বিদায় ক্যাপ্টেন | আমরা শোকাহত

in আমার বাংলা ব্লগ4 months ago

1000030224.jpg
source

বছর দুয়েক আগে একটা লেখা পড়েছিলাম, লেখাটা পড়ার পড়েই মূলত ক্যাপ্টেন এর ব্যক্তিত্ব সম্পর্কে চমৎকার একটা ধারণা পেয়েছিলাম। কিভাবে একজন অনাথ শিশুকে ফুটবল খেলার মাঠ থেকে তুলে নিয়ে এসে নিজের ভাইয়ের স্থানে ক্যাপ্টেন জায়গা দিয়েছিলেন, বাড়িতে থাকতে দিয়েছিলেন, পরবর্তীতে তার পড়ালেখা থেকে শুরু করে সমাজের বুকে প্রতিষ্ঠিত করে তোলা, এমনকি চাকরি নিয়ে দিতে সহযোগিতা করা কিংবা ধুমধাম অনুষ্ঠান করে সামাজিকভাবে তার বিয়েটা পর্যন্ত ক্যাপ্টেন নিজেই দিয়েছিলেন।

যদিও ঘটনার কোন কিছুই আমি স্বচক্ষে দেখিনি, তবে তারপরেও গল্পের সেই ক্যাপ্টেন আমার কাছে অনেকটাই মানবিক চরিত্রের মানুষ হিসেবে প্রাধান্য পেয়েছিলেন, ঐ লেখাটা পড়ার মাধ্যমেই।

ক্যাপ্টেন ফুটবল খেলাতেও যেমন দলনেতা ছিলেন, তেমনটা তার ব্যক্তি জীবনের কর্মকাণ্ড ছিল চোখে লাগার মত। যেহেতু ক্যাপ্টেন পেশায় শিক্ষক মানুষ ছিলেন, তাই বলতে গেলে নিজের খেয়ে প্রতিনিয়ত বনের মোষ তাড়ানোই তার মুখ্য কাজ ছিল। ব্যক্তি জীবনে যেমন প্রতিনিয়ত তিনি মানুষের কল্যাণে কাজ করে গিয়েছেন, তেমনটা অপ্রত্যাশিতভাবে বহুবার নিজের আত্মীয়-স্বজনের কাছ থেকে অনেকটাই মানসিকভাবে আঘাত পেয়েছিলেন।

একটা ছোট্ট উদাহরণ দেই, যে অনাথ ছেলেটাকে ফুটবল খেলার মাঠ থেকে কুড়িয়ে নিয়ে এসে নিজের ভাইয়ের স্থানে বসিয়েছিলেন, সেই মানুষটাও একদিন ক্যাপ্টেনের সঙ্গে দূরত্ব বাড়িয়ে দিয়েছিল। এরকম অজস্র ঘটনা ক্যাপ্টেন এর জীবনে ঘটেছিল। তারপরেও কি ক্যাপ্টেন, বনের মোষ তাড়ানো বন্ধ করেছিলেন ! একদম না, এটা প্রতিনিয়তই চলমান ছিল।

অসুস্থতা যখন তাকে ঘায়েল করেছিল, তা তিনি ভুলেও কাউকে বুঝতে দেননি। এমনকি ডাক্তার দেখানোর প্রয়োজন পর্যন্ত মনে করেন নি। কেননা পরিবারের লোকজন দুশ্চিন্তা করবে কিংবা তাকে নিয়ে অস্থির হয়ে পড়বে, এজন্য সবটাই নীরবে সয়ে গিয়েছিলেন। শেষ সময়ে এসে আকস্মিক হৃদক্রিয়া বন্ধ হয়ে যাওয়ার মাধ্যমে, তার মৃত্যু হয়।

হঠাৎই যেন শোকের ছায়া নেমে পড়ে চতুর্দিকে, ক্যাপ্টেন এমন ভাবে চলে গেলেন, যেন কাউকেই কোন কিছু বুঝতেই দিলেন না। আজ যখন সবাই বিষয়টি বুঝতে পারল, তখন আর ক্যাপ্টেন পৃথিবীতেই থাকলো না।

