হীনমন্যতা
স্বতন্ত্র চিন্তাধারা মানুষের ভিতরে থাকা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। কেননা সবটা যদি একই রকম হয়ে যায়, তাহলে সবকিছুতে একঘেয়েমি চলে আসে। বৈচিত্র্য থাকা যেমন দরকার, তেমনটা বৈচিত্র্যময় কার্যকলাপ কে সাধুবাদ জানানোর মানসিকতা তৈরি করা আশু প্রয়োজন।
দেখুন, আপনার যৌক্তিক চিন্তাভাবনা যেকোনো বিষয়ে থাকতেই পারে, তবে আপনার চিন্তাধারার সঙ্গে অন্যকারো চিন্তাধারার যে একদম সরাসরি মিল থাকবে, এমনটা ভাবা বোকামি।
সবার সবটাই যে ভালো লাগবে, ব্যাপারটা তেমন না। আপনার হয়তো যেটা ভালো লাগছে, সেটা হয়তো অন্যের কাছে গুরুত্ব পাচ্ছে না। এই ভিন্নতা থাকা ভীষণ দরকার আর এই ভিন্নতা আছে বলেই জগৎটা এত বৈচিত্র্যময়।
তবে কিছু কিছু ক্ষেত্রে অনেক কিছুই আমাদের সঙ্গে সাংঘর্ষিক হয়ে যায়। এক্ষেত্রেও আমাদের উচিত ভারসাম্য বজায় রেখে সবকিছুকে নিয়ন্ত্রণে রাখা। সবাই প্রশংসা শুনতে ভালোবাসে এটা যেমন সত্য, তবে অনেকেই ভারসাম্য বজায় রেখে অবস্থা বুঝে যদি পাশ কাটিয়ে চলে যেতে চায়, তখন আবার প্রচুর জোর জবরদস্তি চলমান থাকে। এ ধরনের আচরণ, হীনমন্যতার পরিচয় বহন করে।
আমরা বুঝি, বোঝার চেষ্টা করি কিংবা নিজের স্বতন্ত্র ইচ্ছা নিয়ে কাজ করার সংকল্প তৈরি করি, তবে অনেক সময় পরিস্থিতি পক্ষে থাকে না, তাই বলে কি কাজ বন্ধ রাখতে হবে, মোটেও না বরং নিজের চিন্তাধারার মিল যেখানে খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে, সেদিকটাতে নিজেকে আত্মপ্রকাশ করাই শ্রেয়।
মানুষের পক্ষ থেকে প্রশংসা শোনা যেমনটা নেশা হয়ে গিয়েছে আমাদের, তেমনটা প্রশংসামূলক কাজ করাও তো যৌক্তিক বিষয়। আর যদি কেউ ভারসাম্য বজায় রেখে এড়িয়ে যেতেই চায়, তাকে বরং সম্মান জানানো উচিত।
বাস্তবে কি আদৌ সেটা হয়। আমি মনেকরি, এর উত্তর আপনি পেয়ে গিয়েছেন। যে যেভাবে চলছে, তার চলার পথ সুন্দর হোক, মতভেদ থাকুক কিংবা যৌক্তিক চিন্তাভাবনার আরো সম্প্রসারণ ঘটুক, এমনটাই তো চাওয়া।
আপনার, ঘন অন্ধকার ভালো লাগে বিধায় যে, আমার দেখা মিষ্টি সকাল আপনার কাছে পছন্দ হবে না, এমনটা তো কথা নয় !!
ডিসকর্ড লিংক
https://discord.gg/VtARrTn6ht
250 SP | 500 SP | 1000 SP | 2000 SP | 5000 SP |
VOTE @bangla.witness as witness
OR
Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.
