হ্যালো আমার বাংলা ব্লগবাসী।আশা করি সবাই ভাল আছেন।আমিও ভাল আছি। আজ শেয়ার করব দুর্গা পুজার কাটানো কিছু মুহুর্ত

দূর্গা পূজা বাঙালী সনাতনীদের প্রাণের উৎসব। বিজয়া দশমীর পরেরদিন থেকেই সবাই অপেক্ষা শুরু করে পরের বছর দুর্গা পুজার। আমার মত যারা আছে তাদের অপেক্ষা তো আরো বেশি। কারন পুজায় সব ভাই ব্রাদার সবাই একত্রিত হওয়া যায়। পুজার কয়টা দিন অনেক আনন্দে কাটে।ঘোরা ফেরা খাওয়া দাওয়া কত রকমের মজা। আজকে তেমনই কিছু মজার মুহুর্ত শেয়ার করব।

বাজার মন্দির

নাম দেখেই বুঝতে পারছেন মন্দির টির অবস্থান। মন্দিরটি আমাদের গোবিন্দগঞ্জ প্রধান বাজারের মাঝে। আমার বাড়ি থেকে ৫মিনিটের দূরত্বে।যেহেতু বাড়ির কাছেই তাই এই মন্দির থেকেই পরিক্রমা শুরু করেছিলাম। প্রতিবছরের ন্যায় এবারো মন্দিরকে সুন্দরভাবে সাজানো হয়েছে।তবে আমি যখন গিয়েছিলাম তখনো সাজানো অনেকটা বাকি। তবে সপ্তমী থেকেই বেশ ভিড় ছিল।অনেক কষ্টে কয়েকটি ছবি তুলতে পেরেছিলাম। এত ভিড় হবার আরো একটি কারন হল মন্দিরটির জায়গার স্বল্পতা রয়েছে। যাই হোক প্রণাম করে সেখান থেকে বেরিয়ে আসলাম।এরপরের গন্তব্য বাসুদেব বাড়ি মন্দির।

বাসুদেব বাড়ি পুজা মন্ডপ

দূরত্বের দিক থেকে আমার বাড়ি থেকে দ্বিতীয় কাছের মন্দির হল বাসুদেব বাড়ি পুজা মন্দির। এটি আমাদের গোবিন্দগঞ্জের কেন্দ্রীয় মন্দির। এই মন্দির টা বেশ খোলামেলা, সেজন্য এখানে একটু ভিড় কম।তবে এখানেও কিন্তু দর্শনার্থীদের অভাব নেই। আবার মন্দির এর সাজসজ্জাও বেশ ছিমছাম কিন্তু বেশ সুন্দর। মন্দিরের বেশ আগে থেকেই আলোকসজ্জা,তারপর কর্কশীট দিয়ে তৈরি গেইট,মন্দিরের ভেতরের সজ্জাটাও কর্কশীটের।থিমটা অনেকটা রাজ তোরণের।

মহিলাসমিতি পুজা মন্ডপ

এই পুজা মন্ডপ এর ইতিহাস টা মজার। এই মন্দিরটি বসুদেব বাড়ি মন্দিরের বেশ কাছেই। এখানে আগে বিশাল বড় পুজা হত। বাসুদেব বাড়ি কেন্দ্রীয় মন্দির এর সাথে রিতীমত টক্কর দিত। কিন্তু কয়েকবার করার পরে কমিটির উৎসাহে ভাটা পড়ে। তারা পুজা করা মুলতুবি রাখেন। এবার সেই পাড়ার মহিলা সদস্যরা সবাই মিলে চাদা তুলে নিজেদের উদ্যোগে এই পুজোর আয়োজন করেছে। পুরুষদের সাহায্য ছাড়াই। এজন্যই এবার আয়োজন ছোট,তবে তারা পরের বার থেকে বড় করে উদযাপন করবে।

আজকের পরিক্রমা এপর্যন্তই। আশা করি আপনাদের ভাল লেগেছে।বাকি পর্ব নিয়ে হাজির হব আগামী কাল। ততক্ষণ পর্যন্ত ভাল থাকবেন সুস্থ থাকবেন।

VOTE @bangla.witness as witness OR SET @rme as your proxy


_{আমি বৃত্ত মোহন্ত (শ্যামসুন্দর)। বর্তমানে ছাত্র। নতুন কিছু শিখতে, নতুন মানুষের সাথে মিশতে আমার খুব ভাল লাগে। তেমনি বই পড়া আর ঘুরে বেড়ানো আমার পছন্দের কাজগুলোর মধ্যে অন্যতম। মুক্তমনে সব কিছু গ্রহণ করার চেষ্টা করি আর মনে প্রাণে বিশ্বাস করি,"বিশ্বজোড়া পাঠশালা মোর, সবার আমি ছাত্র"।}