অবশেষে বইগুলো হাতে পেলাম
কয়েকদিন আগে, আমার ভবিষ্যৎ উন্মুক্ত পাঠাগারের জন্য কিছু বইয়ের অর্ডার করেছিলাম। যদিও সেই সময় গ্রামে ছিলাম বিধায় বইগুলো সংগ্রহ করতে পারিনি, তবে শহরে আসার পরেই চেষ্টা করেছিলাম, নিজ উদ্যোগে বইগুলো সংগ্রহ করার জন্য।
ভিডিও লিংক
সমসাময়িক সময়ে সবাই প্রযুক্তির দিকে এমন ভাবে ধাবিত হয়ে যাচ্ছে যে, কেউ যেন বই পড়ার প্রতি তেমনভাবে আর আগ্রহ প্রকাশ করছে না। বিশেষ করে নতুন প্রজন্ম, এরা ঠিকই টাকা পয়সা দিয়ে তাদের পছন্দের বিভিন্ন ডিভাইস কিনবে, তবে বই কিনবে না।
তাছাড়া সমসাময়িক সময়ে আশেপাশের যে সমাজের জনপ্রতিনিধিরা আছে, তারাও কেন জানি দিন দিন কেমন হয়ে গিয়েছে। সুস্থ ধরার চিন্তাভাবনা কারো মাঝেই যেন লক্ষ্য করা যাচ্ছে না। ব্যক্তি উদ্যোগে আর কতটুকু করা যায়, সব কিছু বুঝতেছি বা বোঝার চেষ্টা করছি, তারপরেও হাল ছাড়তে রাজি নই।
শহুরে জীবনে এমন পাঠাগার নির্মাণ চিন্তা করা বেশ কঠিন, কেননা এখানে পাঠক খুঁজে পাওয়া বড্ড মুশকিল, তাছাড়া অবকাঠামো তৈরি করা বেশ খরচ সাপেক্ষ। যেহেতু গ্রামের দিকে স্থায়ীভাবে থাকার সিদ্ধান্ত নিয়েছি, তাই মোটামুটি বাড়ির পাশেই ছোট্ট একটা পাঠাগার বানাতে চাই।
যাতে পিছিয়ে পড়া মানুষরা, উন্মুক্তভাবে কিছুটা হলেও বই পড়তে পারে এবং তাদের জ্ঞান তৃষ্ণা মিটিয়ে নিতে পারে।
ইতিমধ্যেই আমার এমন কার্যকলাপে বেশ কিছু তিক্ত মন্তব্য আমাকে শুনতে হয়েছে এবং ক্রমাগত তা বাড়ছে , তবে সেদিকে কর্ণপাত করার সময় নেই বললেই চলে।
অবশেষে আজ দুপুর বেলার দিকে গিয়েছিলাম বইগুলো সংগ্রহ করার জন্য, বই গুলো হাতে পাওয়ার পরে, কি পরিমাণ যে ভালোলাগা কাজ করছিল, তা বলে বোঝাতে পারবো না। ব্যক্তি উদ্যোগে অনেক কিছু করতে চাইলে,তা সহজে করা যায় না, তবে যখন ধীরে ধীরে সবকিছু বাস্তবায়িত হতে থাকে, তখন গর্বে বুকটা ভরে যায়।
এ যাত্রায় পরামর্শ দিয়ে আমাকে অনেকেই সহযোগিতা করেছে কিংবা এখনো করেই যাচ্ছে, তবে আর্থিক দিকটা নিজের থেকেই সামলাতে হচ্ছে, তারপরেও আমি সবার কাছে কৃতজ্ঞ। চিত্তের প্রসারতা ঘটুক, মস্তিষ্কে পুষ্টির ঘাটতি পূরণ হোক এবং সেঁধানো নিয়মকানুন থেকে সবাই পরিবর্তনের চিন্তা করুক, এমনটাই প্রত্যাশা ব্যক্ত করছি, নিজের জায়গা থেকে।
ডিসকর্ড লিংক
https://discord.gg/VtARrTn6ht
250 SP | 500 SP | 1000 SP | 2000 SP | 5000 SP |
VOTE @bangla.witness as witness
OR
Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.
