নিষ্প্রাণ হলো সম্পর্ক
বর্তমান সময়ে প্রচুর পরিমাণে গরম পড়েছে এবং প্রতিনিয়ত যেভাবে পৃথিবীর বৈশ্বিক উষ্ণতা বেড়েই যাচ্ছে, সেদিক চিন্তাভাবনা করেই আমার বাল্যবন্ধুদের সঙ্গে ফেসবুক গ্রুপের মাধ্যমে যোগাযোগ করার চেষ্টা করেছিলাম এবং উন্মুক্ত বৃক্ষরোপণ কর্মসূচি পালন করার উদ্যোগ নিতে চেয়েছিলাম, তবে সবার মানসিকতা দেখে আমি হতবাক হয়ে গিয়েছি।
আমার ভাবতেই অবাক লাগছিল যে, এই মানুষগুলোর সঙ্গে জীবনের এতটা সময় অতিবাহিত করেছিলাম। যে পরিমাণ তিক্ত অভিজ্ঞতা হয়েছে, তা আমাকে প্রচুর ভাবে রক্তাক্ত করেছে। শুধু বৃক্ষরোপণ কর্মসূচির জন্য নিজ নিজ অবস্থান থেকে একটু সজাগ হতে বলেছিলাম তাতেই যে প্রতিক্রিয়া জানিয়েছিল, ভাগ্যিস টাকা পয়সা চাইনি, নইলে তো উল্টাপাল্টা ভাবতে একবারের জন্যও দেরি করতো না। তাই বাধ্য হয়ে সিদ্ধান্ত নিয়েছি, এদের সঙ্গে আর যাইহোক বন্ধুত্বের মতো গুরুত্বপূর্ণ সম্পর্কে নিজেকে জড়িয়ে রাখার কোন মানেই হয় না।
আমার বাল্যবন্ধুদের মাঝে এমন অনেকেই আছে যারা প্রতিনিয়ত পরিবেশ প্রকৃতির উপর ভীষণভাবে নির্যাতন চালিয়ে যাচ্ছে, অনেকেই ইটভাটার ব্যবসার সঙ্গে জড়িত কিংবা অবৈধ ভাবে বালু উত্তোলন ব্যবসার সঙ্গে জড়িত। সব মিলিয়ে আসলে এদের সুবুদ্ধির উদয় কখনোই হবে না, তাই যা করার নিজ উদ্যোগেই করতে হবে।
বাল্যবন্ধুদের কাছে অনুরোধ রেখে খুব একটা লাভ হয়নি, তাই আপনাদের কাছে একটা ছোট অনুরোধ করবো, সামনে যে বর্ষাকাল আসছে তাতে নিজ নিজ জায়গা থেকে দয়াকরে চেষ্টা করবেন বৃক্ষরোপণ করার জন্য।
আমার বাল্যবন্ধুদের কাছে আমি যে প্রস্তাব রেখেছিলাম, তারই কিছু কথা আপনাদের সঙ্গে ভাগ করে নিলাম। ইতিমধ্যেই আপনারা যারা আমার ফেসবুকে আছেন তারা হয়তো ব্যাপারটি দেখেছেন।
আমার মতামত গুলো ঠিক এমন ছিলঃ
এটা ছিল আমার ফেসবুক টাইমলাইনে দেওয়া স্ট্যাটাস-
পরিবেশ প্রকৃতির উপর সামগ্রিকভাবে নির্যাতন বন্ধ হোক, নইলে আগামী প্রজন্মের সুস্থভাবে বেড়ে ওঠা বড্ড অনিশ্চিত।
কাদা ছোড়াছুড়ি বন্ধ করুন, কেননা পৃথিবীর বৈশ্বিক উষ্ণতা দিন দিন বেড়েই যাচ্ছে ।
এখন চিন্তাভাবনা আপনার,
আপনার কি করণীয় আছে ?
বিশেষ দ্রষ্টব্যঃ
যারা পরিবেশ প্রকৃতির উপর ক্রমাগত নির্যাতন করে যাচ্ছে, তারা কোন অবস্থাতেই আমার আপনজন, শ্রদ্ধাভাজন, শুভাকাঙ্ক্ষী কিংবা বন্ধু হতে পারে না।
বাল্যবন্ধুদের সঙ্গে গ্রুপে দেওয়া মতামতঃ
আগামী কুরবানির ঈদে উন্মুক্ত বৃক্ষরোপণ কর্মসূচি পালন করলে কেমন হয়।
(ভবিষ্যৎ প্রজন্মের কথা চিন্তা করে হলেও)
উপলক্ষঃ উন্মুক্ত বৃক্ষরোপণ কর্মসূচি।
সবাই যদি তোরা দয়াকরে নিজ নিজ মতামত দিস, তাহলে খুশি হতাম ।
দুঃখের বিষয় দুই দিন অতিবাহিত হয়ে যাওয়ার পরেও কোন মতামত আসেনি, তখন আমিও আবার নিজের থেকেই মতামত দিয়ে,সেখান থেকে বেরিয়ে এসেছিলাম।
খুব বেশি কিছু কি চেয়েছিলাম , একদম না । শুধুমাত্র মাত্র মতামত, যেটা দিতেও প্রচুর কার্পণ্যতা !
