বলির পাঁঠা
গতরাতে শো শেষ করে যখন ঘুমোতে যাব, তার ঠিক আগ মুহূর্তে সোশ্যাল মিডিয়ার নিউজফিডে হঠাৎই চোখ রেখেছিলাম, তারপর যা দেখলাম তা মোটামুটি বলতে গেলে সারা দেশের মানুষ এখন দেখেছে কিংবা জেনেছে।
মুহূর্তেই কতগুলো প্রাণ ঝরে গেল। যার যায় সেই বোঝে, বাকিরা শুধুমাত্র কিছুটা আফসোস করে। পুড়ে যাওয়ার ক্ষত, অন্য কেউ বোঝেনা। কসম কেটে বলছি, সত্যিই কেউ বোঝেনা। যদি বুঝতোই, তাহলে এসব ঘটনা অনেকটাই কমে যেত।
ঢাকা শহর বসবাসের অযোগ্য বহু আগে থেকেই, মানে একটা বিষয় পরিষ্কার করে জানিয়ে দেয়া হয়েছে, এ শহরে আর যাইহোক বসবাস করা যায় না। ভাবুন তো তারপরেও লোকজন গুলো কেন আছে, সহজ উত্তর, জীবন-জীবিকা সবকিছুই ঐ যান্ত্রিক শহরটাকে কেন্দ্র করে। তাই সবাই সবকিছু জানার পরেও থেকে যায়।
সবকিছু অপরিকল্পিত, গিঞ্জি, প্রচুর ঘনবসতি , নেই কোন নিয়ম কানুন। সব মিলিয়ে অস্বস্তিকর অবস্থা। বিশেষ করে যারা এই শহরটাতে থাকে, তারা তা ভালোভাবেই জানে।
জানে, বোঝে তারপরেও থাকে, শুধুমাত্র জীবিকার জন্য। বর্তমানে জীবিকা নিজেদের কে এমন পর্যায়ে নিয়ে গিয়েছে যে, সেখানে মাঝে মাঝে ভুলেই যেতে হয়, জীবিকার বাইরেও জীবন নামক একটা বিষয় আছে।
এ শহরে আর যাইহোক, জীবনের কোনই দাম নেই। তাই মাঝে মাঝেই কারণে অকারণে পুড়ে মরতে হয়, গুম হতে হয়, ফেঁসে যেতে হয়, ভেসে থাকতে হয়, অগত্যা হাঁসফাঁস করে কোনরকমে টিকে থাকতে হয়।
পুরো বিল্ডিং ভর্তি খাবারের দোকান, শপিংমল আরো অন্যান্য দোকানপাট। ফ্লোর ভর্তি গ্যাসের সিলিন্ডার, নেই কোন অগ্নি নির্বাপক ব্যবস্থা। থাকলেও সেটা যথেষ্ট না। এত লোকের সমাগম যেখানে হয়, সেখানে যদি হুট করে কোন কিছুর ত্রুটি হয়, তখন আরকি হিতে বিপরীত হয়ে যায়। বিপরীত হলোও তা, মুহূর্তেই কতগুলো প্রাণ ঝরে গেল আর হর্তাকর্তারা এসে শুধু সান্ত্বনার বাণী জানিয়ে দিল।
হয়তো হলেও হতে পারে তদন্ত কমিটি গঠন নতুবা অন্য কিছু। তবে যত কিছুই হোক না কেন, জীবনগুলো তো আর ফিরে আসছে না।
ডিসকর্ড লিংক
https://discord.gg/VtARrTn6ht
250 SP | 500 SP | 1000 SP | 2000 SP | 5000 SP |
VOTE @bangla.witness as witness
OR
Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.
