উৎসবের সময়, যাত্রা হোক নিরাপদ।
এই যান্ত্রিক শহরটা ক্রমেই ফাঁকা হয়ে যাচ্ছে, সবাই ফিরে যাচ্ছে, আপন ঠিকানায়। এ শহরের এমন রূপ খুব একটা সর্বদা দেখা যায় না, বিশেষ করে এই উৎসবের সময়েই এমন চিত্র ফুটে ওঠে।
সত্যিই এই শহরে কেউ, শখ করে বসবাস করতে আসে না। মূলত সবাই কর্মের তাগিদেই ছুটে আসে যান্ত্রিক এই কংক্রিটের শহরে। এ শহরের সুউচ্চ ভবন গুলোর দেয়ালে কান পাতলে তা স্পষ্ট শোনা যায়।
সবাই যেন মুখিয়ে থাকে এরকম উৎসবমুখর সময়ের জন্য । সব অফিস-আদালত কল-কারখানা বন্ধ হয়ে যায় সাময়িক সময়ের জন্য। সবাই ব্যস্ত হয়ে পড়ে, আপন ঠিকানায় ফিরে যাওয়ার জন্য। অনেকটা নাড়ির টানে, আপন শিকড়ে।
যে যেভাবে পারছে, সেই ভাবেই চলে যাচ্ছে নিজের গন্তব্যে। সবার ভিতরেই যেন উৎসব আমেজ কাজ করছে। নীড়ে ফিরতে পারলেই একেক জনের যেন স্বস্তি মিলে।
লঞ্চ, ট্রেন, বাস, ট্রাক, মোটরবাইক, প্রাইভেট কার কিংবা আকাশ পথের বিমান, সব জায়গাতেই যেন অতিরিক্ত যাত্রী। অনেক ক্ষেত্রে তো আবার টিকিট পাওয়াই যাচ্ছে না। গুনতে হচ্ছে বাড়তি অনেক টাকা। তাতেও প্রস্তুত সবাই, দীর্ঘ সময়ের একটানা জার্নি, তাতেও যেন ভাঙছে না মনোবল। সবাই ফিরতে চায়, আপন ঠিকানায় আপন নীড়ে।
পাবলিক ট্রান্সপোর্ট গুলোতে সাধারণ লোকজন অনেকটা গাদাগাদি করে হলেও ছুটে যাচ্ছে। রাস্তায় এত পরিমাণ ট্রাফিক জ্যাম, যা চিন্তার বাহিরে। উৎসব আনন্দ মাঝে মাঝেই আবার ফিকে হয়ে যাচ্ছে। কেননা দুর্ঘটনা লেগেই আছে, অনেকের উৎসব আনন্দ এভাবেই শেষ হয়ে যাচ্ছে।
এই যে দীর্ঘ সময়ের বিরামহীন যাত্রা, এতো গাদাগাদি করে ছুটে যাওয়া, ট্র্যাফিক জ্যাম সহ্য করা, পরিবহনে বাড়তি ভাড়া দেওয়া কিংবা জীবনের উপর ঝুঁকির ব্যাপার গুলো উৎসবের সময়ে কমবেশি থেকেই যায়।
তারপরেও উৎসব প্রেমী মানুষ বাড়ি ফিরতে চায়, নিজের আপনজনের সঙ্গে উৎসবের আনন্দ ভাগাভাগি করে নিতে চায়, বলতে গেলে এটাই আমাদের ঐতিহ্য। বাঙালি যে উৎসব প্রেমী জাতি, তা যেন বরাবরই প্রমাণ করে।
সবার উৎসবের সময় ভালো কাটুক, সবাই নিরাপদে যে যার গন্তব্যে ফিরে যাক, এ প্রত্যাশাই ব্যক্ত করছি নিজের জায়গা থেকে।
ডিসকর্ড লিংক
https://discord.gg/VtARrTn6ht
250 SP | 500 SP | 1000 SP | 2000 SP | 5000 SP |
VOTE @bangla.witness as witness
OR
Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.
