স্বপ্নবাজ তরুণ
শ্বশুর বাড়ির গ্রামে যাতায়াত করার সূত্রেই, রানার সঙ্গে আমার পরিচয়। যেহেতু একই এলাকাতে পাশাপাশি থাকা হয়, তাই টুকটাক মাঝে মাঝে কথা হয়। কিভাবে যেন সে জানতে পেরেছে, আমি সোশ্যাল মিডিয়া আর ইন্টারনেটে কাজ করি।
ভিডিও লিংক
যেহেতু এখন কথা বাতাসের গতিতে এদিক সেদিক ছোটাছুটি করে, হয়তো সেই মাধ্যমেই আমার ইন্টারনেট থেকে ইনকামের ব্যাপারটা সে জানতে পেরেছে। আমাকে সেদিন কৌতূহল বসত বলেই ফেলল, ভাই আপনি কি কাজ করেন ইন্টারনেটে।
যদিও আমি শুরুতে কিছুটা অপ্রস্তুত হয়ে গিয়েছিলাম, তারপরেও মানুষের জানার আগ্রহকে আমি হঠাৎ করেই নিরাশ করি না। আমি খোলামেলা উত্তর দিলাম, তেমন বেশি কিছু করিনা টুকটাক লেখালেখি করি, ভিডিও বানাই। জাস্ট এতটুকুই।
এর পরবর্তীতে ছেলেটা তার নিজের কথা আমার সঙ্গে, শেয়ার করার চেষ্টা করল। যদিও শুনে কিছুটা ব্যথিত হয়েছিলাম, কেননা তরুণ প্রজন্ম গুলো এভাবেই গেম আসক্তিতে ভুগে, তারা তাদের সুন্দর সময়টাকে নষ্ট করে ফেলে। পরে যখন বুঝতে পারে, তখন বড্ড দেরি হয়ে যায়। তাও ছেলেটা কিছু করার চেষ্টা করছে, এদিক থেকে অবশ্য ব্যাপারটা শুনে কিছুটা ভালো লেগেছে।
হঠাৎই পাবজি গেমের নেশায় পড়ে যায় রানা, তারপরে তার দীর্ঘ সময় কেটে যায় গেম আসক্তিতে। একটা সময়ের পরে গিয়ে তো, শখের ফোনটাতে বেশ ভালোই যান্ত্রিক ত্রুটি দেখা দেয়। হয়তো সেটা অতিরিক্ত গেম খেলার কারণে। তবে এখন যখন তার গেম আসক্তি কমে গিয়েছে, তখন সে বেশ ভালো ভাবেই বুঝতে পারছে, সে আসলে অযথা বহুসময় অহেতুক নষ্ট করেছে ।
থাক সেসব কথা, ছেলেটা আবার নতুন ভাবে গতানুগতিক সোশ্যাল মিডিয়া গুলোতে কাজ করার চেষ্টা করছে । বিশেষ করে কনটেন্ট ক্রিয়েটর হিসেবে। তার এই সিদ্ধান্তকে, এক প্রকার আমি সাধুবাদ জানাই। কেননা সে তার, বাস্তব জীবনের কার্যক্রম গুলোই ভার্চুয়াল জগতে শেয়ার করতে চায়।
যদিও ইতিমধ্যেই সে কাজ করা শুরু করে দিয়েছে, তবে পারিপার্শ্বিক ও সামাজিক অবস্থা থেকে তাকে প্রতিনিয়ত কটু কথা শুনতেই হচ্ছে। তবে আমি বিশ্বাস করি, রানা যদি তার এই জেদি মনোভাবটা ধরে রাখতে পারে, তাহলে সোশ্যাল মিডিয়াগুলো থেকে সে অবশ্যই ভালো কিছু করতে পারবে। তখন হয়তো আজ যারা কটু কথা বলে, তাকে নিরুৎসাহিত করার চেষ্টা করছে , সেই কথা গুলোর জবাব তারা এমনিতেই পেয়ে যাবে।
এগিয়ে যাও রানা, তুমি তোমার নিজের গতিতে।
জীবনটাকে নিজের মতো করে উপভোগ করো।
শুভেচ্ছা রইল
ডিসকর্ড লিংক
https://discord.gg/VtARrTn6ht
250 SP | 500 SP | 1000 SP | 2000 SP | 5000 SP |
![Heroism_3rd.png](https://steemitimages.com/640x0/https://cdn.steemitimages.com/DQmRejDSNMUFmRz2tgu4LdFxkyoZYmsyGkCsepm3DPAocEx/Heroism_3rd.png)
VOTE @bangla.witness as witness
![witness_vote.png](https://steemitimages.com/640x0/https://cdn.steemitimages.com/DQmW8HnxaSZVKBJJ9fRD93ELcrH8wXJ4AMNPhrke3iAj5dX/witness_vote.png)
OR
Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.