হ্যা দাদা আমিও গতকাল সো শেষ করে আপনার সাথে কথা বলে বের হয়েছি ৷ তার একটু ইউটুবে ঢুকা মাত্র এই খবর দেখতে পেয়ে সত্যি খুব খারাপ লেগেছিল ৷ আসলে দিনশেষে এমন ঘটনা দেখলে যা মনে হয় যে আসলে এ জীবনের কোনো মুল্য নেই ৷ দেখা মানুষ গুলো নিমিশে হারিয়ে গেলো ৷ কিন্তু দিনশেষে এর দায়ি কে সেটা ভাবতে ভাবতে যা বুঝলাম দায়ি আমরাই ৷ আমরা নামেই শিক্ষিত হয়েছি কাজে না ৷ আমি মনে করি ঢাকা শহরে থাকা মানে জীবনকে হাতের মুঠোয় রাখা ৷
এই দায় কার এটা সবাই জানে, তারপরেও সবাই চুপ থাকবে এটাই স্বাভাবিক।
ইউটিউবে যখন দেখলাম এই নিউজটা,সত্যিই ভীষণ খারাপ লেগেছিল। বারবার এটাই মনে হচ্ছিলো যে,সেই বিল্ডিংয়ের কাচ্চি ভাই এবং অন্যান্য রেস্টুরেন্টে যারা ডিনার করতে গিয়েছিল, তারা তো বাসা থেকে বের হওয়ার সময়েও ভাবেনি যে, এটা তাদের জীবনের শেষ খাওয়া। ভাবতেই অবাক লাগে আমাদের জীবন কতোটা অনিশ্চিত। আমরাও তো প্রায়ই রাতের বেলা বিভিন্ন রেস্টুরেন্টে খেতে যাই। তবে পুরো বিল্ডিংয়ে রেস্টুরেন্ট ছিলো অনেকগুলো, আর প্রতিটি রেস্টুরেন্টে গ্যাস সিলিন্ডারের বোতল ছিলো অনেক। তাইতো মূহুর্তের মধ্যেই আগুন ছড়িয়ে গিয়েছে। এটা ঠিক যে, ঢাকায় মানুষজন বসবাস করে একমাত্র জীবন জীবিকার তাগিদে। যাইহোক এমন সময়োপযোগী একটি পোস্ট আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে।
নিরাপত্তা নিশ্চিত হোক প্রত্যেকটা জীবনের, এমনটাই তো প্রত্যাশা ব্যক্ত করি।
নিউজটা দেখে আমারও খারাপ লাগলো। ৪৪ জন নাকি আগুনে দগ্ধ হয়ে মারা গেছে। বুয়েটের দুজন বড় ভাইও দেখলাম মারা গেল! আসলে এ শহরে অনেক আগেই বসবাসের অয়োগ্য। কোনো কিছুই যেন নিয়ম কানুনের মাঝে চলে না। বিল্ডিং এর কোনো কোনাই সিলিন্ডার রাখে না। কোনো নিরাপত্তার ব্যবস্থা নেই! আমরা সাধারণ শুধু আফসোসই করতে পারবো, আর কিছু না
আমাদের আফসোস করা ছাড়া আসলে কিছু করার নেই ভাই, সব মিলিয়ে ব্যাপারটা বেশ ব্যথিত করেছে আমাকে।
আপনি সঠিক কথা বলেছেম, যার যায় শুধুমাত্র সেই বোঝে। অন্য কেউ আসলে বুঝে না।আর তদন্ত কমিটি?? সেটা তো যে কোন ঘটনার জন্যই দুধ-ভাত বিষয় এখানে। আসল কাজের কাজ অন্য পাঁচটা খবরের মতোন,, এটার জন্যও কিছুই হবে না। কিন্তু ওই যে, যাদের গেছে, তারাই জীবনভর এই দিনটার কথা মনে করে কাঁদবে!!
জীবন কতো অনিশ্চিত তাই না, ভাবতেই অবাক লাগে।
ঠিক বলছেন এখানে নেই কোন নিয়ম কানুন। নেই কোন দায়ভার নেই কোন আক্কেল জ্ঞান। যেখানে এত মানুষের বসবাস গুদাম ভর্তি মালামাল সেখানে আবার সিলিন্ডার। এটা একটা গণ বসতি এলাকা এখানে সিলিন্ডার কোথায় রাখবে সেটা একটা নির্দিষ্ট স্থান ঠিক করে দেওয়া উচিত। অসাবধানতার কারণে বারবার এত খারাপ কিছু ঘটনা ঘটে যাচ্ছে। তারপরও হবে না এদেশের মানুষ সচেতন। হবে না এদেশের জনগণের কোন পরিবর্তন। কয়েকদিন পরপর এমন ঘটনা গুলো খুব হৃদয় বিদারক হয়।
আসলেই এমন ঘটনা বেশ হৃদয়বিদারক।
সত্যিই ঘটনাটা খুবই মনকে ছুঁয়ে গেছে।আমরা শহরে আছি জীবনকে হাতে করে নিয়ে।যেকোনো সময় যেকোনো কিছু হয়ে যেতে পারে।আমরা সত্যিই বড় অসহায়।😔
সবাই নিরাপদে থাকুক এই প্রত্যাশা ব্যক্ত করি।