ভাগ্য সুপ্রসন্ন হওয়ার পূর্বাভাস
কখন কার কিভাবে কপাল খুলে যাবে তা বলা মুশকিল। কেননা কোন কাজে যদি তীব্র ভাবে লেগে থাকা যায়, তাহলে সেই কাজের বিভিন্ন রকম উপায় এমনিতেই বের হয় । পরিষ্কার করে বলতে গেলে, যেহেতু এখন সোশ্যাল মিডিয়ার যুগ, তাই প্রতিনিয়তই মানুষের সঙ্গে মানুষের যোগাযোগ বেড়েই চলছে।
শিক্ষকতা পেশার সঙ্গে দোলন সাহেব বহু আগে থেকেই জড়িত, বলা যায় সে প্রতিনিয়ত চেষ্টা করছিল নিজের প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষা কার্যক্রম গুলো সোশ্যাল মিডিয়াতে ভিডিও আকারে শেয়ার করার জন্য । কে জানে, কেউ একজন তারই শিক্ষা কার্যক্রম গুলো প্রতিনিয়ত দূর দেশ থেকে মুঠোফোনে দেখতো !
সোশ্যাল মিডিয়াতে তো আর পাসপোর্ট ভিসা লাগে না, তাই যেকোনো কেউ যেকোনো অবস্থায় অন্য কারো কার্যক্রম খুব সহজেই দেখতে পারে। অতঃপর মেসেঞ্জারে খুদেবার্তা, তাতে স্পষ্ট ভাষায় লেখা, দোলন সাহেব আপনার সঙ্গে কি দুটো কথা বলা যাবে !
হঠাৎই এমন বার্তা পেয়ে দোলন সাহেব যেন কিছুটা, ভ্যাবাচ্যাকা খেয়ে গিয়েছিল। অবাক হওয়ারই কথা, কেননা বার্তা এসেছিল সূদুর মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের অঙ্গরাজ্য ওয়েস্ট ভার্জিনিয়া থেকে। মূলত যে ভদ্রমহিলা, দোলন সাহেবের সঙ্গে যোগাযোগ করেছিল, সে বহু আগে বাংলাদেশে থাকতো, তবে সে এখন তার পুরো পরিবার নিয়ে ওয়েস্ট ভার্জিনিয়াতেই খুব ভালোভাবে সেটেল।
ভদ্রমহিলা নিজেও আসলে শিক্ষকতা পেশার সঙ্গে জড়িত, তাই পেশার জায়গা থেকেই দোলন সাহেবের সঙ্গে খুব দ্রুত তার সখ্যতা তৈরি হয়ে যায় । সে আসলে প্রতিনিয়ত জানার চেষ্টা করছিল, দোলন সাহেবের এলাকার শিক্ষা কার্যক্রম ও আর্থ-সামাজিক অবস্থা সম্পর্কে। এদিক থেকে অবশ্য দোলন সাহেব, বেশ স্বতঃস্ফূর্তভাবে তার এলাকার পরিবেশ-পরিস্থিতি ও শিক্ষাব্যবস্থা সম্পর্কে তাকে জানিয়েছিল।
প্রতিনিয়ত সময় গড়িয়ে যায় আর ভদ্র মহিলার সঙ্গে দোলন সাহেবের কথা বাড়তেই থাকে। কি অদ্ভুত ব্যাপার তাই না, মূলত সবই সম্ভব হয়েছে দুজনই একই পেশায় থাকার সুবাদে। ভদ্রমহিলার খুব ইচ্ছে, এই গ্রামীণ পরিবেশে সে একটা স্কুল তৈরি করবে, যাতে সুবিধাবঞ্চিত শিশুরা যেন খুব সহজেই সুশিক্ষা গ্রহণ করতে পারে।
এই যে তাদের এতো বিস্তর আলাপচারিতা, আমি কিভাবে জানলাম, এই প্রশ্ন আপনার মনে জাগতেই পারে, আজ যখন পড়ন্ত বেলায় দোলন সাহেবের সঙ্গে ঘুরতে বেরিয়েছিলাম, তখনই তার মুখ থেকে কথাগুলো শুনেছিলাম।
আমি বেশ ভালোভাবেই বুঝতে পারছি, সবকিছু ঠিকঠাক থাকলে হয়তো ভদ্রমহিলা এই গ্রামীণ অঞ্চলে স্কুলটা তৈরি করবেই এবং সেই স্কুলে সহকারী শিক্ষক হিসেবে নিয়োজিত থাকবে, আমার প্রিয় দোলন ভাই।
আমার বন্ধু কিংবা শুভাকাঙ্ক্ষীর সংখ্যা বড্ড সীমিত। তবে এই সীমিত সংখ্যক শুভাকাঙ্ক্ষীর যখন কোন ভালো খবর শুনি, তখন বড্ড গর্ববোধ হয় নিজের কাছে।
এগিয়ে যান দোলন ভাই আপনার নিজস্ব গতিতে, শুভেচ্ছা ও ভালোবাসা রইল আপনার জন্য।
ডিসকর্ড লিংক
https://discord.gg/VtARrTn6ht
250 SP | 500 SP | 1000 SP | 2000 SP | 5000 SP |
VOTE @bangla.witness as witness
OR
Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.
