ফেরা হচ্ছে না নীড়ে

in আমার বাংলা ব্লগ5 months ago

1000029258.jpg
source

ক্রমেই শহরটা ফাঁকা হয়ে যাচ্ছে, সবাই ফিরে যাচ্ছে আপন ঠিকানায়। মাত্র স্বল্প কয়েকটা দিনের ছুটি পেয়েছে সবাই, তাই যে যার মত করে নীড়ে ফিরতে পারলেই যেন এখন স্বস্তি পায়। এ শহরের চিরচেনা রূপ মুহূর্তেই পরিবর্তন হয়ে গিয়েছে।

যে যার মত করে ছুটে চলেছে নাড়ির টানে। বাঙালি বরাবরই উৎসব প্রেমী জাতি, এদের কাছে উৎসবের সময় কোন কিছুই যেন বাধা হয়ে দাঁড়াতে পারে না। সব রকম প্রতিকূল পরিবেশ কে অনুকূলে নিয়ে সবাই ছুটছে নিজের মতো করে।

এইতো কদিন আগেও বাসার সামনের গলিতে বড্ড হৈ-হুল্লোড় শুনতাম, তবে আজ তা যেন ক্রমেই কমে গিয়েছে। বুঝতে পারছি, এ তল্লাটে মানুষজনের সমাগম কমে গিয়েছে। কর্মজীবনে যখন মাঝে মাঝে এমন ছুটিগুলো সবার সামনে আসে, তখন ব্যাকুল হয়ে যায় হৃদয়।

কর্মব্যস্ততার দোহাই দিয়ে যে জীবন বহু আগেই শহরে পদার্পণ করেছে, সেও আজ বড্ড ব্যস্ত নীড়ে ফেরার জন্য। গ্রামীণ পরিবেশ, শৈশবের বন্ধু-বান্ধব সবাই যেন হাতছানি দিয়ে ডাকছে। বড্ড অদ্ভুত একটা ব্যাপার, উৎসবগুলো আছে বলেই তাই এখনো বাঙালির ভিতরে এত আমেজ।

এই যে পিছুটান, নীড়ে ফেরার দুর্বলতা কিংবা আকস্মিক কাজের বিরতি, সবই যেন দরকার ছিল যান্ত্রিক মানুষগুলোকে আবারো কাজে পুনরুজ্জীবিত করার জন্য। মানসিক প্রশান্তি যদি ভরপুর থাকে, তাহলে পুনরায় কাজে এমনিতেই মন বসে।

সময় গড়িয়ে যাচ্ছে, ক্রমেই শহর ফাঁকা হচ্ছে। তারপরেও যারা উৎসবের সময় অবস্থান করছে এই শহুরে জীবনে,তাদের হয়তো চিন্তাচেতনা কিছুটা ভিন্ন। কেউ তো আর ইচ্ছে করেই উৎসবের সময়ে চার দেয়ালে বন্দী হয়ে থাকতে চায় না, হয়তো পরিস্থিতি বাধ্য করে।

আমারও নীড়ে ফিরতে মন চায়, পিছুটানগুলো মাঝে মাঝেই উঁকি দিয়ে যায়, তবে বাস্তবতা বড্ড ভিন্ন।

1000020537.png

ডিসকর্ড লিংক
https://discord.gg/VtARrTn6ht


20211003_112202.gif


JOIN WITH US ON DISCORD SERVER

banner-abb4.png

Follow @amarbanglablog for last updates


Support @heroism Initiative by Delegating your Steem Power

250 SP500 SP1000 SP2000 SP5000 SP

Heroism_3rd.png

VOTE @bangla.witness as witness


witness_vote.png

OR

SET @rme as your proxy

witness_proxy_vote.png

Sort:  

Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.

