ভোগান্তি মনেহয় শেষ হবে না
আগে যে বাসাটায় ছিলাম তখন মূলত এরকম ভোগান্তি হতো না, তবে সেখানে মাস শেষে বাসা ভাড়ার জন্য প্রচুর পয়সা গুনতে হতো। যাইহোক অতীত ভেবে লাভ নেই। বর্তমানে যে বাসাটাতে আছি, সেটা রাস্তা থেকে অনেকটাই নিচু।
মূলত বেশি ভোগান্তি হয়, বৃষ্টির দিনে। যেহেতু রাস্তা সংলগ্ন এই বাসাটি, তাই অতিরিক্ত বৃষ্টি হলেই মোটামুটি ঘরের ভিতরে রাস্তার পানি চলে আসে। ব্যাপারটা বেশ অস্বস্তিকর। অনেকটা দিন মানিয়ে ছিলাম বা এখনো আছি। তবে কিছুদিন যাবৎ থেকে ভাবছিলাম, পৌরসভার লোকজনের সঙ্গে কথা বলব। যদি বাসার সামনের গলির ভিতরে একটা ড্রেনের ব্যবস্থা করা যেত, তাহলে হয়তো এই সমস্যা গুলো আর থাকত না।
এই এলাকায় মোটামুটি বেশ ভালোই লোকজন থাকে, সবাই বেশ শিক্ষিত ও প্রভাবশালী। সবার আলিশান বাসা বাড়ি দেখলে তেমনটাই মনে হয়, তবে কেন জানি এই লোকগুলো মনের দিক থেকে অনেকটাই সংকীর্ণ। এই বড় গলির ভিতরে যে একটা ড্রেনের দরকার, এই বিষয়ে সবাই কেন জানি বেশ উদাসীন। এরা এমন ভদ্রলোক যে, বৃষ্টির নোংরা পানি পায়ে মেখে বাসায় ঢুকবে, তাও মুখ ফুটে ড্রেন চাওয়ার কথা, এলাকার জনপ্রতিনিধি বা পৌরসভার লোকজনকে বলবে না। এদেরকে এক কথায় শিক্ষিত মূর্খ বলাই যায়।
যেহেতু এখন শীতকাল, আপাতত বৃষ্টিপাত হওয়ার সম্ভাবনা নেই বললেই চলে, তাই ভাবছিলাম পূর্বের সমস্যার কথাটা এখানকার স্থানীয় পৌরসভা অফিসের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাকে জানাবো। অতঃপর যেমন ভাবনা তেমনটাই কাজ। আজ গিয়েছিলাম পৌরসভা অফিসে। মূলত মেয়রের সঙ্গে দেখা করার জন্য।
বেশ অনেকটা দিন পর, মানসিকভাবে ভালোই কষ্ট পেলাম। এরা আসলে মানুষকে মানুষ মনে করতে চায় না। এরা যে সাধারণ মানুষকে কিভাবে গ্রহণ করে, সেটা বুঝতেই যেন আমার বেশ খটকা লেগে গেল। যদিও প্রথমে আমার পরিচয়টা গুছিয়ে বলেছিলাম এবং চেষ্টা করেছিলাম বিনয়ের সঙ্গে কথা বলার জন্য। তবে আমার বিনয়ে কিছুটা ঘাটতি ছিল, এই যেমন তাকে আমি তার অফিসে যাওয়ার পর থেকে, স্যার বলে সম্বোধন করিনি কিংবা অতিরিক্ত তোয়াজ করিনি, যার কারণে মেয়র ভদ্রলোক আমার উপর অনেকটাই নারাজ।
