নিজের মতো করে বাঁচো
বয়স ৩১ ছুঁইছুঁই আতিক এখনো বিয়েটা করে উঠতে পারেনি। কত রকম চাপ যে তার মাথার উপর দিয়ে যাচ্ছে, তা হয়তো বাস্তবে ওকে না দেখলে বোঝা যেত না। ছেলে মানুষের পারিবারিকভাবে ধনসম্পদ, টাকা-পয়সা, পড়াশুনা কেন্দ্রিক উচ্চতর ডিগ্রী থাকার পরেও, অনেকে আবার একটু খুঁচিয়ে খুঁচিয়ে জিজ্ঞাসা করে, এসবের বাইরে ছেলে আর কি করে । মানে কোন চাকরির সঙ্গে সম্পৃক্ত আছে কিনা।
আচ্ছা, চাকরি করেই নিজেকে সবার মাঝে প্রমাণ করতে হবে, এমন ব্যাপার কি কোথাও আদৌ লেখা আছে নাকি। পারিপার্শ্বিক সমাজ ব্যবস্থাতে চাকরি নামক ব্যাপারটা যেন অনেকটা ব্যাধিতে পরিণত হয়েছে। আর যদি চাকরি করেও থাকে, সেটা নিয়ে আবার চুলচেরা বিশ্লেষণ। সব মিলিয়ে একদম যা-তা অবস্থা।
আচ্ছা ছেলেটা কোন কাজে স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করবে, কিভাবে নিজের ভবিষ্যৎ দেখবে বা তার জীবিকার উৎসই কি হবে, সেটা তো আমি আপনি নির্ধারণ করে দিতে পারি না। এটা নিতান্তই তার ব্যক্তিগত ব্যাপার, সেখানে হস্তক্ষেপ করাও অভদ্রতা। দিনদিন আমরা আধুনিক হচ্ছি, সুশিক্ষায় শিক্ষিত হচ্ছি,তবে ভদ্র হচ্ছি কয়জন, এটা বেশ ভাবায় আমাকে।
অনেকটা পারিবারিক ও সামাজিক ব্যাধি থেকে রেহাই পেতেই বাধ্য হয়ে ঢাকা গিয়েছিল আতিক। ঐ শহরটা তাকে কোনভাবেই টানে নি বরং দু সপ্তাহ থাকার পরেই সে শারীরিকভাবে অসুস্থ হয়ে পড়েছিল। সে যে ঐ যান্ত্রিক শহরে নিয়মতান্ত্রিক চাকুরি জীবনে মানানসই না, তা যেন শুরুতেই বুঝতে পেরেছিল।
অবশেষে একপ্রকার বাধ্য হয়েই বাড়িতে বলে দিয়েছে, তাকে দিয়ে আর যাইহোক চাকরি হবে না। অতঃপর রাতের বাসে সেদিন টিকিট কেটেই বাড়ির উদ্দেশ্যে চলে আসে আতিক।
দু সপ্তাহের মধ্যেই বড্ড ফ্যাকাসে হয়েছে ওর শরীরটা, ঠিকঠাক মতো যে খাওয়া-দাওয়া হয়নি তা যেন ওর রুগ্ন শরীরটা দেখেই বোঝা যাচ্ছিল।
আতিক আমার খুব একটা পরিচিত কেউ না, তবে টুকটাক প্রায়ই একই জায়গায় চা খাই বিধায় অল্পস্বল্প আলাপ হয়। ওর এই বিধ্বস্ত অবস্থা কিছুটা হলেও আমাকে ব্যথিত করেছে।
ও তো বলেই ফেলল, শুভ ভাই চাকরিই কি জীবনের সবকিছু, এর বাইরে কি আর কিছুই নেই।
আমি স্বল্প কথার মানুষ, পারিপার্শ্বিক ব্যাপার খুব একটা গায়ে মাখি না। তবে এতটুকু বুঝি, যেখানে আসলে মন সায় দেয় না, সেদিকটাতে না যাওয়াই শ্রেয়।
আতিক আমার কাছে পরামর্শের শরণার্থী ছিল না, তবে দুটো কথা বলে হালকা হতে চেয়েছিল। তাই বলেই দিলাম, জীবনটা একান্তই তোমার নিজের , পারলে নিজের মতো করে বাঁচো।
ডিসকর্ড লিংক
https://discord.gg/VtARrTn6ht
250 SP | 500 SP | 1000 SP | 2000 SP | 5000 SP |
VOTE @bangla.witness as witness
OR
Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.