আসলে ফেসবুকের বিভিন্ন মাধ্যমে আমি দেখতে পাই যে বাংলাদেশে ঈদের সময় বাড়ি ফেরার জন্য মানুষ কতটা রিক্স নিয়ে থাকে। যদিও তারা শহরমুখী হয় তাদের পরিবারকে একটু ভালোভাবে চালানোর জন্য। আর যখন তারা ছুটি পায় তখন তারা রক্তের টানে আবার তাদের সেই জন্মস্থানে ফিরে যায়। আসলে সবাই যেন ভালোভাবে তাদের বাড়িতে পৌঁছে এই ঈদ উৎসবটি পালন করতে পারে এজন্য সৃষ্টিকর্তার কাছে আমার প্রার্থনা রইলো।
জী দাদা, এমনটা আমিও কামনা করছি। নিরাপদ হোক সকলের যাত্রা।
যেকোনো উৎসবের সময় অনেকেই জীবনের ঝুঁকি নিয়ে যানবাহনে ওঠে। কিংবা বাড়ি যাওয়ার চেষ্টা করে। আসলে সবাই কর্মের তাগিদে বিভিন্ন জায়গায় বসবাস করে। তবে আমরা সবাই প্রত্যাশা করি সবার ঈদ যাত্রা যেন শুভ হয়। ভাইয়া আপনার লেখাগুলো পড়ে সত্যি অনেক ভালো লাগলো।
কথা ঠিক বলেছেন ভাই ঢাকা শহরে কেউ ইচ্ছা করে থাকে না। সবাই কর্মের তাগিদেই থাকে। গরম, গাড়ি সংকট অতিরিক্ত ভাড়া যানজট সবকিছু উপেক্ষা করেও মানুষ চলে যাচ্ছে তার আপন ঠিকানায়। শুধুমাত্র নিজের পরিবারের সাথে ঈদ উৎযাপন করার জন্য। এগুলো দেখলে নিজেদের মধ্যে যে ভালোবাসা ভাতৃত্ববোধ এগুলো বোঝা যায়।
ঐ যে বললাম বাঙালি উৎসব প্রেমী জাতি, এটাই বাঙালির ঐতিহ্য।
ঢাকা শহর পুরো বাংলাদেশের মানুষের একটি কর্ম সংস্থানের জায়গা।ঈদ চলে আসলেই ঢাকা শহরে গিয়ে বসবাস করা সকল লোক বাড়ি চলে আসার জন্য, বিভিন্ন জন বিভিন্ন উপায় অবলম্বন করে নিজের মা বাবার কাছে চলে যায়। তবে প্রতিবারের মতো এবছর ঢাকা থেকে বাড়ি ফেরার সময় ঢাকা থেকে ফিরে আসা লোকজনেরা একটু সুবিধা ভোগ করছে। কেননা এবছর রাস্তা ঘাটের মধ্যে তেমন একটা ভীড় নেই।
অন্যান্য বারের তুলনায়, এবার কিছুটা ভিড় কম। এটা মানতেই হয়।
বসবাসের জন্য বেশিরভাগ মানুষ গ্রামকেই প্রাধান্য দিয়ে থাকে। তবে জীবন জীবিকার তাগিদে অনেক সময় কিছুই করার থাকে না। তাই বাধ্য হয়েই শহুরে জীবনটা বেছে নিতে হয়। তবে ঈদের ছুটি হোক কিংবা ২/৩ দিনের ছুটি হোক না কেনো, সবাই আপন ঠিকানায় পৌঁছানোর জন্য অস্থির হয়ে যায়। নিজের পরিবারের সাথে সময় কাটানোর জন্য অনেকে ঝুঁকি নিয়েও নিজ বাড়িতে ফিরে যায়। তবে এতো এতো যানবাহন বৃদ্ধি পাওয়া সত্ত্বেও, এখনো অনেকটা গাদাগাদি করেই যেতে হচ্ছে সবাইকে। এমন পরিস্থিতি আদৌ ঠিক হবে কিনা,সেটা আমার সঠিক জানা নেই। যাইহোক সময়োপযোগী একটি পোস্ট আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে।
ধন্যবাদ ভাই আমার অনুভূতি বুঝতে পারার জন্য।
পরিবহনের খুব বাজে অবস্থা। আমার বাড়ি অবধি আসতেই জীবন শেষ। এতো ভয়াবহ জ্যাম জীবনে দেখেনি। জীবনে যে রাস্তায় জ্যাম দেখেনি আজ সেখানে জ্যাম দেখলাম। তার উপর ভাড়াটাও বেশি। তবে বাড়িতে এসে মা বাবার সাথে ঈদ করার আনন্দটাই অন্যরকম। এটাই আসলে বাঙালির ঐতিহ্য। শহর এখন পুরো ফাকাঁ বলতে গেলে। ঈদের পরে আবার কংক্রিটের নগর ভরে উঠবে মানুষে!
ঈদের পরে আবারো এই জ্যামের মধ্য দিয়েই ফিরতে হবে কংক্রিটের নগরে।
শহরের যান্ত্রিকতা কেউ পছন্দ করে না দাদা। তবে প্রত্যেকটা মানুষই কাজের জন্য এখানে বাধ্য হয়ে থাকে। আপনার মত আমারও একটাই দাবি, প্রত্যেকটা মানুষ যেন সুস্থভাবে তার পরিবারের কাছে ফিরতে পারে এবং সুন্দর করে ঈদ উদযাপন করতে পারে। যদিও এই সময়টাতে সব জায়গায় অতিরিক্ত ভিড়, তারপর আবার জীবনের ঝুঁকি থাকে অনেক বেশি। তবে এটাই বলবো, সবার যাত্রা শুভ হোক।
এমনটা তো ভাই আমারও চাওয়া, সবাই নিরাপদে যাক আপন গন্তব্যে।