হঠাৎই বাবুকে নিয়ে ডাক্তারের কাছে
সমসাময়িক সময়ে প্রায় বাচ্চাদের শরীরেই র্যাশ হচ্ছে। গত বছর বাবুর শরীরে হঠাৎই এমন হয়েছিল, এবারও তার ব্যতিক্রম নয়। আর বাবুর কিছু হওয়া মানেই, আমার মাথার উপর আকাশ ভেঙে পড়া।
গতকাল বিকালের পরে, বাবু দেখছিলাম ওর হাত পা গুলো চুলকাচ্ছিল। যখন তা ক্রমাগত বেশি হয়ে গিয়েছে, তখন তা আর কোন ভাবেই আমি মেনে নিতে পারিনি। কৌতূহলবশত যখন ওর শরীরটা ভালোভাবে দেখার চেষ্টা করলাম, তখন দেখলাম পুরো শরীর জুড়ে ছোট ছোট র্যাশ উঠে গেছে।
এক মুহূর্ত বাসায় দেরি না করে সঙ্গে সঙ্গে আমার ইমিডিয়েট সিনিয়র কলিগ, ডাক্তার সুমন দাদার সঙ্গে যোগাযোগ করলাম। উনি যেহেতু মেডিসিনের রেজিস্টার ডাক্তার হিসেবে বগুড়া মেডিকেলে কর্মরত আছে এবং বিকেল বেলা করে আমাদের এলাকায় চেম্বার করে। আর তাছাড়া পূর্ব থেকেই আমার সঙ্গে তার সখ্যতা ভালো হয়তো তা আমাদের দুজনার বাসা পাশাপাশি হওয়ার কারণে।
আমরা যখন তার চেম্বারে গিয়ে পৌঁছালাম, তখন মোটামুটি বিকেল হয়ে গিয়েছে। বেশ ভালই রোগীর ভিড় থাকে বিকেল বেলা করে। এমনিতেই মেডিসিনের ডাক্তার হয়তো যার কারণে রোগীর ভিড় এমন থাকা তার কাছে নিতান্তই স্বাভাবিক। কিছুটা সময় বসে অপেক্ষা করছিলাম, যদিও আমি ফোন করে এসেছি, তারপরেও দাদা যেহেতু রোগী দেখছিল তাই ইচ্ছে করেই তার রুমের ভিতরে প্রবেশ করিনি।
অবশেষে আমাদের সময় হলো রুমের ভিতরে প্রবেশ করার। বাবুকে যখন দেখালাম, তখন বাবুকে দেখে বলল, এই সমস্যা এখন প্রায় বাচ্চাদেরই হচ্ছে। মূলত এলার্জিক রিঅ্যাকশনের কারণে। তাছাড়াও ওয়েদার পরিবর্তন হচ্ছে, সব মিলিয়ে ঠান্ডা জ্বর, সর্দি কাশি ও গায়ে র্যাশ উঠছে বাচ্চাদের।
আমাকে বলল ভয়ের তেমন কোন কারণ নেই, কয়েকদিনের মধ্যে এমনিতেই ভালো হয়ে যাবে, অযথা অ্যান্টিবায়োটিক দেওয়ার কোন প্রয়োজনই পড়েনা। নরমাল যে সাপ্লিমেন্ট গুলো আছে, সেগুলোই দেওয়ার চেষ্টা করলো এবং বলল কয়েকদিনের ভিতরে ঠিক হয়ে যাবে এই ওষুধ গুলো যথারীতি নিয়মে খাওয়ালে।
তবে সমস্যা অন্য জায়গায়, আমার বাবু সব খেতে চায়, তবে ওষুধ দেখলে তা কোনভাবেই খেতে চায় না। যদিও ওর মা বুদ্ধি করে খাওয়ানোর চেষ্টা করে, তবে ও মুখে নেওয়ার পরে ফেলে দেয়। সব মিলিয়ে বেশ ভালই ঝামেলার ভিতরে আছি, এখন দ্রুত বাবুর অসুখটা ভালো হলেই যেন দুশ্চিন্তা মুক্ত হতে পারি।
ডিসকর্ড লিংক
https://discord.gg/VtARrTn6ht
250 SP | 500 SP | 1000 SP | 2000 SP | 5000 SP |
VOTE @bangla.witness as witness
OR
Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.