https://twitter.com/sharifShuvo11/status/1716005494962507812?t=C4zRVE_ST56eyu_RnkYfww&s=19
আসলে ভাইয়া আমাদের সমাজে একার মতো বাঁচতে চায়লে ও সব সময় পারা যায় না। আতিক এক প্রকার বাধ্য হয়েই চাকরির জন্য বাইরে গিয়েছিল।সত্যি বলতে চাকরি জীবন নয় তবে বেঁচে থাকতে হলে সত পথে থেকে যেকোন কিছু উপার্জন করতে হবে। দোয়াকরি আতিক ভাইয়া নিজের মতো করে বাঁচবে।ধন্যবাদ ভাইয়া পোস্টটি আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।
শুধু আতিক নয়, সবাই নিজের মতো করে বাঁচুক, এমনটাই তো প্রত্যাশা ব্যক্ত করি।
আমি আপনার সঙ্গে একেবারে একমত ভাই। যেখানে মন শায় দেয় না সেখানে না যাওয়ায় ঠিক। আমাদের সমাজে মানুষ একজন যুবক কে বিবেচনা করে তার চাকরি দিয়ে। হ্যা জীবন টাকা দরকার আছে। কিন্তু চাকরিই কী একমাএ মাধ্যমে টাকা উপার্জন করার। একজন কী তার পছন্দসই পেশা নির্বাচন করতে পারে না। কিন্তু এটা বোঝে কে বলেন। যেমন অবস্থা হয়েছে আতিক ভাইয়ের। ব্যাপার টা আসেলে খুবই হতাশাজনক।।
আতিকের জীবন থেকে হতাশা কেটে যাক, ও ভালোভাবে বেঁচে থাকুক, এমনটাই প্রত্যাশা আমিও করি।
এটা একদম বাস্তব সত্য ভাইয়া। মনের বিরুদ্ধে গেলেই সমস্যা। আসলে আমাদের সমাজে চাকরিটা মনে করে জীবনের সব। একটা ছেলের ভালো লাগা মন্দ লাগার কোনো দাম নেই। সামাজিক ব্যধিতেই পরিণত হয়েছে চাকরি নামক ব্যাপারটা। তবে আতিক ভাইয়ের ব্যাপারটা শুনে খারাপই লাগলো। এমন ঘটনা আসলে গ্রামের দিকে অনেক বেশি দেখা যায়।
আতিকের ব্যাপারটা শোনার পর থেকে, আমি নিজেই বেশ ব্যথিত হয়েছি। তবে ওর সুসময় আসুক এমনটাই প্রত্যাশা করি।
একদম ঠিক বলছেন ভাইয়া আসলে বড় ডিগ্রী নিলে যে চাকরি করতে হবে তার কোন কথা নেই। তবে চাকরি না করেই অনেক কিছু করা যায়। বর্তমান সময়ে আসলে মেয়ে বিয়ে দিতে চাইলে এমনই করে। ছেলে কি চাকরি করে? কিংবা কোন ধরনের চাকরি করে? খুটিনাটি সব বিষয় দেখে। আপনি ঠিক বলছেন জীবনটা যার যেমন ইচ্ছে করা যায়। তবে নিজের মতো করে বাঁচতে পারাটাই হচ্ছে যথেষ্ট।
আমার কাছেও তেমনটাই মনে হয় আপু, যে যেভাবে শান্তিতে পায়, তাকে সেভাবেই বাঁচতে দেওয়া উচিত।
কেউ পড়াশোনা শেষ করার পর পরিবার, আত্মীয় স্বজন,বন্ধু বান্ধব ও সমাজের প্রায় প্রতিটি মানুষ বলে যে, চাকরি করতে হবে এবং জীবনে প্রতিষ্ঠিত হতে হবে। তাদের কথার চাপে পড়ে হতাশ হয়ে অনেক সময় অনেকে ভুল সিদ্ধান্ত পর্যন্ত নিয়ে ফেলে। তারা এটা মানতে চায় না সবার চাকরির প্রতি আগ্রহ থাকে না। অনেকের চিন্তা ভাবনা থাকে ভিন্ন কিছু করার। আসলে জীবনে ভালো থাকাটা জরুরী। সৎ পথে ইনকাম করে জীবনটাকে ভালোভাবে সাজাতে পারলেই হয়। সেটা যেকোনো উপায়েই হোক না কেনো। যাইহোক পোস্টটি আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য অনেক ধন্যবাদ ভাই।
আপনার মতামতটা বেশ ভালো লাগলো ভাই।
বর্তমানে কেউ চাইলেও নিজের মত করে বাঁচতে পারে না। কারণ পারিপার্শ্বিক ও সামাজিক চাপা কলে পড়ে তাকে তার মনের অবাধে গিয়ে বিচরণ করতে হয়। তবে নিজের মন মত এবং স্বাধীনভাবে চলতে পারাটাই এত তৃপ্তি। অনেক গুরুত্বপূর্ণ একটি পোস্ট লিখেছেন ভাই ধন্যবাদ আপনাকে।
সমাজ এবং পরিবারের চাপে বেশিরভাগ ছেলেরা নিজেদের পছন্দ মত জীবন চালাতে পারে না। তাছাড়া চাকরি করে যে জীবিকা নির্বাহ করতে হবে এমন কোন কথা নেই। কিন্তু একটা চাকরি করলে দেখা যায় জীবনটা অনেকটা সিকিউর হয়। কিন্তু সবাই চাকরির এই ধরা বাধা নিয়মের মধ্যে থাকতে পছন্দ করে না। তাইতো আতিক না পেরে আবার বাড়ি ফিরে এসেছে।
ভাই আপনি দারুন একটা পোস্ট শেয়ার করেছেন আপনার পোস্ট পড়ে সত্যিই ভালো লাগলো। এবং আপনি এ পোষ্টের মাধ্যমে বলেছেন নিজেকে নিয়ে বাঁচো আসলে এ কথা ঠিক তা না আমরা এখন সবাই পর নির্ভরশীল যে কারণে আমরা ক্ষতির দিকেই বেশি যাচ্ছি। তবে নিজেকে নিয়ে বাঁচার মধ্যেই রয়েছে সফলতা।