আপাতত ইট পাথরের শহরকে বিদায়
অনেকটা দিন ইট পাথরের শহরে বন্দী জীবন কাটানোর পরে, বেশ হাঁপিয়ে উঠেছিলাম। এমনিতেই ভ্যাপসা গরম তার সঙ্গে প্রচুর যান্ত্রিকতা সবমিলিয়ে জীবনের অবস্থা একদম নাস্তানাবুদ হয়েছিল।
ভিডিও লিংক
এইযে ঈদ উৎসব গেল তারমাঝেও যেন বাড়ি ফিরতে পারিনি , পারিবারিক দায়িত্ব ও নিজের কাজকর্ম গুলো এমন ভাবে আমাকে কাবু করেছিল যে, যেন উঠে দাঁড়াতেই পারছিলাম না। তাছাড়া আবহাওয়া পরিবর্তন জনিত কারণে বাবু অসুস্থতায় ভুগছিল, এ ব্যাপারটাও মানসিকভাবে আমাকে বেশ পীড়া দিয়েছিল।
আমি আসলে এই বন্দী জীবন থেকে কিছুটা বিরতি চাচ্ছিলাম, অনেকটা মুক্ত বিহঙ্গের মতো করে নিজেকে ভাসিয়ে দেওয়ার চিন্তা করছিলাম উন্মুক্ত প্রকৃতির মাঝে। অতঃপর যেমন ভাবনা তেমন কাজ।
গতকাল ঘুম থেকে উঠেই, ব্যাগপত্র গুছিয়ে নিয়ে রওনা দিয়েছিলাম গ্রামের বাড়ির উদ্দেশ্যে। শহরের সীমানা অতিক্রম করার পরেই যেন হালকা প্রশান্তি কাজ করছিল নিজের মাঝে। মৃদু ঠান্ডা বাতাসে মুহূর্তেই যেন অবসাদ কেটে গেল। ড্রাইভার ভাইয়ের সঙ্গে কথা বলে, যাত্রা পথে কিছুটা বিরতি নিয়েছিলাম। মূলত ছবি তোলার জন্য।
প্রকৃতির অপার্থিব সৌন্দর্য আমাকে এমন ভাবে আকৃষ্ট করেছিল, যা ভাষায় প্রকাশ করে কিছুটা দুরুহ। তাই বাধ্য হয়েই এমন সিদ্ধান্ত। রাস্তার আশেপাশেই কিছুটা সময় নিজের মতো করে বিচরণ করেছিলাম। বাবু যে অসুস্থতায় ভুগছিল কিংবা বাবুর মা দীর্ঘদিন বাসায় একাকী সময় কাটিয়েছিল, তা যেন ঐ মুহূর্তে ওদের দেখে বোঝার কোন উপায় ছিল না।
এমন পরিবেশে সময় কাটানো সত্যিই খুব দরকার ছিল, বড্ড চাঙ্গা অনুভব করেছিলাম নিজের মাঝে। অতঃপর আবারও গাড়িতে চড়ে খুব ভালোভাবেই চলে এসেছিলাম বাড়িতে। এবার ইচ্ছে আছে দীর্ঘদিন এখানে থাকার, কেননা কয়েকটা ব্যক্তিগত কাজ সম্পন্ন করতে হবে।
এই যে হঠাৎই ইট পাথরের শহরকে বিদায় জানালাম, তার জন্য মোটেও খারাপ লাগছে না বরং নতুন ভাবে বাঁচার যেন অনুপ্রেরণা পাচ্ছি। আমি এখন অনেকটা শেকড় এর কাছাকাছি, বলতে পারেন যেখান থেকে আমার শুরু হয়েছিল ঠিক সেখানটায়।
গতকালকের মুহূর্তের উপর ভিত্তি করে, একটা ভিডিও দেওয়ার চেষ্টা করেছি, আশা করছি ভালো লাগবে। সবার সময় ভালো কাটুক, এমনটাই প্রত্যাশা ব্যক্ত করছি।
ধন্যবাদ সবাইকে।
ডিসকর্ড লিংক
https://discord.gg/VtARrTn6ht
250 SP | 500 SP | 1000 SP | 2000 SP | 5000 SP |
VOTE @bangla.witness as witness
OR
Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.
