মায়াত্যাগ করার সিদ্ধান্ত
৩১ তারিখ রাতে যখন স্পেশাল হ্যাংআউটের প্রস্তুতি গ্রহণ করছিলাম, তার হঠাৎই এক ঘন্টা আগে ল্যাপটপ ওপেন করতে গিয়ে দেখি ল্যাপটপ কোনভাবেই ওপেন হচ্ছে না। বারবার স্ক্রিনে লেখা উঠছে কুলিং ফ্যান ডিসকানেক্ট। এদিকে আর মাত্র অল্প কিছু সময় বাকি আছে হ্যাংআউটের। সেই সময় যখন ল্যাপটপের এই অবস্থা দেখলাম তখন মনে হল মাথার উপর যেন আকাশ ভেঙ্গে পড়ল।
কি করব মুহূর্তেই বুঝে উঠতে পারছিলাম না, অতঃপর মানসিকভাবে সিদ্ধান্ত নিলাম আজকের শো'টা কোনরকম মোবাইলের মাধ্যমে চালিয়ে নিব। মোবাইলে শো পরিচালনা করা যে, কি পরিমান কষ্টকর কাজ, তা আসলে বলে বোঝানো যাবে না।
আমি যখন প্রথম এডমিন হই, সেই সময় এই ল্যাপটপটা কিনেছিলাম। বলা যায় অনেক শখ করেই, তবে শখের জিনিসটার ঠিকঠাক মতো যত্ন নিতে পারিনি। আমার জায়গা থেকে যত্নের কোন অভাব ছিল না, তবে বাবু এটার উপর বেশ অত্যাচার করেছে। বেশ কয়েকবার কফি ও পানি ফেলে দিয়েছিল চলন্ত ল্যাপটপের উপরে, তাছাড়া তার শরীরের সমস্ত জোর-শক্তি দিয়ে ল্যাপটপের সঙ্গে ক্রমাগতই জবরদস্তি করেছে।
হয়তো ল্যাপটপটা ভাঙেনি তবে তার অবস্থা বেগতিক হয়ে গিয়েছে। বেশ কয়েকবার সার্ভিস সেন্টারে দেখিয়ে ঠিক করিয়ে নিয়েছিলাম। এ বছরের প্রথমের দিন সার্ভিস সেন্টারে গিয়েছিলাম ল্যাপটপ ঠিক করে নেওয়ার জন্য, চাচ্ছিলাম সমস্ত ল্যাপটপটা একদম পুরোপুরি ঠিক করে নেব, তবে সার্ভিস সেন্টারের লোকজনের কথা শুনে মনে হলো, এই ল্যাপটপের পিছনে এতগুলো টাকা খরচা করার থেকে এরচেয়ে নতুন একটা কেনাই শ্রেয়।
আসলে দীর্ঘদিন হয়ে যাচ্ছে তো, তার উপরে বাবুর অত্যাচার তো ছিলই, সব মিলিয়ে যদি বলতে যাই, এই ল্যাপটপটা থেকে মায়া ত্যাগ করা এখন বুদ্ধিমানের কাজ হবে। মাঝে মাঝেই এর পিছনে এতগুলো করে পয়সা খরচ করার কোন মানেই আমি আর দেখছি না।
এবার আর ল্যাপটপ ঠিক না করে অবশেষে বাসার উদ্দেশ্যে ফেরত চলে এসেছি, এবং সিদ্ধান্ত নিয়েছি হাতে কিছু পয়সা আসলে নতুন দেখে একটা ল্যাপটপ কিনে নেব। তবে এবার আমি মানসিকভাবে ভীষণ কঠোর হয়ে গিয়েছি, বাবুর হাতে যেন ল্যাপটপ না উঠে সেজন্য কঠিন সতর্ক থাকতে হবে আমাকে। মূলত বাবুর হাতে ল্যাপটপ না গেলেই, ল্যাপটপ আমার সুস্থ ও জীবিত থাকবে বহুদিন।
ডিসকর্ড লিংক
https://discord.gg/VtARrTn6ht
| 250 SP | 500 SP | 1000 SP | 2000 SP | 5000 SP |
VOTE @bangla.witness as witness
OR
হ্যাঁ ভাই স্পেশাল হ্যাংআউট চলাকালীন সময়, আপনি বলেছিলেন মোবাইল দিয়ে শো পরিচালনা করছেন। যেহেতু এই ল্যাপটপটির উপর শায়ান বাবু অনেক অত্যাচার করেছে এবং এর আগেও আপনি এই ল্যাপটপটি সার্ভিসিং করিয়েছেন,সেজন্য আবারও এই ল্যাপটপ সার্ভিসিং বাবদ টাকা ব্যয় না করে, নতুন ল্যাপটপ কিনলে খুব ভালো হবে। তারপর শায়ান বাবুর কাছ থেকে খুব সাবধানে রাখতে হবে নতুন ল্যাপটপটি কেনার পর। যাইহোক এমন অনাকাঙ্খিত একটি ঝামেলায় পরার পর, আপনার মনের অবস্থাটা বুঝতে পারছি ভাই। আপনার জন্য শুভকামনা রইল ভাই।
যদিও শিক্ষা আমার হয়ে গিয়েছে, তবে দেখি পরবর্তীতে এই অভিজ্ঞতা কতটুকু কাজে লাগাতে পারি।
https://twitter.com/sharifShuvo11/status/1742458481603653955?t=zexw-ZLhX1-0UyLmSeHcdw&s=19
Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.