একেক মানুষের চিন্তা ভাবনা একেক রকম। তাই একজনের চিন্তা ভাবনার সাথে অন্য জনের চিন্তা ভাবনা মিলবে না, এটাই তো স্বাভাবিক। তবে কিছু কিছু মানুষ আছে, যারা অন্যের চিন্তা ভাবনার মধ্যে যৌক্তিকতা থাকা সত্ত্বেও মেনে নিতে পারে না এবং অন্যের পছন্দকে শ্রদ্ধা করে না। এটা একেবারেই উচিত না। উদাহরণস্বরূপ, আমার কাছে লাল রঙের টি-শার্ট ভালো লাগে না বলে যে সবারই ভালো লাগবে না,ব্যাপারটা কিন্তু তেমন না। আসলে দিনশেষে সবার পছন্দ ই ভালো এবং একে অপরের পছন্দকে অবশ্যই শ্রদ্ধা করা উচিত। যাইহোক এতো চমৎকার একটি টপিক নিয়ে পোস্ট শেয়ার করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে।
ধন্যবাদ ভাই, আমার সুপ্ত অনুভূতি বুঝতে পারার জন্য, আপনার জন্য শুভেচ্ছা রইল।
বাহ্ সুন্দর একটি টপিক নিয়ে আলোচনা করেছেন ভাইয়া।পৃথিবীতে প্রতিটি মানুষ যেমনি ভিন্ন তেমনি তাদের পছন্দও ভিন্ন ভিন্ন।আমাদের সকলের উচিত সবার পছন্দকে যথাযথ সম্মান করা ।না হলে মানুষের মধ্যে হীনমন্যতার সৃষ্টি হবে।ভালো লাগলো পোস্টটি।ধন্যবাদ ভাইয়া সুন্দর পোস্টটি শেয়ার করার জন্য।
চারপাশের মানুষের এই হীনমন্যতা দূর হওয়া বড্ড জরুরী।
আমরা যেমন প্রশংসা শুনতে পছন্দ করি তেমনি প্রশংসার কাজ করা উচিত। অনেক সময় দেখা যায় সবকিছুর ভারসাম্য বজায় রেখে চলতে গেলে অনেক বিপদ কিংবা বাঁধা আসে। তবুও এগিয়ে যেতে হয়। সবার পছন্দ কিংবা চিন্তাধারা যেমন এক নয় তেমনি সবার মতামত কখনোই মিলবে না ভাইয়া।
কারো মতামত দিয়ে তো আর নিজের গন্তব্য হয় না, নিজের গন্তব্যের দিকে নিজেকেই এগিয়ে যেতে হয়, এটাই তো আমি মনে করি ।
এটি একদম সত্য যে পৃথিবীতে বৈচিত্র্য আছে বলেই এত সুন্দর করে তার মধ্যে একটি ভারসাম্য রক্ষা করা আছে৷
কখনো দেখা যায় মানুষ শুধু শুধু হীনমন্যতায় ভোগে যা অযৌক্তিক যেমন তেমনি বাস্তবতার সাথে মিলে যায় না।
তবে অবশ্যই প্রতিটি বিষয়ই কোন কারনে ঘটে, কিছু ভালো আর অন্যটি তা নয়।
একেক মানুষের ব্যক্তিত্ব যেমন একেক রকমের তেমনি তাদের চিন্তাধারা আলাদা। অনেক সময় পরিস্থিতি অনেক সিদ্ধান্ত নিতে বাধ্য করে। কারো কাছে ঘনো অন্ধকার ভালো লাগে বলে যে অন্য কারো সকাল পছন্দ হবে না এটা ভাবা উচিত নয়। নিজের ভালোলাগা গুলোই প্রাধান্য দেয়া উচিৎ। নিজের অনুভূতি থেকে দারুন লিখেছেন ভাইয়া।
দিনশেষে নিজের ভালো লাগা গুলোকে প্রাধান্য দেওয়াই তো বুদ্ধিমানের কাজ, তবে অন্যের যৌক্তিক চিন্তাভাবনাকেও সম্মান দেওয়া যায়।
সামনে প্রশংসা করা অনেক টা স্ক্যামের মতো। এটা কোন কাজের না শুধু ঐ মন ভোলানো। বুদ্ধিমান রা এটা এড়িয়ে যাবে এটা কিন্তু স্বাভাবিক ভাই। মানুষের রুচি অভ্যাস আলাদা হবে এটা স্বাভাবিক তেমনই অমিল থাকবে আমাদের মতের। এটা নিয়ে সবাইকে সাবলীল হতে হবে।