সৃষ্টিকর্তা কাকে কখন কিভাবে কোন দিক থেকে সচ্ছলতায় ফিরিয়ে নিবেন এটা বলা বড়ই দুষ্কর। আবার কাকে কখন ওসব স্থান থেকে আবার কাকে কখন উচ্চ স্থান হতে নিম্ন পজিশনে নিয়ে আসবেন এটাও সেই স্রষ্টার ঐ খেলা। যেমন আপনার এলাকার প্রিয় দোলন ভাই। তিনি তো আদৌ এই বিষয়টা জানতেন না যে তার ধারণ করা ভিডিওগুলো সেই দূর যুক্তরাষ্ট্র থেকে এক মহিলা অনুসরণ করে আসছে। যার সুবাদে তিনি এখন প্রিয় দোলন ভাই এর অধীনে দোলন ভাইয়ের এলাকায় একটি স্কুল প্রতিষ্ঠা করতে চান। সত্যি এটি প্রশংসনীয় বিষয়। আশা করছি দোলন ভাই এবং সেই যুক্তরাষ্ট্রের ভদ্রমহিলার প্রচেষ্টা সফল হবে এই কামনাই ব্যক্ত করছি।
আমিও চাই, এমন একটা প্রতিষ্ঠান এই গ্রামীণ অঞ্চলে হোক, যাতে করে সুবিধাবঞ্চিত শিশুরা একটু সঠিক শিক্ষা গ্রহণ করার সুযোগ পাক।
এটা নিঃসন্দেহে খুবই ভালো একটা নিউজ। আসলেই সোশ্যাল মিডিয়ার খারাপ দিক থাকার পাশাপাশি অবশ্যই কিছু ভালো দিক রয়েছে। আর তাইতো সোশ্যাল মিডিয়ার মাধ্যমে, সূদুর আমেরিকা থেকে কতো সহজে, সেই মহিলা দোলন সাহেবের সাথে যোগাযোগ করে ফেললেন। স্কুলটা তৈরি করা হলে সুবিধাবঞ্চিত অনেক শিশুরা সেই স্কুলে পড়াশোনা করার সুযোগ পাবে। শিক্ষার আলো এভাবেই সর্বত্র ছড়িয়ে পরুক,সেই কামনা করছি। যাইহোক এতো চমৎকার একটি পোস্ট আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ ভাই।
আমার খুব ভালোভাবে মনে আছে, রবিবারের আড্ডা শো-তে আপনি ঠিক এইরকম একটা গল্প বলেছিলেন, আপনার দক্ষিণ কোরিয়ার প্রবাস জীবনের গল্প। গতকাল যখন গল্পটি লিখছিলাম, তখন আপনার কথা বারবার মনে পড়ছিল। শুভেচ্ছা রইল।
আসলে কখন কার ভাগ্য কিভাবে খুলবে একমাত্র যে ভাগ্য লিখেছেন সেই জানে। সোশ্যাল মিডিয়ার মাধ্যমে ওনার কাজ দেখে সূদুর মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের অঙ্গরাজ্য ওয়েস্ট ভার্জিনিয়া থেকে থেকে উনার জন্য একটি প্রস্তাব রেখেছেন যেন ভালো লাগলো। আশা করি পরবর্তীতে যদি প্রতিষ্ঠানটি তৈরি হয় তাহলে ওই ভদ্র মহিলা উনাকে শিক্ষক হিসেবে দায়িত্ব দিবেন এবং উনি খুব সুন্দর ভাবে দায়িত্ব গুলো পালন করতে পারবেন। যাইহোক আপনার ফটোটি দেখে বুঝতে পারলাম আপনারা বেশ সুন্দর একটি জায়গায় ঘুরতে গিয়েছিলেন। ধন্যবাদ আপনাকে পোস্টটি আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।
মূলত এই ছবিগুলো তোলা হয়েছিল, গ্রামীণ পরিবেশের প্রতিচ্ছবি, সেই ভদ্রমহিলাকে পাঠানোর জন্য।