যখন কোন কিছু কাজ শুরু করার আগে এমন একটি ঘটনা ঘটে যায় ভীষণ খারাপ লাগে। যাক আপনার ল্যাপটপেরও এমন অবস্থা হয়েছিল। যেহেতু প্রতিনিয়ত কাজ করা হয় হাতের জিনিসটা নষ্ট হয়ে গেলে খুব খারাপ লাগে। তাছাড়া জিনিসের এখন অনেক দাম একটা ল্যাপটপ কিনতে গেলে ভালো মানের অনেক টাকার প্রয়োজন। আমি মনে করি এই ল্যাপটপে খরচ করে টাকা নষ্ট না করে নতুন একটা নিয়ে ফেলা উচিত। আর বাচ্চাদের হাতে ল্যাপটপ না যাওয়াই অনেক ভালো হবে আমার মতে।
আসলে ছোট মানুষ ও তো কিছু বোঝে না ভালো মন্দ তাই আপনাদেরকেই সাবধানে রাখতে হবে।আসলে প্রয়োজনীয় জিনিস নষ্ট হয়ে গেলে মনটা খুব খারাপ হয়ে যায়।আশা করছি খুব তারাতারি ল্যাপটপ কিনবেন এবং সাবধানে রাখবেন।ধন্যবাদ।
এমনটা ইচ্ছা আছে, নতুন কিনলে সাবধানে রাখতে হবে।
মোবাইল থেকে আসলে ও এত বড় একটা দায়িত্ব কন্ট্রোল করা মুশকিল, তবে সৃষ্টিকর্তা যদি সহায় হয় আশা করি পরবর্তীতে ভালো একটা ডিভাইস আপনার চলে আসবে, একটু সতর্ক থাকবেন যেহেতু এটা আপনার গুরুত্বপূর্ণ একটা জিনিস।
নতুন একটা ডিভাইস সত্যিই প্রয়োজন, সেদিন আসলেই বেশ কষ্ট করতে হয়েছিল।
ভাইয়া যাদের ঘরে ছোট ছোট সোনা বাবু থাকে তাদের সকলের ঘরে বোধ হয় একই রকম পরিস্থিতি হয়।আমার ছেলেও একদিন এক বালতি পানিতে মোবাইল ফেলে দিয়েছিল। আর আমাদের শায়ান বাবু ল্যাপটপে চা আর পানি ফেলে দিয়েছিল। এমনটি হলে ল্যাপটপের তো সমস্যা হওয়ারই কথা। আর এমন পরিস্থিতি হলে সত্যিই খুব খারাপ লাগে। যাইহোক ভাইয়া, আপনি যেন খুব দ্রুত সময় সুযোগ করে নতুন একটি ল্যাপটপ কিনে আপনার সমস্যার সমাধান করতে পারেন এই প্রত্যাশা করছি।
আপনার ব্যাপারটা জেনেও বেশ ব্যথিত হলাম। একদিক দিয়ে অবশ্য ঠিকই বলেছেন ,ছোট বাচ্চারা আসলেই কখন কি করে ফেলে তা বোঝা মুশকিল।
ইলেকট্রনিকস যেকোনো ডিভাইস দোকানে গেলে সেটা আর যায়হোক বেশিদিন টিকে থাকে না। শায়ান যেহেতু বেশ অত্যাচার করে ল্যাপটপের উপরে এজন্য অবস্থা এমন হয়েছে। এর আগেও যেহেতু সার্ভিসিং করিয়েছেন, আর আবারো করাচ্ছেন! শুধু শুধু টাকাগুলো নষ্ট করার থেকে আমারও তাই মনে হয় নতুন একটা কিনে নিলেই ভালো হবে! তবে শায়ানের কাছ থেকে ভাইয়া একটু সাবধানে রাখতেই হবে
আমিও তেমনটাই ভাবছি ভাই, হয়তো নতুন একটা কিনে ফেলবো, হাতে টাকা পয়সা আসলে।
হ্যাং আউটে সেদিন বলতে শুনেছিলাম আপনি বলেছিলেন মোবাইল দিয়ে সেদিন শো পরিচালনা করছেন।আর সেদিন তাই কয়েক মিনিট পরে জয়েন হয়েছিলেন।ভাইয়া আপনার মতো দেখছি আমারও এমন দশা হয়েছে।আমার ছেলে চা খাবে দিয়েছি।কিন্তু হাত ফস্কে কাপের সব গরম চা আমার ল্যাপটপের কী বোর্ডের উপরই ফেলেছে।যদিও কী বোর্ড চেঞ্জ করেছি।ঠিক তখন থেকেই ফোনে ই কাজ করে চলেছি।আপনার অনুভূতি গুলো তাই আমি ভীষন বুঝতে পারছি। কি আর করবেন কষ্ট করে নতুন একটি ল্যাপটপ কিনে নেবেন।যেটা সারতে এতো খরচ,তার চেয়ে নতুন কেনাই বুদ্ধিমানের কাজ।
হিহিহি। না হেসে পারলাম না। কি যে বলেন ভাইয়া বাবুর হাতে ল্যাপটপ না গেলে তা জীবিত এবং সুস্থ থাকবে। তবে আজকের পোস্টের টাইটেল পড়ে ভাবছিলাম যে কার উপর আবার মায়া ত্যাগ করবে ভাইয়া? আর পোস্ট পড়ে তা বুঝতে পারলাম। যাই হোক আমিও মনে করি এত টাকা খরচ না করে নতুন একটি ল্যাপটপই কিনে নেওয়া ভালো।