজায়গায় এসে পৌছাইলাম যেখানে কোন লোকজন নেই,অন্ধকার। মানে এটা যে শহরের বাইরের দিক তা বুঝতে পারলাম৷ শেষে নাফিজ ও কাচুমাচু করে বলল ভাই ক্ষুধায় আমার অনুমান ক্ষমতা কাজ করতেছে না৷ আমি এটা শুনে বেশ খানিক মজা নিলাম। এরপর আবার উলটা দিকে হাটা শুরু করলাম। ভাগ্য ভাল একটু আসার পরে একটি রিকশা পেয়ে গেলাম।তারপর সেই রিক্সায় করে সেই হোটেলে চলে আসলাম।
আমরা ফ্রেশ হয়ে বসতেই তানভীর চলে আসল। এরপর শুরু খাওয়াদাওয়ার পালা। জার্নি করে আমার আর নাফিজের পেটে আগুন জ্বলছিল,তানভীর ও ডিউটি করে ক্ষুধার্ত।তাই দেরি না করে খাওয়া দাওয়া শুরু করলাম।
Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.
আসলে ঘুরাঘুরি করার মধ্যে এমন একটা মজার রয়েছে । যারা ঘুরাঘুরি করে তারাই সেই মজাটা বুঝতে পারে। বন্ধুদের সাথে যে কোন জায়গায় যাওয়াটা অনেক সুন্দর মুহূর্ত কাটে। বন্ধুর সাথে দেখা করতে যাওয়া বাসে করে সেই মুহূর্তটা আমাদের সাথে শেয়ার করেছেন ভালো লাগলো। যখন প্রিয় বন্ধুরা একত্রিত হয়েছেন সেই মুহূর্তটা যে কতটা আনন্দ বয়ে আনে সেটা আপনিই ভাল জানেন।
কয়েকজন বন্ধু একত্রিত হলে দারুন মজা হয়। এ পর্বের মাধ্যমে আমরা জানতে পারলাম যে আপনি আর নাফিস জামালপুরে পৌঁছে গেছেন। তিন বন্ধু হোটেলে বসে খাওয়া দাওয়া করেন। পরের পূর্বে আমরা দেখতে পারবো আপনারা আরো কি কি কাজ করেছেন। পরের পর্বের আশায় রইলাম। ধন্যবাদ
আজকেই পরের পর্ব আসবে।ধন্যবাদ ভাইয়া সুন্দর মন্তব্যের জন্য।
ভাই ব্যাপারটা বেশ মজার যে খোদা লেগে গেছে জন্য অনুমান ক্ষমতা কমে গিয়েছে। আসলে ভাইয়া অপরিচিত জায়গাতে ওখানকার মানুষের কাছে যেকোনোটাই বুদ্ধিমানের কাজ মনে হয়। বিশেষ করে স্থানীয় কোন দোকানদার অথবা রিক্সা চালকের কাছে যে গেলে ইনফরমেশনটা ভালো পাওয়া যায়।
আমি অচেনা জায়গায় সাধারণত এভাবে জিজ্ঞেস করেই সঠিক জায়গা জেনে নেই।কিন্তু বন্ধু বেশি চালাক তাই এই অবস্থা। ধন্যবাদ ভাইয়া সুন্দর মন্তব্যের জন্য।
ভ্রমন করার মধ্যে একটি আলাদা মজা রয়েছে। বন্ধু-বান্ধবদের সাথে ভ্রমণ করার মজা একেবারে অন্যরকম। যদি বন্ধু-বান্ধবরা মিলে কোন জায়গায় ভ্রমন করা হয় সেই বন্ধুবান্ধবরা মিলে যদি একসাথে বিভিন্ন ধরনের কাজ করা হয় এবং বিভিন্ন কথাবার্তা বলার পাশাপাশি সুন্দর সুন্দর মুহূর্ত উপভোগ করা হয় তখন সে মুহূর্তের মতো আর সুন্দর ও মধুর মুহূর্ত কখনোই হয় না। আপনি আপনার বন্ধুদের সাথে খুব সুন্দর সুন্দর কিছু মুহূর্ত উপভোগ করে আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন অসংখ্য ধন্যবাদ৷