 5 months ago 

আসলে উৎসব গুলো পরিবারের সাথে না করলে কিছু একটা কমতি থেকেই যায়।তবে একটা কথা ঠিক ভাইয়া পরিস্থিতির চাপে কারো কারো আবার নিরে ফেরা হয়না বন্দি হয়ে থাকতে হয় চার দেয়ালে। তখন অতীতের সৃতি গুলোই হয় একমাত্র সঙ্গি।

 5 months ago 

একদম ঠিক বলেছেন চার দেয়ালে বন্দী হয়ে, হয়তো শৈশব স্মৃতি ভাবা ছাড়া এবার আর তেমন কোন কাজ থাকবে না।

 5 months ago 

আসলেই ভাই বড় বড় উৎসবের সময় সবাই নীড়ে ফিরতে চায়। আর এই সময়টাতে সবার প্ল্যান থাকে পরিবারের সদস্যদের নিয়ে এখানে সেখানে ঘুরাঘুরি করার এবং দারুণভাবে সময় কাটানোর। মোটকথা পরিবারের সাথে বড় বড় উৎসবের সময় থাকতে পারলে আনন্দ দ্বিগুণ হয়ে যায়। তবে আপনি নীড়ে ফিরতে পারেননি,জেনে খুব খারাপ লাগলো ভাই। যাইহোক পোস্টটি আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে।

 5 months ago 

কিছুই করার নেই ভাই, সময়টা একটু জটিল যাচ্ছে।

 5 months ago 

কথাটা ঠিক ভাই পরিস্থিতি তো সবার এক না। শীত শেষে অতিথি পাখিগুলো তার বাড়ি ফিরে যায়। আর সেখানে আমরা তো মানুষ আমাদের টান তো আরও বেশি। কিন্তু মাঝে মাঝে পরিস্থিতি আমাদের ভিন্ন কিছু ভাবতে বা করতে বাধ্য করে।

 5 months ago 

তেমনটা হয়তো আমার ভাগ্যেও হয়েছে, যার কারণে পরিস্থিতি অনুযায়ী এবার বাড়ি যাওয়া হচ্ছে না।

 5 months ago 

এটা ঠিক কথা দাদা, বড় উৎসবগুলোতে আমরা আসলে সব সময় বাড়ি ফিরতে চাই। ইচ্ছে করে আপন মানুষগুলোর সাথে খুব সুন্দর সময় কাটাতে। কিন্তু তারপরও বাস্তবতা কিছু মানুষকে এতটাই কাজের মধ্যে ব্যস্ত রাখে যে, সেই আপন মানুষগুলোর সাথে দেখা করা হয় না এই আনন্দের সময় গুলোতে। তবে এই ঈদের সময় যারা বাড়ি যেতে পারছে, তারা তো অবশ্যই সৌভাগ্যবান। এই সময়টাতে পুরো যানজট যুক্ত শহর কিছুদিনের জন্য ফাঁকা হয়ে যাবে।

 5 months ago 

এটা অবশ্য ঠিক বলেছেন, শহরটা এখন বেশ ফাঁকাই থাকবে।

 5 months ago 

এবার আমাদেরও নীড়ে ফেরা হচ্ছে না। যদিও মেয়েদের কখনো ঈদে নীড়ে ফেরা হয় না। সব সময় শ্বশুরবাড়িতে যেতে হয়। তারপরও একটা ভালো লাগা কাজ করে সবার আনন্দ দেখে। এবার তো সেটাও হলো না। শুধুমাত্র দুই ঈদে এত দীর্ঘ ছুটি পাওয়া যায়। এজন্যই তো সবাই যেভাবেই হোক বাড়ি ফেরার চেষ্টা করে। যাই হোক ভাইয়া ভালো লাগলো আপনার লেখাটি পড়ে।

 5 months ago 

আসলে ভাইয়া উৎসবকে কেন্দ্র করে মানুষের নীড়ে ফেরা যেন যান্ত্রিক জীবন থেকে কিছুটা সময়ের বিরতি নেওয়া। না হলে মানুষ এই যান্ত্রিক জীবনে থাকতে থাকতে একদম হাপিয়ে যেত। অল্প কয়েকটা দিন হলেও কর্মব্যস্ত জীবন থেকে খানিকটা স্বস্তি এনে দেয় মানুষকে তার গ্রামের বাড়িতে ।আপনার লেখাটি পড়ে বেশ ভালো লাগলো ।ধন্যবাদ আপনাকে।

Coin Marketplace

STEEM 0.15
TRX 0.16
JST 0.028
BTC 67779.88
ETH 2396.01
USDT 1.00
SBD 2.32