শীতের কুয়াশা
প্রথমেই আমাদের সকলে প্রিয়,চোখের মনি বড় দাদা কে জানাই জন্মদিনের অনেক শুভেচ্ছা ও শুভ কামনা।ইশ্বর তার অনেক মঙ্গল করুন এই প্রার্থনা করি।গতদিন আমার উপর দিয়ে ঝড় গেছে তাই উইশ একটি দেরিতে করলাম।নিজগুণে ক্ষমা করবেন দাদা।
গুটিগুটি পায়ে শীত চলে এসেছে বেশ কিছুদিন থেকেই,এখন তার নিজেকে মেলে ধরার সময়। চারদিকে কুয়াশার চাদর বিস্তার করার সময়। আর শীত এই কাজটি বেশ ভালভাবেই করছে। প্রায় প্রতিদিনই আগের দিনের থেকে বেশি কুয়াশা দেখা যাচ্ছে। বড় শহরে থাকলে হয়ত এই দৃশ্য গুলো মিস করতাম,কিন্তু মফস্বল শহরে থাকায় এখনো কিছু দৃশ্য চোখে পড়ে।আজকে এমনই কয়েকটি দৃশ্য আপনাদের সাথে শেয়ার করব।
গ্রামের মেঠোপথ,তাও আবার কুয়াশার চাদরে ঢাকা।এমন দৃশ্য বর্তমানে বিলুপ্তই হয়ে গেছে। এই ছবিটা কয়েকবছর পুরোনো। আমি এবং আমার বন্ধু নাহিদ কুয়াশার ভেতর গ্রামের মেঠোপথে সাইকেলিং করতে গিয়ে তুলেছিলাম। গুগল ফটোজে সেভ করা ছিল।সকালে রিমাইন্ডার দিতেই ডাউনলোড করে রেখে দিয়েছিলাম।
আমাদের বাড়ির আশে পাশে ফসলের মাঠ নেই,সকালে হাটাহাটির জন্য গ্রামের দিকে যেতে হয়।আর হাটাহাটির জন্য রাস্তাটি গিয়েছে ফসলের মাঠের মধ্য দিয়ে।কয়েকদিন আগে সকালে হাটতে গিয়ে এই মনোহর দৃশ্যটি চোখে পড়ে। দুরের ইউক্যালিপটাস আর কলাবাগানের মাঝে ঘন হয়ে জমা কুয়াশা দেখতে বেশ লাগছিল।
শীতকাল রূক্ষতার ঋতু।প্রকৃতি তার সতেজতা হারায় শীতকালে,কিন্তু তারপরেও শীতকালে প্রকৃতি থাকে অকৃপন।এসময় বাজারে ওঠে নানা রবিশস্য। এমনই এক রবিশস্য মূলা।আমাদের হাফিজ ভাইয়ের প্রিয় সবজী। ভোর বেলা থেকে কৃষক মুলা তোলায় ব্যস্ত থাকে,কারন হাটে নিয়ে যেতে হবে। এমনই একজন ব্যস্ত কৃষকের ছবি তোলার সৌভাগ্য হয়েছিল কয়েকদিন আগে।
Camera:canon eos700D
লোকেশন:মিঠাপুকুর
এই ছবিটা মজার। কারন এটা আমার প্রথমবার ডিএসএলআর ক্যামেরা দিয়ে তোলা ছবি। গত মাসে পিসির বাড়ি গিয়েছিলাম,পিসির ছেলে সম্প্রতি নতুন ক্যামেরা কিনেছে,ওর থেকেই শিখে নিলাম। এটা ছিল আমার প্রথম ক্যাপচার করা ছবি।
ছাদ থেকে কুয়াশা ঢাকা রাস্তা ক্যাপচার করেছি।
ডিভাইস:canon eos700D
লোকেশন:মিঠাপুকুর
এটা dslr এ তোলা দ্বিতীয় ছবি।আমার পিসির বাড়ি একটু গ্রাম এলাকায়। বাড়ির আশেপাশে প্রচুর গাছপালা। সেই গাছপালার ছায়ায় জমা কুয়াশা আপনাকে মুগ্ধ করতে বাধ্য। আমি প্রকৃতিপ্রেমী মানুষ তাই এই দৃশ্য ক্যামেরা বন্দী করতে দেরি করি নি।
হেমন্তের শেষ মানে শীতের শুরু,আর হেমন্ত মানেই ধান কাটার উৎসব শুরু। নবান্নের উৎসব,কৃষকের ব্যস্ততা। ধান কেটে সাথে সাথেই কিন্তু ধান বাড়িতে নিয়ে যাওয়া হয়না।ক্ষেতে ফেলে রাখা হয় দুই একদিন।এমনই একটি ধান কেটে রাখা ধানক্ষেত এর ছবি এটি।
আপনারা হয়ত অনেকেই করতোয়া নদীর নাম শুনেছেন? বেহুলা লক্ষীন্দর এর সেই বিখ্যাত করতোয়া নদী,এই নদী দিয়ে আগে একসময় দেশ বিদেশে বণিকেরা বাণিজ্যে যেত। ভাবছেন এটা বলছি কেন? ছবিতে যে মৃত নদী দেখছেন এটিই সেই। সময়ের কি অসীম মহিমা। কেউ রক্ষা পায়না সময়ের গ্রাস থেকে।
ডিভাইস | পোকো এক্স২ |
---|---|
লোকেশন | গোবিন্দগঞ্জ |
ফটোগ্রাফার | বৃত্ত |
আমি বৃত্ত মোহন্ত (শ্যামসুন্দর)। বর্তমানে ছাত্র। নতুন কিছু শিখতে, নতুন মানুষের সাথে মিশতে আমার খুব ভাল লাগে। তেমনি বই পড়া আর ঘুরে বেড়ানো আমার পছন্দের কাজগুলোর মধ্যে অন্যতম। মুক্তমনে সব কিছু গ্রহণ করার চেষ্টা করি আর মনে প্রাণে বিশ্বাস করি,"বিশ্বজোড়া পাঠশালা মোর, সবার আমি ছাত্র"।
আমাদের প্রিয় দাদার শুভ জন্মদিন উপলক্ষে খুবই সুন্দর ভাবে আপনি শুভেচ্ছা দিয়েছেন। একই সাথে খুবই সুন্দর সুন্দর ফটোগ্রাফি করেছেন শীতের সকালের। শীতের কুয়াশাচ্ছন্ন সকালের দ্বিতীয় এবং ষষ্ঠ ফটোগ্রাফিটি আমার কাছে সব থেকে বেশি ভালো লেগেছে।
Thank you, friend!