কীর্তিমানের মৃত্যু নেই, তারা বেঁচে থাকে তাদের কর্মের মাধ্যমে। ক্যাপ্টেনকে আমি নিজেও কখনো বাস্তবে দেখিনি, তবে তার ব্যক্তিত্ব আমাকে প্রচুর ভাবিয়েছে। উপরোক্ত লেখাগুলো লিখেছি সম্পূর্ণ অনুমান করে, ক্যাপ্টেন এর ছেলের লেখা ব্লগ পড়ে।

এখন আপনার মনে হতে পারে , ক্যাপ্টেন তাহলে কার বাবা ?

ক্যাপ্টেন হলেন, আমাদের সকলের প্রিয় @rme দাদার বাবা।

বাবাকে নিয়ে লেখা, দাদার দুই বছর আগের পোস্ট ।

লিংক

1000020537.png

ডিসকর্ড লিংক
https://discord.gg/VtARrTn6ht


20211003_112202.gif


JOIN WITH US ON DISCORD SERVER

banner-abb4.png

Follow @amarbanglablog for last updates


Support @heroism Initiative by Delegating your Steem Power

250 SP500 SP1000 SP2000 SP5000 SP

Heroism_3rd.png

VOTE @bangla.witness as witness


witness_vote.png

OR

SET @rme as your proxy

witness_proxy_vote.png

Sort:  

Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.

 4 months ago 

আসলে দাদা মন মানসিকতা যেমন সুন্দর ঠিক অনুরুপ ভাবে দাদার বাবার ও মন মানসিকতা অনেক সুন্দর ছিল। আসলে একজন অনাথ শিশুর পুরো দায়িত্ব নিয়ে তাকে লালন পালন করে এতো দুর পর্যন্ত এগিয়ে দিয়েছেন, এটা শুনে বেশ কিছুক্ষণ সময় নিরবতা পালন করছিলাম, ভাবছিলাম কেমনে সম্ভব। এখন আমাদের সকলের উচিত আনকেলের জন্য দোয়া এবং আশির্বাদ করা।

 4 months ago 

মানবিক মানুষরা এমনই হয় ভাই, তারা আসলে সর্বদাই পরের জন্য চিন্তা করে।

 4 months ago 

ঈশ্বরের কাছে প্রার্থনা করি শ্রদ্ধেয় মানবিক ক্যাপ্টেনের আত্মা যেন স্বর্গবাসী হয়। আমাদের শ্রদ্ধেয় দাদা যতটা মানবিক তার থেকেও বেশি মানবিক আমাদের ক্যাপ্টেন। আমাদের শ্রদ্ধেয় দাদার পোস্টটা পড়ে শ্রদ্ধেয় ক্যাপ্টেনের মহানুভবতা পরিচয় পেলাম। আমরা সবাই কঠিনভাবে শোকাহত।

 4 months ago 

দাদার বাবা সত্যিই ভীষণ মানবিক গুণের মানুষ ছিলেন।

 4 months ago 

কিছু কিছু সত্য মেনে নিতে আসলেই খুব কষ্ট হয়। গতকালকে জুম্মার নামাজ আদায় করে মসজিদ থেকে বাসায় আসার পর, অ্যানাউন্সমেন্ট চ্যানেলে যখন এই নিউজটি দেখলাম, তখন একেবারে অবাক হয়ে গিয়েছিলাম। সত্যি বলতে লেখাগুলো বারবার পড়ার চেষ্টা করছিলাম। কারণ দাদার মায়ের অসুস্থতার কথা শুনেছি কিছুদিন আগে, কিন্তু দাদার বাবার অসুস্থতার কথা শুনিনি। তার মানে একেবারে হঠাৎ করেই তিনি পৃথিবী থেকে বিদায় নিলেন। আমাদের দাদার মতো উনার বাবার মনটাও বিশাল বড় ছিলো। নিঃসন্দেহে উনি পরোপকারী এবং খুব ভালো মনের মানুষ ছিলেন। দোয়া করি ওপারে যেনো খুব ভালো থাকেন উনি। আমাদের কমিউনিটির সবাই এই খবরটা শুনে শোকাহত। যাইহোক পোস্টটি আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ ভাই।