মানুষের জীবন কখনো একটি নির্দিষ্ট স্থানের নিরিখে বাঁধা থাকে না, অনেকগুলো পর্বে কখন যে নতুন জায়গা আর সম্ভাবনাগুলো উঁকি দিতে শুরু করে তা পূর্ব থেকে বলা যায় না।
ইট পাথরের শহর আর গ্রামের মিশেলের জীবন সত্যিই উপভোগ্য, কারন এখানে যেমন টানাপোড়েন থাকে, কখনো প্রকৃতি কখনো ব্যস্ততা ঘিরে ধরে - তা সবসময়ই নতুন কিছু নিয়ে আসে।
একটা গতি জীবনে চলে আসে যা অর্থপূর্ণ নিশ্চয়ই।
আপনার সময় ও জীবন ভালো কাটুক এই প্রত্যাশা করি।
দারুণ মন্তব্য করেছেন, বেশ ভালো লাগলো আপনার যৌক্তিক কথাগুলো।
ইট পাথরের চার দেয়ালের মাঝে আবদ্ধ থাকতে সত্যি ভালো লাগে না। মাঝে মাঝে পারিপার্শ্বিক কারণে হয়তো থেকে যেতে হয়। অবশেষে আবারো নিজের ভালোলাগার জায়গায় ফিরেছেন জেনে ভালো লাগলো ভাইয়া। ভিডিওগ্রাফিটি দেখে অনেক ভালো লাগলো।
পারিপার্শ্বিক চাপ গুলোই জীবন গুলোকে একদম বিষিয়ে তুলছে ক্রমাগত আপু। এ থেকে বড্ড মুক্তি দরকার।
আমারও ইট পাথরের শহর ভালো লাগেনা।তারপরেও পরিস্থিতির কারণে থেকে যেতে হয়।অনেকদিন পর নিজের পছন্দের জায়গায় ফিরে যাচ্ছেন জেনে ভালো লাগলো।সবাইকে সুন্দর লাগছে ছবিতে। ভিডিওগ্রাফি দেখে ভালো লাগলো।ধন্যবাদ ভাইয়া সুন্দর পোস্টটি শেয়ার করার জন্য।
জীবনটাই তো আপু এরকম, পরিস্থিতির কারণে অনেক কিছুই মানিয়ে নিতে হয়।
পরিবার নিয়ে গ্রামের বাড়িতে গিয়েছেন,দেখে খুব ভালো লাগলো ভাই। তাহলে তো বেশ কিছুদিন গ্রামে দারুণ সময় কাটাতে পারবেন। তাছাড়া শায়ান তো আরও বেশি খুশি হবে। ইট পাথরের শহরকে একেবারে বিদায় জানাতে পারলে জীবনটাকে বেশ উপভোগ করতে পারতেন ভাই। আশা করি আপনার মনের আশা খুব শীঘ্রই পূরণ হবে। ফটোগ্রাফি গুলো দারুণ হয়েছে ভাই। যাইহোক এতো চমৎকার একটি পোস্ট আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে।
ইচ্ছা আছে ভাই, একেবারেই ইট পাথরের শহরকে বিদায় জানানোর, সেই লক্ষ্যেই এবার এখানে এসেছি, তবে এখনও অনেক কাজ করার বাকি আছে।
ওরে বাবা, শায়ানকে মাশাল্লাহ সুন্দর লাগছে সানগ্লাসে।গ্রামীণ পরিবেশ সত্যি ই সুন্দর। আপুর পোস্টে দেখেছিলাম মনে হচ্ছিল কুয়াশা পরেছে।আশাকরি শায়ান সুস্থ হয়ে উঠবে গ্রামীণ পরিবেশে এমন ভাবে ছুটোছুটি করলে।আপনাদের সকলের সুস্বাস্থ্য কামনা করছি।
এটা সত্য, এখানে আসার পর ওরা এখন সবাই ফুরফুরে মেজাজ আছে। ধন্যবাদ আপু আপনার সাবলীল মন্তব্যের জন্য।
সত্যি ভাইয়া যান্ত্রিক জীবন আমাদের মন-মানসিকতা গুলোকে যান্ত্রিকতাই পরিণত করে দিয়েছে। গ্রামীন পরিবেশে গেলে খোলামেলা পরিবেশে বেশ ভালো লাগে। অবশেষে ইট পাথরকে বিদায় দিয়ে আপনি গ্রামের উদ্দেশ্যে রওনা হলেন। আর মাঝপথে খুব সুন্দর সুন্দর ফটোগ্রাফি এবং ভিডিও নিলেন। বিষয়টি আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য অনেক ধন্যবাদ।
একদম ঠিক বলেছেন আপু, এই জন্য যান্ত্রিকতা থেকে আপাতত নিজেকে রেহাই দিচ্ছি।
ঐ ইট পাথরের শহরকে বিদায় জানিয়ে যেদিন এসেছিলাম একটা আনন্দ কাজ করেছিল। কিন্তু সত্যি বলতে এখন আবার খারাপ লাগছে যে আবার ফিরে যেতে হবে ঐ শহরে সবকিছু ছেড়ে। আপনি তো কিছুটা বেঁচেছেন কিন্তু আমাদের সেই উপায় নেই। যাইহোক আপনার জন্য শুভকামনা। কিছুদিন নিরিবিলি পরিবেশে থাকুন। সময় টা উপভোগ করুন