সেদিন সন্ধ্যা বেলায়
সেদিন সন্ধ্যেবেলায় পরিবার নিয়ে গিয়েছিলাম চাটনি রেস্টুরেন্টে। মূলত, বাবু ভীষণ বাসায় একাকীত্ববোধ করছিল সেজন্যই সেখানে যাওয়া।
এই শহুরে জীবনে ছোট বাচ্চারা যেন প্রতিটি বাসায় জেলখানার মতো করে বেড়ে উঠছে। এটা যদিও আমার ব্যক্তিগত মতামত, তবে আপনাদের ক্ষেত্রে এমনটা নাও হতে পারে।
ভিডিও লিংক
অবশেষে সেদিন সন্ধ্যাবেলায় অনেক কাজের চাপের ভিতরে থাকার পরেও, সবগুলো কাজ চেষ্টা করলাম একটু দ্রুত সম্পন্ন করার জন্য। যখন কাজগুলো শেষ হলো, তখন মনে হল কিছুটা হলেও যেন চিন্তা মুক্ত হলাম। অতঃপর গিন্নিকে একপ্রকার প্রস্তাব দিয়েই বসলাম, যাবে নাকি বাহিরে।
সেও মোটামুটি মানসিকভাবে প্রস্তুতি নিয়ে ফেলল। অতঃপর একটা রিক্সায় চেপে এই সন্ধ্যেবেলা ব্যস্ত শহরের বুকে অনেকটা সময় এদিক সেদিক ঘোরাঘুরি করে, অবশেষে আমরা চলে গেলাম চাটনি রেস্টুরেন্টে। যেহেতু আমরা সন্ধ্যাবেলার কিছুটা সময় পরে সেখানে গিয়েছিলাম, তাই বলা যায় রেস্টুরেন্টটা খানিকটা ফাঁকাই ছিল।
বাবু তো রেস্টুরেন্টের ভিতরে ঢুকে, নিজের মতো করে এদিক সেদিক দৌড়াদৌড়ি করছিল এবং ওর আম্মুর মোবাইল নিয়ে আমার মত করে ভিডিও করার চেষ্টা করছিল এবং মেনু কার্ড নিয়ে এক প্রকার টানা-হেঁচড়া করছিল।
অতঃপর একটা সময়ের পরে বাবুকে টেবিলে বসিয়ে মোবাইলে কার্টুন দেখিয়ে কিছুটা স্থির করা গিয়েছিল এবং তারপরে বাবুর আম্মু কিছু খাবার অর্ডার করেছিল। মূলত চিকেন ক্রিম পাস্তা এবং ফুচকা অর্ডার করেছিল। বাবু ফুচকা খেতে ভীষণ পছন্দ করে আর বাবুর আম্মু পাস্তা।
আমি অবশ্য খুব একটা বেশি বাইরের খাবার খাই না বললেই চলে। আমি শুধু ওদের খাবার খাওয়ার মুহূর্ত ভিডিও করি আর ওদের খাবার খাওয়া দেখে প্রশান্তি পাই। সব মিলিয়ে যদি বলতেই হয়, সেদিনের সেই সন্ধ্যা বেলায় আমাদের সময়টা বেশ ভালই কেটেছিল চাটনি রেস্টুরেন্টে।
আমাদের রেস্টুরেন্টে কাটানো মুহূর্তের উপর একটা ভিডিও দেওয়ার চেষ্টা করেছি, আশা করি ভালো লাগবে আপনাদের।
ধন্যবাদ সবাইকে।
ডিসকর্ড লিংক
https://discord.gg/VtARrTn6ht
250 SP | 500 SP | 1000 SP | 2000 SP | 5000 SP |
VOTE @bangla.witness as witness
OR
<center><sub>Posted using [SteemPro Mobile](https://play.google.com/store/apps/details?id=com.steempro.mobile)</sub></center>
Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.
কথাই তো বলে বাপকা বেটা সিপাই কা ঘোড়া কুছ নেহি তো থোরা থোরা। বাবার থেকে দেখে রেখে ভিডিওগ্রাফি শিখছে। তবে বাবুর মত আমারও কিন্তু ফুচকা বেশ প্রিয়। বেশ ভালো সময় কাটিয়েছেন বুঝাই যাচ্ছে ভাইয়া। তবে রেস্টুরেন্ট যেহেতু ঢাকায় নয় তাই চাইলেও যাওয়ার উপায় নেই।
আপনাকে দাওয়াত দিলাম আমাদের এলাকায়, বেড়াতে আসেন, নিয়ে যাব নি রেস্টুরেন্টে।
আসলেই ভাই বর্তমান যুগের শহুরে বাচ্চারা অনেকটা জেলখানার মতো বন্দী হয়ে বেড়ে উঠছে। কারণ খেলাধুলা করার জন্য তেমন জায়গা নেই বললেই চলে। যাইহোক চাটনি রেস্টুরেন্টে গিয়ে শায়ান বাবু তো বেশ খুশি হয়েছে দেখছি। ফুচকা কমবেশি সবাই পছন্দ করে। সবমিলিয়ে আপনারা বেশ ভালো সময় কাটিয়েছেন চাটনি রেস্টুরেন্টে। ভিডিওগ্রাফিটা দেখে ভীষণ ভালো লাগলো। যাইহোক এতো চমৎকার মুহূর্ত আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে।
সামনের দিনগুলোতে যে আরো কি অপেক্ষা করছে, সেটাই ভেবে পাচ্ছি না। এই যান্ত্রিক নাগরিক জীবন আমাদেরকে বেশ হাঁপিয়ে তুলেছে।
সব সময় চার দেয়ালের ভেতরে থাকলে আসলে একঘেয়েমি হয়ে যায়। আমার কাছেও তাই মনে হয় ভাই গ্রামের খোলা পরিবেশে থেকে শহরের বদ্ধ পরিবেশে থাকাটা অনেক বেশি কষ্টকর। যাইহোক আপনার বাবু আর ভাবিকে নিয়ে রিক্সায় করে বেশ ঘোরাফেরা করে চাটনি রেস্টুরেন্টে গিয়ে বেশ সুন্দর সুন্দর খাবার খেয়েছেন দেখছি। অসংখ্য ধন্যবাদ ভাই আপনার জন্য অনেক অনেক শুভকামনা রইল।
শহরের জীবন মানেই অনেকটা জেলখানার মত লাগে ভাই আমার কাছে।
পরিবারের সাথে সময় কাটালে এমনিতেই মনে প্রশান্তি মিলবে। আর আপনার ছেলে যেহেতু দিন দিন বড় হচ্ছে তাই তার দুষ্টামি বৃদ্ধি পাচ্ছে। যাই হোক রেস্টুরেন্টে গিয়ে সুন্দর সময় পার করে সেটা আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ ভাই।
এটা সত্য সেদিনের সন্ধ্যেবেলার সময়টা বেশ ভালোই কেটেছিল আমাদের।