কখন কার জীবনে কি ঘটে যায় সেটা বলা সত্যিই মুশকিল। দোলন ভাইয়ের জন্য অনেক অনেক শুভকামনা রইল। আশা করছি সেই ভদ্রমহিলা খুব দ্রুত সময়ের মধ্যেই একটি স্কুল গঠন করবেন আর দোলন ভাইকে সেখানে সহকারী শিক্ষক হিসেবে কাজ করার সুযোগ দিবেন। অনেক অনেক শুভকামনা রইল দোলন ভাইয়ের জন্য।
এমনটা আমিও প্রত্যাশা ব্যক্ত করছি ভাই, দ্রুতই বিষয়টির সমাধান হোক।
যখন কোন কিছু প্রতিনিয়ত চেষ্টা করা হয় কোন এক দিক থেকেই ভাগ্য খুলে যায়। আপনার সেই দোলন ভাইয়ের ভাগ্য খুলে গেল। এই ভাগ্য বদলে যাওয়া মানে এলাকার হাজারো সুবিধা বঞ্চিত ছেলেমেয়েদের সুবিধার ভাগ্য। এই ভাগ্য হচ্ছে দোলন সাহেবের ভিডিও দেখে এলাকার একটি সুন্দর স্কুল প্রতিষ্ঠান স্থাপনার ভাগ্য। উনি প্রতিনিয়ত ভিডিও দিতেন বলেই এত সুন্দর একটি প্রস্তাব পেল আজকে। পুরো ব্লগটি পড়ে অনেক ভালো লাগলো।
জীবনটা হচ্ছে স্পিন বলের মত, কখন কোন দিকে ঘুরবে তা বলা মুশকিল।
ঠিক বলেছেন ভাইয়া কখন যে কিভাবে কার ভাগ্য খুলে যায় কেউ বলতে পারে না। সকালে যাকে গরীব দেখি বিকালে তার ভাগ্যের চাকা ঘুরে গিয়ে বড়লোক হয়ে যায়। তারজন্য কাউকে অবহেলা করা উচিত নয়। যে ভাবে তার কর্মকে এগিয়ে নিয়ে যেতে চায় তাকে আর্থিক সাহায্য করতে না পারলেও, উৎসাহ দিয়ে পাশে থাকা উচিত। দোলন সাহেব সোশ্যাল মিডিয়াতে ভালো কিছু কিংবা মানুষের শিক্ষনীয় বিষয় প্রচার করেছেন বলেই হয়তো আজ তার ফল পেতে চলেছে। তারজন্য বলে সৎ পথে থেকে এগিয়ে যাও কর্মফল পাবেই। মহিলার এমন সৎ উদ্দেশ্যের কথা শুনে খুব ভালো লাগলো। বিদেশে তো এমন অনেক মানুষ থাকে কিন্তু সবার মধ্যে এমন চিন্তাধারা থাকে না। আপনার পোস্ট পড়ে অনেক ভালো লাগলো। দোলন সাহেবের জন্য অনেক অনেক শুভকামনা রইল।
আপনার মন্তব্যটি বেশ ভালো লাগলো আপু, এটা সত্য সবার চিন্তাভাবনা এক না, সেই জায়গা থেকে ভদ্রমহিলার এমন চিন্তাভাবনা কে অবশ্যই সাধুবাদ জানানো যায়।
ইতোমধ্যেই দোলন ভাইয়ের সাথে আমরা পরিচিত হয়েছি। দোলন ভাইয়ের সাথে আপনি অনেক সুন্দর সময় কাটিয়েছেন আমরা আগেও দেখেছি। আর দোলন ভাইয়ের জন্য একটি বড় সুখবর আসতে চলেছে জেনে খুবই ভালো লাগলো। আশা করছি সবকিছু ভালোই হবে। সোশ্যাল মিডিয়ার কল্যাণে দোলন ভাইয়ের ভাগ্য পরিবর্তন হতে চলেছে জেনে খুবই ভালো লাগলো ভাইয়া।
আমিও চাই, তার ভালো হোক আপু। এমনটাই প্রত্যাশা আমিও ব্যক্ত করছি, কেননা সে আমার খুব কাছের বড় ভাই।
জী ভাইয়া ঠিক বলেছেন, কেউ যদি কোন কাজের প্রতি তীব্র আগ্রহের সাথে লেগে থাকে,চেষ্টা করে তাহলে কোন না কোন উপায় বের হয়ে যায়। আশা করা যায় যুক্তরাষ্ট্রের ভদ্র মহিলা দোলন ভাইয়ের স্কুলে ইনবেষ্ট করবে। তাহলে দোলন ভাইয়ের স্বপ্নও পুরন হবে। ধন্যবাদ।