মাঝে মাঝে শৈশব হাতছানি দেয়
এ লেখাটা যখন পাবলিশ হবে, সেই সময় আমি শহুরে চার দেয়ালের মাঝে বন্দী থাকবো। গতকালই ছিল গ্রামে আমার শেষ দিন। যেহেতু গ্রামের বাড়ি ঠিকঠাক করার জন্য এসেছিলাম, তাই সেই পরিকল্পনা অনুযায়ী কাজ অনেকটা এগিয়েছে। তবে অতিরিক্ত বৃষ্টির কারণে পুরোপুরি কাজ এখনো সম্পন্ন হয়নি।
ভিডিও লিংক
আপাতত কাজের বিরতি থাকবে, কমপক্ষে মাসখানেক। আবহাওয়া একদম সম্পূর্ণ যখন নিয়ন্ত্রণে চলে আসবে, তখন হয়তো আবারও বাকি কাজগুলো করা হবে। দীর্ঘ সময় একটানা এবারই প্রথম গ্রামে থাকলাম, তাতে যে অভিজ্ঞতা হয়েছে সেই প্রেক্ষিতে বলা যায়, ভবিষ্যতে হয়তো এখানে থাকতে আসলে খুব একটা তেমন আর অসুবিধা হবে না।
কয়েকদিনের টানা বৃষ্টিতে বাড়ির বাহিরে তেমন যাওয়া হয়নি। সেদিন গিয়েছিলাম স্কুল মাঠে, গিয়ে দেখছিলাম উঠতি বয়সী তরুণ ছেলেরা ভেজা মাঠে ফুটবল খেলছিল। ব্যাপারটা দেখার পরে আমার শৈশব স্মৃতি যেন অনেকটাই নাড়া দিয়ে গিয়েছিল।
মনে পড়ছিল স্কুল জীবনের বন্ধুদের কথা, এমন বর্ষার দিনে সবাই ফুটবল নিয়ে একত্রে নেমে পড়তাম পাড়ার মাঠে। সেকি খেলা, একদম পুরো শরীর কাদা পানিতে ভিজে শেষ হয়ে যেত, তারপরেও যেন খেলার উত্তেজনা কমতো না। পুরো বর্ষাকালেই চলতো এমন আয়োজন। বৃষ্টির সঙ্গে ফুটবল খেলার সখ্যতা কিংবা আমাদের সবার একত্রে মাঠে আসার ব্যাপারটা ছিল অনেকটা চুম্বকের আকর্ষণের মতো।
পড়ন্ত বেলায় যখন খেলা দেখছিলাম, তখন আমার শৈশবের কথাগুলো বারবার মনে পড়ছিল। বছর পনের আগেও এমন সময় আমি প্রচুর কাটিয়েছি, তবে আজ বাস্তবতা বড্ড ভিন্ন। বন্ধু বান্ধবের সঙ্গে তেমন কোন যোগাযোগ নেই বললেই চলে, সবাই ব্যস্ত যে যার কর্মে।
আজ হয়তো হাতে অফুরন্ত সময় আছে, স্কুল মাঠটাও ফাঁকা পড়ে থাকে, তবে খেলার মানসিকতা নেই। বুঝতে পারছি, আমার বয়সটা বেড়েছে। হয়তো এমনটা অনুভূতি আমার বন্ধুদের ক্ষেত্রেও হতে পারে, আমি সত্যিই তাদেরকে ভীষণ মিস করছিলাম।
জীবন থেকে যা হারিয়ে যায়, তা আর সেভাবে ফিরে আসে না, তবে হঠাৎই যখন পুরনো স্মৃতির মত দৃশ্য বর্তমানে চোখের সামনে সাদৃশ্য হয়, তখন যেন মনটা মুহূর্তেই শৈশবে ফিরে যাওয়ার জন্য বড্ড ব্যাকুল হয়ে যায়।
সেদিনের কাটানো মুহূর্তের উপর ভিত্তি করে, একটা ভিডিও দেওয়ার চেষ্টা করেছি। আশা করছি ভিডিওটা দেখলে, আপনারাও শৈশবে ক্ষণিকের জন্য ফিরে যেতে পারেন।
ধন্যবাদ সবাইকে।
ডিসকর্ড লিংক
https://discord.gg/VtARrTn6ht
250 SP | 500 SP | 1000 SP | 2000 SP | 5000 SP |
![Heroism_3rd.png](https://steemitimages.com/640x0/https://cdn.steemitimages.com/DQmRejDSNMUFmRz2tgu4LdFxkyoZYmsyGkCsepm3DPAocEx/Heroism_3rd.png)
VOTE @bangla.witness as witness
![witness_vote.png](https://steemitimages.com/640x0/https://cdn.steemitimages.com/DQmW8HnxaSZVKBJJ9fRD93ELcrH8wXJ4AMNPhrke3iAj5dX/witness_vote.png)
OR
Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.