জী ভাইয়া বর্তমান সমাজের লোকজন কোন দিকে ধাবিত হচ্ছে,সেটা সবাই ঠিক বুঝতেছে। সবার হাতে হাতে অনলাইন ডিভাইস। আর এসব ডিভাইসে কাজের থেকে অকাজ হচ্ছে বেশি। এখন মানুষ বুক রেখে ফেসবুক করে বেশি। এই সময় আপনার উন্মুক্ত পাঠাগারের চিন্তাকে স্বাগত জানাই। কেউ না কেউ তো এই জাতির জন্য লড়তে হবে। কেউ একজনকে উঠে দাড়াতে হবে। ধন্যবাদ।
চেষ্টা করছি ভাই নিজের জায়গা থেকে, দেখি এখন কত দূর কি করতে পারি।
আপনার উদ্যোগটা বেশ ভালো লেগেছে ভাইয়া। আসলেই বর্তমান প্রজন্ম অনেক টাকা দিয়ে অনেক ডিভাইস কিনবে কিন্তু সামান্য কিছু টাকা দিয়ে বই কিনতে রাজি না। আসলে ভালো কাজের ক্ষেত্রে অনেক বাধা বিপত্তি আসতে হবে আমাদের সেদিকে কর্ণপাত করা আসলেই উচিত না। আপনি নিজের উন্মুক্ত পাঠাগারের জন্য বেশ কয়েকটা বই কিনেছেন দেখছি। বাবুকে নিয়ে দুজনে বইগুলো সংগ্রহ করতে গিয়েছেন। ভালো লাগলো আপনাদের মুহুর্তগুলো দেখে।
আমাদের মতো পাঠক আছে বিধায়, আমি অনুভূতি লিখে বড্ড শান্তি পাই।
ভাইয়া আপনি এভাবে গ্রামে থাকার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন জেনে ভালো লাগলো।।উন্মুক্ত পাঠাগারের জন্য বেশ কিছু বই কিনেছেন দেখে ভালো লাগলো। সত্যি ভাইয়া এখনকার প্রজন্মের ছেলেমেয়েরা বই কিনতে চায় না। উন্মুক্ত পাঠাগারের ব্যবস্থা থাকলে দারুন হবে।
সবদিক বিবেচনা করেই এমন সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে আপু।
ব্যক্তিউদ্যোগে এমন সুবিশাল পরিসরে কিছু করতে গেলে সময় তো লাগবেই ভাই। তবে নিজে কষ্ট করে নিজের স্বপ্ন ছোট থেকে বড় করার মাঝে আলাদা তৃপ্তি আছে। আপনার বৃহৎ স্বপ্ন এভাবেই বিন্দু বিন্দু জল থেকে গড়ে উঠা সিন্ধুর মতো বড় হয়ে উঠুক! শুভকামনা রইলো।
আপনার মন্তব্য আমাকে এক প্রকার অনুপ্রাণিত করলো।
আপনি ঠিক বলছেন শহরের মধ্যে পাঠাগার গড়ে তোলা কঠিন ব্যাপার। কারণ এখানকার মানুষের চাহিদা ভিন্ন এবং বেশ সময় সাপেক্ষ এবং অনেক খরচের হবে। আপনি গ্রামে যেহেতু স্থায়ীভাবে বসবাস করবেন গ্রামে পাঠাগার তৈরি করলে ভালো হবে। আপনার এত সুন্দর একটি মহৎ উদ্যোগ আমাকে অনেক বেশি মুগ্ধ করেছে। আপনি তো বেশ ভালো ভালো বই সংগ্রহ করলেন। প্রতিটি বই দেখে অনেক বেশি আনন্দ পেলাম।
চেষ্টা করে যাচ্ছি নিজের জায়গা থেকে, এখন দেখি কতদূর সামলে উঠতে পারি।
যেকোনো ভালো কাজ করতে গেলে বাঁধা আসবেই। তবুও বাঁধা বিপত্তি অতিক্রম করে আমাদেরকে এগিয়ে যেতে হয়। আপনার এই চমৎকার উদ্যোগকে সাধুবাদ জানাচ্ছি। আশা করি আপনি এই ব্যাপারে অবশ্যই সফল হবেন। যাইহোক বইগুলো হাতে পেয়েছেন, এটা দেখে খুব ভালো লাগলো। আপনার জন্য শুভকামনা রইল ভাই।
বাড়ির পাশে পাঠাগার বানানোর এই উদ্যোগটা কিন্তু আমার কাছে বেশ ভালো লাগলো। এতে করে এখনকার জেনারেশন যারা মোবাইল ফোনে আসক্ত, তারা হয়তো বই পড়ার প্রতি কিছুটা উদ্বুদ্ধ হবে। তবে এই সব ক্ষেত্রে কিছুটা তিক্ত মন্তব্য শুনতে হবে দাদা, এটা শুনেই আপনাকে সামনের দিকে এগিয়ে যেতে হবে। যাইহোক, বইগুলো হাতে পেয়েছেন, জেনে খুব ভালো লাগলো।