এই যে বন্ধুত্ব, বন্ধন, পিছুটান, পাশে আছি, সঙ্গে থাকবো, নতুন কিছু করবো, এইসব কথাবার্তা একধরনের ভণ্ডামি।
এখানে কেউ কারো নয়, এটাই তিক্ত সত্য । অভিমান রাখি নি, তবে বাস্তবতা বুঝতে খুব একটা অসুবিধা হয়নি।
সময়ের অভাব নাকি সদিচ্ছা ?
ব্যস্ত তো সবাই, সর্বত্র- সবখানে।
যেখানে আন্তরিকতা নিষ্প্রাণ, সেখানে সজীবতা খুঁজে পাওয়া বড্ড দুরুহ।
ভালো থাক তোরা, আপাতত বিদায়।
বিশেষ দ্রষ্টব্যঃ
যারা কষ্ট করে বার্তা দেখেছে কিংবা প্রতিক্রিয়া জানিয়েছে, তাদের কাছে কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছি।
তবে আর কোন অবস্থাতেই চাই না, কখনো অহেতুক ফিরতি বার্তা আসুক।
ভুল-ত্রুটি মার্জনীয়
ধন্যবাদ
এভাবেই বাল্যবন্ধুদের সঙ্গে আন্তরিকতার পর্ব এক প্রকার চুকিয়ে গেল।
ডিসকর্ড লিংক
https://discord.gg/VtARrTn6ht
250 SP | 500 SP | 1000 SP | 2000 SP | 5000 SP |
VOTE @bangla.witness as witness
OR
Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.
আমারও আপনার প্লেন আছে সামনের বর্ষাকালে বৃক্ষরোপণ করার। তবে আপনার ব্যাপারটা জানতে পেরে খারাপ লাগছে। আসলে বন্ধুদের নিয়ে কাজ করার মজাটাই অন্যরকম। সবার যদি সেখানে আগ্রহ না থাকে তাহলে তো প্রবলেম। অন্ততপক্ষেটকটা ছোট্র মেসেজ দিয়ে হলেও আপনাকে সম্মতি দিতে পারতো। আশা করছি আপনার বন্ধুদের খুব শীঘ্রই সুবুদ্ধির উদয় হবে এবং আপনার উদ্যোগ সামনে নিয়ে কাজ করবে।
এমন পরিস্থিতিতে, নিজ নিজ জায়গা থেকে আসলেই সবার সুবুদ্ধির উদয় হওয়া দরকার।
চারপাশের অবস্থা দেখে আপনার মতো এমন চিন্তা ভাবনা আমার মাথাতেও এসেছে। ঠিক করেছি আমাদের শহরের কিছু ছেলে পেলে মিলে বেশ কিছু গ্রুপ খুলেছে ফেসবুকে। তাদের সাথে কথাবার্তা বলে কোনো একটা বৃক্ষরোপণ কর্মসূচির ব্যবস্থা করা যায় কিনা। আর যদি সেটা নাও হয় তাহলে আমি আমার বাড়ির পাশে কয়েকটি গাছ লাগানোর পরিকল্পনা করেছি। সেই সাথে আমাদের গ্রামের বাড়ি দেখাশোনা করে যে লোক তাকেও কিছু গাছ লাগানোর ব্যাপারে নির্দেশনা দেবো বলে ঠিক করেছি। আসলে অবস্থাটা এমন দাঁড়িয়ে আছে আমাদের সবাইকে নিজ নিজ অবস্থান থেকে এগিয়ে আসতে হবে। কারণ যাদের এই ব্যাপারে উদ্যোগ গ্রহণ করার কথা ছিলো তারা সবাই নিশ্চুপ হয়ে রয়েছে। আপনার পোস্টটা পড়ে ভালো লাগলো ভাই।
বেশ ভালো লাগলো ভাই আপনার মন্তব্যটা, এভাবেই এগিয়ে আসতে হবে সবাইকে।
আসলে ভাই এখানে সম্পূর্ণ ব্যাপার হচ্ছে মানসিকতা দূর দর্শিতা এবং ভালো কিছু করার যে ইচ্ছা এটা এদের কারোরই নেই। সত্যি বলতে আপনার জায়গাই যদি আমি থাকতাম আমার অনূভুতি টা হয়তো আমিও ভাষায় প্রকাশ করতে পারতাম না। আসলেই ব্যাপার টা বেশ দুঃখজনক। এতদিন যাদের বন্ধু ভেবে এসেছেন এইরকম কাজে তারা কেউ আপনার সঙ্গে থাকতে ইচ্ছুক হলো না।
অভিমান রাখিনি বরং তারা আমার চোখ খুলে দিয়েছে,নিজের কাজ এবার নিজেই করতে হবে।
বর্তমানে ভালো কাজে মানুষের আগ্রহ একেবারেই নেই। এই ধরনের বন্ধু বান্ধব থাকার চেয়ে না থাকা অনেক ভালো। কথায় আছে না,দুষ্ট গরুর চেয়ে শূন্য গোয়াল অনেক ভালো। যাইহোক যা করার নিজেদেরকেই করতে হবে। আমি খুব শীঘ্রই বৃক্ষরোপণ করার চেষ্টা করবো ইনশাআল্লাহ। যাইহোক এতো চমৎকার একটি পোস্ট আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে।
তেমনটা ভেবেই আমি এগিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করছি ভাই, কারণ দিনশেষে নিজের কাজ নিজেকেই করতে হবে।