সে তো আমাকে মুখের উপর বলেই দিল, আপনি জানেন আপনি কার সঙ্গে কথা বলছেন, যদিও আমি প্রত্যুত্তরে ঠান্ডা মাথায় বলেছিলাম, হ্যাঁ আমি অবশ্যই জানি যে, আমি এখানকার স্থানীয় মেয়রের সঙ্গে কথা বলছি। অতঃপর সে আমাকে ভদ্রতা শেখানোর চেষ্টা করল, তার কথা মনোযোগ সহকারে শোনার পরে বললাম, আসলে মেয়র সাহেব, কাউকে অতিরিক্ত তোয়াজ করার মত মানুষ আমি না। আমার সমস্যার কথাটা আপনাকে বলেছি, যদি সম্ভব হয় বিষয়টি সমাধান করলে উপকৃত হতাম।
আমি তখনো দেখছিলাম ভদ্রলোক রাগে বেশ গজগজ করছিল। তবে আমি আর বিন্দুমাত্র দেরি করিনি, আমি বুঝতে পেরেছি এখানে আসলে সব কিছু অন্যভাবে চলে। এখানে যে যত বেশি তোয়াজ করতে পারবে, তার কাজ ততো দ্রুত হবে। আমার সমস্যার সমাধান মনেহয় আর হবেই না বরং হয়তো এই বর্ষায় ভোগান্তি আরো বেড়ে যেতে পারে।
ডিসকর্ড লিংক
https://discord.gg/VtARrTn6ht
250 SP | 500 SP | 1000 SP | 2000 SP | 5000 SP |
VOTE @bangla.witness as witness
OR
আমার মনে হয় আপনার সমস্যা কমবে না 😕
আর এটা মগের মুল্লুকের দেশ ভাই, এখানে ওরাই তোষামোদ প্রিয় হর্তা কর্তা, তাছাড়াও তারা দেশটাকে নিজের সম্পত্তি মনে করে।
তবে ছোট ভাই হিসেবে পরামর্শ থাকবে যদি বাসা পরিবর্তন করে একটু উঁচু জায়গায় যাওয়া যায় তাহলে হয়তো একটু ভালো থাকা যাবে।
দেখি কি হয় সামনে ভাই, আপাতত বেশ ভালো বলেছেন।
https://twitter.com/sharifShuvo11/status/1730124561294016554?t=cP7IAY-rM7b-zmgpKiwQtw&s=19
Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.
কি আর বলবো ভাইয়া, বর্তমানে তো তোয়াজ না করে চললে হয় না। সবাই তেল পাইলে বেশি খুশি হয়। আজকাল তেল মাখা মানুষগুলোর মূল্য বেশি সমাজে। আপনি হয়তো তেল মারতে পারেননি তাই ভদ্রলোকের থেকে ভালো ব্যবহার আপনি পাননি। এই হল আমাদের সমাজের অবস্থা। যাইহোক আশা করি আপনার সকল ভোগান্তি দূর হয়ে যাবে।
ভোগান্তিটা আসলেই দূর হওয়া খুবই দরকার, কারণ ঐ রকম পরিস্থিতি বেশ ভালই কষ্ট দেয়।
আসলে ভাই সবশেষে একটা কথাই ওই যে ক্ষমতার প্রভাবে অনেকেই মানুষকে মানুষ মনে করে না। যতটুকু বুঝতে পারলাম মেয়রকে যথেষ্ট সম্মান দিয়ে কথা বলেছেন কিন্তু আসলে বর্তমানে বাংলাদেশের যে অবস্থা টাকা ছাড়া কোন কিছুই সম্ভব নয়। যাইহোক যেহেতু এখন বৃষ্টির মৌসুম নয় সেহেতু আর বড় কোন সমস্যা হবে না আশা করছি।
পারিপার্শ্বিক অবস্থা বেশ জটিলতাসম্পন্ন সময় যাচ্ছে, তবে ভোগান্তি আসলেই কমে যাক, এমনটাই প্রত্যাশা ব্যক্ত করছি।