আমরা আমাদের গ্ৰামের ছেলেরা সহ এখন প্রতিনিয়ত বৃষ্টির ভেজা মাঠের মধ্যে ফুটবল খেলছি। আসলে বৃষ্টির ভেজা মাঠে ফুটবল খেলতে বেশ ভালো লাগে। আসলে ভাইয়া সময় সব কিছু পরিবর্তন এনে দেয়। সময় কখনো একই গতিতে চালায় না আমাদের কে। ভাইয়া আপনার শৈশবের ফুটবল খেলার স্মৃতি গুলো শুনে বেশ ভালো লাগলো আমার কাছে।
আমি মনে করি, আপনি আপনার জীবনের সবথেকে গুরুত্বপূর্ণ সময় এখনই অতিবাহিত করছেন, যা আর ভবিষ্যতে কখনোই ফিরে পাবেন না।
যাক অবশেষে শুনতে ভালো লাগলো আপনি গ্রামে স্থায়ীভাবে বসবাস করবেন। গ্রামের পরিবেশ বেশ ভালো লাগে যখন উপযুক্ত পরিবেশ তৈরি করে ঘরবাড়ি তৈরি করা যায় গ্রামে খুব সুন্দরভাবে থাকা যায়। গ্রামে থাকার সুবিধা অনেক আছে শহরের চার দেয়ালের বন্ধির চেয়ে অনেক সুবিধা। যদিও বিভিন্ন ধরনের সুযোগ সুবিধা শহরে রয়েছে। কিন্তু গ্রামের মতো আনন্দ পাওয়া যায় না। অনেক সুন্দর স্মৃতি আপনি স্মরণ করলেন স্কুল মাঠে ঘুরতে গিয়ে। বেশ ভালো লাগলো আপনার ভিডিও এবং ফটোগ্রাফি গুলো দেখে।
এখনো সম্পূর্ণ বাড়ির কাজ শেষ হয়নি আপু, তবে বাড়ির কাজ শেষ হয়ে গেলে, স্থায়ীভাবে গিয়ে থাকবো সেখানে।
গ্রামে আপনাদের বাড়ির কাজ অনেকটা এগিয়েছে,জেনে খুব ভালো লাগলো ভাই। দোয়া করি যাতে খুব তাড়াতাড়ি বাড়ির কাজ সম্পন্ন হয়ে যায়। যাইহোক ছোটবেলায় ক্রিকেট খেলা সবচেয়ে বেশি পছন্দ করতাম এবং সময় পেলেই ক্রিকেট খেলতাম মাঠে গিয়ে। কিন্তু যখনই দেখতাম বৃষ্টি হচ্ছে,তখনই ফুটবল খেলার জন্য অস্থির হয়ে যেতাম। বৃষ্টিতে ভিজে ফুটবল খেলার যে কি আনন্দ, সেটা ভাষায় প্রকাশ করার মতো নয়। তখন বৃষ্টিতে ভিজে ফুটবল খেললেও সর্দি ঠান্ডা লাগতো না। কিন্তু এখন তো বৃষ্টির পানি শরীরে পড়লেই সর্দি লেগে যায়। যাইহোক সেই দিনগুলো আসলেই খুব মিস করি। ভিডিওটা দেখে ভীষণ ভালো লাগলো ভাই। পোস্টটি আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে।
জীবন সত্যিই অদ্ভুত, মাঝে মাঝে হুটহাট করে নিজেকে ব্যাকুল করে ফেলে শৈশবের জন্য।
আজ স্বাধীনতা আছে কেউ কী বলবে এই ভয় নেই সেই বৃষ্টি আছে সেই মাঠ আছে আজ একজন চাইলেই এক ডজন ফুটবল কিনতে পারে। কিন্তু সেই সময় সেই পরিস্থিতি আর নেই যে মাঠে নেমে ফুটবল খেলব। সেই বন্ধুরাও আর নেই। এই শৈশব তো আমাকেও ডাকে ভাই।
একই অবস্থা আমারও ভাই। সবকিছু থেকেও যেন শূন্যতায় ভুগছি।
সময় বড় অদ্ভুত।আমরা শৈশব থেকে কৈশোরে যায় তারপর তারুণ্য শেষে গিয়ে বৃদ্ধ।তবে আফসোসের বিষয় আমরা প্রতিটি স্টেপের জন্যই আক্ষেপ করি আফসোস করি কবে আমরা ভবিষ্যৎ পাব।আসলে একপর্যায় গিয়ে দেখা যায় আমরা আমাদের সময়টায় নষ্ট করে ফেলি একটার পিছু পড়তে পড়তে।আপনি গ্রামে স্থায়ী বসবাস শুরু করবেন আগামীতে ।এখানে আপনার পুরোনো দিনগুলো কেটেছে।শৈশবের দিনগুলো মিস করছেন এটা শুধুমাত্র আপনার ক্ষেত্রেই না ভাইয়া।আমরা সবাই নিজেদের শৈশব মিস করি।ভালো লাগলো পোস্টটি।ধন্যবাদ সুন্দর পোস্টটি শেয়ার করার জন্য।