https://twitter.com/sharifShuvo11/status/1747189210535338384?t=jBA-n4RqjiSWXyvsxzyw-g&s=19
স্বপ্নবাজ তরুণ রানাকে নিয়ে খুব সুন্দর একটি পোস্ট আমাদের সাথে শেয়ার করেছেন ভাইয়া। গেমের নেশায় আসক্ত হয়ে এরকম কত রানা সবকিছু থেকে হারিয়ে যাচ্ছে, তার হিসেব নেই। রানা গেম ছেড়ে স্বপ্ন দেখছে-ভালো কিছু করার। আশাকরি রানা সফল হবে। রানার জন্য শুভ কামনা। পোস্টের ছবি ও ভিডিও অনেক সুন্দর হয়েছে। ব্লগটি শেয়ার করার জন্য অনেক ধন্যবাদ আপনাকে।
ধন্যবাদ আপু আমার অনুভূতি বুঝতে পেরে মন্তব্য করার জন্য, আমি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছি ।
ভালো লাগার বিষয় হলো রানা ভাই ফাইনালি বুঝতে পেরেছে যে গেম খেলে হুদাই মূল্যবান সময় নষ্ট করেছে। তবে এখন যেহেতু কনটেন্ট ক্রিয়েটর নিয়ে কাজ শুরু করছে, লেগে থাকলে ভালো কিছু হবে আশা করি। কারণ বর্তমানে কনটেন্ট খুবই পাওয়ারফুল একটা জিনিস! যার যতবেশি কনটেন্ট আছে সে তত বেশি এগিয়ে
এটা জেনে সত্যিই আমার বেশ ভালো লেগেছে যে, আসলে ও ওর নিজের ভুল বুঝতে পেরেছে। ওর উজ্জ্বল ভবিষ্যৎ আমিও কামনা করছি।
বর্তমানে অনেক ছেলে মেয়ে গেমের নেশায় আসক্ত হয়ে, নিজের জীবনটাকে একেবারে শেষ করে দিচ্ছে। তারা এতটাই আসক্ত গেমের প্রতি, গেম ছাড়া কিছুই ভাবতে পারে না। যাইহোক রানা ভাই অবশেষে নিজের ভুল বুঝতে পেরেছে, এটাই অনেক। আশা করি সোশ্যাল মিডিয়ার মাধ্যমে, রানা ভাই নিজের ভবিষ্যৎ উজ্জ্বল করতে সক্ষম হবে। রানা ভাইয়ের জন্য অনেক অনেক দোয়া এবং শুভকামনা রইল।
রানার আসলে সামনের দিনগুলোতে, উজ্জ্বল ভবিষ্যৎ আমিও কামনা করছি ভাই।
রানা ভাই নতুনভাবে সবকিছু শুরু করেছে জেনে ভালো লাগলো। আসলে আমাদের সমাজে এমন অনেক মানুষ আছে যারা বিভিন্ন রকমের গেম খেলে সময় নষ্ট করে। আর আমার কাছে মনে হয় এগুলো শুধুই ক্ষতি করে। যাই হোক যুবকরা যেন এভাবেই এগিয়ে যায় এই প্রত্যাশা করি সব সময়।
আমিও চাই আপু, যারা সুপথে ফিরে এসেছে তারা এগিয়ে যাক।
বর্তমান সময়ে ইন্টারনেট যেমন মানুষের উপকার করছে তেমনি পাশাপাশি ক্ষতিও হচ্ছে তা ঠিক। বিশেষ করে আমাদের তরুণ সমাজরা এই ধরনের গেমসের মাধ্যমে অনেক বেশি আসক্ত হয়ে পড়েছে। আসলে এগুলো থেকে বের হয়ে আনা খুব জটিল। যদিও রানা খুব দ্রুতই বুঝতে পেরেছে যে তার কাজটি করা ভুল হয়েছে। অনেক বেশি ভালো লেগেছে সেই গতানুগতিক কনটেন্ট ক্রিয়েট করতেছে নিজ নিজে।
দাদা, আপনার শেয়ার করা ভিডিওটিতে সবাই বেশ সুন্দর করে আমাদের হাই জানিয়েছে দেখলাম। যাই হোক, আপনাদের সবাইকেও আমার পক্ষ থেকে হ্যালো জানালাম। এবার রানার ব্যাপারে বলি। রানার কনটেন্ট ক্রিয়েট এর সিদ্ধান্তকে আপনার সাথে সাথে আমরাও সাধুবাদ জানাই । রানা তার এই জেদি মনোভাব ধরে রাখুক এবং ভালো কিছু করুক আমারও এটা চাই। তার জন্য অনেক অনেক শুভকামনা করি । রানার মত পাবজি গেমের আসক্তির উদাহরণ হাজার হাজার রয়েছে দাদা। এই ধরনের গেম আসক্তির ব্যাপারটা তরুণ সমাজে অনেক বেশি দেখা যায় এখন।