উপহার
এইতো কয়েক মাস আগেই আমাদের বিবাহ বার্ষিকী গেল, সেই সময় ওকে তেমন কোন কিছুই দিতে পারিনি। সত্যি বলতে গেলে কি, ওর আসলে তেমন কোন কিছুর প্রতি খুব একটা চাহিদা নেই। এদিক থেকে বলা যায়, আমি কিছুটা চাপমুক্ত থাকি। তেমন বাড়তি পয়সা খরচ হয় না বললেই চলে।
এভাবে দেখতে দেখতে কখন যে, সংসার জীবনে আমরা ছয়টা বছর অতিক্রম করে ফেলেছি তা যেন বুঝে উঠতেই পারিনি। কত রকম ঝুট-ঝামেলা, অর্থনৈতিক সংকট, মান-অভিমান ও কঠিন সময় যে গিয়েছে বা মাঝে-মাঝেই যাচ্ছে তা আর নতুন করে বলতে চাই না। তবে আমি মনে করি এসব সংসার জীবনের অংশ। আর সবকিছুকে পাশ কাটিয়ে, পাশে থাকার নামই হচ্ছে সঙ্গী।
জীবনে কিছু পাই বা না পাই, সেসব নিয়ে আমার খুব একটা আফসোস নেই, তবে মনের মত একটা সঙ্গী পেয়েছি, এতেই আমি অনেকটা খুশি। আমার মত মানুষের সঙ্গেও যে একই ছাদের নিচে বসবাস করা যায়, তার প্রমান ও যেন নিজেই। ওর যেমন সবকিছুকে আমি প্রতিনিয়ত প্রাধান্য দেই, ঠিক ও তেমন আমার কোন কিছুতেই হস্তক্ষেপ করার চেষ্টা করে না। তবে আমাদের নিজেদের ভিতর কখনো যেন বিশ্বাস বা ভরসার স্থানটা ভঙ্গ না হয়, সেই বিষয়ে আমরা ভীষণ সচেতন।
এভাবে কত দিন চলবে, তা আপাতত কেউ বলতে পারছি না, তবে সময়গুলোকে আমরা ভালোই উপভোগ করছি। যেহেতু বিবাহ বার্ষিকীতে ওকে তেমন কিছুই দিতে পারিনি বা ও নিজের থেকেও কিছু চায়নি, তারপরেও আমি ভেবেছিলাম ওকে কিছু একটা দেবো। জুলাই মাসে আমাদের বিবাহ বার্ষিকী হয়ে গিয়েছে আর এখন অক্টোবর মাস প্রায় শেষের দিকে। মানে চার মাসের বিরতি, তবে যেহেতু কিছু একটা দেওয়ার চিন্তা সেই সময়েই করেছিলাম, তাই হয়তো সময় সুযোগ বুঝে আজ সেটার বাস্তবায়ন হয়ে গেল।
খুবই সাম্প্রতিক সময়ে রতনদা নতুন করে জুয়েলারি বানানোর দোকান দিয়েছে। আজ বিকেলে যখন বাজারে গিয়েছিলাম তখনই রতনদার দোকানে গিয়ে আমরা হাজির। মূলত সেখানে বাহিরের রুপার আংটি পাওয়া যায়। দামটাও খুবই সস্তা। রতনদাকে বললাম, আমার গিন্নির জন্য কিছু আংটি দেখাতে। যদিও গিন্নি বলেছিল নিবে না, তারপরেও এক প্রকার আমি অনুরোধ করেই ওকে নিতে বাধ্য করেছি।
বললাম, তোমাকে তো খুব একটা তেমন কিছু কখনো দিতেই পারিনা। আজ যখন দেওয়ার চেষ্টা করছি, তখন তা খুশি মনেই গ্রহণ করো। সোনার আংটি বানিয়ে দেওয়ার তো এখন আর পয়সা নেই, তাই না হয় রুপার আংটিতেই খুশি থাকো। যদিও ও পরক্ষণেই বলেছিল, আংটি না হলেও চলবে অযথা পয়সা নষ্ট করেই বা কি লাভ।
তবে আমি এবার হাসি মুখেই বললাম, কিছু কিছু সময় লাভ-ক্ষতির হিসেব করে লাভ নেই, আত্মতৃপ্তিই যেখানে মুখ্য বিষয় সেখানে আসলে এতো হিসেব কষলে চলে না। এটা আমার পক্ষ থেকে, আমাদের ষষ্ঠ বিবাহ বার্ষিকীর উপহার।
ডিসকর্ড লিংক
https://discord.gg/VtARrTn6ht
250 SP | 500 SP | 1000 SP | 2000 SP | 5000 SP |
VOTE @bangla.witness as witness
OR
ভাইয়া মনের মতো সঙ্গী পাওয়া আসলেই ভাগ্যের ব্যাপার।ছয় বছর দুজন দুজনকে নিয়ে কাটিয়ে দিয়েছেন।দোয়া করি যুগ যুগ ধরে দুজন দুজনকে পাশে নিয়ে চলবেন।ভালোবাসার মানুষ যা কিছুই গিফট করুক না কেন তা মুল্যবান।আপনি রূপার আংটি দিলেন আপুকে।খুব সুন্দর লাগলো আংটি। এটা খুব সত্যি কথা আত্মতৃপ্তি বড় ব্যাপার।ধন্যবাদ ভাইয়া সুন্দর মূহুর্ত গুলো শেয়ার করার জন্য।
https://twitter.com/sharifShuvo11/status/1718565769783713828?t=33Ucd9s-MKgEUyE_TIetpg&s=19