ভাই ওরা হচ্ছে নামের জনপ্রতিনিধি। তাইতো সাধারণ জনগণের সমস্যা নিয়ে তাদের কোনো মাথা ব্যথা নেই। তাদেরকে যত বেশি তেল মারা যায়, যত স্যার স্যার করা যায়, তারা এতেই খুব খুশি হয়। তারা যদি জনগণের ভোটের মাধ্যমে পাশ করতো, তাহলে ঠিকই জনগণকে টপ প্রায়োরিটি দিতো। কিন্তু তারা তো টাকা পয়সা খরচ করেই পাশ করে ফেলে,তাই জনগণের ভালোমন্দ দেখে না। যাইহোক আপনি একেবারে উচিত কাজটি করেছেন। এভাবেই সাহসিকতার সাথে সৎভাবে এগিয়ে যান ভাই। আপনার জন্য অনেক অনেক দোয়া রইল।
প্রতিটি জায়গাতে সবার সচেতনতা জাগ্রত হোক, এমনটাই প্রত্যাশা ব্যক্ত করছি।
এখন শীত চলছে, আর এখনই উপযুক্ত সময় ড্রেন তৈরি করার। তবে খারাপ লাগলো এটা ভেবে যে, প্রভাবশালী লোকেরা থাকতেও কেন মেয়র সাহেবকে বলে একটা ড্রেন করানোর ব্যবস্থা করছে না! বর্ষা চলে আসলে আবার সমস্যা শুরু হবে। আর মেয়র সাহেবের আচরণও ব্যথিত হওয়ার মতো। আসলে যারা তেল মারতে পারে ভালো করে তারাই পায় সব সুবিধা!
সব চলে গিয়েছে নষ্টের দখলে, এখানে আসলে কারো সুবুদ্ধির উদয় হয় না।
বর্তমান বাংলাদেশের যারা রাজনীতিবি দ তারা মানুষকে মানুষ মনে করে না। ক্ষমতা পাইলে জনগণের সেবা করা তো দূরের কথা তাদের কথায় যেন তাদের সহ্য হয় না। একজন অযোগ্য ব্যক্তি যখন যোগ্য জায়গায় বসবে তখন তার কাছ থেকে এই ধরনের ব্যবহার ছাড়া আর কিছুই আশা করা যায় না। খুবই খারাপ লাগলো আপনি যে সমস্যার জন্য গেছেন প্লান অনুযায়ী তার একটু হলেও চিন্তাভাবনা করা উচিত ছিল । সেজন্যই দেশের এই পরিস্থিতি।
এমন পরিস্থিতি তো সারা দেশেই, কি আর বলার কিছুই বলার নেই।
আমার অবাক লাগছে আপনি ওদের সিস্টেম সম্পর্কে হয়তো জানতেন। ওদের উদাসীনতা আপনার অজানা থাকার কথা না। তারপরও গিয়েছিলেন। আর মেয়র হলো জনপ্রতিনিধি তাকে স্যার বলার কোন প্রয়োজন দেখি না আমি। এই ভোগান্তি শেষ হওয়ার উপায় একটাই আপনাকে বাসা টা পরিবর্তন করতে হবে। কারণ উনারা তো আর ড্রেন টা করবে না।
এমনটা সুযোগ যদি থাকতো বাসা পরিবর্তন করার, তাহলে হয়তো অনেক আগেই করে ফেলতাম।
কয়েকদিন আগে আমিও এরকম কিছু বিভ্রান্তিকর বিষয় নিয়ে তুলে ধরেছিলাম। আসলে উপর মহলে যারা আছে তাদের মধ্যে সমস্যার কারণে জনগণের ভোগান্তির শেষ নেই। তাদেরকে আমরা ভোট দিয়ে প্রতিনিধিত্ব করতে সুযোগ করে দেই। আর তারাই স্যার হয়ে বাব নিয়ে বসে থাকে আমাদের ঘাড়ের উপরে। যাইহোক ভাই আসলে বাস্তব কথাই তুলে ধরেছেন ধন্যবাদ।