https://twitter.com/sharifShuvo11/status/1717787092712050878?t=WPMEvHh7gsgYWiTSh0ab3Q&s=19
প্রথমেই শায়ান বাবুর দ্রুত সুস্থতা কামনা করছি। বেশিরভাগ বাচ্চারা ঔষধ একেবারে খেতেই চায় না। আর তখন দুশ্চিন্তা আরও বেড়ে যায়। তবে দ্রুত ডক্টরের শরণাপন্ন হয়ে খুব ভালো করেছেন। আশা করি হীরা আপু বুদ্ধি করে শায়ান বাবুকে ঔষধ খাইয়ে দিতে পারবে এবং শায়ান সুস্থ হয়ে উঠবে ইনশাআল্লাহ। আপনার পুরো পরিবারের জন্য অনেক অনেক দোয়া এবং শুভকামনা রইল ভাই।
আসলেই ভাই, বাবুর সুস্থতা এই মুহুর্তে খুবই জরুরী।
যেহেতু ছোট বাচ্চা আপনি খুব তাড়াতাড়ি ডাক্তারের কাছে নিয়ে গেছেন বেশ ভালো হয়েছে। কারণ ছোট বাচ্চাদের সমস্যা হলে আমারো খুব টেনশন হয়। ছোট মানুষ এলার্জি একদম সহ্য করতে পারবে না। ডাক্তার তো বেশ ভালোই আশ্বাস দিল। আশা করি খুব তাড়াতাড়ি ভালো হয়ে যাবে বাবুর জন্য দোয়া রইল।
আমি আপনার সাবলীল মন্তব্যের কাছে, কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছি।
এমন ওয়েদারে শরীরের এলার্জিজনিত সমস্যাটা এসে ভীড় করে বেশি। আমার ছোটবেলা থেকেই এই সমস্যা। তবে আপনি ভালো কাজ করেছেন ডাক্তার দেখিয়ে। ডাক্তার যেহেতু বলেছে সমস্যাটা এতোটাও গুরুতর নয়, তাই আপাতত ডাক্তারের পরামর্য় মতো ঔষধ খাওয়াতে পারলে হবে আশা করি। কিন্তু শায়ান এখনও ছোট, ঔষধ খেতে চাইবে না। মিথ্যে বলে হলেও খাওয়াতে হবে।
আশাকরি আপনার বাবু খুব দ্রুতই সুস্থ্য হয়ে যাবে ভাই। প্রায় সব বাচ্চাই ঔষধ খেতে চাই না। বাচ্চাদের কথা কী বলব আমি নিজেই তো এখনো ঔষধ খেতে চাই না। নিজের সন্তান অসুস্থ্য হলে বাবা মা ব্যতিব্যস্ত হয়ে পড়ে এটাই স্বাভাবিক। চিন্তা করবেন না ভাই ঠিক হয়ে যাবে।
আপনি দ্রুত ডক্টরের শরণাপন্ন হয়ে খুব ভালো করেছেন ভাইয়া।কারণ, এই সময়ে প্রায় বাবুদের এই সমস্যাটা দেখা যাচ্ছে। বাচ্চারা ওষুধ না খেতে চাইলে খুবই দুশ্চিন্তা হয় । যাইহোক, বাবুর দ্রুত সুস্থতা কামনা করছি। ডাক্তারের পরামর্শ অনুযায়ী চললে আশা করি খুব দ্রুত শায়ান বাবু সুস্থ হয়ে উঠবে।