I'm @steem.history, who is steem witness.
Thank you for witnessvoting for me.
please click it!
(Go to https://steemit.com/~witnesses and type fbslo at the bottom of the page)
The weight is reduced because of the lack of Voting Power. If you vote for me as a witness, you can get my little vote.
Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.
শীত মানেই শীতের সকালে কুয়াশা দিয়ে ঘেরা। এই দৃশ্য সত্যি সকালে ঘুম থেকে উঠে উপভোগ করতে ভালোই লাগে। অনেকদিন হলো এই দৃশ্যটি উপভোগ করা হয় না । যেটা আপনার ফটোগ্রাফির মাধ্যমে উপভোগ করেছি খুবই ভালো লাগলো।
শীতকালে কুয়াশাচ্ছন্ন সকালে হাঁটাহাঁটি করতে খুবই ভালো লাগে। তবে দুঃখের বিষয় এবছর এখনো ঘন কুয়াশা দেখার সুযোগ হয়নি সামনাসামনি। যাইহোক আপনার প্রতিটি ফটোগ্রাফি এককথায় দুর্দান্ত হয়েছে ভাই। কুয়াশাচ্ছন্ন ফটোগ্রাফি দেখতে বরাবরই আমার ভীষণ ভালো লাগে। প্রথম দুটি ফটোগ্রাফি সবচেয়ে বেশি ভালো লেগেছে। যাইহোক এতো সুন্দর সুন্দর ফটোগ্রাফি আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ ভাই।
আমিও এখন গ্রামের বাড়িতে অবস্থান করছি। আমাদের গ্রামের পাশ দিয়েও করতোয়া নদী বয়ে গিয়েছি। তবে নদী নেই বললেই চলে। খনন করে কোন রকমে বাঁচিয়ে রেখেছে। করতোয়া নদী এখানে রংপুর ও দিনাজপুর জেলার বিভাজন করেছে। সবগুলো ছবি সুন্দর হয়েছে। বিশেষ করে করতোয়া নদী ও মেঠো ছবি দুটি সবচেয়ে ভালো লেগেছে। শীতের কুয়াশা শিরোনামে ছবি গুলো শেয়ার করার জন্য অনেক ধন্যবাদ দাদা আপনাকে।
গতকাল ব্যস্ত থাকার কারণে দাদার জন্মদিনে উইশ করতে পারেননি সেটা আজকে উইশ করলেন। দাদা গ্রামীণ এতো সুন্দর কুয়াশাচ্ছন্ন ফটোগ্রাফি গুলো দেখে তো মুগ্ধ হয়ে গেলাম। প্রতিটি ফটোগ্রাফি চমৎকার হয়েছে আর উপস্থাপন অনেক ভালো হয়েছে দাদা। অসংখ্য ধন্যবাদ দাদা সুন্দর ফটোগ্রাফি পোস্ট আমাদের সাথে বিস্তারিতভাবে শেয়ার করার জন্য।
দেরিতে হলেও দাদাকে উনার জন্মদিনের শুভেচ্ছা জানিয়েছেন দেখে ভালো লাগলো। আসলেই শীত চলে এসেছে। আমাদের এদিকে তো প্রচুর শীত পড়তেছে। আপনি অনেক সুন্দর করে অনেকগুলো ফটোগ্রাফি করেছেন যেগুলো অনেক সুন্দর হয়েছে। কুয়াশায় ঘেরা প্রাকৃতিক দৃশ্য দেখতে সত্যি অনেক বেশি ভালো লেগেছে আমার কাছে। শীতের সকালে উঠে হাঁটাহাঁটি করতে আমি খুবই পছন্দ করি। আপনি এত সুন্দর করে ফটোগ্রাফি গুলো করে শেয়ার করেছেন দেখে ভালো লেগেছে।