সচেতনতা বৃদ্ধি জরুরি
এবার গ্রামে গিয়ে মোটামুটি দশ দিনের বেশি সময় ছিলাম, তবে কিছু বিষয় আমাকে বেশ ভাবিয়েছে। কেননা বিকেল করে যখন খেলার মাঠে যেতাম, সেই সময় দেখতে পারতাম কিশোর-যুবক থেকে শুরু করে মাঝ বয়সী লোকজনরা একদম খেলার মাঠে গোল হয়ে একত্রে বসে আছে।
যদিও প্রথম কয়েকদিন ব্যাপারটা দেখে আমি খুব একটা বুঝতে পারিনি, তবে দিন যত গড়িয়েছে ততই ব্যাপারটা আমাকে বেশ ভাবিয়েছে।
একটা সময় দেখেছি এই খেলার মাঠে কত কত রকম খেলাধুলা হত, হোক সেটা ক্রিকেট, ফুটবল, হাডুডু, ভলিবল কিংবা অন্যান্য। তবে আজ সেটা অনেকটাই কমে গিয়েছে। বাস্তবিকভাবে এখন আর কেউ খেলাধুলা করতেই চায় না। করলেও সেখানে বাজী ধরে খেলা হয়।
ঐ যে মাঠের মধ্যে গোল করে সবাইকে বসতে দেখেছি অনেক জায়গায়, ব্যাপারটা নিয়ে আমি একটু যখন গভীরভাবে চিন্তা করেছি কিংবা এলাকার অন্যান্য লোকজনের সঙ্গে কথা বলার চেষ্টা করেছি, তখন যা জানতে পেরেছি, সেটা শুনে আমার শরীরের লোম দাঁড়িয়ে গিয়েছিল।
মূলত সবাই অনলাইন জুয়াতে আসক্ত হয়ে গিয়েছে। এই যে বিপিএল চলছে কিংবা বিভিন্ন সময়ে ক্রিকেট বা ফুটবলের যে টুর্নামেন্ট গুলো চলে, সেগুলোকে কেন্দ্র করেই কিছু অবৈধ জুয়ার সাইটের মাধ্যমে সবাই আসলে নিজেকে জড়িয়ে ফেলেছে এ ধরনের কার্যকলাপে।
বিশেষ করে সন্ধ্যার পরে, এই ধরনের কার্যকলাপে যারা জড়িত, তাদের সমাগম বেশ ভালো থাকে স্কুল মাঠে। গ্রুপ হয়ে মাঠের বিভিন্ন স্থানে বসে গিয়ে, তারা মোবাইলে লাইভ খেলা দেখে আর বাজী ধরে। জুয়ার কুফলতা কিংবা ভয়াবহতা নিয়ে, নতুন করে আর কিছুই বলতে চাই না। মোটামুটি আপনারা সকলেই এই বিষয়ে অবগত আছেন।
আগে ভাবতাম হয়তো শহর অঞ্চলের মানুষজন শুধুমাত্র এসব কার্যকলাপের সঙ্গে জড়িত, তবে সময়ের পরিক্রমায় এই অবস্থা যে গ্রামের যুব সমাজের মাঝে বেশ ভালোভাবে বিস্তার করেছে, তা হয়তো স্বচক্ষে না দেখলে, প্রমাণ পেতাম না।
ডিসকর্ড লিংক
https://discord.gg/VtARrTn6ht
250 SP | 500 SP | 1000 SP | 2000 SP | 5000 SP |
VOTE @bangla.witness as witness
OR
Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.
ভাই আমাদের এদিকে তো মিনিমাম ১০ বছর আগে থেকেই এসব জুয়া চলে। ক্রিকেট এবং ফুটবল খেলা নিয়ে সারাবছর বাজি ধরে অনলাইনে। এখন তো ছোট থেকে শুরু করে মুরুব্বিরা পর্যন্ত বাজি ধরে অনলাইনে। এমনকি মহিলাদের ক্রিকেট খেলা হলেও বাজি ধরে। অনেক পরিবার একেবারে নিঃস্ব হয়ে গিয়েছে বাজি ধরে হেরে। আবার কিছু কিছু মানুষ কোনো কাজকর্ম করে না,শুধুমাত্র বাজি ধরে জিতে সংসার চালায়। এখন আবার কিছু বেটিং অ্যাপ বের হয়েছে, এক ক্লিকে হাজার হাজার টাকা হেরে যায়, আবার জিতেও যায়। দিনদিন খুবই বাজে পরিস্থিতির সৃষ্টি হচ্ছে। তাই সবার উচিত সচেতনতা বৃদ্ধি করা। যাইহোক এমন সচেতনতামূলক একটি পোস্ট আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ ভাই।
আপনাদের ঐ দিকেও ব্যাপারটা ছড়িয়ে গিয়েছে, বিষয়টা জেনে খুব ব্যথিত হলাম। এসবের প্রতিকার হওয়া জরুরি।
সময়ের সাথে সাথে সব বদলে গেছে ৷ আগে খেলার মাঠে হতো বিভিন্ন ধরনের খেলা ৷ এখন আমাদের এদিকেও একই অবস্থা ৷ কেউ অনলাইন জুয়া খেলায় ব্যস্ত , কেউ অনলাইন গেমে অসক্ত ৷ নষ্ট হয়ে যাচ্ছে যুব সমাজ ৷ আমাদের সচেতন হওয়া উচিত ৷ নয়তো এ সমাজের পতন নিশ্চিত ৷ যাই হোক , সুন্দর একটি পোস্ট শেয়ার করার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ ৷
সচেতনতার বার্তা ছড়িয়ে যাক সর্বত্র, এমনটাই প্রত্যাশা ব্যক্ত করছি।
শহরের গুলা দেখা যায় না তবে গ্রামে এখন জুয়ার পরিমাণ বেশি। উঠতি বয়সী অনেক ছেলেরাই দেখি এটার সাথে সম্পৃক্ত। এটা একপ্রকার বাজে নেশায় রূপ নেয় পরে। এজন্য সমাজসেবকদের এগিয়ে আসা উচিত এ ব্যাপারে। নয়তো সামনে আরও খারাপ সময় অপেক্ষা করছে
যা দেখে এসেছি, এ ভাবে চলতে থাকলে আসলেই সামনে খারাপ কিছু অপেক্ষা করছে।
জুয়া গ্রামের দিকে বেশি দেখতে পাওয়া যায়।অনেকে মিলে আড্ডায় মেটে ওঠে স্কুল,কলেজ মাঠ গুলোতে আর এই জুয়া একটি জাতিকে ধ্বংসের দিকে ঠেলে দেয়।এমনকি ইসলাম ধর্মেও এটিকে হারাম করা হয়েছে।ভালো লাগলো আপনার পোস্টটি ভাইয়া।অনেক সুন্দর লিখেছেন ।ধন্যবাদ আপনাকে সুন্দর পোস্টটি শেয়ার করার জন্য।
বর্তমান প্রজন্ম দিন দিন ভয়াবহ পরিণতির দিকে এগিয়ে যাচ্ছে এতে সন্দেহ নেই।এর জন্য বাবা-মায়েরাই অনেকাংশে দায়ী।যাইহোক গ্রামেও অনলাইন জুয়াতে আসক্ত হচ্ছে বর্তমান সমাজ এটা খুবই দুঃখজনক।অনলাইনে গেম খেলে মস্তিষ্কের বিকৃতি ঘটানো ছাড়া আর কিছুই নয়, সুন্দর বিষয় উপস্থাপন করেছেন।ধন্যবাদ ভাইয়া।