 4 months ago 

ভালো মানুষগুলো হঠাৎ করেই চলে যায়, এ ব্যাপারটা মানতে সত্যিই অনেকটাই কষ্ট হয়ে যায় ভাই।

 4 months ago 

হঠাৎ খবরটি শুনে হতবাক হয়ে গিয়েছিলাম। কেননা দাদার কাছে থেকে কখনই দাদার বাবার কোন অসুখের কথা শুনিনি। যদিও দাদার মায়ের অসুখের কথা অনেকবার শোনা হয়েছে।তাই হঠাৎ করে সংবাদটি শুনে হতভম্ব হয়ে গিয়েছিলাম।দাদা নিশ্চয়ই নেতৃত্ব দেয়ার গুনটি তার বাবার কাছ থেকে পেয়েছেন। তাইতো এতো সুন্দর করে আমার বাংলা ব্লগ কমিউনিটি সুন্দরভাবে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছেন।প্রার্থনা করি যেন পরপারে ভালো থাকেন তিনি। তার আত্মার শান্তি কামনা করছি।

 4 months ago 

শুধু আপনি না আপু, আমরা সবাই হতবাক হয়ে গিয়েছিলাম। আমরা নিজেরাও মানসিকভাবে অনেকটাই ভেঙ্গে পড়েছি। এটা সত্য, দাদার বাবার গুণ গুলো দাদার ভিতরে বিরাজ করছে।

 4 months ago 

দাদার ঐ পোস্ট টার কথা আমার মনে আছে। সত্যি অনেক মহান একজন মানুষ ছিলেন উনি। শিক্ষক হওয়াই সমস্ত বড় গুণ গুলো উনার মধ্যে ছিল দাদার মুখে যতটা শুনেছি। নিজের অসুস্থতার কথাটাও প্রকাশ করতেন না পরিবারের কাছে। তারা চিন্তা করবে না। এমন একজন মানুষের বিদায় সত্যি কষ্টকর।

 4 months ago 

মহৎ মানুষগুলো বড্ড নীরবে চলে যায়।

 4 months ago 

ভাই আপনার লেখাটা পড়ে মন ছুয়ে গেল ।চমৎকার লিখেছেন । আসলেই কীর্তিমানের মৃত্যু নেই। দাদার বাবা আসলেই উদার মনের একজন মানুষ ছিলেন। যার কারণে সবার মনে জায়গা করে নিতে পেরেছিলেন ।তার জন্য অনেক অনেক প্রার্থনা রইল। তিনি যেন ওপারে ভালো থাকেন।

 4 months ago 

চেষ্টা করেছি আপু, অনুমানের ভিত্তিতে কিছু কথা লেখার জন্য, তবে আমিও চাই দাদার বাবা ওপারে শান্তিতে থাকুক।

 4 months ago 

আসলেই দাদার কাছ থেকে বা দাদার পোস্ট থেকে যখনই আঙ্কেলের সম্বন্ধে কিছু জেনেছি তখনই বুঝতে পেরেছি তিনি কতটা ভালো মানুষ ছিলেন। আসলে যারা মানবিক কাজ করেন তারা কোন কিছুর প্রতিদিনের আশায় করেন না। এজন্য বারবার ধোকা খাওয়ার পরও তারা উপকার করতে পিছপা হয় না। এরকম ভালো মানুষগুলো নীরবে চলে যায় কাউকে কিছু না জানিয়ে।

 4 months ago 

আসলে যারা মানবিক কাজ করেন তারা কোন কিছুর প্রতিদিনের আশায় করেন না। এজন্য বারবার ধোকা খাওয়ার পরও তারা উপকার করতে পিছপা হয় না।

যথার্থ বলেছেন আপু।

Coin Marketplace

STEEM 0.17
TRX 0.16
JST 0.029
BTC 76027.52
ETH 2923.44
USDT 1.00
SBD 2.62