প্রতিটি পুরুষের চাওয়া থাকে জীবনে মনের মতো একজন জীবনসঙ্গিনী পাওয়া। ভাই আপনি আসলেই খুব ভাগ্যবান। আপনাদের এই ভালোবাসার বন্ধন অটুট থাকুক সারাজীবন সেই কামনা করছি। সবারই ইচ্ছে থাকে বিশেষ দিবসে প্রিয়জনকে কিছু না কিছু উপহার দেওয়া। যাইহোক দেরিতে হলেও হীরা আপুকে চমৎকার একটি উপহার দিয়েছেন, এটা দেখে সত্যিই খুব ভালো লাগলো। আংটিটা আপুর হাতে বেশ মানিয়েছে। যাইহোক এতো সুন্দর অনুভূতি আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ ভাই।
আসলে ভাইয়া জীবনে মনের মত জীবনসঙ্গী পাওয়াটা সত্যিই অনেক বড় ব্যাপার ।সবার ভাগ্যে সেটা হয় না ।সে দিক থেকে আপনি যথেষ্ট ভাগ্যবান বলতে হবে ।আর ভাবীরও চাহিদা কম সেদিক থেকেও বেঁচে গিয়েছেন কিন্তু ।যাইহোক নিজে থেকে ইচ্ছা করে বিবাহ বার্ষিকীর গিফট দিয়েছেন দেখে ভালো লাগলো। সেটা সোনা হোক বা রুপা হোক । ভালোবেসে মন থেকে কোন কিছু দেওয়াটাই অনেক বড় বিষয় ,যেটা দেখে বেশ ভালো লাগলো। আপনাদের ভালবাসা এভাবেই অটুট থাকুক, শুভকামনা রইল।ধন্যবাদ।
এভাবেই বাকি জীবনটা কাটিয়ে দিতে পারলেই হলো। আশীর্বাদ করবেন আমাদের জন্য।
আপনি অনেক ভালো করেছেন হীরা ভাবিকে একটা আংটি উপহার দিয়ে। আসলে ভাইয়া উপহার তো উপহারি সেটা স্বর্ণ কিংবা রূপা যাইহোক না কেন।তবে সবচেয়ে বড় কথা হলো মনের মতো একজন সঙ্গী পেয়েছেন এটাই বড় কথা। আংটিটা কিন্তু অনেক সুন্দর হয়েছে। আপনার জন্য শুভকামনা রইল।
Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.
জীবনের চলতে গেলে খারাপ সময় আসবে, ভালো সময় আসবে । কিন্তু খারাপ সময়ে যে পাশে থাকবে সেই তো সঙ্গী । আপু না চাইলেও আপনি খুব ভালো করেছেন রুপার একটি আংটি আপুকে উপহার হিসেবে দিয়ে । আসলে নিজের কাছে তৃপ্তি ব্যাপারটাই অন্যরকম । আপনাদের সংসার জীবন ভালো থাকুক এমনটাই প্রত্যাশা করছি ।আজীবন যেন একসাথে থাকতে পারেন । 💌
আমার কাছেও তেমনটাই মনে হয় ভাই, যাকে সর্বদাই সর্বক্ষেত্রে পাশে পাওয়া যায়, সেইতো হলো আপন সঙ্গী।
ভাইয়া এইচ এস সি তে পড়েছিলাম ও হেনরির দ্যা গিফট অব দ্যা মেজাই। আর আপনাকে এবং হীরা ভাবীকে দেখে কিন্তু আমার সেই গল্পের জিম আর ডেলার মত মনে হয়। আসলে ভালোবাসার কাছে কোন কিছু কোন মেটার করে না। তাই ভালোবাসা থাকলে আর কিছু লাগে না। সেখানে বিবাহ বার্ষিকীতে শুধু ফুচকা খেয়ে পাশাপাশি থেকে কাটিয়ে দেওয়া যায় যুগের পর যুগ। দোয়া রইল আপনাদের জন্য সারা জীবন জীম আর ডেইলা হয়েই থাকেন।
বেশ ভালো লাগলো আপু, আপনার সুন্দর মতামতটি।
একেবারে সঠিক বলেছেন ভাই কিছু কিছু সময় লাভ ক্ষতির হিসাব না করাই শ্রেয়। এইরকম টা অনেকেই বলতে পারবে না যে আমি আমার জীবনসঙ্গী নিয়ে অনেক খুশি। সেদিক থেকে আপনি অনেক ভাগ্যবান। আর সংসারে ঝামেলা সমস্যা থাকবেই কিন্তু দিনশেষে সঙ্গে থাকলে সব ঠিক। আপুকে বিবাহ বার্ষিকী উপলক্ষে উপহার টা বেশ সুন্দর দিয়েছেন। জিনিস ছোট হোক বা বড় সেটা না দেখে ভালোবাসা টা দেখা উচিত।
আমি আপনার মতামতের কাছে কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছি।
একজন ভালো জীবনসঙ্গিনী পাওয়া সত্যিই অনেক ভাগ্যের ব্যাপার। সেই দিক থেকে বলতে গেলে আপনি অনেক সৌভাগ্যবান। ভাইয়া আপনাদের দুজনের সুন্দর সম্পর্ক দেখে সত্যি অনেক ভালো লাগে। যাই হোক আপনি আপনার তরফ থেকে চেষ্টা করেছেন সেরা উপহার দেওয়ার। আসলে উপহার কখনও মূল্য দিয়ে যাচাই করা যায় না। ভালোবাসাটাই সবচেয়ে বড় বিষয়। এভাবেই যেন আপনাদের প্রত্যেকটি মুহূর্ত কাটে এই প্রত্যাশাই করি ভাইয়া।
আশীর্বাদ করবেন আমাদের জন্য।